একটি ডিজিটাল এস এল আর কিনবো, তাই সচলের ফটু বিশেষজ্ঞদের কাছে কিছু পরামর্শ চাইছি। ফটোগ্রাফি সম্পর্কে কিংবা ক্যামেরা সম্পর্কে আমার ধারনা কিছুই নেই। তাই কোন মডেলটি ভালো হবে, কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানের ক্যামেরাটি ভালো হবে বুঝে উঠতে পারছি না। ক্যানন, নাইকন, সনি এগুলোর নামই খালি শুনি আর জানি। কিন্তু এদের কোন মডেল কোনটা কার সমতুল্য, বা কোন মডেলটি আমার মতো নবিশদের জন্য ভালো হবে, বুঝতে পারছি না। কোন কোন ক্যামেরাতে নাকি ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন রয়েছে আবার কোনটাতে নাকি লেন্সে, এগুলোর মানে কি - সবই মাথার উপর দিয়ে যায়।
আমার রিকোয়ারমেন্ট কি হওয়া উচিত সে সম্পর্কেও তেমন জানি না। শুধু জানি মূলত পারিবারিক ছবিই তুলবো, মাঝে মাঝে বাহিরে গেলে কিছু আউটডোর সিনারিওর ছবি তোলা হতে পারে। ছবি তোলার নেশা আমার তেমন নেই, কিন্তু হতে কতোক্ষণ। আগ্রহী হলে সচলের ফটু বিশেষজ্ঞদের মতো কিছু ফটুব্লগও হয়ে যেতে পারে। মূল রিকোয়ারমেন্ট মনে হয় সীমিত বাজেটের মধ্যে ভালো মানের একটি ক্যামেরা, যা সবার বেলাতেই প্রযোজ্য। আশা করি এই পোষ্টের পরামর্শগুলো অনেকরই কাজে আসবে।
যা হোক, আমাকে কিছু মডেলের নাম দিলে আমি দরদাম দেখে যেটা সাশ্রয়ী মনে হবে কিনলাম। কিন্তু এই মুহুর্তে কোন মডেলগুলো বিবেচনায় আনবো সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না। কিছু ঘাটাঘাটি করার চেষ্টা করলাম, কিন্তু ফটগ্রাফী সম্পর্কে যেহেতু একদমই কিছু জানি না তাই ওগুলো হায়ারোগ্লিফিক্স মনে হয়। আমি এখন পর্যন্ত যে কয়টা ঘেটে দেখেছি, তা হচ্ছে Cannon T3, Sony A390, Sony A35, Sony A55, Sony A57. নাইকন সম্পর্কে একদমই কোন ধারনা নেই, তাই তেমন দেখা হয় নি। এখন পর্যন্ত ক্যানন আর সনিই ঘাটলাম।
আমার বাজেট ৫০০ থেকে ৭৫০ বা ৮০০ কানাডিয়ান ডলার পর্যন্ত। এর উপরে যেতে চাচ্ছি না। অবশ্যই যত কমের মধ্যে থাকতে পারি সেটাই ভালো। ক্যামেরার সাথে যে বেসিক লেন্স আসে সেটাই পর্যাপ্ত কিনা নাকি টেলিলেন্সও কেনা ভালো এই বিষয়েও কিছু আলোকপাত করলে ভালো হয়। এই প্রাইস রেইঞ্জে টেলিলেন্স সহ ভালো মানের ক্যামেরা পাওয়া সম্ভব কিনা সেটাও মনে হয় একটি প্রশ্ন। যা হোক, যে কোন পরামর্শের জন্যে অগ্রীম ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম।
মন্তব্য
দুটো আর্টিকেল পেলাম:
http://digital-photography-school.com/how-to-buy-a-digital-camera
http://digital-photography-school.com/how-to-buy-a-dslr-camera
বিশেষ করে দ্বিতীয় আর্টিকেলটা চমৎকার!
আপনার বাজেটের মধ্যে পাবেন ক্যাননের ক্যানন ৫৫০ডি অতি চমৎকার ক্যামেরা।
---------------------
আমার ফ্লিকার
এই রিভিউটা পেলাম ক্যানন টিথ্রি আই আর নাইকন ডি৩১০০ এর মধ্যে।
http://thediscerningphotographer.com/2010/11/15/dslr-camera-review-canon-rebel-t1i-vs-nikon-d3100/
আপনি সনির এতগুলো মডেল দিয়েছেন দেখে মনে হচ্ছে সনির মডেলগুলোর প্রতি আপনার ঝোঁক বেশী। ফ্র্যাঙ্কলি স্পিকিং মিররলেস ক্যমেরা ছাড়া সনির তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ক্যামেরা নেই। আমি হাইলি রেকমেন্ড করবো সনি থেকে দূরে থাকতে। (সনির আর সে দিন নেই। অনেক দিক থেকেই পিছিয়ে পড়েছে তারা।)
নাইকনে ন্যাচারাল কালার আনতে খুব বেশী বেগ পেতে হয় না। ক্যাননের সুবিধে হচ্ছে অনেক রকম লেন্সের বাহার।
হাই এন্ড ক্যামেরা হলে আমি ক্যানন রেকমেন্ড করতাম। এন্ট্রি লেভেল ক্যামেরার জন্য আমার মনে হয় নাইকন যুতসই হবে।
মুর্শেদ ভাই, এইটা ক্যানন ৫০০ডি এর সাথে ডি৩১০০ এর কম্প্যারিজন দিলেন। ৫০০ডি (টি১আই) এখন আর মার্কেটে নাই বলা যায়। মার্কেটে আছে ৫৫০ডি (টি২আই) আর ৬০০ডি (টি৩আই) এবং এই দুইটা ক্যামেরার আসল পার্থক্য ৬০০ডি তে ওয়্যারলেস ট্রিগার আছে আর ৫৫০ডি তে নাই।
টি৩আই একেবারে লেটেস্ট মডেল। এটার আসলে ডি৩১০০ এর তুলনা করা যায় না। ডি৩১০০ একেবারে বিগিনার ক্যামেরা আর টি৩আই এর থেকে এক ধাপ উপরের।
---------------------
আমার ফ্লিকার
সরি খেয়াল করি নাই। ইদানিং প্রতিযোগীতা এতো বেশী যে পার্থক্য খুব কমে আসছে।
টি৩আই আর শুধু টি৩ এই দু'টোর মধ্যে পার্থক্য কি?
তুলনা
ছবির কোয়ালিটি এবং আইএসও পারফরমেন্সে ভালো পার্থক্য আছে আর ৬০০ডিতে ফুল এইচডি ভিডিও হয় যেইটা অতিরিক্ত পাওনা। তবে ৬০০ডি থেকে ৫৫০ডি নেওয়াটা আমি বলবো বুদ্ধিমানের কাজ। দুইটা ক্যামেরা পার্থক্য বলতে গেলে ওয়্যারলেস ফ্ল্যাশ কন্ট্রোল যেটা মনে হয় না আপনার জন্যে তেমন দরকারী হবে
---------------------
আমার ফ্লিকার
ভিডিও না করতে পারাটা একটা টার্ণ অফ হতে পারে। অবশ্য ফ্যা্ঙ্কলি স্পিকিং ক্যমেরা দিয়ে ভিডিও করাটা সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে।
মুর্শেদ ভাই ৬০০ডি এর ভিডিও কোয়ালিটি যা! ৩২জিবি কার্ড থাকলে ৪-৫মিনিটের মুহূর্ত দারুণ ভাবে ক্যাপচার করা যায়!
৬০০ডি এর ভিডিও এর নমুনা
---------------------
আমার ফ্লিকার
টি২আই এন্ড অফ লাইফ প্রডাক্ট না? এইটা আর প্রোডাকশনে নাই সম্ভবত।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
উহু 550D এখনো মার্কেটে আছে। আসলে 550D ক্যাননের রেভুলুশনারী ক্যামেরা গুলার একটা। 550D এর পরে 600D বের করায় অনেকে বিরক্ত হয়েছিল কারণ একই ক্যামেরা একটা ওয়্যারলেস ট্রিগার ছাড়া কোনো পার্থক্য নাই! 550D 60D আর 7D এর ছবি এবং আইএসও পারফরম্যান্সের পার্থক্য একেবারে নগণ্য! যা পার্থক্য সব ক্যামেরা বডিতে।
---------------------
আমার ফ্লিকার
না, আমার কোন মডেলের প্রতি বেশি ঝোঁক নেই। ওগুলো সামনে পেয়েছি তাই দিয়েছিলাম। মূলত ক্যাননটা বেশি দেখছিলাম। কিন্তু ক্যাননের ক্ষেত্রে অপশন পেলাম দু'টো। ক্যানন ১১০০ডি (টি-থ্রি) এবং ৫৫০ডি (টি-টু-আই)। কিন্তু ৫৫০ডি এর প্রাইস দেখি বেশি, কিন্তু সিরিজ আবার কম, আবার সাথে আই এর মানে কি, এগুলো কিছুই বুঝতে পারছি না।
নাইকন সম্পর্কে খুব বেশি ধারনা নেই বলে ঘেটে দেখিনি। সনি দেখছিলাম, কারন একজন বলছিলেন যে সনির নুতন মডেলে নাকি অনেক বেশি ফিচার আছে, এবং ক্যামেরাতেই নাকি ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন রয়েছে যা নাকি নবিশদের জন্যে ভালো ইত্যাদী। সব মিলিয়ে পুরাই কনফিউজড
সনি থেকে দূরে থাকাই ভালো। আমি এক সময়ে সনি ভালোবাসতাম, কিন্তু বর্তমানে সনি বিরোধী। সনির ডিএসএলআর (Sony A55) এক বন্ধুর আছে। বেশ হতাশাব্যঞ্জক পারফরম্যান্স।
আমার ক্যানন ইওএস ১০০০ ডি আছে। বেশ পুরানো। দুটো লেন্স (১৮-৫৫, ৫৫-৩০০) আর ব্যাগসহ স্যামস ক্লাব থেকে কিনেছি ৬০০ মার্কিন ডলারে। ওটা এখন পাওয়া যায় না মনে হয়। স্যাম'স ক্লাব ক্যামেরার জন্য প্রসিদ্ধ না হলেও মাঝে মাঝে ক্যামেরার প্যাকেজ ডিল থাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি ব্যাক্তিগতভাবে একটা নাইকনের ডি ৩০০০ ব্যবহার করি। এটা কিনতে আমাকে পরামর্শ দিয়েছে আমার বিশ্ববিখ্যাত ফটোগ্রাফার বন্ধু। নতুন বা শৌখিন ফটুরেদের জন্যে ভালোই মনে হয়েছে এটা। তাছাড়া দেখেছি, আমার এক বন্ধু ফটোগ্রাফী শিখতে, তাদের ক্লাসের প্রায় ৪০ জনের মধ্যে ২০ জনেরও বেশি এই ডি ৩০০০ ব্যবহার করছে। আমি ২০১০-এ আমস্টার্ডাম থেকে কিনেছিলাম বডির সাথে ফাও পাওয়া ১৮-৫৫ এমএমের সাথে একটা অতিরিক্ত ৩৫-২০০ এমএম লেন্স সহ, সাথে মেরোরী কার্ড আর ব্যাগ। দাম নিয়েছিলো ১০০০ ইউএসডি থেকে কিছু কম। এখন অবশ্য এটার দাম অ--নে--ক কমে গেছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কি আছে জীবনে? বাজেট বাড়ায়ে Canon 5D (Mark II) কিনে ফেলেন ২০০০ ডলার এর মতো পড়বে। (লেন্স এর জন্য আরও হাজার কয়েক যাবে পরে, কিন্তু ওইটা বললে তো আরও পিছায়ে যাবেন )
আর ক্যামেরা নিয়া বেশী পাকনামি করতে না চাইলে Sony NEX5N কিনে ফেলেন, কম ঝামেলায় ভালো ফটু উঠে।
এগুলোরে কি মিররলেস ক্যামেরা বলে নাকি কম্প্যাক্ট ক্যামেরা বলে? পোষ্ট দিছিলাম ডিএসএলআর নিয়া, এখন দেখছি ঘুরতে ঘুরতে কমপ্যাক্ট ক্যামেরা যেটা ডিএসএলআর এর মতো ছবি দেয় সেদিকে চলে যাচ্ছি। কনফিউশন আরো বেড়ে গেলো। ডিএসএলআর কিনুম নাকি কম ঝামেলার জন্যে ভালো কম্প্যাক্ট কিনুম
Sony NEX5N কে ঠিক SLR বলা যায় না, আবার Point and Shoot তো অবশ্যই না। বরং গরীবের SLR বলতে পারেন।
আপনি যেকরম খরচ করবেন সেরকম আউটপুট পাবেন। যদি ৫০০-৬০০ খরচ করে ৫ডি আ ১ডির মতো ছবি চান তবে সেটা আনরিয়ালিস্টিক হবে। সে কারনে পাতি লেভেলের ডিএসএলআর না কিনে অনেকে ঝুনা লেভের পয়েন্ট এন্ড শুটের কথা জানিয়েছেন হয়ত।
ফরচুনেটলি এই প্রাইস পয়েন্টে কাস্টোমার বেশী, তাই অপশন বেশী। আনফরচুনেটলি কনফিউশনও বেশী।
হ, কনফিউশন দূর করতে গিয়া, এখন আরো কনফিউশনে পড়ছি। আগে ছিল ডি এস এল আর এর কোন মডেল, এখন গিয়া দাড়াইছে কম্প্যাক্ট নাকি ডি এস এল আর। অসুবিধে নেই। তাও অনেক কিছু জানলাম। হাতে কিছু দিন সময় আছে। দেখি আরো কিছু দিন।
http://www.dpreview.com/products/search/cameras
স্বাধীন ভাইয়ের মত ক্যামেরা নিয়ে আমারও কিছু প্রশ্ন ছিল। এই পোস্টে তাই সুযোগ নিলাম - আশা করি পোস্টলেখক কিছু মনে করবেন না।
আমি বুঝি আরও কম - নেক্সট টু নিল। আমার আগ্রহ মূলত এমন ক্যামেরার প্রতি যা ভ্রমণ/ঘুরাঘুরির সময় কাজে লাগবে। অর্থাৎ পোর্টেবিলিটি ও দ্রুত ব্যবহারযোগ্যতা এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হতে হবে (তাই বলে আমি অবশ্য মোবাইল ফোন চাচ্ছি না!), অন্য বৈশিষ্ট্যগুলি সহ। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কি? তাছাড়া ঘুরাঘুরির ক্ষেত্রে
ডিএসএলআর-এর চেয়ে হাই-এন্ড কম্প্যাক্টই কি ভাল না? নেট ঘাটতে গিয়ে দুটো নন-ডিএসএলআর ক্যামেরা চোখে পড়ল, এসম্পর্কে মতামত জানতে পারলে ভাল হত - Nikon 1 J1 আর PowerShot SX40 HS।
****************************************
ক্যাননের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। PowerShot SX40 আমার একটা আছে। এটা হাই এন্ড কম্প্যাক্ট, ছবি তুলে বেশ ভালো। এখানে কিছু ছবি দেখবেন।
আমার এই ব্লগের ছবিগুলোও এতে তোলা।
বহন করার জন্য এবং পটাপট ছবি তোলার জন্য এটার জুড়ি নেই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এসব ক্যামেরা খারাপ না মোটেই। তবে সমস্যা একটাই, ইনডোরে লো লাইটে এদের পারফর্মেন্স হতাশাব্যঞ্জক। আমরা এখানে যতগুলো ছবি দেখলাম একটা বাদে তার সবই আউটডোর এ তোলা। সুপার মার্কেটের ছবিটি ওয়াইড আঙ্গেলে তোলা। ইনডোরে লোকজনের ছবি তোলার জন্য ফাস্ট ল্যান্সের বিকল্প নেই। তার উপর লোকজন যদি পার্টি মুডে তিড়িং বিড়িং করতে থাকে । এজন্য DSLR এর ভাত এখনও এসব লেন্স মারতে পারেনি।
আমার ডিএসেলারেও আগ্রহ আছে বটে, তবে সেটা ছবি দেখে আর শুনে শুনে - নিজে ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থেকে নয়। তাছাড়া আমার ছবি তোলার আগ্রহও আসলে খুব সুনির্দিষ্ট - দূরে এবং অগতানুগতিক কোন ভ্রমণ (ঢাকায় থাকার সময় বা অন্য কোন 'শহরে' গেলেও তেমন কোন আগ্রহ পাই না)। মূলত আউটডোরে - ল্যান্ডস্কেপ, নেচার, ভ্রমনকালীন বিশেষ মূহুর্ত ইত্যাদি। মিউজিয়াম, গ্যালারি জাতীয় ক্ষেত্রেই কেবল ইনডোরে আগ্রহ। আর একা অচেনা জায়গায় ভ্রমণের সময় দামী বা বাল্কি, ভারী ক্যামেরা বহনের সাহস বা শক্তি/স্ট্যামিনা/উৎসাহ তেমন একটা নাই। অথচ 'ভাল' বা 'দারুন' ছবি তোলার ইচ্ছা ঠিকই আছে। অনেক পয়সা খরচ করে দামী ডিএসেলার কিনে তারপর সেটাতে একটা যুক্তিসঙ্গত দক্ষতা অর্জন করতে প্রচুর সময় ইনভেস্ট করে, তারপর যদি সেটা নিয়ে স্বচ্ছন্দে, সবসময় ও সর্বত্র ঘুরাঘুরি ও ব্যবহার না করতে পারি বা করার শক্তি/উৎসাহ না পাই - তাহলে অর্থ ও সময় দুটোই পুরা পানিতে যাবে। এটা একটা বিরাট সমস্যা। এইসব চিন্তা করেই একটা কম্প্রোমাইজ সলিউশন খুঁজছিলাম। আ্মার মত হয়তো আরো অনেকেই আছেন।
আর হ্যাঁ, তিড়িং বিড়িং-এর যে কথাটা বললেন, এই মিররলেস ক্যামেরাটা সেরকম ক্ষেত্রে কেমন মনে হয় আপনার (আমি রিভিউটা পড়েছি, কিন্তু বুঝিনি খুব একটা)?
****************************************
এই মিররলেস সিস্টেম এর চেয়ে আমার কাছে নিকন P310(f1. এবং ক্যানন S100(f2) বেশি ভাল লেগেছে। আমি নিজেও এর একটা কিনব বলে ঠিক করেছি। ওয়াইড এন্ডে এরা বেশ ফাস্ট অ্যাপারচার দেয় যা কম আলোতে ভালো ফল দেবে। আমি ক্যানন S95 ব্যবহার করেছি, বেশ ভালো। আর আপনার দেয়া মিররলেস ক্যামেরার লেন্স খুব একটা ফাস্ট লেন্স দেখাচ্ছে না। মিররলেসের দামও বেশি।
ধন্যবাদ।
****************************************
আমার মনে হয় আপনার জন্য মাইক্রো ফোর্থার্ড ক্যামেরা ভাল হবে। এই মুহূর্তে মডেলের নাম দিতে পারছিনা তবে ছবির পার্ফর্মেন্স ডিএসেলারের মতন কিন্তু আকারে অনেক কম্প্যাক্ট।
নাইকনের একটা নতুন মডেল আসছে, পয়েন্ট এন্ড শুট এর সমান বডি কিন্তু লেন্স বদলানো যায়।
http://www.nikon.com/news/2011/0921_digital_01.htm
আমি এত কিছু জানি না, তবে বডির চে লেন্স বেশি ইম্পরট্যান্ট এইটুক বুঝি, আর শৌখিন ফটুগফুরের জন্য মডেলিং করতে করতে এইটুক জানি ঘরের মধ্যে ছবি তুল্লে ভালো লাইটিং/ ফ্ল্যাশ থাকা চাই, নাইলে বিশ্ব-সুন্দরীরেও কাজের বুয়া দেখাইতে পারে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
অরুচিকর লাগল! সত্যি বলতে কি, এই 'কাজের বুয়া'দের মত অসংখ্য নীচতলার মানুষই এই ঝাঁ চকচকে দুনিয়া গড়ে দিচ্ছে, যার রূপ-লাবণ্যে গড়া বিশ্ব-সুন্দরীদের ছবি তোলার অপার সুযোগ লাভ করে থাকেন আপনি। আমরা কি চিন্তা করে দেখেছি যে, একজন বিশ্ব-সুন্দরীর দৈনিক খরচ দিয়ে ঠিক কতজন কাজের বুয়ার মাস চলে যেতে পারে? আমার ধারণা (ভুলও হতে পারে), বিশ্ব-সুন্দরী প্রকৃতিজাত কোন বিষয় নয়, অনেক ক্ষেত্রেই তা সামাজিক অসাম্য ও সুবিধাবাদীতার চূড়ান্ত লক্ষণ!
ভাই, এইটা জাস্ট কথার কথা, আমার মোটেও অরুচিকর লাগে নাই। "জাস্ট সুন্দর করে সাজানো কিছুকে দেখতে খারাপ লাগতে পারে" এই মিনিং নিলেই তো হয়। কেউ তো আর বলতেসে না যে বুয়ারা খারাপ/আজাইরা মানুষ, আর বিশ্বসুন্দরীরা খুব ইম্পর্ট্যান্ট!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
পল্লব ঠিকই ধরছে। বুয়াদের তো আর ছবি তোলার জন্য প্রফেশনালি মাঞ্জা মারার টাইম নাই, তাদের ছবি তাই ঐ রকম মডেল দের মতো ঝা চকচকে আসবে না। সুন্দরীদের এইসব মাথা ঘুরায় দেয়া ছবির অনেকখানিই আলোর কারসাজি, মুখের মেকাপ এর মধ্যেও আলোর কারসাজির বন্দোবস্ত করা হয়, এখানে গাঢ়, একখানে হাল্কা রঙ দেয়া হয় যাতে নাকটা খাড়া দেখায়, চোখটা আয়ত দেখায়।
বুয়া ( এই ডাকটাই আপন লাগে) দেরকে আমি আমার অন্যান্য খালা বা ছোট বোনের (কম বয়স হলে) চোখেই দেখি।
এইটা বলার কারন হইল, আমি নিজেও সবসময় মাঞ্জাবিহীন ঘুরাঘুরি করি, আমার সব ছবি তাই ঘামে ভেজা শ্রমজীবি মানুষ, মাত্র কাজ ফেলে উঠে আসছে, এইরকম আসে
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ভুল বোঝার জন্য দুঃখিত, ভাইয়া। তবে চলতে ফিরতে কানে আসা কিছু কথা তুলে দিচ্ছি: 'তোর রুচি এত খারাপ! একটা কাজের বুয়ার দিকে চোখ গেল', 'আরে ধুৎ, এইটা তো একটা কাজের বুয়া, শেষ পর্যন্ত এইটারে বিয়া করবি!' , 'এই কাজের বুয়াডা আবার নায়িকা হইল কেমনে' বা 'অমুক নেত্রীরে একদম কাজের বুয়ার মত লাগে' ইত্যাদি। এভাবেই একটি পেশার মানুষকে নিন্দাবাচক বিশেষণের সমার্থক বানিয়ে ফেলা হয়েছে!
আমার তিক্ত পর্যবেক্ষণ থেকেই কথাটা বলেছিলাম। কিছু মনে করবেন না, ভাইয়া!
"শিশিরকণা" ভাইয়া নাকি কি মুশকিল!!
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কেউ কাজের মানুষদের ছোটলোক মনে করলেই তারা ছোটলোক হয়ে যান না। বরং যারা এইরকম মনোভাব পোষণ করে, তাদের মুখোশের নিচে লুকিয়ে থাকা ছোটলোক চেহারাটা বের হয়ে যায়।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কারও কথা শুনবেন না
নিকন Nikon d 5100 ছাড়া কিনবেন না ।।।।।
_______
এছাড়াও আর একটি পরামর্শ ছিল কিন্তু >>>>
ধন্যবাদান্তে,
মানব
মন্তব্য করতে গিয়ে ওয়ার্ড ভেরিফিকেশন চায়, কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনা, ঘটনা কি?
একটু পাকনামি করি
আমি ক্যাননের সিস্টেম ব্যবহার করি বেশ কিছুদিন ধরে। তবে ক্যাননের অটোফোকাস সিস্টেম নিকনের চেয়ে খারাপ, বেশ খারাপ। স্পোর্টস ফটোগ্রাফি যারা করেছেন তাঁরা আরও ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু ক্যাননের লেন্স অপশন অনেক, কোয়ালিটি ভাল,এভেইলেবল, দাম নিকনের তূলনায় বেশ লোভনীয়। যদি উপায় থাকত আমি নিকনের বডিতে ক্যানন লেন্স ব্যবহার করতাম(নিনার সিনা ভাল, সামিনার দুই চোখ !)। নিকনের ভালো লেন্সের দাম মেলা, অপশনও বেশ কম।
প্যান্টেক্স এর সুবিধা হল, ইমেজ স্টাবিলাইজার সেন্সর এর সাথেই থাকে তাই যেই লেন্সই লাগান না কেন আপনি এই সুবিধা হারাবেন না। আর ফাস্ট কিছু প্রাইম লেন্স লাগালে(যেগুলো জুম লেন্সের চেয়ে সস্তা)ভাল ফটোগ্রাফি শিখার জন্য যথেষ্ট। প্যান্টেক্স এর অসুবিধা হল, এর প্রচলন কম এবং তাই কম দামে ব্যবহৃত লেন্স পাওয়া মুশকিল।
আর সনি কোন দিক দিয়েই সুবিধার না। এক্সেসরিজ আর লেন্সের দাম অহেতুক বেশি, পাওয়াও মুশকিল।
এভাবে জেনারেলাইজ করাটা মনে হয় ঠিক হলনা। অটোফোকাস খারাপ মানে কি বুঝাচ্ছেন? ফোকাসের গতি না কোয়ালিটি?
এখানে ফোকাসের গতি ও Accuracy বোঝাতে চেয়েছি। ক্যানন 5 সিরিজের ফোকাসিং সমমানের Nikon 700 এর তুলনায় বেশ দুর্বল। 1D MarkIII এর ফোকাস মাঝে মাঝেই বিগড়ে যায়(আমি উদাহরণ দেখেছি একটা ব্লগে)। তবে নূতন 5DMarkIII, 1DMarkIV খারাপ না। কিন্ত নিকনের মত নির্ভরযোগ্য নয় বলে জনশ্রুতি আছে।
আপনার সব রেফারেন্সই তো দেখছি জনশ্রুতি ভিত্তিক, তাও কোন লিংক দেননি। ফোকাসিং এ্যাকিউরেসি আর স্পিড কিন্তু শুধু ক্যামেরার উপর নির্ভর করেনা, এখানে কোন লেন্স ব্যবহার করছেন সেটাও ব্যাপার।
আপনি বারবার স্পোর্টস ফটোগ্রাফির বরাত দিচ্ছেন। আমার বেশ বড় বড় দুইটা ইভেন্ট: এশিয়া ফুটবল চ্যাম্পিয়ানশিপ ২০১১, আরব গেমস ২০১১ এর মিডিয়া সেন্টারে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে, দেখেছি সারা বিশ্ব থেকে আসা বড় বড় স্পোর্টস ফটোগ্রাফার আর তাদের ইকুইপমেন্ট। কোন ক্যামেরা দেখেছি বেশি জানেন? ক্যানন, নাইকন না।
আমি উপরেই বলেছি লিঙ্ক দিতে পারছি না আর ক্যানন খারাপ নয়, আমি নিজেও তাই ব্যবহার করি। কিন্তু কেউ আমাকে গিফট দিতে চাইলে অবশ্যই নিকন(নাইকন না!)চাইব।
রাস্তায় কোনটা বেশি দেখেন টয়োটা নাকি জাগুয়ার?
আপনি ৫ডি মার্ক থ্রি-এর ৬১ পয়েন্ট অটোফোকাস আর নাইকন ডি৮০০ এর ৫১ পয়েন্ট অটোফোকাস এর একটি তুলনা পারলে দিয়েন তো। নাইকনের স্ট্রং পয়েন্ট হল সেনসর। বলা হয়ে থাকে নাইকনের সেনসরের কালার রিপ্রডাকশন ক্যাননের তুলনায় একটু ভাল। তবে সেই ভালটা বোঝার জন্য ল্যাব সেটিংসের দরকার হয় স্পোর্টস ফটোগ্রাফিতে ডি৩ আসার আগে পর্যন্ত ডোমিনেট করত ক্যানন। সেটার একটা বড় কারণ ছিল বডির অটোফোকাস আর এল লেন্সের শার্পনেস। ডি৩-তেই মনে হয় নাইকন প্রথম ৫১ পয়েন্ট অটোফোকাস নিয়ে আসে।আমার কাছে ডাটা নেই। তাও বিভিন্ন স্পোর্টস ইভেন্ট দেখে মনে হয় আগের তুলনায় একটু কম হলেও, এখনও সাদা লেন্সের আধিক্য চোখে পড়ে। সেটার কি কারণ, সেটা নিয়ে অনেক বিশাল আলোচনা করা যায়। তবে দাম যে সেটার মধ্যে পড়ে না, সেটা বলাই বাহুল্য। এইসব ইভেন্ট যারা কাভার করে, প্রাইস তাদের জন্য কোনও ফ্যাক্টর না।
আর নাইকন/ ক্যাননের তুলনায় আপনি যখন টয়োটা/জাগুয়ারের কমপ্যারিসন নিয়ে আসেন, তখন আপনার ফটোগ্রাফি এবং গাড়ি-এই দুই বিষয়েই ধারণা কতখানি স্বচ্ছ , সে নিয়ে প্রশ্ন আসে।
নিকন ক্যানন নিয়া তুলনামূলক আলোচনা করে লাভ নাই। দুইটাই বিলিয়ন ডলার অপ্টিক্যাল কম্পানি যাদের মূল প্রডাক্ট হইলো লাখ লাখ ডলার দামের প্রেসিশন অপ্টিক্স। দুইটাই ফাটাফাটি। অটো ফোকাস মোকাস কিচ্ছু না।
ক্যাননের ৫ডিমার্ক টু যেকোন মডেলের নিকনের থেকে কম যায় না। ৫ডি মার্ক থ্রি তে ক্যামেরা বডিতে লাইট লিক ধরা পড়ছে যেটা মিটারিং এ ঝামেলা করতেছে। নিকনের থ্রিডি কালার ম্যাট্রিক্স মিটারিং ইউনিক, ক্যানন এইটা এখনো ইমপ্লিমেন্ট করতে পারে নাই অথবা করে নাই। নিকন কয়দিন আগেও সনির সেন্সর ইউজ করছে।
নিকন-ক্যানন দুইটা প্রডাক্টই ভাল। কোম্পানি দুইটাই বদ। খালি নতুন মডেল ছাড়তেছে মার্কেটে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
অতিরিক্ত রকমের জেনারালাইজেশন হয়ে গেলো না? বেশ খারাপই যদি হতো তাহলে কবেই ক্যাননের ক্যামেরার বিজনেস লাটে উঠতো!
---------------------
আমার ফ্লিকার
দুঃখিত। যতটা খারাপ শোনাচ্ছে ততটা বোঝাতে চাইনি। আসলে অটো ফোকাসিং সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার মত ব্যবহার আমরা কেউই তেমন করি না। তবে স্পোর্টস ফটোগ্রাফির কথা ভিন্ন। আমি ক্যাননের ফোকাসিং ইস্যু নিয়ে কোন হলেও বিশটা পোস্ট পড়েছি। নিকনের একটাও চোখে পড়েনি, তাই বললাম। ক্যাননের ব্যবসার একটা মুখ্য দিক হোল এর দুর্দান্ত সব লেন্স। এই জায়গায় নিকন পিছিয়ে গেছে।
ক্যানন 50D পাইলে কিনে ফেলেন চোখ বন্ধ করে।
যদিও আমি ক্যামেরা বিশেষজ্ঞ নই, তবুও আমার যেকোনো বন্ধু ডি. এস. এল. আর. কিনতে গেলে তাদের যা বলি তা আপনাকেও বলার লোভ সামলাতে পারলাম না। ডি. এস. এল. আর. একটা বিনিয়োগ, আর এই বিনিয়োগ করা তখনই যুক্তিযুক্ত যখন আপনি আপনার হবি সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন। মানে আপনি নিশ্চিত হবেন যে ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লাগে। নাহয় আমার বহু বন্ধুর মত এই ডি. এস. এল. আর. টার শেষ ঠিকানা ধুলো জমা আলমারির তাকই হবে। ডি. এস. এল. আর. বহন করা আর ব্যবহার করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার, যথেষ্ট প্যাশন না থাকলে বেশিদিন টিকে থাকতে পারবেন না। যদি আপনার প্রধান ইউস কেস হয় পারিবারিক ছবি আর মাঝে মধ্যে বাইরের ছবি, তাহলে মনে হয় ভালো মানের অটো ক্যামেরাই ভালো হবে। আর নিতান্তই যদি ডি. এস. এল. আর. কিনতে চান, তাহলে একদম শুরুর দিকের একটা বডি আর কিট লেন্স (১৮-৫৫ মিমি) দিয়ে শুরু করুন (মানে বিনিয়োগটা কমের মধ্যে রাখা আরকি), পরে যদি ভালো লেগে যায় তাহলে টাকা খরচ করতে আর কষ্ট লাগবে না আশা করা যায়। তখন লেন্স কিনবেন।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আমার নিজের চিন্তাটিও ঠিক আপনার মতই। ফটোগ্রাফির প্রতি নেশা কম (মানে আরো এতো নেশা আছে যে নুতন নেশার সময় নাই ) । দেখি কি করি।
নিকন-ডি ৩০০০ কিংবা ক্যাননে ৬০০ডি কিন্তারেন। ঠকবেন না, শিওর। মোটামুটি আয়ত্তের মধ্যেই আছে। তবে আমি প্রথমে ক্যানন এবং সেকেন্ড হল নিকন প্রেফার করব।
এইবার আজাইর্যা ক্যাচালঃ কোন কিছু সম্ভব না হৈলে সোনি মামির সাইবার শট কিন্যা আশেপাশে যা পান সেখাইনেই ক্লিকাইতে থাকেন, হেইডাই তখন সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্ট মনঐব। আমি এখনো এই সাইবার শটে ছবি তুলি। আমার কথা শুনেন মন্দিয়া কারণ বড় হয়ে আমিও ইয়াব্বর ফডুগফুর হমু।
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনের সাইবার শটেই যে পারফরমেন্স, এসএলআর হইলে কার কার যে ভাত মারবেন দাদা!
। এসএলআর এর স্বাদ নিছি অনেক আগেই। তবে কারো ভাত মারুম না। সেই যোগ্যতা নাই।
ডাকঘর | ছবিঘর
তাইলে হিসাবটা কি দাঁড়ালো, কোন মডেল ফাইনাল হল। আমিও লেখকের দলে। পুরা ডিসকাসন পইড়া মাথা আওলায়ে গেছে। কোনটা ভাল হবে শুধু সেইটা কন।
কোনটা ভালো হবে, সেটা বোধহয় বলেছেন কেউ কেউ, বিশেষ করে ডিএসএলআর প্রসঙ্গে। সবচাইতে ভালো হয় ক্যানন অথবা নিকনের যেকোন একটি বিগিনার'স ডিএসএলআর কিনে মাঠে নেমে পড়া। এ কোম্পানিগুলো ফিবছর তিন-চারটে বিগিনার'স ডিএসএলআর বাজারে আপায়। তাই আপনি যে প্রাইস রেঞ্জের কথা বলছেন তাতে চমৎকার ক্যানন অথবা নিকন ডিএসএলআর পাবেন। নিজের কথা বলি, বছর তিনেক আগে ৩৮০ ইউরো দিয়ে নিকন ডি ৪০ কিনেছি। এখন পর্যন্ত আর অন্য কোন দিকে তাকানোর সুযোগ দেয়নি এই ক্যামেরা। একজন বলেছেন ডি৫১০০-র কথা। চমৎকার পরামর্শ। স্রেফ বডি ৬০০ ডলার, দারুণ বারগেইন।
উত্তম প্রস্তাব। সেই সাথে কিট লেন্সের নিকুচি করে Nikon 35mm f1.8 বা Sigma 30mm f1.4 কে ঘরে তোলা হউক।
ক্যামেরা কিনতে গেলে মাথায় রাইখেন এইটা কেবলে শুরু। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে নাইকন ডি-৯০/ডি-৫০০০ বা ডি-৫১০০ বা ডি৩১০০ কিনতে পারেন। আমেরিকাতে কস্টকোতে দারুণ ডিল পাইবেন, বডির সাথে মেম-কার্ড, ১৮-৫৫ আর ৫৫-২০০ বা ৫৫/৩০০ লেন্সের প্যাকেজ, ব্যাগ। ডি-৩১০০ বা ডি-৫১০০ আপনার বাজেটের মধ্যেই আছে। ডি-৯০ কিনতে হইলে এডোরামা/বি-এন্ড-এইচ থিকা কিনতে হবে ভালো ডিল চাইলে। নাইকনের ১৮-৫৫ লেন্সটা এক্কেবারের ত্যানা মার্কা, ৬ মাস পরে কুত পারতে থাকে, এই লেন্সটার নতুন কিন্তে দাম ৯৯টাকা, বুঝতেই পারতেছেন, ভালো লেন্সের ঢাকনির দাম এরচেয়ে বেশি। নাইকন কিনলে ১৮-১০৫ আছে, এইটারে ডি-৯০ এর সাথে প্যাকেজ কইরা কিনতে পারেন। আর যদি মনে করেন, বাজেট দ্বিগুন করতে পারবেন, তাইলে লাফ দিয়া ডি-৭০০০ কিনতে পারেন, বডি ১২০০টাকা, প্যকেজ আসে ১৮-২০০ মিমি ১৭০০টাকায়, এইটা কিনলে সবসময় আপনার দাঁত বাইর হইয়া থাকব।
http://deals2buy.pgpartner.com/search_getprod.php?masterid=817617969
http://deals2buy.pgpartner.com/search_getprod.php?masterid=869375722
নাইকন পছন্দ না হইলে ক্যাননেও এরকম ডিল পাইবেন। ৫০-১০০ টাকা বেশি পড়বে, একইরকম লেন্সের প্যাকেজ আসে, ১৮-৫৫ আর ৫৫-২৫০ এর সাথে টি-২ আই অথবা টি থ্রি আই, সাথে ২টা লেন্স, ব্যাগ, কার্ড। যদি লেন্স বদলানো ঝামেলা মনে হয়, তাইলে ৬০ডি কিনতে পারেন, ১২০০ টাকা দাম পড়বে, সাথে ১৮-২০০ মিমি লেন্স, শুরু করার জন্যে এর চেয়ে ভালো লেন্স বাজারে নাই। তবে ১৮-৫৫ কেনার চেয়ে ১৮-১৩৫ কেনা ভালো, পরে ৭০-৩০০ কিনা নিলে আপনার জুমের রেঞ্জ কাভার করে যায়। এরপর বুইঝা শুইনা ব্যাগ ভারী করতে পারবেন। খরচ কমাইতে চাইলে ৬০ডি-১৮/৫৫ কিনতে পারেন আমাজন/এডোরামা থিকা। তবে ৬০ডি কিনলে আপনের ৪৪খান দাঁত সবসময় বাইর হইয়া থাকব, ক্যামেরাডা আসলেই ভালো।
http://deals2buy.pgpartner.com/search_getprod.php/masterid=853986245
http://deals2buy.pgpartner.com/search_getprod.php?masterid=857863266
http://deals2buy.pgpartner.com/search_getprod.php?masterid=823663676
সনির উপরে আমি 'ইয়ে'ও করুম না, ছবি তুলার কথা বাদ দেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সবাই কতকত বুদ্ধি দিল। আমার মনে হয় সমাধান পাবার বদলে স্বাধীন ভাইয়ের মাতামুতা আরও আউলায়ে গেছে। আমি একটা ফাইনাল বুদ্ধি দেই। ক্যামেরাই কিইনেন না, বিশেষত SLR তো আরও না। SLR সামলানো বাচ্চাকাচ্চা সামলানোর চেয়েও বেশী ঝামেলার। বাচ্চাকাচ্চা তাও কোথাও পড়ে আছাড় খাইলে একটু ট্যাঁফোঁ করে ঠিক হয়ে যাবে। SLR আছাড় খাইলে কান্নাকাটির ধার দিয়ে যাবে না, ওইখানেই শেষ। এরচেয়ে বরং কাছের বন্ধুবান্ধবকে ভজিয়ে SLR কিনিয়ে ফেলুন, অথবা SLR আছে এইরকম কারো সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলুন ( অব্যর্থ বুদ্ধি, আমি এই করেই চলছি বহুদিন ধরে)। এরা নিজের ছবি তোলা প্র্যাকটিস করার জন্যই এমনে এমনেই আপনার ছবি তুলবে। নিজের ক্যামেরা থাকলে যত ছবি উঠত, এভাবে আরও বেশী উঠবে প্লাস এই কামান নিয়ে আপনাকে চলাফেরা করতে হবে না। ঘুরতে গেলে গায়ে ফু লাগিয়ে ঘুরতে পারবেন।
(আমার বুদ্ধি কাজে লাগলে যেই ৮০০ ডলার বাঁচবে তার অর্ধেক আমারে পাঠায়ে দিয়েন )
SLR এর ওয়ার্কফ্লো কিন্তু আসলেই ঝামেলার।
১) ছবি ডাউনলোড করো
২) পোস্ট প্রসেস করো
৩) কনভার্ট করো
তাছাড়া লেন্স লাগালেন ওয়াইড এঙ্গেলের, দেখলেন তুলতে হবে বাচ্চার ছবি। নিলেন ৫০mm। পরক্ষণেই দেখলেন আবার ওয়াইড এঙ্গেল লাগছে।
ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাবে বলে সব কাজ হয়ত আপনাকেই করতে হবে। কদিন পর আরেকটা ফ্ল্যাশ, এক্সট্রা ব্যাটারী, এক্সট্রা মেমোরী কার্ড, বাচ্চার ব্যাগের পাশাপাশি এক্সট্রা ব্যাগ, ক্যামেরা স্ট্যান্ড, রিমোট শাটার এগুলোর হ্যাপাতো আছেই। অনেকেই কিন্তু মহা বিরক্ত হয়ে যান!
হ। কোথাও ঘুরতে গেলে ক্যামেরা সামলাইতে সামলাইতেই দিন শেষ, কিছু দেখার আর সময় হয়না। পরে ট্রিপ থেকে ফিরে ছবি দেইখা বুঝতে হবে কই কই গেছিলেন । গরীবের বুদ্ধি শুনেন, ক্যামেরা মেমেরা ফালায়া থুইয়া চক্ষু মেলিয়া দুনিয়াটা দেখেন । আর কোন জায়গার ছবি লাগলে তারেক অণুরে বললেই হয়। সবখানে ঘুইরা ছবি তবি তুইলা একাকার করে রাখছে। নিজে আর কষ্ট করে ছবি তোলার দরকার কি?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ডিএসএলয়ার সম্পর্কে যতই জানছি ততই ডিএসএলয়ার কেনার ইচ্ছে দূরে সরে যাচ্ছে। কেউ কি আমাকে হাই এন্ড কম্প্যাক্ট ক্যামেরার কিছু মডেল বলতে পারবেন ৫০০-৬০০ ডলার বাজেটে যেগুলোর ইমেজ কোয়ালিটি ডিএসএলয়ার এর কাছাকাছি হবে। এখন পর্যন্ত ক্যানন জি১২ আর কথা শুনলাম। এইটা কেউ ব্যবহার করেছেন? আর কোন মডেল এর কথা কেউ বলতে পারবেন?
G10 আর G12 দুইটাই আমি ব্যাবহার করেছি এক্সপেরিমেন্ট এর কাজে। TI তে ইমেজপ্রসেসিং এলগরিদম নিয়ে যে গ্রুপের সাথে আমরা কাজ করতাম তারা এই দুটোকে মোটামুটি গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরত। নতুন যে কোন ইমেজপ্রসেসিং এলগরিদম আমরা বানালে এদের পারফর্মেন্স এর সাথে তুলনা করে দেখাতে হতো এদের চেয়ে ভালো কিছু করেছি। আর এর বিল্ট ও খুব শক্তপোক্ত। সব মিলায়ে G12 ভালো ক্যামেরা সন্দেহ নাই।
তবে বাজেট আরেকটু বাড়ালে (৭০০-৮০০ ডলার) Sony NEX 5N পাবেন 18-55 mm লেন্স সহ। পরে চাইলে অন্যান্য লেন্স কিনতে পারবেন। সাইজ কম্প্যাক্ট ক্যামেরার মতোই। এমনকি 18-55 mm লেন্স সহও আকারে খুব বড় না। সুতরাং
G12 আর Sony NEX 5N এর মধ্যে তুলনা করে দেখতে পারেন একটা। আমি কিছুদিন আগে Sony NEX 5N কিনেছি একটা।
বাজেট ৮০০ তে গেলে জি১এক্স ও কেনা যায়। এইটা সচল মুস্তাফিজ ভাই রেকমেন্ড করেছেন। আমি রিভিউ পড়ে দেখলাম বেশ ভালো মনে হয়েছে। তোমার সনির মডেলের সাথে এইটা কম্প্যায়রেবল মনে হচ্ছে। দেখি কম্প্যাক্ট ক্যামেরা নিয়া আরো একটু ঘেটে দেখি।
Sony NEX 5N দেখতেছি সেইলে আছে ৭০০ডলারে লেন্স সহ।
কিনলে Amazon থেকে কিনেন, ট্যাক্স লাগবে না। দামও মনে হয় আরেকটু কম।
সনির এই ক্যামেরা রিভিউতে অনেকে ক্লিকিং এর সমস্যার কথা বলছে। এটি কি সলভড? এরকম কোন সমস্যা তুমি পেয়েছো তোমারটায়?
নতুন ব্যচে এই সমস্যা নেই, ঠিক করা হয়েছে।
আমিও এই বুদ্ধি দিয়েই চলতাছিলাম এতো দিন । কিন্তু এখন নিজের একটা লাগবো।
সবাইকে নানান পরামর্শের জন্যে ধন্যবাদ। আমি একটি সামারি করে দেই।
এখন পর্যন্ত যেটা বুঝলাম সবার পরামর্শ পড়ে, তাতে বিনিয়োগ কমের হিসেবে ধরলে একদম বেসিক ডিএসএলয়ার (যেমনঃ ক্যানন ১১০০ডি বা নাইকন ৩১০০, প্রাইস ৫০০৳) দিয়ে শুরু করতে পারি। অথবা আরেকটু বাড়ালে মাঝারি ডিএসএলয়ার (যেমন ক্যানন ৫৫০ডি বা নাইকন ৫১০০, প্রাইস ৬৫০৳) কেনা যেতে পারে। আর যদি ডিএসেলয়ার এ না যেতে চাই তবে ভালো কম্প্যাক্ট ক্যামেরা (যেমন ক্যানন জি১২, প্রাইস ৫০০৳) কেনা যেতে পারে। উপরে একজন সনি এবং নাইকনের কিছু মডেল বলেছেন। আরেকটু প্রাইস বাড়ালে জি১এক্স (৮০০৳) এর কথা বললো সচল মুস্তাফিজ ভাই। আমি এগুলোই দেখবো। চোখ খোলা রাখবো। এগুলোর মধ্যে কোনটা সেইল দিলে কিনে ফেলবো। সবাইকে আবারো ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
৫০০-৬০০ ডলারের বাজেটে হাই এন্ড কম্প্যাক্ট ক্যামেরার কিছু মডেল কি কেউ এখানে দিতে পারেন? একটু ঘেটে দেখতাম। ফিক্সড লেন্স হলেও সমস্যা নেই।
http://www.kenrockwell.com/tech/recommended-cameras.htm
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
অল্প কথায় সারি--
১। আপনার ডিএসএলএর কোন দরকার নাই।
২। ভালো দেখে একটা পিএস কেনেন। ইভেন্ট কিংবা ঘরোয়া ছবির জন্য কোন ঝামেলা ছাড়াই চলতে পারবেন।
আমাদের এখানে একজন খুব ভালো ফটোগ্রাফার এসেছে গত বছর। তাকে দেখলাম ১০০০ডলার খরচ করে একটা রেঞ্জফাইন্ডার কিনলো, ফুজিফিল্প এক্স১০০০ বা এক্স১০০ বা এমন কিছু। লেন্সটা বোধহয় ফিক্সড, ঠিক জানিনা, ৩৫ মিমি এফ/২। এইরকম লেন্স ঘরের ভেতর লো লাইটে ফ্যামিলি ফটো, পোর্ট্রেট তোলার জন্য অনেক ভালো। হাই অ্যাপারচার দিয়ে নানানরকম এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন। বাইরেও কিছু সিনারি তুলতে পারবেন। তবে জুম নাই। ডিএসএলআরের পার্ফরম্যান্স, সাইজ কম্প্যাক্ট পয়েন্ট-অ্যান্ড-শুটের মত, আপনাকে একগাদা লেন্স আর বিশাল বডির ভার বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে না। শুরুতেই এত কিছু সামলাতে গিয়ে অনেকেরই ইচ্ছা চলে যায় দেখসি। সেরকম "মাথায় মাল উঠলে" তখন হাইফাই জিনিসপত্র কিনেন। আপাতত স্রেফ এইটা দিয়েই আপনি চুটিয়ে ছবি তুলতে পারবেন।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
হেহে মনির ভাই এর সাথে কাউরে তুলনা করলে চলবো! উনার জন্যে ক্যামেরা ম্যাটার করে না! মাইকেল শুমেখাররে টয়োটা গাড়ি দিলেও দেখবেন ফেরারির মত চালাইতেছে!
---------------------
আমার ফ্লিকার
ফুজির এই ক্যামেরা খুবই হাইফাই তুমি যেমন ভাবতেছ তেমন না।
পিপিদার সাথে ১০০% সহমত।
যদি আসলেই ফটোগ্রাফির প্রতি ঝোঁক না থাকে তাহলে ডিএসএলার-এর দিকে না তাকানোই ভাল।
তারপরও আছে, ডিএসেলার কিনে সন্তষ্ট হতে হলে অনেক পয়সা খরচ করতে হবে। কারণ,
আপনি একটু কষ্ট করে আপনার বন্ধুর (যার বাসায় গত শনিবার বিকেলে হঠাত বারবিকিঊ হল, আপনার সাথে আমার সেইখানে দেখা ও কথা হইছিল) নতুন কেনা ক্যাম্রাটা দেখতে পারেন। ওইটা নিয়ে একটু হাতাহাতি করেন। আপনার কিঞ্ছিত আইডিয়া হবে। এরপর ভাল লাগ্লে অইটার কাছাকাছি, অথবা, অইটার চেয়ে ভাল একটা কিনতে পারবেন। হাতের কাছে একটা রেফারেন্স থাকলে মনে হয় আপনার ডিসিশন নিতে সুবিধা হবে। আর যদি ডিএসেলার হাতাইতে চান, আমারে একটা আওয়াজ দিয়েন। আমারটা দিয়া আসুমনে আপ্নেরে, লাইড়া চাইড়া দেইখেন।
হ, হের সাথে কথা হইছে, ক্যামেরা নিয়া আলোচনাও হইছে। দেখি কোনটা কিনি। যা কেনার কয়েক দিনের মধ্যেই কিনতে হবে। সামনে দশদিনের ঘুরাঘুরি আছে।
ক) ডিএসেলারঃ
১। নিকন ডি৭০০০
২। নিকন ডি৫১০০
৩। ডি৩২০০
এর যেকোন বডির সাথে ১৮-৫৫ এমেম ভিআর লেন্স।
ঘটনা হইলো ক্যানন, নিকন, অলিম্পাস, পেন্ট্যাক্স, সিগমা, ফুজি যাই কেনেন ছবির ভালো মন্দ পুরোটাই নির্ভর করবে ছবি তোলার টেকনিকের উপর। আমি মানুষরে ভিজিএ সেলফোন ক্যামেরাতেও দারুণ সব ছবি তুলতে দেখছি। ডিএসেলার যদি কেনেন তাহলে ক্যামেরা বডিতে টাকা খরচ না করে, একটা এন্ট্রি লেভেল ক্যামেরা বডি নিয়ে টাকাটা সেভ করে লেন্সে সেই টাকা খরচ করুন। দারুণ ফল পাবেন।
খ) ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন একটা প্রযুক্তি যেটা হ্যান্ড হেল্ড ছবি তোলার সময় ক্যামেরা শেক কম্পেন্সেট করে ফোকাস কারকশন করে দেয়। এই প্রযুক্তি ম্যানুফ্যাকচারার ভেদে ক্যামেরা বা লেন্সে থাকতে পারে। ক্যামেরাতে থাকলে সুবিধা হল বডি স্টাবিলাইজ হওয়াতে যেকোন লেন্স লাগালেই সেটা স্ট্যাবিলাইজড হয়ে গেলো। কিন্তু ক্যামেরা বডিতে না থেকে লেন্সে থাকলে স্ট্যাবিলাইজেশন শুধুমাত্র সেইসব লেন্সের ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে যে লেন্স গুলো স্ট্যাবিলাইজড। স্ট্যাবিলাইজড লেন্সের দাম বেশি হয় তুলনামূলক ভাবে একি ফোকাল লেংথের ননস্ট্যাবিলাইজড লেন্সের থেকে। সুতরাং ভবিষ্যত চিন্তা করলে এটা খরচ বহুল হতে পারে। কারণ আপনি যতবার স্ট্যাবিলাইজড লেন্স কিনবেন, ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশনের জন্যে খরচ করবেন। এই দিক চিন্তা করলে পেনট্যাক্স বা অলিম্পাস চমৎকার বিকল্প হতে পারে। এদের লেন্স রেঞ্জও অনেক বড়, লেন্সের কোয়ালিটিও ভাল। কিন্তু এই সবি পুরোটাই নির্ভর করে আপনি ছবি তুলতে কতটা সিরিয়াস তার উপর।
গ) সাধারন দৈনন্দিন কাজে সর্বোচ্চ একটা ভাল ব্রীজ ক্যামেরাই যথেষ্ট। এতে টাকার সাশ্রয় হবে অনেক, ডিএসেলারের ফুল ক্যামেরা কন্ট্রোল পাওয়া যাবে, বার বার লেন্স পরিবর্তনের ঝামেলা নাই, ওজোনে হালকা, সাইজে ছোট, বিশাল জুম রেঞ্জ পাওয়া যাবে। একটা ব্রীজ ক্যামেরাতে আপনি যে অপ্টিক্যাল জুম রেঞ্জ পাবেন সেটা ডিএসেলারে নিতে গেলে মনে হয় সেই লেন্সের ওজোন ১৫-২০ কেজি আর দামে কত হাজার ডলার হবে সেইটা অনুমান করতেও ভয় লাগে। এইখানে যেটা গূরুত্বপূর্ণ সেইটা হল ব্রীজ ক্যামেরাতে জুম আবার দুই রকম থাকতে পারেঃ অপ্টিক্যাল আর ডিজিটাল। অপ্টিক্যাল জুমে আলোটাই লেন্সের মাধ্যমে ম্যাগনিফাই হয়ে ইমেজ সেন্সরে পড়ে, ফলে ইমেজ কোয়ালিটি ভাল পাওয়া যায়। আর ডিজিটাল জুমের ক্ষেত্রে ইমেজ সেন্সরের আউটপুটকেই ম্যাগ্নিফাই করা হয়, ফলে অপ্টিক্যাল জুমের সাথে তুলনা করলে ইমেজ কোয়ালিটি কমে আসে অনেকটাই।
ঘ) আমি নিজে এই ডিএসেলার কেনার প্রসেসের মধ্যে দিয়ে গেছি গত বছর। ফলাফলঃ
নিকন ডি৩১০০, ১৮-৫৫ ভিআর, ৫৫-৩০০ ভিআর
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আমার একখান সনি ডি এস সি এইচ ৫০ আছে, ১৬ এক্স জুম সহ। এইটা দিয়া ছবি তুলে দারুণ আনন্দে আছি।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আজকে ফিউচার শপ ঘুরে আসলাম। ফিউচার শপে ডিএসএলয়ার এ ভালো ডিল দিয়েছে। ১১০০ডি+১৮-৫৫মিমি+৭৫-৩০০মিমি ৬০০ ডলারে। তবে আমি জি১এক্স দেখে মুগ্ধ। পাল্লা সেদিকেই ভারী। থ্যাঙ্কস সবাইকে চমৎকার পরামর্শের জন্যে। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই ডিল নাকি জি১এক্স
আপনার জন্য মায়া হচ্ছিলো গো স্বাধীন ভাই!
চাইলেন পরামর্শ, জনগণ দিলো আপনারে কনফিউশন।
তবে ভড়কান্নাই দেখে দিলে তাকদ পাইছি। কনফিউশনে ডরে না বীর!
এইবার কন, ডিলের কথা যে বললেন, এইটা কি শুধু আপনাদের জন্য? আমরা ধরতে চাইলে সিস্টেম আছে কোনো?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে না, অনেক কিছু শিখছি। ডরাইলেই ডর । ফিউচার শপ যেহেতু কানাডা বেইজড, তাই এইটা শুধুমাত্র কানাডাবাসির জন্যে বলেই আমার ধারণা। তবে আমেরিকাবাসি অনেক ভালো আছে। ওদের ক্ষেত্রে অনেক ভালো ভালো ডিল থাকে সব সময়। আমাজনেই বহু ডিল আছে, কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে শিপং, ডিউটি ট্যাক্স দিইয়ে কোন লাভ থাকে না। আর কানাডাতে এরা একচেটিয়া ব্যবসা করে। ভালো ডিল সচারচর চোখে দেখা যায় না। জার্মানীর কথা অবশ্য আমি কইতাম পারি না
অবশেষে কিনে ফেললাম। সবার আলোচনা শেষে যে কয়েকটি ক্যামেরা বাছাই করেছিলাম সেগুলো হলোঃ ক্যানন ১১০০ডি, ৫৫০ডি, জি১এক্স, জি১২, এবং সনি নেক্স-৫এন। নাইকনের ৩১০০ এবং ৫১০০ মডেলও তালিকায় ছিল। দোকানে ঘুরে সবগুলো দেখার পর প্রাথমিক বাছাইয়ের পর তালিকা আরেকটু ছোট করে ৫৫০ডি এবং জি১এক্স এ নেমে এসেছিলো। এর মাঝে ফিউচার শপে ভালো একটি ডিল ( ১১০০ডি+১৮-৫৫মিমি+৭৫-৩০০মিমি ৬০০ ডলারে) থাকায় কিছুটা কনফিউশনে পড়েছিলাম। ৫৫০ডি এর ভালো কোন ডিল ছিলো না। তাছাড়া ডিএসএলয়ারের এতো লেন্স কেনা, এবং বহন করার ঝামেলাতেও যেতে চাচ্ছিলাম না। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত জি১এক্সই কিনে ফেললাম।
জি১এক্স এর রিভিউটা পড়ে শুরু থেকেই এটা পছন্দের উপরেই ছিল। এই ক্যামেরাটির খোঁজ দেওয়ার জন্যে সচল মুস্তাফিজ ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ। এই ক্যামেরার সেন্সর ১.৫ ইঞ্চি যা জি১২ এর তুলনায় প্রায় ছয়গুণ বড় এবং ক্যাননের ডিএসএলয়ার এর সেন্সরের তুলনায় ২০% কম। বড় আকারের সেন্সরের কারণে ছবির কোয়ালিটি বেশ ভালো হবে। অনেকের মতে এর ছবির কোয়ালিটি প্রায় ক্যানন ৭ডি এবং ৬০ডি এর কাছাকাছি। কিন্তু সেসব ডিএসএলয়ারের তুলনায় দাম কম, এবং ফিক্সড লেন্স। লেন্সের জুমের রেইঞ্জও খারাপ নয় ২৮ - ১১২ মিঃমিঃ। আইএসও এর রেইঞ্জও বেশ ভালো ১২৮০০ পর্যন্ত, তাই স্বল্প আলোতেও ভালো ছবি তোলা যাবে। হেভি ম্যাক্রো শট না নেওয়া গেলেও ডিসেন্ট ম্যাক্রো নেওয়া যাবে। সেই সাথে প্রচুর ম্যানুয়াল কন্ট্রোলের অপশনও রয়েছে। এই সব টার্ম শিখলাম আপনাদের সবার মন্তব্য পেয়েই । সব মিলিয়ে এই ক্যামেরাটিই পছন্দ করলাম। আর এতো ভারি ভারি লেন্স, ব্যাগ বহনও করতে হবে না। কম ঝামেলাতে বেশ ভালো ছবি তোলা যাবে। বাড়তি পাওনা হিসেবে হাইডেফিনেশন ভিডিও ও আছে।
সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আবারো নানান পরামর্শের জন্যে। এই পোষ্টটি অনেকেরই কাজে আসতে পারে ভেবে পোষ্টটি আর মুছলাম না।
তার মানে আমি একজন জ্ঞানী লোক।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনাকে শুভেচ্ছা!
জি১এক্স-এর দাম দেখলাম সেদিন। কানাডা'র অবস্থা তো বেজায় সুবিধার মনে হচ্ছে। জার্মানীতে এই জিনিসের সর্বনিম্ন দেখাচ্ছিলো ৮১৯ ইউরো মাত্র। ক্যাননের ৫৫০ডি এর চেয়ে অনেক অনেক সস্তা!
স্বাধীন ভাইয়ের পোস্টের মন্তব্যগুলো অনুসরণ করে চোখ বন্ধ করে একটা সিদ্ধান্তে আসতে আসতেই আরেকটা বিরাট কনফিউশনের মধ্যে পড়ে গেলাম আবার!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন