অনেক আশা ছিল, অনেক স্বপ্ন ছিল, অনেক বিশ্বাস ছিল...এইবার নিশ্চয়ই জ্ঞান-বুদ্ধি হয়েছে, শিক্ষা হয়েছে; এখন থেকে নিশ্চয়ই নিজেদের ভুল বুঝে ঠিক পথে চলতে পারবেন। কিন্তু আমরা আসলে গাধা, শুধুশুধু আশা করি, স্বপ্ন দেখি। আপনারা যেমন ছিলেন তেমনই আছেন...আপনি যেমন ছিলেন তেমনই আছেন...আপনাদের সমাজের সবাই আসলে একই রকমঃ কোন পরিবর্তন নেই...শক্তি থাকলে আর কিছুর পরোয়া করেন না! আমি জানিনা আপনারা বুদ্ধি কোথায় রাখেন, এত বুদ্ধি নিয়ে ঘুমান কি করে, বা কোথা থেকে বুদ্ধি ধার করেন! শুধু একটা জিনিস জানি, এইমাত্র যে কাজটা করলেন সেটা দিয়ে (আগামী অনেক দিনের জন্য) আপনার সরকারের কবর খুঁড়ে ফেললেন...কিছু দিনের মধ্যে এই গাধার দল আপনাদের সেই কবরে সযত্নে শুইয়ে দিবে...অপেক্ষায় থাকুন! যত আয়োজন করুন, যত চেষ্টা করুন, যত সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখেন, উনি স্বয়ং নেমে এসেও কাউকে চিরকাল ক্ষমতায় রাখতে পারবেন না। আজ পর্যন্ত কাউকে পারেননি...কারণ এই গাধা জনগণ কিন্তু আপনাদের সৃষ্টিকর্তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী।
এতদিন পর্যন্ত অনেক ভাল কাজ করেছেন...সেই ভাল কাজের বন্যার ফিরিস্তিতে গেলাম না...সেই ফিরিস্তি আপনি-আপনারা ২৪ ঘন্টা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু খুব খারাপ কাজও করেছেন। আমরা গাধা, তাই বেশি কিছু মনে রাখতে পারি না। তবু যতদূর মনে পরে একখান লিস্টি দেই...
১। বি,ডি,আর এর ঘটনার কিছু করেছেন কি?! কোন ব্যাখ্যা পেলাম না কিন্তু তিন বছরেও!
২। বিমানবন্দরের নাম পাল্টালেন, কিন্তু কি কারণে ওইটা বুঝা গেল না! আরও অনেক কিছুর নাম পাল্টিয়েছেন, পেট ভরেছে? না ভরলে এক কাজ করে দেখতে পারেন, দেশের নামটা পালটে দেন। দেশের সব জেলার নাম পাল্টিয়ে দেন। তাতেও না হলে দেশের সব মানুষের নাম পাল্টিয়ে দেন...তবু আমরা গাধারা কিছু বলবো না।
৩। টিঁপাইমুখের কি করলেন ওইটাও বুঝা গেল না...গাধারা এতকিছু বুঝে না। চুপ থাকতে বললেন, চুপ রইলাম।
৪। শেয়ার বাজারে আপনার লোকজন ধান্ধা করে হাজার হাজার মানুষকে লোভের ফাঁদে ফেললো; অনেক মানুষ সর্বস্বান্ত হলো। তাতে আপনাদের কীইবা আসে যায়...গাধারা একটু গাঁইগুঁই করেই, পরে চুপ হয়ে যায়।
৫। আপনার কাউন্টার পার্ট (স্বীকার করলাম মহিলা ভাল না) কে আপনি আপনার শক্তি দেখালেন, তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করলেন। খুব দরকার ছিল এটা কারো মনে হয় নি। তবু করেছেন যখন, তখন কী আর করা...চুপ রইলাম।
৬। ইউনূস নামের একজনকে আপনারা একটু টাইট দিতে চাইলেন। তা দেন, উনারে কিছু লোক ভালো পায়, কিছু লোক পায় না। কিন্তু টাইট দিতে গিয়ে 'হুদাহুদি' কাঁচা কাঁঠাল পাকিয়ে ফেললেন...অনেক নীতিবোধ দেখাচ্ছিলেন, তাই চুপ রইলাম!
৭। আপনারা রাজত্ব শুরু করেছিলেন গাধাদের কাছে একটা 'প্রমিজ' করে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার; ৩ বছর পার হয়ে গেল...কেউ আর বিশ্বাস করে না ওই প্রমিজ আপনারা রাখবেন। ওটা আমাদের সামনে মূলা ঝুলিয়েছিলেন বলেই আমরা মনে করি...যত গাধাই হই অতটুকু বুদ্ধি আছে! যদি মনে করেন ওই মূলা ঝুলিয়ে আবার রাজত্ব পাবেন, স্যরি...এইবার আর চুপ থাকতে পারলাম না...আমরা গাধা কিন্তু অত গাধা না!
৮। আপনাদেরকে লোকে বলে আপনারা নাকি একটু উদারপন্থি-সেক্যুলারমনা। অথচ আপনারা সংবিধানটাকে ব্যাপক ক্রসব্রীড করলেন...একসাথে তিন নৌকায় পা দিয়ে হয়ত ভাবছেন আপনারা সবাইকে খুশি করবেন! সমস্যা হলো, এর চেয়ে আগেরটা খারাপ কী ছিল? "হুদা-হুদা মিছা কথা কন ক্যান?" আপনাদের তোয়াজে "উনাদের" মন গলবে না, বরং আমাদের মনও বিষিয়ে দিলেন...এইবার আর চুপ থাকতে পারলাম না...হয়ত ভাবেন, যাবে কোথায় আমরা ছাড়া? দুঃখিত, দরকার হলে কোথাও যাব না, তবু আপনাদের ডেরায় না...
৯। আপনার ছাত্ররা খুব ভালো...তারা ইচ্ছামত সবাইকে যা খুশি তা করে। কিন্তু যাই করে আপনারা বলেন, সব ওই পক্ষের কাজ...আমাদের ছেলেরা ভাল, কেউ খারাপ কিছু করলে তাকে বকা দেয়া হবে! ঠিক আছে, ওই পক্ষ আপনাদের ছেলেদের রূপ ধরে আমাদের মত গাধা্দের উপরে এইভাবে জুলুম করে, আপনি তাদের চিনতে পারেন না! আপনি কেমন মা-নিজের ছেলেদের চেনেন না? বুয়েট-মেডিক্যালে আপনার ছেলেরা ঐতিহাসিক কিছু ঘটনা ঘটাল। আপনারা বললেন সব ষড়যন্ত্র! ঠিক আছে নাহয় চুপ রইলাম...
১০। আপনার বাবার-পরিবারের নামে একটি বিমানবন্দর করার শখ হলো; তাতে অনেকেরই পকেট ভারি হত...কিন্তু সেটা হতো আমাদের খুব প্রিয়-খুব দরকারি একটি বিলকে ধংস করে...লাভের অঙ্কে হেরে যাবার ভয়ে হয়তো মেনে নিলেন...কিন্তু ভুলে যাবেন না আমরা চুপ ছিলাম না কিন্তু, বোঝা উচিৎ গাধা হলেও আমরা কথা বলতে জানি!
১১। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক। তাই দেশকে সস্তায় বেচার অধিকার আপনার আছে...সেজন্য দেশকে সুন্দরভাবে বেঁচে দিলেন...দেশের ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়ে আপনারা দেশপ্রেম দেখালেন। আমাদের দেশপ্রেম নেই...তাই আমরা মানতে পারলাম না...রাগ কিন্তু আমাদেরও আছে...এবং সেটা বাড়ছে!
১২। কয়দিন আগে আমাদের দেশের মধ্যে খুব শোকের একটা ঘটনা ঘটে গেল...৪৩ জন দেশের ভবিষ্যত নিষ্পাপ শিশু-কিশোর প্রাণ হারাল। আপনারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলেন কীভাবে? সবাইকে ২৫ হাজার করে টাকা দিলেন!! আহা- আপনাদের কত দয়া! অথচ আমরা আশা করেছি, দেশের প্রতিটি মানুষের মত আপনি-আপনারা আপনাদের প্রাসাদ ছেড়ে সেখানে যাবেন... একটু সমবেদনা জানাবেন। দুঃখিত...এতটা আশা করা উচিৎ হয়নি। তবুও মনে হয় আপনার বোঝা উচিৎ, আপনার মন্ত্রীসভার সবাই এভাবে মারা গেলেও আমরা এতটা কষ্ট পেতাম না, যতটা পেয়েছি এই শিশুদের অকাল মৃত্যুতে...
এরকম আরো অনেক রাগ-ক্ষোভ-কষ্ট আমাদের মধ্যে জমা হয়েছে। কিন্তু তবু আমরা চুপ থাকি...কখনো চিৎকার করে উঠি...আবার কখনো ভুলে যাই। কিন্তু আজকের এই ঘটনা কোনদিন আমরা ভুলব না...আপনাদের কথা দিচ্ছি!
পরিমল নামক এক পশুর গল্প...পরিমলের উপরঅলা (লোকমুখে শোনা) নাকি আপনার বান্ধবী! তিনি নাকি তার স্কুলের নাম আপনার মায়ের নামে করতে চেয়েছিলেন...আপনার খুশি হওয়ার কারণ থাকতে পারে, আমরা হতে পারলাম না। আপনার মহৎ পিতাকে বিক্রি করে অনেক খেয়েছেন, কিন্তু এখন তিতা হয়ে পচে যাচ্ছে...সে যাই হোক, পরিমল নাকি আপনাদের খুব কাছের লোক। এই কাছের লোকটি পশুরও অধম, তবু তাকে ছায়া দিয়ে সব বিপদ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে চান আপনার অনুগত সেই উপরঅলা মহিলা। ইনি আবার মিউচুয়াল সেক্স বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞ। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে যৌন নির্যাতন-ধর্ষণকে তিনি মনে করেন মিউচুয়াল সেক্স...!!
তিনি নির্যাতিতদের হুমকি দেন, পরিমলকে প্রশ্রয় দেন...তিনি থাকাকালীন সময়ে আমাদের বোন-কন্যা কেউই নিরাপদ না...তিনি দলীয় অন্ধত্বে ভুলে যান মানবতার কথা...ভুলে যান তার কন্যার সম্ভ্রমের কথা...
তাই তাকে ব্যাপক ঘৃণায় প্রত্যাখ্যান করলাম আমরা সবাই। "তাকে চলে যেতে হবেই", এই দাবী তুললাম...
তাকে সরিয়ে দিয়ে কিছু লোক মনে হয় কিছুটা ভাল কাজ করেছিল। কিন্তু আপনারা ভাবলেন বন্ধু পাপ করেছে তাতে কী, সে আমাদের লোক...তাকে তার জায়গায় রাখার জন্য আপনারা মহা-ব্যবস্থা-আয়োজন করলেন। আপনাদের সেই এক বুলিঃ সব বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র। হাহাহাহা...
কিন্তু আপা, এবার যে আর চুপ থাকতে পারলাম না! ভুলে গেছেন সেই আপ্তবাক্যঃ "ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভবিষ্যত"? হ্যাঁ, মনে হয় ভুলে গেছেন, এরশাদ আন্দোলন, শামসুন্নাহার হলের ঘটনা, বুয়েটের সনি হত্যা বা সেনাবাহিনীর হাতে ছাত্রদের অত্যাচারের ঘটনা?
ভুলে গেছেন এই স্কুলের-কলেজের কেউ আর কোনদিন আপনাদের জন্য ঘৃণা ছাড়া আর কিছু বরাদ্দ রাখবে না...আপনাদের জন্য থুতু ছাড়া আর কিছু আমাদের মুখ থেকে নিঃসৃত হবে না...
ভুলে গেছেন আপনার মেয়ে বা কোন আত্মীয়া এমন ঘটনার শিকার হতে পারতো...
মনে হয় আমরা আপনাদের সরকারের শেষ দেখে ফেললাম...চালিয়ে যান, আর বেশিদিন নেই। খুব খারাপ একটা কাজ করলেন....দেশের সকল শিক্ষিত মেয়ের ইজ্জতের উপর হামলা করে ফেললেন...হয়তো ভাবছেন, কাল নতুন কোন দুঃখ এসে সব ভুলিয়ে দেবে, বাঙালির বিখ্যাত গোল্ডফিশের মেমোরি! কয়দিন পর সবইতো ভুলে যায় এই গাধাগুলো! দুঃখিত, সব ভোলা যায়, কিন্তু নিজেদের সম্মান-ইজ্জতের উপর হামলার কথা ভোলা যায় না...আমরা সবাই মনে রাখবো। মনে রাখবো... এবং প্রতিবাদ করবো...
মন্তব্য
থামাইতে পারলে তো ভালোই হত। ভিকারুন নিসার ঘটনার এখনো সমাধান হয় নি দেখে কিছুটা হতাশ। রাজনীতিবিদদের ভাই-ব্রাদারদেরই এত ক্ষমতা? তবে হাল ছাড়ি নাই। ছাত্রী-অভিভাবক-এমনকি শিক্ষকরাও এখন সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদ করছে। আশা করছি উপযুক্ত বিচারের একটা দৃষ্টান্ত আমরা দেখব।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম ভাই, অবশেষে কিছু একটা মিলল...কিন্তু এর মধ্যে অনেক কিছু ঘটে গেছে।
দেখুনঃ
এক
দুই
তিন
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এই লেখাটা আরো অনেক প্রশ্নের জবাব দেবে, আরো অনেক প্রশ্ন তুলে ধরবে...
দেখুন এখানে!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এই লেখাটা আরো অনেক প্রশ্নের জবাব দেবে, আরো অনেক প্রশ্ন তুলে ধরবে...
দেখুন এখানে!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ। পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকরাও বেশ হুমকি ধামকি দিচ্ছে দেখলাম।
শেষ লিঙ্কটা কাজ করছে না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হক কথা......দেশটা কারো পৈত্রিক সম্পত্তি না...এইটা লোকে বুঝবে কবে?
কিন্তু সমস্যা হইল আবার সেই ফুটন্ত কড়াই থেকে তপ্ত উনুন......আমরা যামু কই?
আমরা জনগণ...সবাই বোকা বানায়!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হ, এইবার থামেন।
ভাই বলতে পারেন আমরা এই গাধা জনগণ কাকে নির্বাচিত করব আমার দেশের ভালো করার জন্যে।
আমি আশাহত।
এ ভাই, আপনের কি ডর ভয় নাই??? এইবার থামেন!
অসাধারন প্রকাশ পেয়েছে আপনার ভেতরের যা যা বলতে চেয়েছেন তার সব, আসাধারন। হ্যা, আমরা ভুলবোনা, এইভাবে যখন লিখে লিখে কেউ আবার আয়নার সামনে দাড় করাতে থাকে, আমরা ভুলে থাকতে চাইলেও পারবোনা। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, বোধে লাগলো!
এসব না লিখতে হলেই বেশি ভাল লাগতো!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
যেই মুহূর্তে একজন শিক্ষক তার সহকর্মীর দ্বারা তারই অপরিণত শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনাকে 'মিউচুয়াল সেক্স' বলে আখ্যা দেয় ঠিক সেই মুহূর্ত থেকেই শিক্ষকতার মহান অবস্থান থেকে তার চ্যুতি ঘটে। এরপর যা হয় তা তার নৈতিক স্খলনের পরবর্তী দৃশ্যের চিত্রায়ন মাত্র! 'আমি কেনো পদত্যাগ করবো, আমি তো দোষ করিনি' কিংবা 'আইনমতে আমিই বৈধ অধ্যক্ষ'— প্রমুখ উক্তি থেকে খুব সহজেই উপলব্ধি করা যায়, একজন শিক্ষকের নৈতিকতা এবং মানবিকতার চেয়ে হোসনে আরা'র কাছে পদ এবং সেটা ধরে রাখার আইনই বড়! তবে, হোসনে আরা'কে বহাল রাখার সরকারী চেষ্টা থাকুক বা না থাকুক, অধ্যক্ষ হিসেবে হোসনে আরা এখন ভিকারুন্নিসার ইতিহাস।
একটা কথা প্রচলিত ছিলো আমাদের মাঝে, শেখ হাসিনা'র শত্রু তাঁর নিজের মুখ! ক্ষমতায় আরোহনের প্রথম বছর খানেক সেই মুখের লাগাম বেশ ভালোভাবেই টেনে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু আর কতো! তিনিও তো একজন মানুষ। তাঁরও তো সহ্যের সীমা আছে। সুতরাং, তাঁর মুখের লাগাম ছুটবেই। আর তাতে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়বেনই, কে আছে তাঁর চেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক! সেদিন পেপারে শেখ সেলিমের এক দাম্ভিক উক্তিও পড়ার দুর্ভাগ্য হলো। সস্তা জামাকাপড় পরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তার মতো আরমানি স্যুটেড লোকেরা টোকাই বলবে, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এই শেখ সেলিম সাহেব বোধ'য় ভুলে গিয়েছিলেন, তার এইসব ফুটানিমারা আরমানি স্যুটের টাকা কোন বলদের গোয়া দিয়ে বের হয়! সেই বলদদের গোয়া বাঁচাতেই সস্তা জামাকাপড় পরা টোকাইরা আন্দোলন করে যাচ্ছে। এইসব রামছগল সদৃশ ভাই-বেরাদর থাকলে আর তার উপর সেইরকম একখানা মুখ থাকলে শেখ হাসিনার পতনঘটনদ্রুত ঘটাতে আর কিছু লাগে না। খালেদা-ফালুদা এরা তো কোন ছাড়!
৭২'এর সংবিধান সংবিধান করে আমাদের সামনে মূলা ঝুলায়ে শেষমেশ কী দিলো? আজকে যে খালেদা আর আমিনীরা এই সংবিধান যথাক্রমে 'ছুঁড়ে ফেলতে' আর 'ডাস্টবিনে ফেলতে' চায়, তার দায়ভারও তো এই সরকারেরই। আমরা তো আম্রিকা না যে আমাদের 'ইন গড উই ট্রাস্ট' না রাখলে জাত যাবে। আমরা ইন গড উই ট্রাস্ট না রেখেই স্বাধীন হয়েছিলাম। সেই সংবিধান বিম্পি-জামাত-আমিনীদের সংবিধান ছিলো না। ছিলো বাংলাদেশের মানুষের। বিসমিল্লা, আউযুবিল্লা, নাউযুবিল্লা, আস্তাগফিরুল্লা'র চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিলো বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের সব রকমের অধিকার নিশ্চিত করা। সেটা না করে আওয়ামী লীগ চাইলো ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে খুশি করতে, ভোট বাড়বে যে তাতে! ভোট বাড়বে কচু। আমিনীরা সবাত্তে বেশি বুঝে। তারা সংবিধান পড়ে না, জানেও না কী আছে কী নাই। অতো জানার দরকারও নাই। দাও হরতাল, ভাঙো গাড়ি। পাছামারা তো আওয়ামী লীগের যাচ্ছে না। হরতালবাদীদেরও না। পাছামারাটা খাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ, গোটা বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা এতো যে দেশপ্রেমিক। তো তিনি সংবিধানে বিসমিল্লা'র পাশাপাশি হরতালের বিরুদ্ধে মূলনীতি যোগ করলেন না কেনো? কেনো তিনি সংবিধানে এমন বিধান রাখলেন না যে হরতালে গাড়ি ভাঙা-পোড়ানো তো দূরের কথা, হরতালকে উদ্দেশ্য করে একটা রিক্সার স্পুকও ভাঙলে সেটা হবে দেশদ্রোহীতার শামিল। এর শাস্তি হবে ভয়াবহ। কেনো করেননি? বাংলাদেশের জনগণের ভোট হারাতেন বলে নাকি নিজের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ কণ্টকহীন রাখার জন্য!
খালেদা জিয়া'ও তো ২০০১-এ ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রি নিয়ে সংসদনেতা হয়েছিলেন। তিনি তখন কী বালটা ফেলেছিলেন দেশের জন্য? আজকে তিনি হরতাল চোদান না খেতে পাওয়া মানুষের দেশে মাগনা পাওয়া বিলাস-বহুল বাড়ি রক্ষার্থে, নিজের চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, চোর, বাটপার ছেলেদের রক্ষার জন্য। দেশের জন্য কবে, কী ভেবেছেন তিনি? জোট করেছেন স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে। তিনি কী করে বড় বড় কথা বলেন আজকে? ফাউল মহিলা কোথাকার!
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে বাংলাদেশের মানুষ মরে, তাতে কারো কোনো ভ্রূক্ষেপ নাই। সেইটা নিয়ে কোনো আলাপ আলোচনা নাই। আছে ক্ষমতায় থাকার আর ক্ষমতায় যাওয়ার উল্লাসের কথা। হরতালের নামে দেশের গোয়া মারার ধান্দা, তেল-গ্যাস চুক্তির মাধ্যমে রোগা মানুষের রোগা এই দেশের পেছন দিয়ে লাল সূতা বের করে দিয়ে নিজেদের ব্যাংক ব্যালেন্সে আরেকটু পুষ্টি যোগ করার ধান্দা।
ভারতের পররাস্ট্রমন্ত্রী দেশের বাঘা সব সম্পাদকদের সামনে বসে 'সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা কমিয়ে আনতে' বিএসএফ এর হাতে নন-লিথাল ওয়েপন দেয়ার কথা বলে। তখন আমাদের বাঘা সাংবাদিকরা সিঙারায় কামড় দেয়া বন্ধ করে শক্ত করে জিজ্ঞেস করতে পারেন না 'বিএসএফের এই অস্ত্র বদলানোটাই একমাত্র সমাধান কি-না যেখানে দিল্লি খুব ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল আছে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা প্রসঙ্গে!'
সবগুলো দলই 'জনগণ'এর কথা বলে, জনগণের মৌলিক অধিকারের কথা বলে। কিন্তু আসল জায়গায় কেউ কিছু বলে না। হরতালের দিন জয়নাল আবেদীন ফারুকের গার্মেন্টস পুরোদমে চললেও রাস্তায় নেমে সে ভাষণ দেয় সব কারখানা বন্ধ করে রাখার। পুলিশকে প্ররোচিত করে আহত হওয়াটা ক্ষমতায় যাওয়ার বাণিজ্যে বেশ ভালো ইনভেস্টমেন্ট, সেটা ফারুক, নাসিম, খোকারা জানে। শুধু জানে না কী করে ভাগ্যাহত এই দেশের মানুষের ভাগ্যের কিছুটা উন্নতি করা যায়। ক্ষমতার পালা বদলায় ঠিকই কিন্তু পাবলিকের পোঙ্গামারা খাওয়া আর কমে না, থামে না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মন্তব্য লাইক করলাম।
আমাদের নেতানেত্রীরা জেনে গেছেন তাদের ছাড়া আমাদের গত্যন্তর নেই... আর আমরা পিঠ বাঁচানো মধ্যবিত্ত রাজনীতি থেকে থাকি শতহাত দূরে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আমি আপনার লেখাগুলো বের করে করে পড়েছি সুযোগ পেলেই, একটা পাণপন উল্লাস থাকে আপনার লেখায় এমনকি লেখার নামকরনেও, প্রচুর হেসেছি, ভাবতেও হয়েছে এবং আপনার মন্তব্যগুলোও আমার অনেকটাই পড়া, আমি জানি আপনাকে কি নামে সবাই ডাকে এবং আমি সেটাতে আমোদও পেয়েছি
তবে আজকের এই লেখায় আপনার ক্ষোভ টের পেলাম। একদম ঠিক ঠিক কথাগুলো বলে গেছেন, ক্ষোভগুলো পুরোপুরি মরে না যাক, টিকে থাকুক সবার ভেতরে, তারপর বিক্ষোভ, শ্লোগান, পথ হেটে হেটে বিপ্লব।
আপনার লেখাটা একটা ঝাকুনির জোশ দিলো!
ধুগোদা, একদম মনের কথা... ভীষণ রাগ হয়...
বিএসএফ-এর ঘটনাগুলো আসা উচিত ছিল, কিন্তু আবেগের বশে লেখা...বাদ পড়ে গেছে...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ধন্যবাদ...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ক্ষমতা উপভোগ করতে গিয়ে একটা সরকার কতটা অজনপ্রিয় হয়ে যায় এটা গত দুই নির্বাচনের ফলাফল দেখলে বোঝা যায়। অবশ্য আমাদের নেতারা এইসব কেয়ার করে বলে মনে হয় না। তারা খুব ভালোই জানে পাবলিক এক বাটপারের উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে অন্য বাটপারের বাক্স ভোটে ভরিয়ে দেবে। পাঁচ বছর পর পর যাদুর চেরাগ হাতে পাওয়াই বা মন্দ কি! খালি যুতমত ডলা দিতে হবে। একদিকে পাবলিক ডলা খায়, অন্যদিকে "আল্লাহর মাল", "লুকিং ফর শত্রুজ", "মিউচুয়াল সেক্স" আমাদের ফোকলোরের অংশ হয়ে যায়। চলছে, চলবে।
বি
ভাই কেউই মনে রাখবেনা আসলে ,আর মনে রেখেই বা কি ? ভোটের সময় আসলে ঐ নৌকা নয় ধানের শীষ , এই তো দেখছি
আমরা আসলে একটা মাইনকা চিপার মধ্যে পড়ে গেছি ... হয় এরা নয়তো তারা।
বিডিআর এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, পোষাক পরিবর্তন করা হয়েছে, এগুলোকে অস্বীকার করা ঠিক হবেনা! আর্মিরা যখন হাসিনাকে ডেকে চার্জ করলো সেনাকুঞ্জে, তখন এসব প্রস্তাবও উঠে এসেছিল, আরও এসেছিল অপারেশান রেবেল-হান্টের কথা।
পাশাপাশি বিডিয়ার সদস্যদের বিচার চলছে, কারও সাজা হয়েছে ইতমধ্যে, কারও হয়তোবা হবে। ঘটনার মূলকারণ সম্মন্ধে কোন সুস্পস্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি, তবে কিছু আবাল মন্ত্রী নানান সময়ে নানান তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। আমার মনে হয় বিডিয়ার সদস্যদের বিচার হচ্ছে এ নিয়ে সংশয় থাকবার কোন কারণ দেখিনা। আর্মির তত্ত্বাবধানে অপারেশান রেবেল-হান্ট করা হয়েছে প্রায় ষাটোর্ধ কোটি টাকা ব্যায়ে (যদি বিস্মৃত না হই, প্রথমে ৫৯ কোটী টাকা খরচের পর মন্ত্রাণলয়ে আরও প্রায় ৩০ কোটী টাকার বাজেট চাওয়া হয়)। আর্মির ভয়ে হলেও বিচারের ব্যাপারে সরকারের অনেক পদক্ষেপই দেখতে পেয়েছি।
২। বিমানবন্দরের নামের সাথে দেশের নামের সম্পর্ক কিভাবে আসলো বুঝলামনা, সম্ভবত আবেগের আধিখ্যেতা। যাহোক, বিমান বন্দরের নাম চেঞ্জ করতে ১৪০০ কোটি টাকা লেগেছে, এইধরণের তত্ত্বকে ধারণ করে আশাকরি অভিযোগটি করেননি। নাম পরিবর্তন অবশ্যই প্রতিশোধমূলক এবং সম্ভবত তা চট্টগ্রাম বিমান বন্দরের নাম এম,এ,হান্নান থেকে শাহ আমানত আলী হওয়া দ্বারা প্ররোচিত। তবে সরকার এখনও সোহরোয়ার্দীর বেগম খালেদা জিয়া সরকারী মেডিক্যাল কলেজ ও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ এই দুই সরকারী প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেনি বলে তাদের ধন্যবাদ। এসব ইস্যুতে রাজনীতির গুণগত কোন পরিবর্তন নেই, দুঃখজনক।
৩। টিপাইমুখী ইস্যুতে এবং ব্রক্ষ্মপুত্রের উপর চীনের লাফ-ঝাফ নিয়ে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ দেখবার প্রতীক্ষায়—
৪। মন্তব্য নিস্প্রয়োজন। মারিং-কাটিং এর ইস্যুগুলোতে সরকার ও বিরোধীদল মোটামুটি একপক্ষ।
৫। বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে আর্মির প্রভাব প্রচন্ড। এই বাস্তবতায় বছরের পর বছর অন্যতম বৃহত্তমদলের মূল নেত্রীর আর্মির-প্রতিবেশী হয়ে থাকাকে আমি গণতন্ত্রের জন্য শুভ মনে করিনা। ক্যান্টনমেন্টের ভেতর খালেদার উপস্থিতিকে আমি কোনভাবেই সমর্থন করিনা, তাই খালেদা আর্মি চত্ত্বর থেকে বের হয়েছেন, আমি এতে খুশী। তবে খালেদার বাসা রেইড করে পর্ণো-ম্যাগাজিনের যেসব কিচ্ছা-কাহিনী জনগণকে খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয় তা অত্যান্ত নীচু মানসিকতার পরিচয় বহন করে। অঃটঃ আর্মি কোথাও রেইড দিলেই পর্ণো-ম্যাগাজিন বা ভায়াগ্রা পাওয়া যায়, ব্যাপারটা কি কাকতাল? আপনার কি মনে হয়?
৬। আমরা ভূলে যাই যে হাসিনা-খালেদা রাজনীতি করে, তারা চ্যারিটি করছেননা রাজপথে। এটাও একধরণের প্রতিদন্দ্বীতা। ১/১১ এর সময় হাসিনার ল্যাং খাওয়ার কথা হাসিনা ভুলেনি, ভুলেনি ইয়াজউদ্দিনকে এ+ দিয়ে জনাব ইউনুসের বিদেশগমন। মাইনাস টু-এর লাথির কথাও হাসিনা ভুলতে পারেনি। সবই করা হয়েছিল আর্মির কান্ধে চেপে আর ইউনুস তাতে ঘি ঢেলেছেন এমন কথাই বাতাসে “ভেসে” বেড়ায়। আজ হাসিনা সুযোগ পেয়েছে তাই আইনের কান্ধে চেপে ইউনুস সাহেবকেও ল্যাং মেরেছেন, আমার কাছে ইট’স আ ব্লাডি পলিটিক্যাল গেম বই অন্য কিছু নয়।
চলুন, একটু হাসিনা হয়ে চিন্তা করি, ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্টের নৃশংসতার পর আওয়ামীলীগের অবস্থা কি ছিল জানা আছে আশাকরি? নেতারা জেলে, যারাওবা বাইরে তাদের মধ্যকার রেশারেশিতে মিজান-মালেকউকিল দুইভাগ। রাজ্জাক-তোফায়েল গ্রুপের চাপকে উপেক্ষা করতে না পেরে মালেকউকিল অনেকটা বাধ্য হলো জোহরা তাজউদ্দিনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করতে; অনেকটা নানা মুনির নানা মত। আর্মি শাসকদের নানান প্রচারণা ও আক্রমণে ক্ষয়িষ্ণু দলটির হাল ধরলেন অবশেষে হাসিনা। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে আসলেন দলীয় কর্মিদের তৈরী করা মানব বর্মের কারণে। গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে আসলেন সেই একই দলীয় নেতাদের মানব বর্মের কারণে। এই দলের জন্যতো হাসিনা কম ত্যাগ করেননি, তাই নয়কি? রাতের আঁধারে ল্যাং মেরে সেই দল থেকে যখন হাসিনাকেই বের করে দেবার চেষ্টা হয়, তখন হাসিনার কেমন লাগতে পারে বলে আপনার মনে হয়? আর এই ল্যাং-মারার খেলায় যারা ছাতা ধরেছিল বা তালপাখার বাতাস দিতেছিল তাদের যদি সুযোগ পেয়ে হাসিনা ল্যাং মারে তবে অপরাধটা হাসিনা কি খুব বেশী করে ফেললেন?
৭। ১/১১ এর সময়ই এই নিজামী-মুজাহিদরা বড় গলায় বলতো, আমাদের গ্রেফতার করার সাহস কারও নেই। সেসময় সবাই ডিম্ব থেরাপী পেত, অথচ এরা বহাল তবিয়তে দাঁড়িতে মেহেন্দী মেখে ঠিকই বুক চেতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এই শুয়োরের বাচ্চাগুলো জেলের মধ্যে আছে অন্তত এখন, এটাই আমার জন্য সাময়িক শান্তি। আগে টিভি চ্যানেল খুললেই কুত্তার-বাচ্চাগুলো দাঁড়ি নাড়াতে নাড়াতে মিষ্টি কথায় আমাদের পশ্চাত মারত, অন্তত এখন আর মারতে পারেনা। আর ধীরগতি? সৌদী বৌদিদের দেশে কর্মরত ২৫-৩০ লাখ শ্রমিকের কথা বেমালুম ভুলে যাওয়াটা ঠিক নয়, আরও উচিত নয় বিশ্বরাজনীতির নানান জটিল হিসাব-নিকাশ। বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক ক্ষেত্রেই এমনসব দেশের উপর নির্ভরশীল যাদের সাথে রাজাকার-আলবদর বা তাদের প্রভুদের অতিমাত্রায় দহরম-মহরম রয়েছে। তাই কুটনৈতিক যোগযোগের মাধ্যমে অন্যদেরকে না চটিয়ে পুরো বিচার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা কিছুটা সময় সাপেক্ষ বলেই আমার কাছে মনে হয়। আশাকরি হাসিনার সৌদী সফরকে ভুলে যাননি, আমি মনে করি সে সফর মূলত যুদ্ধাপরাধের বিচারের ইস্যুতেই একটি কুটনৈতিক প্রচেষ্টা। বিচার ইস্যুতে একেবারেই আন্তরিক নয় হাসিনা এমন অভিযোগ করতেই পারেন, তবে অন্তত আমি নিজে কনভিন্সড (এখন পর্যন্ত)। হুট করে গোলাম আযমকে গ্রেফতার করে সৌদীদের ক্ষেপিয়ে তুলে শ্রমিকদের ভাগ্য বিপন্ন করলে তখনও কিন্তু হাসিনাকেই আমরা গদাম দেব, এটাই কিন্তু বঙ্গীয় বাস্তবতা!
হ্যাঁ, আওয়ামীলীগ এটাকে আবার ইস্যু বানাবে নির্বাচনের সময়, তবে নির্বাচনের পূর্বে অর্থপূর্ণ আরও বিচারিক উদ্যোগ দেখব বলেই আশারাখি। মোদ্দাকথা, ৩ বছরেই বিচার শেষ হবে এমন আশা করাটি কিঞ্চিত বোকামী।
৮। দাঁড়ি-কমা-সেমিকোলন সহযোগে সহমত। তবে ১৯৭৫ এ একদা ধর্ম নামের যে টুথপেস্টের টিউব চেপে পেস্ট বের করা হয়েছিল, তা যতই চেষ্টা করা হোক, আর ভেতরে ঢোকানো যাবেনা। রিলিজিওন ইজ অলয়েজ আ ভোলাটাইল সাবস্টান্স!
৯। সহমত
১০। সহমত
১১। দেশ বেঁচে দেবার মতন কোন কর্মকান্ড এখনও দেখিনি।দেশ বিক্রি হয়ে গেল, করে দিল এধরণের অভিযোগ প্রচুর শুনেছি, ভিত্তি নেই। দুঃখিত।
১২। আমার জানামতে প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার আকুস্থলে যাবেন। দুর্ঘটনার পরই সেখানে শিক্ষামন্ত্রী, স্থানীয় এম,পি, অন্যান্য মন্ত্রীরা ছুটে গিয়েছেন। উনারা সবাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করেন বলেই আমি বিশ্বাস করি। আর এমন নয় যে সেখানে প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেননা, অন্যান্য কাজ শেষ করে তিনি যাচ্ছেন এবং স্বজন হারানোদের পাশে দাঁড়াবেন। এতে এতটা দোষ খুঁজে পাবার মতন আমি কিছু দেখিনা। ম্যাডাম জিয়াকেও ধন্যবাদ, ব্যাস্ততা শেষে মীরসরাইয়ে গিয়ে স্বজন হারানোদের পাশে দাঁড়াবার জন্য।
২৫ হাজার টাকাকে কিঞ্চিত প্রহসন মনে হয় আমার। এসব পরিবারকে স্থায়ী কিছু করে দেওয়া যায় কি না তার সরকারের উচ্চমহল ভেবে দেখবেন বলে আশারাখি; হয়তো কোন চাকরী বা এধরণের কিছু।
চমতকার।।।।।।।াঅনেক ভাল লিখেছেন
২ নম্বর পয়েন্টে তথ্যে একটা ভুল আছে। খালেদ জিয়া মেডিকেল কলেজের নাম বহু আগেই পরিবর্তন করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাস্পাতাল করা হয়েছে। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের নাম অবশ্য টিকে আছে।
প্রথমেই বলে নিই, এই লেখাটি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ...আবেগের বশে লেখা...সরকার বিরোধিতা বা পক্ষাবলম্বন এর উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য শুধু প্রতিবাদ, আর কিছু ব্যাপার মনে করিয়ে দেয়া। আমরা ভাই গাধা টাইপ লোকজন, রাজনীতির অত জটিল ঘোরপ্যাঁচ মাথায় আসে না। যা দেখি সহজ দৃষ্টিতে বিচার করি...
১। হ্যাঁ বিডিআর-এর ঘটনার অনেক কিছুই হয়েছে। যেসব বোকা বিডিআর গুলো লাফিয়েছিল তাদের অনেকেই হয়তো আজ পরপারে। বাংলাদেশে আর্মি কেমন সেটা ভাই আমি ভালই জানি...গোপনে অনেক কিছু করা হল, কিন্তু গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া গেলনা আজও। আর্মিকে তোয়াজ করতে গরীব দেশের বাজেটের সিংহভাগ দিয়ে দেয়া হয়, মাথায় হাত বুলিয়ে আর্মিকে শান্ত রাখতে হয়...সেজন্য গোপনে অনেক বিডিআর মরে, কিন্তু তবু সত্যটার দেখা পাই না!
২। কোন তত্ত্ব বুঝিনা ভাই, শুধু বুঝি এইসব নামকরণে ভাল কিছু হয় না। একটা দেশের এতকিছুর নাম যখন পরিবর্তন করে ফেলা হয়, নতুন যা কিছু হয় তাও যখন জাতির জনক বা তার পরিবারের কারো নামে হয়, তখন দেশের নাম পরিবর্তনেও আমি কোন দোষ দেখি না। আপা আশাকরি কিছুদিনের মধ্যে অতিউৎসাহী চাটুকার দলের বুদ্ধিতে সেটাও করে ফেলবেন...
৩। আমিও...
৪। তারা সবাই এক, পুরীষের এপিঠ আর ওপিঠ!
৫। খালেদার বাড়ি ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে থাকাকে আমিও সমর্থন করি না। কিন্তু বড় বেশি দৃষ্টিকটুভাবে উচ্ছেদটা করা হয়েছে...আর ক্যান্টনমেন্টে থাকার কারণের চেয়ে দলের মাথাদের কথায় কিন্তু প্রতিশোধ নেয়ার ইচ্ছাটাই বেশি প্রকাশ পেয়েছে।
৬। পলিটিক্সের নামে সব নোংরামি জায়েজ! মেনে নিলাম...শুধু বলছি ব্যাপারটা আরো ভালভাবে করা যেত...
৭। যত যাই বলেন আমার মত বোকাদের কাছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটা ফ্যান্টাসিমাত্র...গু,আ, মরে যাক, তারপর তাকে আমরা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করবো...সব কিছু মনে হয় একটা সাজানো নাটক...যদি এত ভেতরের কথা থাকে, তাহলে তারা মুখ ফুটে বলেন না কেন? আলতু-ফালতু কোন বিষয়ে ত দলের সবার মুখে কথার বোম ছোটে!
৮। সহমত!
১১। দেশ বিক্রিটা আসলেই দেখা যায় না...শুধু এটা বুঝি, যেই ক্ষমতায় যাক তারাই এই বিক্রিটা করতো...দেশতো আর সের দরে বেচা যায় না, তবে দেশের তেল-গ্যাস মাগনাই বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়া যায়...সেটা দেশপ্রেম...
১২। তিনি আসলে অনেক ব্যস্ত...তার সোনার ছেলেদের সম্মেলন হচ্ছে...বিভিন্ন সভা-সমিতিতে তিনি "ভাল"র বন্যা ছুটাচ্ছেন, কিন্তু সেখানে যাওয়াটা বেশি দেরি করে ফেললেন...
আসলে এগুলো ভেবে দেখার জন্য বলছি...আশা করছি তারা শোধরাবেন...উপরে ধুগোদা বলেছেন, মুখই উনাদের বড় শত্রু...নিজেরাই উনাদের নিজেদের নামানোর জন্য যথেষ্ট। এত্ত কুলাঙ্গার-নাদান বিরোধীদল থাকা সত্ত্বেও তারা নিজেদের কারণে মানুষের ঘৃণার পাত্র হন...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
একমাত্র মৃত্যুই এদের থামাতে পারে....
কারো মৃত্যু কামনা করছি না...শুদ্ধি হোক। শুভবুদ্ধির উদয় হোক!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আমাদের মত গোল্ডফিস মেমেরির মানুষদের জন্য এরকম লিস্ট করে করে কিছুদিন পর পর মনে করিয়ে দেয়ার মত মানুষের দরকার আছে।
ধন্যবাদ।
ব্যাপারগুলো তারা মনে রাখলে আমরা ভাল থাকতাম!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
সব কিছু দেখে এখন মনে হয় যে দেশের বেশীরভাগ মানুষই আর এদের কাউকেই চায় না...কিন্তু এই কথাটা আমি মানতে পারিনা যে এদের ছাড়া আমাদের যাওয়ার আর কোন জায়গা নাই...এই "গাধা" গুলো যতই গাধা হোক, তারা কিন্তু সংখ্যায় বেশী আর তারা যদি সত্যিই কোন কিছু করতে চায়, তারা কিন্তু তা করে ফেলে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তখন কিন্তু আর পেছানোর উপায় থাকে না, সামনেই এগোতে হয়।
কবে যে এগোবো!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ভাবনাগুলো বেজায় হুলো রাখ ভরে রাখ সিন্দুকে
চিত্তকে আজ বৃত্তে ঠেসে আটকা বিষাদ সিন্ধুকে
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এটা অনেকের মনের কথা। আমরা কাকে ভোট দেবো ?? বুঝিনা। যেই আমাদের ভোট নিয়ে আসে, তারাই আমাদের এভাবে শোষন করে।
এবার অনেক আশা নিয়ে বা আ ল কে ভোট দিয়েছিলাম, দিন দিন হতাশ হচ্ছি
কিছু ভালো কাজ করেছে হয়তো,তবে আপনার পয়েন্ট গুলোর জন্য সরকার এবং হাসিনা জনগণের কাছ থেকে ভোটের মাধ্যমে জবাব পাবেন,আমি এ আশা করি।জনগণ ৫ বছ্র পর রায় দেবে।
সর্বশেষ খবরে দেখলাম, হোসনে আরা তিন মাসের ছুটিতে গিয়েছেন, মঞ্জুআরা বেগম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আন্দোলনকারী ছাত্রীরা এটাকে তাঁদের বিজয় হিসাবে গ্রহন করেছেন।
ধর্ষক পরিমল গ্রেপ্তার হয়েছে, তার বিসিএস নিয়োগ বাতিল হয়েছে, হোসনে আরা কে আপাতত বিদায় করা হয়েছে; সব মিলিয়ে আমার মনে হয় সরকার যথেষ্ঠ ভালভাবেই রেস্পন্ড করেছে পুরা ঘটনাতে। এজন্য বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের প্রশংসা প্রাপ্য, তিনি ইতিমধ্যে শিক্ষানীতি নিয়ে ভাল কিছু কাজ করেছেন, খুব কাছ থেকে পুরো ঘটনা মনিটর করেছেন আর শেষপর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
এবার আমি নিজের কিছু কথা বলতে চাই। পরিমল জয়ধর ধর্মীয় ভাবে হিন্দু এবং সে ছাত্রলীগ করত। প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামীলীগ আমলে সরকারি চাকরি পাবে বা বেসরকারি চাকরি তে সুবিধা পাবে তা নতুন কিছু নয়। বুয়েটের একজন সুপরিচিত সাবেক ছাত্রদল নেতা এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে দাপটে চাকরি করছেন বিএনপি আমলে নিয়োগ পেয়ে, তিনি নাকি বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম পাঁচজনে ছিলেন! সমস্যা হল পরিমল হিন্দু, হিন্দুরা বাংলাদেশে সবসময় ধর্ষিত হবে এটাই নিয়ম, অসংখ্য হিন্দু মেয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় ধর্ষিত হয়েছে, কেউ তেমন কিছু মনে করেনি, এটাই স্বাভাবিক, হিন্দুরা এভাবেই বাংলাদেশে থাকবে, আর তা না পারলে তাদের 'বাপের' দেশ ভারতে চলে যাবে।
পরিমল এখানে শুধু একজন ধর্ষক নয়, সে একজন হিন্দু ধর্ষক; তার অপরাধে শুধু তাকেই শাস্তি পেলে হবে না, শেখ হাসিনাকে শাস্তি পেতে হবে, আওয়ামী লীগকে শাস্তি পেতে হবে, পরিমলের বাপ-মা-পরিবার-সম্প্রদায় সবাইকেই শাস্তি পেতে হবে। ঠিক যেমন পাশ্চাত্যে সন্ত্রাসীরা শুধু সন্ত্রাসী নয়, তারা 'মুসলমান' সন্ত্রাসী; অস্ট্রেলিয়াতে আরব বা মুসলিম অপরাধিদের বিচারটাই শুধু সময় মত হয় উপযুক্ত শাস্তি সহ। তাই শুধু পরিমল জয়ধরের নয়, তার পুরো গোষ্ঠীর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনে বিএনপি-জামাত কে ক্ষমতায় আনতে হবে।
অপরাধীর গ্রেপ্তার আর আইনি প্রক্রিয়া চলমান থাকার পরও অপরাধের এইরকম রাজনৈতিক-সাম্প্রদায়িক ফোকাস দেখে এখন বুঝতে পারছি শেখ হাসিনা কেন এখনও বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রের খৎনা বহাল রেখেছেন।
নীল সমুদ্র
একটা ধর্ষকের একমাত্র পরিচয়, সে ধর্ষক...তার ধর্ম ধর্ষণ করা, সে হিন্দু না- সে মুসলমান না...পরিমলের শাস্তি দিতে কেন বিএনপি-জামাত আনতে হবে? কেন এ সরকার সেটা দিবে না? নাহিদ সাহেব এখানে যেটা করেছেন তার জন্য আওয়ামী লীগকে অনেক ভুগতে হবে! তার ভাল কাজের সবকিছু ছাপিয়ে উঠবে তিনি কি কি অন্যায় করেছেন...ঘটনা জেনে আসুন!
এখানে যারা সাম্প্রদায়িকতার রঙ দিচ্ছে তাদের সাথে পরিমলের কোন পার্থক্য নেই!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
খুব সুন্দর লিখেসেন. কপি পেস্ট করলাম .
আমরা কি একটা জিনিস ভুলে যাচ্ছি নাহ, তেল গ্যাস এর ব্যপারটা...
না ভুলি নাই, সেটা চলছে...দেশ বিক্রি্র কথাটাই সেটা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা. ধন্যবাদ
ক্ষোভ থেকে লেখা...
ধন্যবাদ
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
প্রধানমন্ত্রী তো শেষপর্যন্ত গিয়েছেন মিরসরাইতে। তিনি দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯ শিক্ষার্থীর পরিবারপ্রতি ১ লাখ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে চেক হস্তান্তর করেছেন। আমি বিশ্বাস করি বর্তমান শীর্ষ নেতাদের মধ্যে শেখ হাসিনাই তাও যা হোক মন্দের ভাল।
হ্যাঁ, ডায়রিয়ার বর্জ্য আর স্বাভাবিক বর্জ্যের মধ্যে স্বাভাবিক বর্জ্য অবশ্যই ভাল...তার কাছে আমরা আরো অনেক ভাল কিছু আশা করি...আরো কথা কম, কাজ বেশি...বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করা আশা করি!...দুর্ভাগ্য, মিথ্যা আশা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
প্রতিটি প্যারায় ক্রুদ্ধ অসহায় সহমত।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
নতুন মন্তব্য করুন