এক।
বলুন তো, মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোনটি? সমাজ বিজ্ঞানীরা মানুষের মৌলিক অধিকারের তালিকা যা দিয়ে থাকেন, তা এই রকমঃ "খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন, ..."! ছোট বেলায় সমাজ-বিজ্ঞান বইতে আর বিভিন্ন রচনায় এইসব মুখস্থ করে উগড়ে দিয়েছি। কখনও ভেবে দেখিনি আসলে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো কী রকম! আবার, কবিদের কাছে যানঃ "জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি। দু'টি যদি জোটে, তবে অর্ধেকে, ফুল কিনে নিও হে অনুরাগী"! কবিদের কথা মোটেও বিশ্বাস করবেন না। তারা সবসময় সব আজেবাজে জিনিস ঢেকে রাখেন; রোমান্টিকতার জোশে তারা তিলকে মিল্কি ওয়ে বানিয়ে ফেলেন। যুগে যুগে কবিরা মানবসমাজের মেক-আপ কিংবা ফটোশপ হিসেবে কাজ করেনঃ মেক-আপ বা ফটোশপ আবিষ্কারের আগে, তারাই ছিলেন আমাদের সৌন্দর্যের তৃষ্ণার একমাত্র সাপ্লায়ার। বনলতা সেনকে নিয়ে যতই রোমান্টিসিজম করুন, বাস্তব জীবনে উনাকে সামনে পেলে আপনি দ্বিতীয়বার ফিরে না ও তাকাতে পারেন। আর তাছাড়া বাস্তবে ঐ এক পয়সা দিয়ে আপনি একটি ধুলিকণাও কিনতে পারবেন না, খাদ্য তো দূরের কথা! এক পয়সা এখন এন্টিক জিনিস; জাদুঘরের সামগ্রী হিসেবে বিক্রি করলে হয়তো একটি ধূলিকণা জুটলেও জুটতে পারে। সেইজন্যই আমার বাস্তববাদী সুকান্তকে খুব পছন্দ, "পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি!"
যাকগে, কবি বলেন বা সমাজ বিজ্ঞানী, সবাই যে জিনিসটি এড়িয়ে যান, তা হলোঃ খাদ্যের পরই মানুষের মৌলিক চাহিদার লিস্টে যে জিনিস থাকা উচিত তা খাদ্য প্রসেস করার পর বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়ার ব্যাপারটি- সোজা বাংলায় যাকে বলে "ত্যাগ করা"! মানব সমাজে ব্যাপারটি চিরকালই নোংরা ট্যাবু হিসেবে বিবেচিত; অথচ ঐটি হচ্ছে খাওয়ার পরই মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষ এই "ত্যাগ" সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন- ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন, "ত্যাগের আনন্দ তুলনাহীন"! সেই আমলে গোপাল ভাঁড়ের মত জ্ঞানী লোক বলে গিয়েছিলেন, "মহারাজ, আপনার পুত্রসন্তান জন্মদানের সংবাদে আমি ত্যাগের আনন্দ পেয়েছি"! মহারাজ নানা ক্যাঁচাল করে ঠিকই কিন্তু মানতে বাধ্য হয়েছিলেন। খাদ্যের জন্য মানুষ করতে পারেনা এমন কিছু নাই। কিন্তু এর পরপরই দরকারের সময় "ত্যাগ" করার জন্যও মানুষ করতে পারে না এমন কাজ নেই। সেইখানে ভদ্রতা-সভ্যতা-সম্পর্ক-শিক্ষা সবকিছুই তুচ্ছ। বিশ্বাস না হলে, ভরপেট দুইবেলা বিয়ে বাড়িতে খাওয়ার পর প্রবল চাপ এসেছে এমন কাউকে আটকে রাখার চেষ্টা করে দেখুন- চরম মুহূর্তে আপনি চান এমন যেকোন কিছুই তিনি আপনাকে বিনা দ্বিধায় দিতে রাজি থাকবেন। এই ত্যাগের আনন্দ চরম পুলকানন্দের চেয়ে কমতো নয়ই, বরং অনেক বেশি। সেটাও বিশ্বাস নাহলে, নিজেকে দিয়ে যাচাই করুনঃ মনে করুন আপনার সামনে মনিকা বেলুচ্চি এসে আপনাকে পুলক সাগরে ভাসিয়ে নিতে আহ্বান জানাচ্ছে, এমন সময় আপনার ত্যাগের প্রবল বেগ চাপলো। আপনি কোনটি বেছে নিবেন?
দুই।
বয়সন্ধিকালের সময় থেকে আপনার মনে যৌনতার যে বোধ বা বিপরীর লিঙ্গের প্রতি যে আকর্ষণ তাতে আপনি কবির ভূমিকায়ঃ বাস্তব জীবনের অনেক নোংরা জিনিস আপনার চোখ-মন এড়িয়ে যায়। কিন্তু যখন বুঝতে পারেন, ঐশ্বরিয়া রাই-ক্যাটরিনা কাইফ-মনিকা বেলুচ্চি-সালমা হায়েক থেকে শুরু করে সকল সুন্দরীকে বাতকর্ম সম্পাদন করতে হয়, তখন তা ধর্মানুভূতিতে আঘাত পাওয়ার মত অবস্থা হয়। এ বিশ্বাস করা কষ্ট তাই মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ে (সাবধান ১৮+)। প্রসঙ্গত বলে নিই, ঈশ্বর পুরুষ, আল্লাহ পুরুষ, গড পুরুষ, ভগবানও পুরুষ। তাই এই লেখাটিও জগতের সকল ধর্মগ্রন্থ- প্রথম আলোর নারী-পুরুষ সিরিজের মত পুরুষদের উদ্দেশ্যে পুরুষ দ্বারা রচিত। অন্যরা মাফ করবেন। তবে এই আকাশ ভাঙ্গার কষ্ট মানে মন ভাঙ্গার কষ্টের মত (মন ভাঙ্গা আর আচারের বয়াম ভাঙ্গা ...একই কথা)- নায়িকারা যতই সুন্দরী হোক, তবু মেনে নিতে হয়...দুনিয়া বড় নিষ্ঠুর।
জীবনের সবচেয়ে সুসময় হচ্ছে ন্যাংটাকাল। যত বড় হবেন, ততই সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেতে থাকবেন। ন্যাংটাকালের সবচেয়ে বড় সুবিধা, আপনার ত্যাগের স্বাধীনতা অবাধ। দুনিয়া আপনার জন্য, "যেমন ইচ্ছে লেখার আমার ত্যাগের খাতা"! আপনি কোন ব্লান্ডার করলেও কেউ তেমন কিছু মনে করেনা, বেশি ছোট হলে আপনার জন্য আছে ডায়াপার- আপনি কর্মটি করেই খালাস। আপনার পরিষ্কার কর্মটি থেকে শুরু করে বাকি সবকিছুই অন্যেরা করে দেয়। যত বড় বড় হবেন, মানুষ আপনাকে তত বেশি কম সহ্য করবে- আপনার ত্যাগের স্বাধীনতা তত কমতে থাকবে- লজ্জাও তত বাড়তে থাকবে। কোন এক বেকুব মনীষী বলে গেছেন, "লাজ-লজ্জা-ভয়, তিন থাকতে নয়" - অথবা আপনার সামাজিকতার সেন্সকে বিদ্ধ করে বলেছেন, "সংশয়ে-সংকল্প সদা টলে, পাছে লোকে কিছু বলে"! আবারও বলছি, এইসব লোকদের পাত্তা দেবেন না। ইনারা কখনো হয়তো সবার সামনে ব্যাপক চাপের সম্মুখীন হননি- হলে এই ধরণের কথা বলতে পারতেন না! প্রবল চাপের কারণে সবার সামনে ব্লান্ডার করার যে ভয়-যে লজ্জা তা তাচ্ছিল্য করার মত-তাকে জয় করার মত হারকিউলিস-বীরপুঙ্গব গোটা ইউনিভার্সে পয়দা হয়নি।
তিন।
আগেই বলেছি দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষ ত্যাগের ক্ষেত্রে খুব বেশি সৌভাগ্য নিয়ে আসেনি। অনেকে ঘন্টার পর ঘন্টা ত্যাগ করার বদ্ধ ঘরটিতে কাটিয়ে দিতে বাধ্য হন। দুনিয়ার জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিল্পকলা-কবিতা-সাহিত্য-গণিতের অগ্রগতিতে এই ঘন্টার পর ঘন্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে-রাখবে। এগুলো স্বাভাবিক কর্মঘন্টার চেয়েও অনেক বেশি কার্যকরী। স্কুলে থাকতে এক স্যার বিভিন্ন অংক সহজ করে করার পদ্ধতি আবিষ্কার করতেন বাথরুমে বসে। আমার এক কবি বন্ধুর কবিতা বেরোনোর সবচেয়ে এফেক্টিভ জায়গা ছিল সেই বাথরুম। শোনা যায় প্রচুর বিখ্যাত চলচ্চিত্রের আইডিয়ার উৎসও নাকি ঐ বদ্ধ ঘরটি। দুনিয়ার সকল কন্ঠশিল্পীর গলার পেছনে বাথরুমের খোলা দরজা অথবা প্রসেসিং ডিলে'র ভূমিকা অসামান্য। আর বাথরুমের দেয়ালে দেয়ালে যেসব শিল্পকর্ম-কাব্য-গল্প-চিত্রকল্প দেখা যায় তা লোকসমাজে আলোর মুখ দেখলে হূমায়ূন আহমেদ-মিলন-মকবুল ফিদাদের আর করে খেতে হতো না। নৃত্যশিল্পীদের ব্যাপারে আমি ঠিক শিওর না, তবে ঢাকা ও মিডল ইস্টের বিভিন্ন এয়ারপোর্টে এবং আরও নানা জায়গায় বাথরুমের অবস্থা দেখে আমি নৃত্যশিল্পের অগ্রগতিতেও এর ভূমিকা সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করিঃ কমোডের বাইরের দেয়ালে বা বদ্ধ ঘরের দেয়ালে অথবা চরমতম ক্ষেত্রে কমোডের উপরের লাগোয়া পানির টাংকির উপরে ত্যাগের চিহ্ন দেখে আমি বেশ কয়েকবার রীতিমত ভড়কে গিয়েছিলাম। কেউ নিশ্চয়ই সেখানে শীর্ষাসন প্র্যাকটিস করছিলেন!
এমনকী খেলাধুলায়ও বাথরুমের ভূমিকা অসামান্য। ম্যারাডোনা ও আর্জেন্টিনাকে ঐ বিষয় নিয়ে ভাবতে না হলে, গত বিশ্বকাপ তাদেরই হতো আমি নিশ্চিত!
নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, পরীক্ষার আগের দিন পিতৃদেব যখন পড়া ধরার জন্য বসতেন, বাথরুমে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতাম শুধু তার সামনে পরার ভয়ে। অন্যদিকে, গুপ্ত স্যারের নোট জাতীয় উচ্চমার্গের যাবতীয় জ্ঞানার্জনের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থানও ঐ বদ্ধ ঘরটি। তবে স্কুলে বাথরুমের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হতো, ইসলামিয়াত আর আরবী পরীক্ষার দিনঃ কমোড-প্যান-টাংকির উপরে যাবতীয় আরবী কোটেশন-সুরা-হাদিসের নিরাপদ বিনিময়ক্ষেত্র ছিল সেই জায়গাটি। একবার স্কুলের মৌলবী স্যার তিনজন পরীক্ষার্থীর একটি ছোট বদ্ধ ঘরে জ্ঞানের চোথা বিনিময়কে ভুল করে অন্য কিছু ভেবে প্রায় হার্ট এটাক করে ফেলেছিলেন- পরে জ্ঞানের চোথা ব্যতীত অন্য কিছু বিনিময়ের কথা স্বীকার না করায় সেই তিনজন ব্যাপক উত্তম-মধ্যম হজম করার মাধ্যমে আবার লোকসমাজে মুখ দেখানোর সম্মান অর্জন করে।
প্লেনের বাথরুমে হলিউডি নায়ক-নায়িকাদের রোমান্স দেখে ব্যাপক রোমাঞ্চিত হয়নি এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। কিছুদিন আগে শোনা গেল প্লেনের বাথরুমে বিখ্যাত অভিনেতা ৩৫ হাজার ফুট উপরের অভিজ্ঞতার কথা! তিনি নমস্য ব্যক্তি- সুপারম্যান। যারা প্লেনে উঠেছেন তারা জানেন, প্লেনের বাথরুমে নিজেকে ঢুকানোই অনেক সময় ব্যাপক পরিশ্রম ও বুদ্ধির কাজ হয়ে যায়। অলৌকিক ক্ষমতা ছাড়া ইনারা কীভাবে দুইজন ঐ জায়গাতে এঁটে যান, সেটা এক বিস্ময়! ইউরোপের অনেক বাথরুমে নিজের পুচ্ছদেশটি ছাড়া আর কিছু ঢুকানোর মত জায়গা অবশিষ্ট ছিলনা (আমি মোটা হতে পারি, কিন্তু অত মোটা না)!
চার।
তবে এর বিপরীত অভিজ্ঞতাও আছে। বুয়েটে এক পরীক্ষায় নিশ্চিত 'এ প্লাস'এর জায়গায় 'বি' পেতে বাধ্য হই হঠাৎ পরীক্ষার হলের মধ্যে শরীরের সেই দপ্তর ভয়ংকর বাগড়া দিয়ে বাথরুমে আধাঘন্টা আটকে রাখায়! এই অসময়ের প্রাকৃতিক ডাকের কারণে বহুবার কানের পাশ দিয়ে কামানের গোলা চলে গেছে- ক্লাসের অর্ধেক হাপিশ হয়ে গেছে- প্রেজেন্টেশন কনকর্ড গতির হয়ে গেছে-বাজারের ব্যাগে লাউয়ের জায়গায় ধনেপাতা উঠে পড়েছে- গন্তব্যের আগের স্টেশনে নেমে পড়তে হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই কোন এক অজানা কারণে কোন গুরুত্বপূর্ণ মিটিং, ইন্টারভিউ, পরীক্ষা, সকালে দ্রুত অফিস যাবার তাড়া, শালী-সখী সহযোগে নৌকা ভ্রমণ, লম্বা ভ্রমণ, এমনকী বিয়ের আগে শরীরের পরিপাক ও পয়ঃবিভাগ হরতাল-বনধ-স্ট্রাইক করে বসে, যাত্রা শুরুর ঠিক আগে হাজারবার চেষ্টা করেও কোন মানসম্মত আউটপুট পাওয়া যায় না। কিন্তু ঠিক মোক্ষম সময়টিতে লম্বা ছুটি কাটিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সহযোগে উনারা বিপুল বিক্রমে কাজ শুরু করে ব্যাপক চাপ তৈরি করেঃ প্রাসঙ্গিকভাবেই এইরকম অবস্থায় পড়েন নি, এমন লোক মনে হয় আসলেই বিরল!
আমার এক বন্ধু আইবিএস এর রোগী। যাত্রাপথে তাই একটু পরপর বিরতি নিতে হয় তার। প্রথমে বিরক্ত হতাম। এখন সে আমাদের রক্ষাকর্তা- পথ প্রদর্শক- জীবন্ত কিংবদন্তী! দুনিয়ার যে প্রান্তে সে পা দিয়েছে সেখানেই সে কিছু বিয়োগ অথবা ত্যাগ করেছে- এর সুফল পাই আমরা। কোন রাস্তার কোন চিপাতে, কোন বনের কোন কিনারায় একটা ত্যাগ করার মানসম্মত-রুচিসম্মত জায়গা পাওয়া যাবে তা আমরা জেনে নেই তার কাছে। জিপিএস আপনাকে সাহায্য করতে পারবে কোথায় আছে জানিয়ে, সে আপনাকে লোকেশনের সাথে গুণগত-প্রকৃতিগত চরিত্রও বলে দিবে। একবার আমরা এক হাইওয়েতে কয়েক বন্ধু ব্যাপক চাপের মুখমুখি অবস্থায় তাকে ফোন দিতেই সে ৫-১০ মিনিটের দূরত্বে দুই তিনটি অপশন সহ তার রেকমেন্ডেশন জানিয়ে দেয়- একটি পাড়াতো শপিং মলের পেছনের ওয়াশরুমের (সামনের টা নয়) ঠিকানা জানিয়ে দেয়- এবং আমরা সেখানে গিয়ে সেই ওয়াশরুমের কোয়ালিটি দেখে আসলেই মুগ্ধ হয়ে যাই!
পাঁচ।
উত্তর আমেরিকাতে আসার পর এই টয়লেট এবং তার সংক্রান্ত ভদ্রতা নিয়ে অনেক কিছু শিখতে হয়েছে। রেস্টরুম-ওয়াশরুম-জেন্টসরুম-বাথরুম-মেলরুম-লেডিসরুম নানা নামে ডাকা হয়। প্রথম যে জিনিসটি অবাক করে তা হলো, এরা এত খোলামেলা কেন??? আমাদের দেশের গ্রামে মুক্তবায়ুতে কর্ম সম্পাদনের মত এরাও এদের ত্যাগের জায়গাটি ব্যাপক খোলামেলা করে রাখেঃ প্রায় হাটুঁসমান উচ্চতা পর্যন্ত কোন আব্রু নাই, এদিক-সেদিক-ওদিক সবদিকেই বেশ খোলা- কে ভেতরে আছে তা বাইরে থেকে বলে দেয়া যায়। মনে হয়, বিল্ডিং বানাতে গিয়ে ম্যাটেরিয়ালস কম পড়ে যায় সবসময়-বাজেটে টান পড়ে- তাই ওখানে আমেরিকানরা কৃচ্ছতা সাধন করে । কে কী শব্দ করলো, কী গন্ধ ছাড়লো- সব ইনফরমেশন মনে হয় মানুষকে জানানো খুব জরুরী। মাঝে মাঝে স্টলগুলো এত চাপা থাকে যে পাশের স্টলের লোকটির শ্বাস নেয়ার শব্দ-চাপ প্রয়োগের শব্দ-তার ত্যাগকৃত জিনিসের গন্ধ-এমনকী তার মুখের গন্ধও আপনি পেয়ে যেতে পারেন! একটি সিংগেল খাটে প্রিয়ার সাথে শুয়ে থাকলেও আপনি তার এত কাছে যেতে পারবেন বলে মনে হয় না!
এখানে এসে আরেকটি জিনিস জানতে পারি, জনসমক্ষে আপনি শুধু ঐ একটি জায়গায় বায়ুত্যাগ করলে ভদ্রতার লিমিট ভঙ্গ করবেন না। প্রসঙ্গত তিনটা সুতার সমন্বয়ে তৈরি বিকিনি, তিন গজের অন্তর্বাসের চেয়ে বেশি ভদ্রতাসম্পন্ন! এখানে স্নানঘর-সুইমিংপুলের চেঞ্জ-সও'না রুমে মানুষজন পুরো নাঙা ঘুরে বেড়ায় (হ্যাঁ এইটা সিনেমাতেও দেখায়!)। বিশেষতঃ একটু বয়স্ক লোকজন যেভাবে নাঙ্গা অবস্থায় ঘুরতে থাকে তা দেখে নিজেরই লজ্জা লাগতে পারে- মাঝে মাঝে কারও কারও চাহনি দেখে অনিরাপদও বোধ করতে পারেন। কিন্তু বাথরুমে আপনি আবার তা করতে পারবেন না!
আমি যে দেশটিতে আছি, সেই কানাডাতে বাথরুমের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটা আমাদের দেশের কাঁচা পায়খানার মতো- এর পেছনে ব্যয় করার মানে নেই। বিশাল বাড়িতেও একটি মাত্র রেস্টরুম থাকা বিরল নয়। ট্রেন স্টেশন-বাস স্টেশনে আপনি কোন রেস্টরুম পাবেন না। এই দেশটি ভয়ংকর সুন্দর, তাই এখানে লোকজন মনে হয় ভাবেঃ নোংরা কাজের জায়গা যত কম থাকে ততই ভাল। তাই লংড্রাইভে বের হওয়ার আগে সবাই নিজেকে হালকা করে নিতে বাধ্য হয়। অঘটনের সংকেত পেলে, 'ইয়া নফসী', আল্লাহ সাহায্য করো, ভগবান-যীশু-গড-বুদ্ধ রক্ষা করো জপ করা ছাড়া গতি নেই।
বাথরুম সংক্রান্ত আর একটি কথা বলে আজকের লেখার ইতি টানছি। এদেশে আসার পর ইউনিভার্সিটিতে ব্যাপক আলোচনা শুনি- কাগজে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে থাকেঃ বাথরুমের দরজায় লিঙ্গ নির্ধারক চিহ্ন ঝুলানো নিয়ে! কারও কারও দাবী থাকে, সব বাথরুম ইউনিসেক্স করা হোক। কেউ বলেন, বাথরুম হতে হবে তিন রকমেরঃ পুরুষদের জন্য, মহিলাদের জন্য, এবং ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য। অনেকেই আছেন এখানে যারা জন্ম পুরুষ হিসেবে, নিজেকে নারী মনে করেন (এবং ভাইস ভার্সা)। তাই তিনি নারীদের বাথরুমে প্রবেশ করতে চান- তাকে সেটা করতে না দিলে সেটা তার মানবাধিকারের লংঘন- তিনি মামলা করে দিতে পারেন (কানাডা মানবাধিকারের দেশ, তাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী নূর চৌধুরী এখানে বহাল তবিয়তে আছে!)! অন্যদিকে যারা স্বাভাবিক নারী বা পুরুষ তারা তাদের প্রাইভেসি-অবাধ স্বাধীনতা নষ্ট হোক সেটা মানবেন না। তাদের কথা, যাদের ঈমাণদন্ড আছে তারা পুরুষদেরটাতে ঢুকবে, যাদের নেই তারা মেয়েদেরটাতে! এখনো এই বিতর্ক চলছে- দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়!
মন্তব্য
আপনাদের ঐদিকে বাথরুম নাই?!! আমাদের এদিকে তো বাথরুমের কোন অভাব নাই। আপনারা কি বেহেশতের খাবার খান যে বাথরুম লাগে না?
আচ্ছা, এদের দেশে বাথরুমের উপরে নীচে এত খোলা থাকে কেন কেউ জানেন?
না, পিপিদা! ওয়েস্টে এরা বেশি পরিবেশবাদী মনে হয়! আলবার্টাতে পাবলিক বাথরুমের দেখা পেতে হাবল টেলিস্কোপ লাগে।
ঐটাতো আমারও প্রশ্ন!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
দীর্ঘ সময় কাটানোর পরেও পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে যাতে জেট ল্যাগের অনুরূপ 'এস্তেঞ্জা ল্যাগ' না হয়, সেজন্য।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাতাস চলাচলের জন্যে!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
হুম, নিজে একা একা গন্ধ খেলে হবে? সবাইকে ভাগ দিতে হবে তো
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হাহাপগে ইমোটা খুজে পাচ্ছি না
আমার এক বন্ধুর মতে মানুষের মৌলিক অধিকার তিনটা। খাওয়া, ঘুম, পায়খানা। সমাজবিজ্ঞানীদের চেয়ে আমার কাছে ওরটাই গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে।
এই প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে দেখি আমি ছাড়াও আরো অনেকে চিন্তাভাবনা করে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হ্যাঁ, ঐ তিনটাই আসল! বাকি সব ছাড়াও কোন না কোনভাবে চলে যায়!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অনেকদিন পর আপ্নার লেখা পড়লাম! আর হাসলাম প্রাণ খুলে! একটা ক্লাসিক লেখা হয়েছে, স্বপ্নহারা ভাই!
আমার এক পরিচিত আছেন, যিনি ড্রাইভারকে বাধ্য করেছিলেন হাইওয়েতে বাস থামাতে! রাস্তার ধারে কোন খাদ বা উন্মুক্ত জায়গা ছিল না, ছিল বাড়ি-ঘর! উনি পড়িমরি করে দৌড় লাগালেন ঐ বাড়িরই একটি দৃশ্যমান বদনার দিকে! অচেনা বাড়িটির লোকজন অবাক চোখে তাকিয়ে ছিল শুধু! কিছুই বলেনি! আসলে 'ত্যাগ' একটি ইউনিভার্সাল গুন কিনা!
শুধু বয়স্ক লোকজনই নাঙ্গা ঘুরে বেড়ায়? সবশেষে, একটা কথা, আপনার এই লেখাটার আইডিয়া বাথরুমে পয়দা হয় নাই তো?
পয়দার স্থান ঠিক ধরেছেন!
ধন্যবাদ
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
চার-এর শুরুতে লিঙ্ক করতে গিয়ে ঘেঁটে গেছে।
কই দেখছি না তো?
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অনেকের ক্ষেত্রেই কোন এক অজানা কারণে কোন গুরুত্বপূর্ণ মিটিং, ইন্টারভিউ, পরীক্ষা, সকালে দ্রুত অফিস যাবার তাড়া, শালী-সখী সহযোগে নৌকা ভ্রমণ, লম্বা ভ্রমণ, এমনকী বিয়ের আগে শরীরের পরিপাক ও পয়ঃবিভাগ হরতাল-বনধ-স্ট্রাইক করে বসে, যাত্রা শুরুর ঠিক আগে হাজারবার চেষ্টা করেও কোন মানসম্মত আউটপুট পাওয়া যায় না। কিন্তু ঠিক মোক্ষম সময়টিতে লম্বা ছুটি কাটিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সহযোগে উনারা বিপুল বিক্রমে কাজ শুরু করে ব্যাপক চাপ তৈরি করেঃ প্রাসঙ্গিকভাবেই এইরকম অবস্থায় পড়েন নি, এমন লোক মনে হয় আসলেই বিরল!
এই পুরো অংশটা ওই 9gag ছবিটায় লিঙ্কড, এটা কি ইচ্ছা করেই? তাহলে আমারি ভুল।
হ্যাঁ- দেব যখন, পুরোটাই দিই
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটা পড়ে গোপাল ভাঁড়ের গল্পটা মনে পড়ে গেলো। আচ্ছা কেউ কী বলতে পরবেন ঢাকার ট্র্যফিক জামে TAP (ট্রিমিন্ডাস ইউরিনাল প্রেসার) নিয়ে আটকা পড়লে তার কী উপায়?
--------------------------------------------------------------------------------
মেয়েদের উপায় কি জানিনা! ছেলেদেরতো আগে ড্রেন ছিল, এখন আর নাই। মনে হয় ডায়াপার ছাড়া উপায় নাই।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
কোন উপায় হয়না। আমি আগে মিরপুর থেকে শাহবাগ আসতে হলে বের হবার ৪০ মিন্ট আগে পানি পান করা বন্ধ করে দিতাম আর বের হবার ঠিক আগে একবার ব্লাডার খালি করে বের হতাম। আর এখন পথে বের হতে গেলেই এই কাজ করি। যখন নিরাপদ দূরত্ব পার হয়ে যাই, তখন (ব্যাগে পানির বোতল রাখা থাকে ) পানি খাই।
বুঝলাম। ভাইজান বোধহয় সেনিটারি ইঞ্জিনিয়ার কিংবা বাথরুম ফিটিংয়ের জিনিসপত্রের দোকান আছে ভাইজানের তাই এগুলোর বাজার বাড়ানোর জন্য এই বিজ্ঞানসম্মত মার্কেটিং
০২
কিন্তু তেব্র আপত্তি জানাচ্ছি শিরোনামে বাথরুম নাম দিয়ে শুরু করে ওই বিষয়ে কবি সাহিত্যিকদের উদাসীনতার অভিযোগরে প্রতি
দুনিয়াতে কবিরা স্নানরত মেয়েদের নিয়ে যত কবিতা লিখেছে আর শিল্পীরা যত ছবি এঁকেছে বর্তমান যুগের সাবানের বিজ্ঞাপন নির্মাতাগণ ছাড়া আর কেউ সেই রেকর্ড স্পর্শ করতে পারবে কি না সন্দেহ (বাথ হইলেই তো হইল। তা রুমে হোক আর উন্মুক্ত নদীর পাড়ে হোক। যদিও এক্ষেত্রে নারী পুরুষ বৈষম্যের অভিযোগ আনা সম্ভব)
অথচ রফিক আজাদ কিংবা সুকান্তের মতো দুচারজন কবি আর জয়নুলের মতো দুচারজন শিল্পীর বেশি কেউ কিন্তু খাবারদাবার নিয়ে কিচ্ছু বলেনি....
০৩
লেখার শিরোনামখান কিন্তু বাথরুমের বদলে হাগুরুম হৈলে ভালৈত
০৪
আধুনিক রাজমিস্ত্রিরা কিন্তু খুবই হাগুসচেতন। বেশিরভাগ বাড়িতেই তারা দেয়ালের এইপাশে কিচেন রাখলে কিন্তু ওই পাশে হাগুখানা তৈয়ার করেন। মানে ইনকামিং আর আউটগয়িং দেয়ালের এইপাশে আর ওইপাশে (মাঝে মাঝে একই কানেকশনে)
বাকিসব ফুটানি দূরে দূরে
হাহাহাহাহ! এইদেশে ঐ দোকান থাকলে ফাডালাইতাম
ঐতো কবিদের দৌড় স্নান পর্যন্তই- তার আগে যা হইলো ঐদিকে কবিদের দৃষ্টি নাই! স্নানঘরে কবিরা এত উঁকি দেয়, হাগাঘরে দেয় না কেন?
হ, তা-ই দিতে চাইছিলাম, কিন্তু সভ্য সমাজের কথা চিন্তা কইরা বাথরুমই দিলাম :
কন কী? হ, ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন আর কী!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আমরা ভার্সিটিতে থাকতে একটা বড় থিয়োরি আবিষ্কার করছিলাম, " বিড়াল না মেরে, আপনি হাগু করতে পারবেন, কিন্তু হাগু না করে আপনি বিড়াল মারতে পারবেন না।" বিড়াল মারা রূপকার্থে।
কোন বিড়ালের কথা কন, ভাবতেছি!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অনেকদিন পরে লিখলেন
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হ ভাই, দৌড়ের উপর থাকি।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বড় হওয়ার পরেই আসলে এক্ষেত্রে সবাই ভুল বোঝে
হুম, বড় হওয়া বড়ই কষ্ট!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হিগস-বোসন নিয়ে জ্ঞানলাভ করে এখন এই বাথরুম ব্যাপারটাকেও বেশ বিজ্ঞানসম্মত মনে হচ্ছে- বোসন দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে আউটপুট হলো ফার্মিয়ন
এই চাপ প্রয়োগকারী কণার নামও হিগস-বোসনের সাথে মিলিয়ে হাগস-বোসন বা হাগা-বসুকণা রাখা যায়
হাগা-বসা হইলে ভাল হইতো না?
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হে হে।
(গুড়)
নজূ ভাইয়ের বিখ্যাত কবিতা মনে পড়ে গেল- হলুদ কিছু ইয়ে!
লেখা ধুন্ধুমার, উত্তর মেরুতে বরফ খুঁড়ে তৈরি হাগুরুমে যেয়ে কি দুরবস্থা হয়েছিল! ইউটিউবে দেখতে পারেন, খাওয়ার ঠিক আগে বা ঠিক পরে দেইখেন না।
facebook
আচ্ছা দেখবো। ধন্যবাদ গুরুদেব!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বাথরুেমর চাইেত জরুরী আর িকছুই নাই।
খাওয়ার পরেই বাথ্রুম। সমাজ বিজ্ঞানীরা ভুল জিনিস শেখায় খালি!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
পাব্লিক বাথ্রুমের দরজার উপর নিচ খোলা শুধু তাই না, সাইডেও ব্যাপক ফাঁক। খুবই শরমের ব্যাপার।
..................................................................
#Banshibir.
হ, সব দেখা যায়, সব শোনা যায়, সব কিছুর স্বাদও পাওয়া যায়- মনে হয় ঐটা সবার সাথে শেয়ার করার জিনিস। এই এক বিষয়ে ইনারা সাম্যবাদী- হিসু করতে আইছো তো কী হইছে, আমার ইয়ে'র টেস্ট নিয়া যাও।
ইউনিভার্সিটিতে নানাদেশী পুলাপাইন টিস্যু দিয়ে ফাঁক বন্ধ করতো। পরদিন এসে আবার ক্লিনার নিয়ে যেতো
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বাথরুমে যাবার অনেক উপলক্ষ্যের কথা বললেন । অনেক গুলোই মিলে গেছে তবে পরিক্ষার হলে বাথরুমে যাবার সেই মুহূর্ত গুলো মনে পড়ে গেলো । প্রতিটা ক্লাসেই একটা পার্টি থাকে এদের মধ্যে আবার খুব মিল মিশ । একটা টাইম ফিক্স করা থাকে পরিক্ষা চলাকালীন । মোটামুটি ৫-৭ মিনিটের একটা স্ট্যান্ডিং এ অনেক কিছু এরা শেয়ার করে ফেলে এর বাথরুমে । বরাবরই এই পার্টিতে ছিলাম
হ, স্কুলের ঐটা ইচ্ছা করে কই নাই। "১ ঘন্টা পর বাথরুমে আসিস" মেট্রিক পরীক্ষার সময় সব রুম থেকে একজন রিপ্রেজেন্টেটিভ জমা হতো
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জী, হক কথা।
উপরের লাইন পড়ে কৈশোর কালের কথা মনে পড়ল যখন ধড়াস ধড়াস করে প্রেমে পড়তাম আর উঠতে পারতাম না। তখন এক "জ্ঞানী" বন্ধু বুদ্ধি দিল "শোন্, যে মেয়ের প্রেমে পড়ছস ঐ মেয়েরে কল্পনা করবি টাট্টি খানায় বাংলা স্টাইলে বইসা হাগতেসে। চাইলে আরো কিসু চিন্তা কইরা লইস নিজ দায়িত্বে। একতরফা প্রেম বা ছ্যাকা থেকে উঠার এইটা হইলো বেস্ট উপায়।"
স্বীকার করতে দি্বধা নেই, ঐ বুদ্ধিতে বেশ কাজ হয়েছিল।
আমার হয় নাই কবি মন স্নানঘর পর্যন্ত ঢুকতে পারতো, টাট্টিখানায় না
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
স্কুল জীবনের শেষদিকে আর কলেজ জীবনে বাথরুম আমাদের খুব প্রিয় একটা জায়গা ছিলো। তবে সেটা একমাত্র হাগার জন্যে না।
আফগানিস্তানে এসে বেশ কিছু বাড়ি দেখতে হলো গেস্ট হাউস বানানোর জন্যে। ওরা বাথরুমকে বলছিলো 'বাদ্রুম'।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বাদ-রুম?
আর ক্লাস নাইন রোগের দিকে না যাই
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
একটা গল্প শেয়ার করি এখানে।
বিকেলের ঘুমটা মাটি করিয়ে দিয়ে কোন এক বেরসিক অনেকক্ষণ ধরে বেল বাজিয়ে যাচ্ছিল দরজার। ঘরে কেউ নেই। অগত্যা আমাকেই উঠতে হল চোখ কচলাতে কচলাতে। দরজা খুলেই দেখলাম অপরিচিত এক লোক ' আমি শেষ, আমি শেষ' টাইপের বিরস-বদন নিয়ে বিচিত্র এক ভঙ্গীতে দাঁড়িয়ে।ভদ্রলোককে আগে কখনও দেখেছি বলেও মনে হলনা। কিছু বলার আগেই উনি ঝটিকা প্রশ্ন করে বসলেন, " দাদা আছে, দাদা?'' বুঝলাম বাবা'র বন্ধুস্থাণীয়। মাথা নাড়াতেই বেচারা যন্ত্রণায় কঁকিয়ে উঠে আবার জিজ্ঞেস করল, '' বৌদি আছে নিশ্চয়ই ঘরে?'' '' উঁহু, মাও বাইরে''। " তাহলে নিলাদ্রীকে ডাক খোকা''। '' মেজ'দাও পড়তে গেছে, ঘরে কেউ নেই, আপনি পড়ে আসেন কাকু''। কথা শেষ করতে পারিনি, অমনি এক ধাক্কায় আমাকে সরিয়ে ভদ্রলোক ঘরের ভেতর ঢুকে বললেন, '' পায়খানাটা কোনদিকে?'' দেখিয়ে দিলাম। টয়লেট থেকে এরপর ইরাক যুদ্ধের কামান দাগার মতন শব্দ আসতে লাগল মুহুর্মুহু।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ঐরকম ঘটনা বা কাছাকাছি ঘটনার অভিজ্ঞতা আমার নিজেরই আছে
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ত্যাগের মহিমা যে জানে না, তার জীবনের সমস্ত জ্ঞানই বৃথা! মজা লাগল লেখাটা!
হ, ত্যাগ করা তিনদিন বন্ধ থাকলে তখন আরও কষে ব্যাপারটা বোঝা যায়। :
ধন্যবাদ
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
গায়ে(র) হলুদ নিয়ে বেশ একখান সুবাসিত লিখা হয়ে গেল। ছোট বেলা থেকে আমি আবার পিছনের দরজায় তালা দেয়াতে চ্যাম্পিয়ন। এক ঈদে গ্রামে গিয়ে ৭ দিন কুলুপ মেরে ছিলাম। শুধু তাই না স্কুল, কলেজ বা মেডিকেলে কোনদিন ঐ আতর দেয়া ঘরে উচ্চমার্গের কাজ সারতে হয়নি বলে অভিজ্ঞতার ঝুলি খালি প্রায় শূন্য
যাক, অন্যান্য বেসিক ব্যাপারে আরও লিখা হবে আশা করি
বেশ গন্ধময় লেখা...
কানাডাতে পাবলিক বাথরুম নেই জেনে খুব মজা পেলাম
একদম যে নাই তা না। জায়গা বুঝে মোটামুটি ভাল সংখ্যায়ই আছে। এডমন্টনে ৮২ এভিনিউ বলে একটা রাস্তা আছে। রাস্তার দুইপাশে প্রচুর দোকানপাট। আর সেই দোকানপাটের মধ্যে আছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ড্যান্সবার, বার, পাব ও রেস্তোরা। ফ্রাইডে নাইট আর স্যাটারডে নাইটে কানাডিয়ান পোলাপানের মাথার ঠিক থাকে না। তাদের তখন কাজই হচ্ছে ড্রিঙ্ক করা। স্বাভাবিকভাবেই, যত বেশি ড্রিঙ্ক, তত বেশি পিসু। ফলাফল, চাপ সাম্লাতে না পেরে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে রাস্তার উপরই কর্ম সম্পাদন। আর রাস্তার উপর কর্ম সম্পাদন মানেই হচ্ছে গুলিস্তান গুলিস্তান গন্ধ। এই অবস্থাই দেকছিলাম গত কয়েক বছর ধরে। গত সপ্তাহে দেখলাম অনেকগুলি বার এর মাঝে একটা জায়গায় ঝকঝকে তকতকে একটা পাব্লিক টয়লেট। আরো কাজ চলছে দেখলাম। আর এইখানে বেশ ভাল সংখ্যক মার্কেট, কফি শপ, আর গ্রোসারি আছে। আপনার দরকার হলে যে কোন এক্টাতে ঢুকে গেলেই হল। পানি পাবেন না, কিন্তু টিস্যু অবশ্যই থাকবে। তই কানাডায় পাব্লিক টয়লেটের তেমন একটা দরকার নেই।
ত্যাগের টানটান উত্তেজনার বিস্ফোরণ অনুভব করছি কেপ কেনেডি উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে। যাই, একটু আধুনিক সমাজবিজ্ঞান অধ্যয়ন করে আসি...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাটি কিলাকিলির ইমো হপে এইখানে
হি হি হি।ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভোগে নয়---এই বাক্যের প্রকৃত ভাব-সম্প্রসারণ এদ্দিনে পাইলাম!!
সুবর্ণনন্দিনী
ত্যাগের আনন্দ তুলনাহীন!! গত রাতে আমি টের পেয়েছি।।
পুরাই পাংখা পোস্ট। আমার নিজের জায়গা-অজায়গা, টাইম-বেটাইমে প্রকৃতিদেবী'র ডাকাডাকি সহ্য করতে হয়। তবে কিনা খোদার অপার মহিমা- ঢাকা শহরে শপিং মলের অভাব নাই
এখন ইমার্জেন্সী কাজে হাত দেয়ার আগে "ইমোটিল" খায়া যাই
আলতাইর
হাহাহাহাহাহাহাহাহা পাগল হয়ে গেলাম হাসতে হাসতে
উন্মাদের একটা পোষ্টার/স্টিকার ছিল। ঐ ঘরের অভ্যন্তরের ছবি, নিচে লেখা - ত্যাগের আনন্দ অপরিসীম।
লেখায়
বিপ্লবী স্বপ্ন
নতুন মন্তব্য করুন