এক দেশে এক দুরন্ত-ধুরন্ধর সেনাপতি ছিলেন।
সেই সেনাপতি সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে একদিন হঠাৎ রাজা হয়ে গেলেন।
রাজা হওয়ার পর সে স্বৈরাচারী শাসন শুরু করলেন।
সেই রাজা আবার খুব রমণীমোহন পুরুষ ছিলেন।
তার পৌরুষ-শৌর্য-বীর্য নিয়ে লোকমুখে অনেক মুখরোচক কাহিনী প্রচলিত ছিলো।
কথিত আছে তার পৌরুষের প্রভাবে ও ক্ষমতায় পুরুষ বাঁদরও সন্তান গর্ভধারণ করতে পারতো।
এত পৌরুষের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তার কোন সন্তান ছিল না।
একদিন হঠাৎ করে তার রাণী গর্ভধারণ না করেই সন্তান জন্মদান করেন।
সবাই রাজার পৌরুষ আর ক্ষমতায় আবার মুগ্ধ হলো।
দিন যেতে থাকলো।
রাজা একদিন এক বিশাল কান্ড করলেন- কিন্তু কেউ সেটা টের পেল না। (গল্পের শেষে সেটা সবাই টের পাবে।)
রাজার অত্যাচারে আর স্বৈরাচারী শাসনের ফলে দেশের মানুষ বিদ্রোহী হয়ে উঠলো।
রাজা পদত্যাগ করলেন।
দেশে নতুন গণতন্ত্র এলো।
দেশের দুইজন রমণী পালাক্রমে রাজত্ব করতে লাগলেন।
কিন্তু সেই প্রাক্তন রাজার রাজত্বের লোভ রয়ে গেলো।
প্রাক্তন রাজা প্রায়ই স্বপ্নে দেখেন আবার রাজা হবেন।
তিনি রমণীমোহন পুরুষ, তাই সবসময় সেই দুই রমণীর আঁচলের তলায় নিজেকে জড়িয়ে রাখেন।
তিনি রাজত্বকালে অনেক অন্যায় করা সত্ত্বেও দুই রমণীর আঁচলের সুরক্ষা আর তার প্রাক্তন সেনাদলের কল্যাণে কেউ তাকে কিছু করতো না।
এদিকে বয়সের সাথে সাথে তার যৌবন টগবগিয়ে ফুটতে লাগলো, তিনি তরুণ থেকে তরুণতর হতে থাকলেন।
মাদাম তুসোর জাদুঘরের মূর্তির চেয়ে চকচকে হয়ে উঠলো তার গায়ের চামড়া।
দিন যেতে থাকলো।
একদিন সেই দেশে একটা বিশাল জুয়া খেলার আয়োজন করা হলো।
সেই জুয়া খেলার সাথে ক্রিকেট নামক একটা খেলা জুড়ে দেয়া হলো।
আয়োজন সেই দেশে হলেও সেই খেলার সব কর্তৃত্ব রইলো পাশের দেশের কাছে।
আর সেই দেশের একটি চিরশত্রু দেশের খেলোয়াড়েরা সেখানে এসে জুয়া খেলতে লাগলো।
প্রাক্তন রাজা একদিন সেই আয়োজন দেখতে গেলেন।
পাশের দেশের টেলিভিশনের এক সুন্দরী উপস্থাপিকা তার সামনে গিয়ে তার পৌরুষে মুগ্ধ হয়ে গেলো।
সেই সুন্দরী উপস্থাপিকা তার সাক্ষাতকার নিতে গিয়ে সব ভুলে গেলো; সে থতমত খেয়ে লেজে-গোবরে করে ফেললো।
প্রাক্তন রাজা মিটিমিটি হাসেন।
সাক্ষাতকার শুরু হলো।
প্রাক্তন রাজা এবার অনেক দিন আগে করা বিশাল কান্ডের কথা সবাইকে জানালেন।
রাজার পৌরুষ ও ক্ষমতা নিয়ে যেসব গল্প ছিলো সেগুলো কেউ কেউ বিশ্বাস করতেন না।
রাজার সেই মহান কীর্তির কথা শুনে কারও মনে তার পৌরুষ-শৌর্য-বীর্য নিয়ে কোন সন্দেহ রইলো না।
অনেক দিন আগে সেই রাজা সেই দেশে নিজেই একটি সন্তান প্রসব করেছিলেন।
সেই সন্তান কোন মানুষ নয়!
সেই সন্তানের নাম ক্রিকেট!
রাজা পুরুষ- তাই তিনিই আসলে ছিলেন সেই দেশে "ক্রিকেটের বাবা"।
চারদিকে ধন্য ধন্য পড়ে গেলো।
সবাই অপেক্ষা করতে লাগলো কবে ক্রিকেট সেই প্রাক্তন রাজাকে ডেকে উঠবে, "ব্যাব্যাআআআআআআআ"?
--------------------------------------------------------------------
নিচের ভিডিওর সাথে উপরের গল্পের কোনই সম্পর্ক নেই। যেটুকু মিল তা শুধুই কাকতাল মাত্র!
মন্তব্য
নেতারা(!) কখনই নেতিয়ে পড়ে না দেখছি। ভিডিওটা দেখার সময় একটা কথাই আমার মনে এসেছিল: কি প্রশ্নের কি উত্তর!
রাজামশাইয়ের কানে মনে হয় সমস্যা আছে, বয়স তো আর কম হয়নি
৮২! কানটাও পাল্টায়ে নিবে কিছুদিনের মধ্যে
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
কই ভিড্যুর সাথে লিখার কুনো মিল পাইলাম না তো
লিখায় পাঁচতারা।
..................................................................
#Banshibir.
এক মিনিট ১৫ সেকেন্ডের দিকে দেখেন।
মজা করসি ভাই।
..................................................................
#Banshibir.
না, আগেই ত কইসি কোন মিল নাই!
প্রতি বাক্যে একটা অনুচ্ছেদের চেষ্টা করলাম : কী হইছে জানি না!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ব্যাপক মজা পাইলাম।
পোস্টে পঞ্চতারা।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হ, আরও কত্ত গল্প মনে পড়ে গেল
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
রাজা সাহেবের শৌর্য বীর্যের গালগল্প শুনলেই একটা কৌতুকের কথা মনে পড়ে:
শেরশাদ সাহেব বিয়ে করেছেন এক কচি মেয়েকে [বুঝতেই পারতেছেন কেঠায়]। কিন্তু কয়েক হপ্তা পর দেখা গেলো, বিছানায় যত কায়দা কানুনই তিনি করেন না কেন, বউ বেচারির রাগমোচন হচ্ছে না।
শেরশাদ সাহেব ঠিক করলেন, তিনি ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
ডাক্তার সব শুনে, সব দেখে রায় দিলেন। “এক কাজ করুন। ফ্যান্টাসি সেক্স চেষ্টা করে দেখুন। ষন্ডা কোন ছোকরাকে ভাড়া করবেন। আপনারা যখন ঐসব করবেন, ছোকরা ন্যাংটা হয়ে দাঁড়িয়ে তালপাখা দিয়ে আপনাদের বাতাস করবে।”
ডাক্তারের কথা কী আর ফেলা যায়? শেরশাদ সাহেব এক ষন্ডামতো ছোকরাকে ভাড়া করে বাড়ি নিয়ে গেলেন। ডাক্তারের নির্দেশমতো কাজ করেও কোন ফল পাওয়া গেলো না। চটেমটে শেরশাদ সাহেব আবার ডাক্তারের চেম্বারে হানা দিলেন।
ডাক্তার সব শুনে, সব দেখে আবারও রায় দিলেন। “এক কাজ করুন। এবার উল্টো ফ্যান্টাসি সেক্স চেষ্টা করে দেখুন। ষন্ডা কোন ছোকরাকে ভাড়া করবেন। এবার ছোকরা আপনার স্ত্রীর সাথে যখন ঐসব করবে, আপনি ন্যাংটা হয়ে দাঁড়িয়ে তালপাখা দিয়ে ওদের বাতাস করবেন।”
মরিয়া শেরশাদ সাহেব ঠিক করলেন, তথাস্তু।
এবার একেবারে হাতেনাতে ফল পাওয়া গেলো। শেরশাদ সাহেবের বউ এক উথালপাথাল রাগমোচন লাভ করলেন।
উল্লসিত শেরশাদ সাহেব ষন্ডা ছোকরার কাঁধে টোকা দিয়ে বললেন, “এবার বুঝেছো তো ছোকরা, কিভাবে ঠিকমতো বাতাস করতে হয়?”
[উৎস: বড়মণিদের কৌতুক]
..................................................................
#Banshibir.
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আমার প্রিয় বই এককালে এই চোথা মুখস্ত করে পুলাপাইনরে কইয়া ক্রেডিট নিতাম। স্বাধীন মিত্র কেন জানি তার নামটা পাল্টায়ে ফালাইছেন
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ওহ! একটা ক্লাসিক! =))
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
'বাংলার ব্র্যাড পিট'
পাক ভারত উপমহাদেশের রমণীকূল এই চরম খ্যাত লোকটার চার্মে ঠাডাগ্রস্ত !?
লেখা মজা হয়েছে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
দাদুর কাছে ব্র্যাডপিট কোন বেইল পাইবো?
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
শালার ফটকার ফটকা। বেহায়া লোকেদের বেহায়া টুর্নামেন্টে বিশ্ববেহায়া প্রেসিডেন্ট।
হ
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এরশাদের এই ভিডিও দেখে কিনা, আমি পর্যন্ত বাবা হয়ে গেলাম!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
---------------------
আমার ফ্লিকার
নতুন বাবা হয়েছেন, অভিনন্দন
ফুলটু মস্তি ।
লেখা অসাধারন ।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
''দি কিউরিয়াস কেইস অব বেঞ্জামিন বাটন'' ছবিটির কথা মনে পড়ল; আসলেই চাচার যৌবন ধরে রাখার ক্ষ্যাম ঈর্ষা করার মত! শুধু দুঃখ চাচার জিনকে পরবর্তী প্রজন্মে টিকিয়ে রাখার কোন উপায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! আচ্ছা, চাচাকে ডলির মত ক্লোন করলে কেমন হয়?
আসলে এটা তো জুয়াই! জুয়ার আসরে টাকা আর নারীর যে রমরমা দেখা যায়, এখানেও তো তাই হচ্ছে! তবে পার্থক্য হল, এই জুয়া হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়! জুয়ার ব্যবসায়িক ভোগ যে শাসকদের জিহ্বাও তৃপ্ত করে!
এইরাম পিস দুনিয়াতে একটাই যথেষ্ট! উনার আমল দেখছি তো, দেশে ছাত্ররাজনীতির এই অবস্থা আর দুর্নীতি-সাম্প্রদায়িকতার মহাবিস্ফোরণের পেছনে উনার অবদান মারাত্মক।
আজকাল পেপারে উনার রূপরহস্যের উপর অনেক খবর পড়ি
হ, ভারত-পাকিস্তানের যৌথ পরিচালনায় বাংপাকি লীগ এন্ড জুয়ার আসর শেষ হইলো...দেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের কী লাভ হইল সেইটা স্বয়ং খোদাও মাইক্রোস্কোপ দিয়া খুঁজে বাইর করতে পারবে না...তবে কামাল এন্ড গং, পিসিবি, পাকিস্তানী ও ভারতীয়দের ব্যাপক লাভ হইছে এইটা আমার মত ছাগলও বুঝতে পারতেছে
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ও আমরা কিন্তু দাদু ডাকি; আপ্নে চাচা ডাকলেন
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ভাই, চাচা ডাকলেও আমি কিন্তু ওনার ভাতিজা না! ছোটবেলা থেকেই চাচার রঙ্গতামাশার এত কাহিনী পড়ছি যে, অবচেতন মনে 'চাচা' নামডাই রইয়া গ্যাছে! যাউকগা, এহন থাইকা দাদুই সই!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আই লাভ এরশাদাদু
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কয় কী! তয় হাজার হোক উনি রমণীমোহন, লাভ হইতেই পারে
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এক ফেসবুক বন্ধু এই লিঙ্ক দিলো
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
লেখা পড়ে ভালো বুঝতে পারিনাই, তয় ভিডিও দেখার পর হাস্তে হাস্তে মরে যাচ্ছি ভাইয়া।
কইছি ই তো, কোন মিল নাই
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ফাডাইয়ালাইছেন বস।
দাদু রক্স।
ডাকঘর | ছবিঘর
দাদু বস
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
শাদ এরশাদ অর্থাৎ এরশাদ পুত্রের পিতা এরশাদ নিজে কিনা এই নিয়ে সেই আমলে কথা চলত। শোনা যেত রাজনীতির সুবিধার্থে সে পুত্র ভাড়া করে এনেছে। দেখা যাচ্ছে পিতৃত্বের বাসনা মারত্মক, এখন আর সেটা পুত্রে সীমাবদ্ধ নেই, গোটা একটা খেলা সে পয়দা করেছে বলে দাবী করছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আরো কিছুদিন গেলে আরও অনেক কিছু পয়দা করার খবর পাওয়া যাইতে পারে
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
রাজনীতির ভিতরে খেলা মিশান ঠিক না।
হ, হককথা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বিশ্ব বেহায়া বলেও তৃপ্তি পাই না!!!
_____________________
Give Her Freedom!
ছিঃ! ক্রিকেটের পিতার এত্তবড় অপমান!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ফরমালিন দেয়া মাছের মত চির তরতাজা এরশাদাদু।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
অলওয়েজ ফ্রেশ
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এমন করেন কেন? সবারইতো বাবা হতে ইচ্ছা করে। বেচারা এমনিতে কারো বাবা হতে পারে নাই, তাই না ক্রিকেটের উপর অপত্য স্নেহ ঝাড়লো!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কে কইছে পারে নাই?
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
কিন্তু প্রশ্ন হইল, ক্রিকেটের জননীর দাবিদার আসলে কেঠা?
ধন্দে পইড়া গ্লাম
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
এত্তদিন অযোনিসম্ভবার নাম শুনছেন, অক্ষণ অলিঙ্গসম্ভবের উদাহরণ দেখেন : উনিই মা, কিন্তু পুরুষ তো, তাই নিজেরে বাপ দাবী করতেছেন। তবে অলৌকিকে বিশ্বাস করলে কইতে পারেন এরশাদ দাদু মা হইলে বাপ কিডা? :
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ক্রিকেটের এই ফাদাররে নিয়া বিদিশা জানি কী কইছিলো?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দাদু তো মিরপুর স্টেডিয়ামের ও পিতা
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন