যখন বাবরী মসজিদ ধংসের পর উপমহাদেশে সংখ্যালঘুদের বিনাশ-নিশ্চিহ্ন করা হয়- ভাবি, ঈশ্বর কি করছেন?
যখন ইরাক বিধ্বস্ত হয়- মনে হয়, ঈশ্বর এখন কোথায়?
যখন দেশে-দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-অত্যাচার অথবা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়- চিন্তা করি, ঈশ্বর আসলে কেন?
যখন রামুতে সব ধংস হয়- মনে জাগে, ঈশ্বর কি করেন?
যখন সংখ্যাগুরু রাখাইনরা রোহিঙ্গাদের নির্মূল করে- প্রশ্ন জাগে, ঈশ্বর কী ভাবেন?
যখন প্যালেস্টাইনে বোমার আঘাতে আঘাতে নিরপরাধ শিশু মারা যায়- ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয় অসহায় মানবতা আর অসীম ক্ষমতাশালীরা তাকে বলেন, 'আত্মরক্ষা'- জানতে ইচ্ছে হয়, ঈশ্বর আসলে কার?
- উত্তর আসে, "ঈশ্বর" যুগে-যুগে-কালে কালে-দেশে-দেশে সবল-ক্ষমতাশালী-ধনী-সংখ্যাগুরুর পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে চলা একজন অত্যাচারী, সামরিক বা কূটনৈতিক সত্ত্বা!
গরীব, অনাহারী, নির্যাতিত, দুর্বল, সংখ্যালঘু, আশ্রয়হীন, সম্বলহীন, নিরপরাধ, অসহায়ের জন্য "ঈশ্বর" এক বৃহন্নলা অথবা অস্তিত্বহীন এক ভ্রান্ত ধারমা!
মন্তব্য
এক কথায় অসাধারণ।
ফারাসাত
কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত তার 'প্রশ্ন' কবিতায় দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিলেন এই বলে,
অসাধারণ সব বাক্যবাণ, স্বপ্নহারা ভাই!
ছবি দেখে আর খবর পড়ে মনটা খুব খারাপ হচ্ছে!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এর চেয়ে সত্য কথা কেউ বলে নাই!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ঈশ্বর সবসময় শিকারীর, শিকারের নয়!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অসাধারণ।
প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত সত্য হয়ে সামনে দাঁড়ানো প্রশ্ন ও মিমাংসা।
স্বয়ম
আর কোথায়- ঈশ্বরের জন্ম যেখানে, সেখানেই। মানুষের মনে।
facebook
মহাপন্ডিত 'বাণ' যিনি 'দুর্মুখ' নামেই অধিক পরিচিত, তিনি আজ থেকে প্রায় সাড়ে ষোলশ বছর আগে বলেছিলেন, "যদি সত্যই এই জগৎকে দেখাশোনার কেউ থাকতো, তবে এই বঞ্চনা, এই অন্ধকার এক মুহূর্তের জন্যও সে বরদাস্ত করতোনা।"
তাঁর সময়ের আর এক মহাপন্ডিত, নালন্দার শিক্ষাগুরু তার্কিক শ্রেষ্ঠ 'ধর্মকীর্তি'র সেই বিশেষ উক্তি, "বুদ্ধির উপর পুথিকে স্থান দেওয়া, ঈশ্বরকে সংসারের কর্তা মনে করা, ধর্মপালনের ইচ্ছা, জন্ম-জাতির অভিমান, পাপক্ষয় করার জন্য শরীরকে সন্তপ্ত করা- বিবেচনাহীন জড়ত্বের পঞ্চলক্ষণ এগুলি।"
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অসাধারণ !
সম্পূর্ণ একমত কথাগুলোর সাথে। খুব চমৎকার বলেছেন স্বপ্নহারা ভাই।
কষ্টের কথা হলেও সত্য!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হতাশার কথা নাকি অবিশ্বাসের?
বুঝতে পারলাম না।
মানুষের অন্যায় ইশ্বরের অনস্তিত্ব প্রমান করে না।
ঈশ্বরের অনস্তিত্ব কেডা কইল এখানে? ঈশ্বর তো কিলিয়ার আছে। লাইনটা পড়েন,
আপনে যদি গরীব, অনাহারী, নির্যাতিত, দুর্বল, সংখ্যালঘু, আশ্রয়হীন, সম্বলহীন, নিরপরাধ না হন আপনার জন্যে ঈশ্বর অবশ্যই আছে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হতাশা নাকি অবিশ্বাস- তাতো বুঝি না!
কিসে ঈশ্বরের অনস্তিত্ব বা অস্তিত্ব প্রমাণ হয় সেটা নিয়ে মাথা ব্যথা নাই। তবে সে থাকলেও লাভ নাই, না থাকলেও লোকসান নাই- এটাই আজকাল মনে হয়!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
কিন্তু মানুষের অসহায় মুহুর্তেও তো তাকে পাওয়া যায়না। কয়েকদিন আগে সকালের কাগজ খুলেই দেখি পেনসিলভেনিয়া চিড়িয়াখানায় একটা ২ বছরের বাচ্চা কিছু বন্য কুকুরের খাঁচার রেলিঙের ওপাশে উল্টে পড়ে যায়। এরপর কুকুরগুলো খাঁচার ওপাশে আর্তনাদ করতে থাকা মায়ের চোখের সামনে বাচ্চাটাকে খুবলে খুবলে খেয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা আসতে আসতে শিশুটির শরীর নিথর হয়ে গেছে। ঈশ্বর বোধহয় তখন উপরে বসে সিনেমা দেখেছে।
এখানেই মূল বিষয় অভাগার জন্য কেউ নেই। না আছে মানুষ না ঈশ্বর!
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
অভাগাদের জন্য আসলেই কেউ নেই, কোনদিন ছিল না, থাকবেও না
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আসলে ঈশ্বর এক বারবনিতা। যে টাকা দেবে ঈশ্বর তার সাথেই সহবাস করবে।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
সহমত সহবস
ঈশ্বর থাকেন ঐ ভদ্র-সমাজে- ঐ বাবুদের পাড়ায়...
ঈশ্বর আছেন ঐ ভদ্র পল্লিতে, এখানে তাহাকে খুজিয়া পাওয়া যাইবে না।
অমি_বন্যা
হ্যাঁ
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
মানুষের বানানো মন্দির বা মসজিদে বসে বসে সংখ্যাগুরুদের সাথে মিটিংয়ে ব্যাস্ত কি করে সংখ্যালগুদের মারা যায়
এই পিচাশি কাজ কারবার কবে সে বন্ধ হবে !!!!!!!!!
ভাল লেখা
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অসাধারণ একটা লিখা ভাইয়া।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অত্যাচার-নির্যাতন-অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষকেই নবেশ্বর হৈয়া উঠিতে হৈবে- এছাড়া আর কোন খোলা-পথ দেখি না!
_____________________
Give Her Freedom!
মানুষই ঈশ্বর- শুধু তার মহিমাটাই অনুপস্থিত মানুষের মাঝে। সেই মহিমা মানুষের মাঝে ধরা দেয়ার আগেই হয়তো সভ্যতার বিলুপ্তি ঘটবে- ঈশ্বরের নামে!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
চমৎকার
অসাধারণ একটা কথা বলেছেন...
সানি
-- রামগরুড়
ভ্রান্ত ধারমা! বিশ-পঁচিশ বছর আগেই আমি টের পেয়েছিলুম।
আমিও আজকাল টের পাই।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
দারুন!
কিন্তু এসব দারুন কথা কখনোই শোনে না ঈশ্বর!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
নাহ, ঈশ্বরও তার চাটুকার পরিবেষ্টিত থাকতে পছন্দ করেন- গরীবের কষ্ট তার অবধি পৌঁছায় না!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ভাইরে! ভগবানের লীলাখেলা বোঝা বড় দায়!! তিনি নিজেই যদি ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা করবেন(কিংবা করতে পারবেন), তাহলে আর এত কাহিনী করে মানুষ সৃষ্টি করেছেন কেন? তিনি গরীব সৃষ্টি করেছেন, ধনীও সৃষ্টি করেছেন, এখন ধনীদের নির্দেশ দিয়েছেন গরীবদের দান খয়রাত কর- যে সব ধনী সে নির্দেশ পালন করবে, তাদের স্বর্গে স্থান দেবেন, নির্দেশ অমান্যকারীদের নরকে ফেলে দিবেন। আর গরীবদের মধ্যে যারা ধৈর্য ধারন করে অসহনীয় দারিদ্র এবং তৎসম্পর্কিত নানা বালা মুসিবত পারি দিবেন এবং আল্লা আল্লা করবেন, তাদের জন্য রেয়েছে বেহেস্ত নসীবের সুযোগ, যারা তা না করবেন তারা কচুকাটা হয়ে পুলসিরাতের নিচে দোজখে নিপতিত হবেন। এখন ধনীদের মধ্যে যারা দান-খয়রাতও করবে না, আবার নামাজ-হ্বজ্জ-জিহাদও পালন করবে না, তাদের ধাক্কা দিয়া সবচেয়ে কঠিন হাবিয়া দোজখে ফেলাইয়া দেওয়া হবে, গরীবদের ক্ষেত্রেও ধৈর্য ধারনে অক্ষম এবং তৎসঙ্গে নামাজ-রোজায় অনিয়মিত, তাদের জন্যও একই শাস্তি। দান-খয়রাতের ঔদার্য, নামাজ-রোজার একনিষ্ঠতা, আকা-কুকামে(এইটা যে আসলে কি তা আপনাকে গবেষনা করিয়া বাহির করিতে হইবে) হইতে থাকা, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে ধৈর্য ধারন এবং পরম দয়াময়ের সাহায্য কামনা, এসবের চুলচেরা বিশ্লেষনের উপর নির্ভর করে ব্যাক্তি বিশেষকে দোজখে কিংবা বেহেস্তে কিংবা স্বর্গ কিংবা নরকে স্থান দেওয়া হবে, গ্রেডেরও তারতম্য হবে।
আপনি যদি মোমিন মুসলমান হন তহলে রামুর ঘটনায় কষ্ট পাওয়ার কিছু নাই, এভাবে মাঝে মাঝে কাফের মারা জায়েজ আছে, আল্লাহ খুশী হন। প্যালেষ্টাইন, আরাকান ষ্টেট, আফগানিস্তান, ইরাকে ইয়াহুদি নাসারা কাফেররা যে জুলুম করতেছে তা আসলে হাক্কানী মুসলেমিনদের জন্য ঈমানী পরীক্ষা, যারা সে পরীক্ষায় পাস করবে, তাদের জন্য নিশ্চই...........। আর আপনি যদি নিষ্ঠবান হিন্দু হন, বাবরী মসজিদ এবং নেড়ে মুসলমানদের বিষয়ে দুঃখিত হওয়ার কিছু নাই, রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠায় এসবের দরকার আছে।
সকলি তার লীলাখেলা, আমাদের নিয়ে তিনি খেলা করেন, সে খেলায় আমাদের দোজখ কিংবা বেহেস্ত প্রেরন করে তিনি বিমলানন্দ লাভ করেন, আমরা খেলার গুটি মাত্র। বলুল সোভাহানাল্লাহ!
আব্দুল্লাহ এ.এম.
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এই সবই তো ঈশ্বরের লীলা। খেলিছেন তিনি এ বিশ্বলয়ে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হ্যাঁ, নর্দমার শিশুটি কুকুরের মুখ থেকে ছিনিয়ে এনে যে খাবার খায় তার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানায়। প্যালেষ্টাইনে বোমার আঘাতে বেঁচে যাওয়া শিশুটি হাত-পা-দৃষ্টি হারিয়েও শুধু বেঁচে থাকার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানায়। আর অন্যদিকে বড়লোকের মেয়েটি তার জন্মদিনে বিএমডব্লিও গিফট পেয়ে ঈশ্বরের নামে ভোগ চড়ায়। কী নিদারুণ খেলা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ঈশ্বরের জন্ম মানুষের দুর্বলতায়, অসহায়ত্বে! আত্মবিশ্বাসী মানুষের ঈশ্বরের প্রয়োজন পড়েনা।
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ঠিক!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
যে নেই, কখনও ছিল না, কখনও থাকবেও না; তাকে দোষারোপ করে বা তার খোঁজ করে কী লাভ?
তামান্না ঝুমু
ঈশ্বর মানুষের সৃষ্টি---তারপরও মনে হয়: সামথিং আউট দেয়ার।
কেউ কেউ বলেন, ঈশ্বর মানুষের সৃষ্টি...তারপরও something out there.
ভাই, ঈশ্বরের কাছে কোন কিছু প্রার্থনা করা বৃথা । ঈশ্বরের সে ক্ষমতা থাকলে পৃথিবীর চেহারা এরকম হতো না । আবার শুনি সবই নাকি ঈশ্বরের ইচ্ছায় ঘটে ।আজিব মানুষ এখনও এসব ধারনা থেকে বের হতে পারলো না ।
ঈশ্বরহীন পৃথিবী কিন্তু খারাপ ছিল না । আমাদের পূর্বপুরুষেরা একসাথে শিকার করতো আর সবাই মিলে খেত । এখনকার মত একজন আরেকজনের গায়ে বোমা মারত না, বাড়িয়ে দিন বন্ধুতার হাত ।
"ঈশ্বরহীন পৃথিবী কিন্তু খারাপ ছিল না । আমাদের পূর্বপুরুষেরা একসাথে শিকার করতো আর সবাই মিলে খেত । এখনকার মত একজন আরেকজনের গায়ে বোমা মারত না, বাড়িয়ে দিন বন্ধুতার হাত ।"
চাওয়ার মত চাইলে পরে, কেমনে মিলে না।
আমি ইস্বর এ বিস্বাসি ভাই আমি আপনার সাথে তর্কে জরাব না ভাই শুধু একটি কথা বলব । ইস্বর আপনাকে পাঠিয়েছে এ অন্যায় এর প্রতিবাদ করার জন্য । আর আপনি তাই করছেন ।
নতুন মন্তব্য করুন