।।এক
ছোটবেলায় দুনিয়ার কিছু বুঝে ওঠার আগে থেকেই বিদেশ যাওয়ার খুব শখ ছিল। কিন্তু বিদেশ কী জিনিস সেটাই ঠিকমত বুঝতাম না! বিভিন্ন সিনেমা আর পরিচিতদের গল্পের সুবাদে দার্জিলিং, নেপাল আর কাশ্মীর ছিল আমার বিদেশ যাওয়ার স্বপ্নের চূড়ান্ত সীমানা। একটু বড় হওয়ার পর সেই সীমানা বেড়ে গেল বিলাত-লন্ডন পর্যন্ত। বইয়ের পোকা হওয়ার পর- উত্তর মেরু, ল্যাটিন আমেরিকা, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো আর আফ্রিকা হানা দিত স্বপ্নে। শারীরিক সাবালকত্ব অর্জনের পর অবশ্য ফ্রান্স আর আমেরিকা হয়ে গেল সবচেয়ে কাঙ্খিত গন্তব্য! ওইসব দেশের সুন্দরীদের সাথে সদ্য কিশোর (!) আমি কি কি করব সেসব ফ্যান্টাসি এখানে বলার যোগ্যনা...আক্কলমান্দ যারা আছেন বুঝে নেন...
লেখাপড়ায় মোটামুটি খুব বেশি খারাপ ছিলামনা, তাই বাবা-মা সবসময় বলতেন বিদেশে যেতে হবে 'পায়ে হাতে ধরাধরি (পিএইচডি!)' করতে। কিন্তু জীবনের নানা বাঁক পেরিয়ে, নষ্টামি আর ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে ক্লান্ত অবস্থায় যখন বুয়েট থেকে বের হলাম তখন আমার জীবনের সাথে আরও একজন জড়িয়ে গেছে। দেশের বাইরে যাওয়ার চিন্তা তেমন ছিলনা...কিন্তু আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে যাওয়া মেয়েটির বাইরে পড়ার খুব ইচ্ছা। এদিকে নানাবিধ কারণে আমার বাবা-মা এবং হবু শ্বশুর-শ্বাশুড়ী আমেরিকা যেতে দিতে রাজী হলেন না। তাই ঠিক হল ইওরোপ-কানাডার যেখানে দুইজনে একসাথে সুযোগ পাব সেখানে যেতে দিতে তারা আপত্তি করবেন না। সেইমত জার্মানি, সুইডেন আর কানাডার কিছু ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করে দিলাম। এর পাশাপাশি বাঙালির জীবনের সবচেয়ে বড় কাজটিও সেরে ফেললাম...
অতঃপর দুইজনের একজায়গায় সুযোগ পাওয়া কতটা কঠিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেতে লাগলাম...দুইজনে মিলেঝিলে সবগুলোতেই ডাক এল! কিন্তু কানাডার কোথাও একসাথে না... শুধু ক্যালগেরীতে দুইজন প্রফেসর আলাদাভাবে নিতে সম্মত হলেন; কিন্তু বিধি বাম! হঠাৎ আমার হবু সুপারভাইজারের আর্থিক সমস্যা দেখা দিল...তিনি বললেন, ভাই তুই পরে আয় অথবা রাস্তা দেখ। সৌভাগ্যক্রমে আমার সহধর্মিনীর হবু সুপারভাইজার ছাত্র খুঁজছিলেন, তাকে সমস্যার কথা বলতেই তিনি আমায় তার সাথে কাজ করার আহ্বান জানালেন! অবশেষে দুইজনে গ্রামীণ ফোনের চাকরী ছেড়ে রওনা হলাম পৃথিবীর ঠিক বিপরীত প্রান্তে...
।।দুই
আমার বউয়ের অনেক বিমান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকলেও আমি এই ব্যাপারে ছিলাম একবারে 'ভার্জিন'। শুনেছিলাম প্লেনে উঠলে মানুষ বমি করে- মাথা ঘুরায়! আমার ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত বাসভ্রমণ ছিল মৃত্যুর চেয়েও ভয়াবহ! বাসে আধঘন্টার বেশি থাকলেই দুনিয়া ভাসিয়ে দিতাম...তাই এই তথ্য আমার মনে বিপুল ভীতি তৈরি করল।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই দুনিয়ার যেকোন বিষয়ে জ্ঞান দেয়ার ক্ষমতা আছে! তাই রাস্তা-ঘাটে, যেখানে-সেখানে আমি পরিচিত-আধাপরিচিত মানুষের কাছ থেকে নানবিধ উপদেশ পেতে লাগলাম। যে জীবনে বাস ছাড়া ট্রেনেও ওঠেনি, সে-ও আমায় বিমানযাত্রা নিয়ে টোটকা দিতে লাগল। ভাবটা এমন, 'বিয়ে না হয় করিনি, বরযাত্রী তো গিয়েছি'! জানালার ধারে বসলে ভাল লাগে, খারাপ লাগলে বাইরে তাকিয়ে থেকো, ওদের বাথরুমে দরজা থাকেনা (!), বাথরুমে বদনা নাই, সাদারা খুব ভাল, এয়ারপোর্টে দেশী কারো সাথে কথা বলবা না...ইত্যাদি ইত্যাদি। আর ক্যালগেরী জায়গাটা কতটা ঠান্ডা এবং মানুষ সেখানে কিভাবে থাকে এইসব বিষয়ে ভৌগলিক প্রমাণসহ-আধিভৌতিক তথ্যের যোগান দিতে লাগল।
অবশেষে এল শেষের সেই দিন ভয়ংকর! ফ্লাইট ছিল ড্রাগন এয়ার (ঢাকা-হংকং), রাত একটায়- প্রথম ধাক্কা সাড়ে চার ঘন্টার। আমার শ্বশুর ভিআইপি প্রোটোকল পান, তাই সেই গেট দিয়ে ঢুকলাম রাত সাড়ে নয়টায়; আমার বাবার অনেক বন্ধু কাস্টমসের বড়কর্তা। তাই লাগেজ নিয়ে কোন ঝামেলা হলোনা-কাস্টমসের লোকজনই সব নিজেরা করে দিল! বোর্ডিং পাস নিয়ে ভিআইপি লাউঞ্জে সবার কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পালা আসতেই আমার পায়ের তলার মাটি সরে গেল...হঠাৎ করে মনে হল কোন অজানায়, কোন শূণ্যের উদ্দেশ্যে সব ছেড়ে যাচ্ছি! বাবা-মা-ভাইকে প্রতিদিন দেখবনা এই চিন্তা প্রতি মুহূর্তে কাঁদাতে লাগল। দাঁতে দাঁত চেপে কান্না আটকানোর বিফল চেষ্টা করতে করতে যাবার ডাক এল রাত দুইটায়...
গেটের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশের ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়, সেখানেও ঝামেলা। একটা কম্পিউটার কাজ করেনা, আরেকটা যেটা আছে সেখানকার যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি চালাতে জানেন না! মিনিট পনের অপেক্ষার পর নষ্ট মেশিনেই তিনি ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দিলেন (ভিআইপি বলে কথা!)। এরপর গেটের সামনে আরেকদফা চেক; ব্যাগ খুলে দেখানো বাধ্যতামূলক, আর অদ্ভুতভাবে সবাইকে গায়ে হাত দিয়েও চেক করা হচ্ছে। আমরা ভিআইপি বলে আবারও জামাই-আদর পেলাম। জীবনের প্রথমবার বিমানের ভেতরে যখন বসি...কোন ভয়-ডর কিছুই ষ্পর্শ করছিল না, বুক জুড়ে শুধু হাহাকার-শূণ্যতা আর কান্না। মনে শুধু একটা কথাই ছিল..মাগো আমি আসব, ফিরে আসব মা...এই অধম সন্তানকে ক্ষমা কর...
।।তিন
হংকং পর্যন্ত যাত্রা বেশ ভালোই ছিল...প্রাণভরে মেঘের উপর দিয়ে ভেসে যাওয়া আর সূর্যোদয় উপভোগ করতে করতে বিরক্ত হয়ে গেলাম। বিমানযাত্রায় কিছু করার নেই -টাচস্ক্রীনে মুভি দেখা সম্বল। আমি সাইজে ম্যামথের মত হলেও, যেকোন জিনিস খুব তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারি। আর আমার পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা তেলাপোকার চেয়ে সামান্য একটু কম! তাই পুরো বিমান ঘুরে দেখে ফেললাম, বাথরুমে কিভাবে কি করতে হয় তাও শিখে গেলাম... একটু পর এয়ারহোস্টেস খাবার নিয়ে আসলো; তার চাইনিজ না কোরিয়ান ইংরেজিতে কি বললো সেটার মর্মার্থ উদ্ধার করতে কয়েক মিনিট চলে গেল! যতক্ষণে বুঝেছি ততক্ষণে আমার পাতে কি যেন এক বিটকেলে গন্ধের খাবার চলে এসেছে! সেটা কী জিজ্ঞেস করতে বহু কষ্টে সে বেচারী আমায় বুঝাতে পারল আমার পাতে আলু-মুরগী দেয়া হয়েছে...এমনভাবে চোখ বড় বড় করে মাথা ঝাঁকিয়ে সে বললো যে দেখে মনে হল সেই খাবার বেহেশতেও দুর্লভ! যাইহোক, আমি মর্ত্যের লোক; ডাল-ভাতই আমার প্রিয় খাবার...সেই বেহেশতী খাবার বহু কষ্টে নাক চেপে ধরে খেয়ে ফেললাম যদিও বারবার মনে হচ্ছিল পেটের ভেতর থেকে মুরগী না উপরে উঠে আসে! আমার সহধর্মিনী কিছুই খেতে পারলনা...ভ্রমণের অভ্যাস কম থাকার কারণে সে অসুস্থ বোধ করতে লাগলো। অবশেষে হংকং এ পোঁছানোর পর একটু শান্তি ভাব হল!
হংকং এয়ারপোর্ট বেশ ভাল লাগল; আমাদের সাথে আমার দুই পরিচিত সমবয়সীও ছিল। আট ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে তাই তাদের সাথে মিলে কিছুক্ষণ এয়ারপোর্টের ভেতর চষে বেড়ালাম। বাবা কিছু হংকং ডলার দিয়ে দিয়েছিল, সেটা দিয়ে ফোনকার্ড কিনে দেশে সবাইকে জানালাম 'so far so good'. বাকী ডলার দিয়ে বিদেশে প্রথম যা খাওয়া উচিত তা এক ক্যান কিনে ফেললাম...বউ গাঁইগুঁই করতেই বললাম প্রথম বিদেশযাত্রা উদযাপন না করলে কেমনে হবে! 'হেইনেকেন' একটা শেষ করে খাবার খুঁজতে লাগলাম! একটা স্পাইসি পর্ক-নুডুলস আর সুপ নিলাম বউয়ের পছন্দমত এবং যথারীতি বহু কষ্টে খাবার নষ্ট না করার চেষ্টা করতে লাগলাম। মনে হল 'বিদেশে স্পাইসি জিনিস এত মিষ্টি হয়'!
যাইহোক, হঠাৎ এক বাংলাদেশী এসে গল্প শুরু করল; কিছুক্ষণ গল্প করতে করতে জানা হয়ে গেল তার পাসপোর্ট সুইডেনের, তাকে তাই সবাই খুব খাতির করে! সে চাইলে দুনিয়ার যেকোন দেশে যেতে পারে; আমেরিকায় গেলে তাকে নাকি তাকে সিকিউরিটি বাপ-বাপ করে সালাম দিবে! আমেরিকা নাকি সুইডিশদের অনেক সম্মান করে! আরো কিছুক্ষণ যাওয়ার পর বুঝলাম বেচারার ইংরেজি জ্ঞান প্রায় শূন্যের কাছাকাছি এবং তার আমাদের সাথে খাতিরের উদ্দেশ্য। তিনি একটা ফোনকার্ড কিনেছেন এবং অনেককে বলেও কিভাবে সেটা ব্যবহার করতে হয় তা শিখতে পারেননি। অতঃপর তাকে দেখিয়ে দিতেই তিনি ঢাকায় ফোন করলেন এবং 'রাখী আপাআআআআআআআআআ! কেমুন আছেননননন! আমি হংকং এ' বলে যে চিৎকার দিলেন তাতে পুরো এয়ারপোর্টই মনে হয় তিন সেকেন্ডের জন্য তবদা খেয়ে গেল!
(চলবে)
মন্তব্য
মজার ভন্গিতে লেখা, পড়েও মজা পেলাম! পরের পর্বের অপেক্ষায়...*তিথীডোর
ধন্যবাদ!
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
দুর্দান্ত!! খুব ছুয়ে গেল আপনার লেখাটা, আপনে কি এখন ক্যালগেরীতে আছেন? আশা করব খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্ব ছাড়বেন। এই দুনিয়ায় আমি একা ভূতের কিল খাইনি দেখে খুব ভালো লাগছে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পরের পর্বের অপেক্ষায়
@ সাইফ তাহসিন
উপরে দেখেন, এখানেও সুইডেন। একই লুক না তো ?
হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা! হতেও পারে...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
সুইডেনের মহাজ্ঞানির মাথাভরা টাক ছিল আর উনি তো ইতিহাসের পাতায় হারিয়ে যাবার সময় হয়ে গেছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হ্যাঁ বস! আপনের ফেসবুকেই আছি... আসলেই ভূতের কিল, স্বামী-স্ত্রী দুইজনে মিলে গ্রামীণ ফোনে চাকরী করে ভালই কামাচ্ছিলাম! ছিলামও বাপের হোটেলে! কোন দুঃখে যে বুড়া বয়সে পড়তে আসলাম...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
, একদম ঠিক কইছেন বস!! তবে গেদা কালে আইলে কষ্ট টা আরো বেশি হইত। বুড়া কালে আসা সেই দিক দিয়া ভালো।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লেখা জোশ হৈছে
সবাই দেখি বিদেশে যাওয়ার আগে আগে আসল কর্মটা সেরে নেয়! আমি সেরেছিলাম ঠিক ৪৫ দিন আগে।
হ, বাঙ্গালীর জীবনের একমাত্র এচিভম্যান্ট আগে আগে না করলে কেম্নে হবে! আসলে বন্ধু, বিদেশ গেলে দেশে কোন পিছুটান রেখে আসতে নাই...বাপ-মা-ভাই-পরিবার ছাড়া বাঁচা কি যে কষ্টের; বিশেষতঃ এই দূর শীতল পাশ্চাত্যে!
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
পড়ছি আমিও। চলুক!
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ধন্যবাদ...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
জবর লিখচিস। মজা পাইলাম।
নিদারুন অভিজ্ঞতার
কী দারুন উপস্থাপন।
ভাল লাইগসে, কমেন্টের মাঝে যে ব্যাকগ্রাউন্ডটা দিসেন, অইডাও ভাল লাইগসে। ব্যাকগ্রাউন্ডটা মুল লেখায়ও দিতে পারতেন। মনে হয় খারাপ লাগতো না।
*
মনজুর এলাহী
অনেক ধন্যবাদ। মাথায় আসে নাই... একটু মনে হয় অফটপিক হয়ে যেত। আইচ্ছা সামনে দিমুনে...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ভুতে কিলালেও লেখাটা চমৎকার হয়েছে।
প্রথম আকাশ ভ্রমনের ধাক্কাটা সবারই একটু দুরুদুরু হয়। আমার প্রথম ধাক্কাটা বাংলাদেশ বিমানের ঝাকানাকা বিমানের উপর দিয়েই গেছিল। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পৌছাতে ডোমেষ্টিক ফ্লাইট যেরকম ঝাকাঝাকি করেছে, আমি ভয়ে অস্থির ছিলাম বিদেশ ভ্রমনের আগামী নয় ঘন্টার আকাশ ভ্রমন নিয়ে। ঢাকা এয়ারপোর্ট নেমে পালাবো কিনা তাও ভেবেছি একবার। কিন্তু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের টাইটানিক সম বিমান আর সেবায় নিয়োজিত হুরীদের দেখে ডরভয় সব উবে গেল বেমালুম। প্রথম বিমানভ্রমনের ভয় দুর করার জন্য বাংলাদেশ বিমানের কাছে আমি আজো কৃতজ্ঞ।
প্রথম বিদেশ যাত্রায় আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমনের আগে বাংলাদেশ বিমানে আধাঘন্টার একটা ভ্রমন বিশেষ উপকারী।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হেহে! আমার বেশ কিছু বন্ধু পাইলট; তাগোরে দেখে ভরসা পাই নাই...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
খুব ভালো লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেক ধন্যবাদ...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
লেখাটা আমার বেশ ভাল্লাগসে ...
আগে বাঙ্গালির সবচেয়ে বড় কাজটা সাইর্যা নেই- তার্পর যামুনে...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
হ ভাই! একা প্রবাস জীবনের মত কষ্টের আর কিছুই নাই...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ভালো লাগলো, পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই।
অনেক ধন্যবাদ দাদা...আপনার উৎসাহ অনেক বড় পাওয়া...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ম্যক্সিমাম ছাত্র যারা পড়ার জন্য বিদেশ যায় তারা বিয়ে করেই যায়।
ব্যাপারটা কেমন যেন!!!
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
ভাইয়া, আসলে এইটা মনে হয় গত কিছুদিন ধরে হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা পছন্দ করে বিয়ে না করলে পছন্দসই উচ্চশিক্ষিত পাত্র-পাত্রী পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। বাপ-মাও হয়ত চায় না তাদের ছেলেমেয়ে বিদেশী বিয়ে করুক। অন্যদিকে আগে প্রবাসী শুনলে যেমন হাজারো পাত্রী জুটে যেত, এখন অবস্থা তার ঠিক বিপরীত। আর প্রবাস জীবনের 'shitty life' আর একাকীত্বতো আছেই...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
লেখাটায় খুব মজা পাচ্ছি। দেরী না করে পরের পর্ব ছাড়েন ভাইজান
চলবে চলবে, জোস হচ্ছে লেখা
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
আর চলুক চলুক চলুক ...
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
দুইবার, তাই মুছে দিলাম।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
নতুন মন্তব্য করুন