আধুনিকতার প্রভাবে আজ সবকিছুই কেমন যেন এলোমেলো! এই প্রবাসে এসে যেমন স্বদেশ-স্বজাতিদের নব্য মৌলবাদের দীক্ষায় দীক্ষিত হতে দেখছি...তেমনি দেখছি নব্য ধনপতিদের বিকৃত উচ্ছ্বাস। তাই একটু উল্টোপথের পথিক হয়ে দেখে নিই...সেই পথের দৃশ্যাবলী... (এত দিন ধরে চলে আসা অন্যায় একটা প্রথা দল পাল্টালে কেমন হয় দেখা যাক!... এই গল্পে সত্যের বেশ কিছুটা ছোঁয়া আছে!)
চরিত্রঃ
পাত্র, পাত্রী, পাত্রের বাবা-মা, পাত্রীর বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন।
পূর্ব ইতিহাসঃ
পাত্রী কিছুদিন ধরে বিদেশ প্রবাসী; পাত্রীর বাবা-মা খুব বেশি পড়ালেখা করেননি; ভিনদেশে এসে প্রচুর ধনার্জন করেছেন। কিন্তু মেয়ের বিয়েটা দিতে হবে দেশি কোন ভাল ছেলের সাথে (দোষ দিয়ে লাভ নেই...এখানের ছেলেপেলেদেরতো তারা হাড়ে হাড়ে চেনেন)! তাই সৎপাত্রের সন্ধানে দেশে গিয়ে পাত্র দেখে-শুনে পছন্দ করে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পাত্রের বাবা-মা ভালমানুষ...মধ্যবিত্ত...শিক্ষিত।
পোশাকঃ
পাত্রঃ পাঞ্জাবি-পায়জামা, মুখে রুমাল; পাত্রীঃ অতিআধুনিক সাজসজ্জা, ট্যাটু-পিয়ারসিং থাকলে ভাল হয়; পাত্রের বাবা-মাঃ সাধারন পোশাক; পাত্রীর মাঃ অতি আধুনিক কিন্তু শাড়ি-স্কার্ফ পরিহিত; পাত্রীর বাবাঃ পাঞ্জাবি-জিন্স, কাউবয় হ্যাট, স্পোর্টস কেডস, হলুদ টাই-লাল কোট।
(পাত্রীর আত্মীয়-পরিজন, বাবা-মা সহ পাত্রীর প্রবেশ)
পাত্রের বাবাঃ আরে আসেন আসেন, স্লামালিকুম। বসেন বসেন...(পাত্রীর দিকে তাকিয়ে) তুমি বস মা।
পাত্রীঃ Thank you....uncle.
পাত্রের বাবাঃ (ঘরের ভেতরে উদ্দেশ্য করে) এই উনারা চলে আসছেন, ছেলেকে নিয়ে আস।
(পাত্রের মা ছেলেকে নিয়ে ঢুকবেন, পাত্র বেশ লজ্জা পাবে, মাথা নিচু, মুখে রুমাল।)
পাত্রীর বাবাঃ বস বাবা বস...তা তোমার নাম কি?
পাত্রঃ জ্বী...কুদ্দুস আলী চৌধুরি।
পাত্রীর বাবাঃ বাহ...বাহ...(পাত্রী কথা কেড়ে নিবে)
পাত্রীঃ Hey..what kind of name is that!! কুদ্দুস! That's tough...oh my god! You have to change your name dude!...ক্যাডস হলে কেমন হয়?
(পাত্র অপ্রস্তুত বোধ করবে...কিছু বলতে চাইবে...)
পাত্রের বাবাঃ খুব ভাল হয় মা।
পাত্রীঃ Uncle please don't call me like 'মা"...I kinda feel like old! You can call me Sammy.
পাত্রের বাবাঃ (একটু বিষণ্ণ) আচ্ছা মা স্যামি।
পাত্রীর বাবাঃ আসলে ওর নাম ছমিরন। বিদেশে থাকেতো...স্যামি বললে সুবিধা হয়...আর মর্ডানও! আচ্ছা (পাত্রের দিকে তাকিয়ে) তা তোমার পড়াশুনা কতদূর? কোন কেলাস পর্যন্ত জানি পড়ছ?
পাত্রঃ জ্বী...আমি বিএ পাস।
পাত্রীর বাবাঃ বাহ বাহ...ভেরী গুড। ইংরেজি পারত? আচ্ছা কওত দেখি 'সে আমাকে ভাত খাওয়ায়' এর ইংরেজি কি হইব?
পাত্রঃ He feeds me rice.
পাত্রীর বাবাঃ আহহা...হইলনাত! হবে He eats me rice. থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বারতো...তাই eat হবে eats. তোমার ইংরেজিত অত স্ট্রং না। Saifur's এ ইংরেজি কোর্সে ভর্তি হয়ে যাও। বুঝছ? আচ্ছা দেখিতো তোমার হাতের লেখা? তোমার নাম আর ঠিকানা লিখে দেখাওত।
(পাত্র লিখে দিবে।)
পাত্রীর বাবাঃ মাশাল্লাহ...খুব ভাল হাতের লেখা।
পাত্রীর মাঃ আচ্ছা তুমি কি কাজ কর? চাকরি কর?
পাত্রঃ জ্বী...একটা প্রাইভেট ফার্মে করি।
পাত্রীর মাঃ বেতন কত পাও?
পাত্রঃ জ্বী...বিশ হাজার টাকা।
পাত্রীর বাবাঃ হমম...বেতন ত বেশি পাওনা। অবশ্য আমগো মেয়ে এইখানে থাকব না...তুমি আমগো ওইখানে গেলে একটা জব-এর ব্যবস্থা করে দিব।
পাত্রীর মাঃ তুমি রাঁনতে জান?
পাত্রঃ জ্বী...কিছু কিছু জানি।
পাত্রের বাবাঃ জ্বী, আজকের রান্নাবান্না সব সেই করছে। ছেলের আমার রান্নার খুব শখ-রাঁধেও ভাল।
পাত্রীর মাঃ কওতো বাটার চিকেন কেমনে রান্ধে?
পাত্রীঃ Oh mom. Are u crazy? আমি ওসব spicy food খাইনা। Hey Kads, তুমি কি পিজা বানাতে পার? ইটালিয়ান পাস্তা? Drink বানাতে পার like ম্যাংগো মার্গারিটা?
(পাত্র অপ্রস্তুত হয়ে বাবা মায়ের দিকে তাকাবে।)
পাত্রীর বাবাঃ ঠিক আছে, ঠিক আছে...অসুবিধা নাই। ওসব শিখে যাবে। তবু বাবা তুমি গুলশানে বিদেশি রান্নার স্কুলে বেসিক লেসন নিয়ে নাও...দরকার হলে আমরা টাকা দিব। যাই হোক...আইচ্ছা তুমি সুরা বাকারার তের নম্বর আয়াত টা শুনাও ত।
(পাত্র শুনাবে)
পাত্রীর বাবাঃ বাহ বাহ...খুব ভাল লাগল।
পাত্রীর মাঃ তুমি গান-টান জান দুই একটা?
পাত্রের বাবাঃ ছেলে আমার খুব ভাল গান গায়। রবীন্দ্রসংগীত, নজরুল গীতি, আধুনিক সব পারে। ছায়ানটে গান শিখছে ছোটবেলা থেকে।
পাত্রীর মাঃ উফফফ...ওসব গান আজকাল কেঊ শুনে নাকি! ওসব ত ব্যাকডেটেড। স্যামি...তুমি জিজ্ঞেস করতো তোমার প্রিয় সিংগারের গান পারে কিনা?
পাত্রীঃ Hey, তুমি কি ক্রিস ব্রাউন এর গান জান? Or like জাস্টিন টিম্বারলেকের গান like bringing sexy back?
পাত্রঃ (বিষণ্ণ হয়ে) জ্বী না!
পাত্রীঃ Oh no!! So uncultured! Can you dance? Like Salsa or hip-hop?
পাত্রঃ (আরো বিষণ্ণ হয়ে) জ্বী না!
পাত্রীর বাবাঃ হুমম...তুমি গুলশান নাইলে বসুন্ধরায় কোর্সে ভর্তি হয়ে যাও। বিয়ে হলে পার্টিতে নাচতে হবে। আর তাছাড়া আমার মেয়ের সাথে ক্লাব-পাবে গেলেও কাজে লাগবে। এখনি ভর্তি হয়ে যাও...টাকা আমি দিব।
পাত্রীর মাঃ আচ্ছা তুমি ডিশ ওয়াশার, লন্ড্রি, ভ্যাকুয়াম এগুলান ইউজ করতে পার?
পাত্রের বাবাঃ দেশে ত ভাবী ওসবের চল নাই...তবে ছেলে আমার বাসন-কোসন, কাপড়-চোপড় ধুইতে পারে। অসুবিধা নাই।
পাত্রীর মাঃ আচ্ছা তুমি একটু হাঁট ত?
(ছেলে হেঁটে দেখাবে)
পাত্রীঃ Oh my God! Kads dude!! তুমি এভাবে হাঁটলে ত like হবে না। You have to be smart. You have to walk like Catwalk!
পাত্রীর বাবাঃ হুমম...(একটু বিরক্ত) তুমি ক্যাট ওয়াকের কোর্সে ও ভর্তি হয়ে যাও...! তা তুমি ড্রাইভিং ত পার?
পাত্রঃ জ্বী না।
পাত্রী-পাত্রীর মাঃ (একসাথে) What??!!
পাত্রীর মাঃ তুমি ত দেখি আউটসাইড এক্টিভিটিসে একদম মন দেও নাই। তাড়াতাড়ি ড্রাইভিং শিখে নাও।
পাত্রীঃ Yeah..Sometimes...I like...রাতে Boyfriend দের সাথে Pub এ গেলে I am like get so drunk!. তাই ফিরতে Taxi call করতে হয়। If we get married, you have to like, you know, আমায় বাসায় নিয়ে আসতে হবে। So, please dude...learn how to drive.
পাত্রীর বাবাঃ হুমম...যাই হোক। আমাদের আর কোন প্রশ্ন নাই। ছেলে আমাদের মোটামুটি পছন্দ হইছে। একটু আনস্মার্ট...কিন্তু ওখানে গেলে আমার স্যামি সব শিখিয়ে দিবে। তবে বিয়ের আগে সব কোর্সগুলাতে ভর্তি হয়ে যা যা বললাম শিখে ফেল। টাকা যা লাগে আমরাই দিব। সার্টিফিকেট পাওয়ার পরে স্যামি একটু প্র্যাক্টিকালি চেক করে দেখবে। আর তাছাড়া সব ঠিক আছে। আমরা আপাতত রাজি।
পাত্রের বাবাঃ মাশাল্লাহ। সালাম কর...সালাম কর। (পাত্র সালাম করবে)
।।যবনিকা
মন্তব্য
ভয়ংকর হাসির একটা লেখা দিয়েছেন,খুবই মজা পেলাম।
নাটকটা পড়ে পাত্রপক্ষের জন্য করুনাবোধ হলেও আধুনিকতার বাড়াবাড়িটা বাদে আগেকার দিনে কিন্তু(হয়তো এখনো কোথাও) ঠিক এভাবেই পাত্রী দেখতে যাওয়া হত। পুরো ব্যাপারটা একটা আনুষ্ঠানিকতার অংশ হলেও যাকে দেখতে যাওয়া হয়েছে তার জন্য খানিকটা সম্মানহানিকর বলে মনে হতো আমার কাছে।
হাহাপগে
------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
আমার ফ্লিকার
অনেক ধন্যবাদ। এই প্রবাস জীবনে এসে কিছু প্রবাসী পাত্রের জন্য দেশে পাত্রী-দেখা নিয়ে কিছু ঘটনা দেখেছি। এরা এখানে এসে হেন জিনিস নেই করছেন না, হেন জিনিস বা হেন মানুষ নেই খাচ্ছেন না (সাদা হলে ভাল হয়!), নিজের কতটুকু যোগ্যতা আছে তা ভেবে না দেখে দেশ থেকে শতবার মেয়ে দেখে যাচাই-বাছাই করে সুশীলা মেয়ে বিয়ে করে আনছেন...আসার কিছুদিন পর সেই মেয়েদের বোরখা বা স্কার্ফ পরিহিত দেখে নিজেরই লজ্জা লাগতে থাকে!
আর এখন সেই ধারাটি প্রবাসী মেয়েদের বাবা-মারাও চালু করছেন! সাম্প্রতিক কিছু অভিজ্ঞতা তাই একটু মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রকাশ করলাম!
----------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ভাই স্বপ্নহারা, জটিলস্য জটিল,
বিয়াপক আনন্দ পাইলাম, লেখনির জোরে যেন চোখের সামনে ভাসল, একটা জিনিষ খালি খটকা লাগল, এটা তো পাত্র দর্শন, মুখে রুমালটা কেন? পাত্রী দেখতে গেলেও কিন্তু এখন মাথায় কাপড় তেমন একটা থাকে না, নাকি আমারি ভুল?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ...সাইফ ভাই। আসলে আমার আশে-পাশের কিছু প্রবাসী মানুষ এমন মেয়েই বিয়ে করতে চায় যারা ঘোমটা দিয়ে আদ্যিকালের মত রূপ নিয়ে আসবে। সেকারণেই রুমাল.... ভাবছিলাম পাত্রকেও ঘোমটা দিয়ে আনবো...
আর আসলে এটা একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চায়িত করার জন্য লেখা...তাই স্থূলভাবে দেখানোটা উদ্দেশ্যমূলক!
---------------------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
- আইচ্ছা, আমার মাথায় ঢোকে না, ম্যারিকা থাকা পুলাপাইন কথায় কথায় like ব্যবহার করে কেনো? ধইরা মনে হয় কইষ্যা একটা চটকানা মারি কানশা পাতালি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চড় মারার সময় আমারেও ডাইকেন, আমি বোনাস হিসাবে একটা লাথিও দিবনে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হেই সেইফ, সামালকে.. দুইদিন পরে তোমার কইন্যাও ওটা কইতে পারে
আরে বস, আমার মাইয়ারে এখন থিকা তালিম দিতেছি, মাইর একটাও মাটিতে পরবে না , দরকার পড়লে ঢাকা নিয়া মাইর দিয়া আনব, এখানে আবার ৯১১ কল করার ভয় আছে কিনা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হাহাহাহা, সাইফ চিমটি, আমিও এটা বলি ঃ)
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নিজের কথার উপর বিশ্বাস নাই। কিছু কইতে গেলে ভাবে ঠিক কইতাসি তো। মনে হয় ঠিকের কাছাকাছি কিছু কইতাসি। তাইলে একটা like দেওয়া ভাল। like কইতে কইতে কেলান্ত হইলে বলে kind of.
মজার লাগলো।
খুব মজা লাগল। আরো আসুক এমন চমৎকার লেখা
বিষয়টা ততটা ভালো লাগেনি তবে লেখা সুন্দর হয়েছে। আপনি কি নাটক লেখেন?
বিষয়টা খুবই ভালো, এয্যাআআহহহহহহ নিজেদের উপর পড়লেই আর ভালো লাগে না, আলবত ভালো লাগাতে হবে, কোন ছাড়াছাড়ি নেই ঃ)
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমি কোন লেখকই না। এককালে ঢাকার মঞ্চে আর বিটিভি-তে (শিশুশিল্পী হিসেবে) নাটক করতাম।
আমার বাবা স্বাধীনতার পর মঞ্চনাটকের সামনের সারির একজন!...
না মাঝে মাঝে যা মনে আসে লিখি..চেষ্টা করি....ইচ্ছা ছিল কবি অথবা ক্রিকেটার হওয়ার...হইলাম প্রকৌশলী...ঃ(
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
-----------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হা হা হা ! বেশ রসাত্মক লেখা !
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পড়ে মনে হলো নাটক লেখার উপর কোনো কোর্স করা আছে। নাটকের ঠিক ধারা মত লিখেছেন...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
খুব মুনশিয়ানার লেখা।
চমৎকার!
আরো লিখুন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন