প্রথম আলোর প্রতিনিয়ত এই পাকিমেহনের ক্রমবর্ধমাণ ধারা নিয়ে সচলায়তন ও অন্যান্য ব্লগে নানা সময় বিচ্ছিন্নভাবে লেখা এসেছে। কিন্তু সেই ব্যাপারটাই একটু গোছানোভাবে একত্রিত করার জন্য আর এই পাকিপ্রেমের বিষবৃক্ষের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য একটি নতুন সিরিজ চালু হয়েছিলঃ "আলুর পাকিমেহন" শিরোনামে। আগ্রহী যে কেউ এই শিরোনামে প্রথম আলোর পাকিমেহনের খবরগুলো নিয়ে কন্ট্রিবিউট করতে পারেন। সচল-পাঠক সবাই এতে অংশ নিয়ে এই সিরিজটি বেগবান-সমৃদ্ধ করার অনুরোধ রইলো। এখন থেকে যিনিই লিখুন, যে শিরোনামেই লিখুন, "আলুর পাকিমেহন" এই ট্যাগ দিয়ে লিখুন। তাহলে সবগুলো লেখা একসাথে পাওয়া যাবে।
আলুর পাকিমেহন চলছেই। প্রথম আলোর পাকিমেহন নানাভাবে-নানারঙে-নানারূপে- নানারকম মেকআপ নিয়ে হাজির হয়। মেকআপ দিয়ে যেমন খুঁত ঢাকা হয় তেমনি পাকিদের খারাপ মনে হয় এরকম যেকোন কিছুই ঢেকে দেয়া হয় খবরে। গত কয়েকদিনের খবরের উদাহরণ নিয়ে তাই এবার হাজির হলাম।
পাকিস্তান সফর
এই খবরটির কথাই ধরুন। বিসিবির অবস্থান জানতে চান সাবের। পাঠক অবাক হচ্ছেন, এই খবরে পাকিস্তান কোথায়? তাহলে এই খবরের শেষ প্যারাটি দেখুন বিসিবি গঠনতন্ত্র ইস্যুতে প্রতিবাদী সাবের হোসেন চৌধুরী অথবা এই খবরটি পড়ুনতো এনএসসির ভূমিকা নিয়ে সাবের হোসেনের উদ্বেগ। কোন খবরটি চেপে যাওয়া হয়েছে?
সারাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা যেখানে পাকিস্তান যাওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার, সবাই মিলে চিৎকার করে পাকিস্তানে যেতে বাধা দিচ্ছে আমাদের গর্বের-আবেগের-প্রিয় ক্রিকেট দলকে, সেখানে সাবের হোসেনের
তবে আমাদের গিনিপিগ হওয়ার কোনো দরকার নেই।
-এই গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যটি প্রথম আলোতে ছাপা হয় না। কারণ? কারণ প্রথম আলো চায় ক্রিকেট দল পাকিস্তানে যাক। যেখানে সারা বিশ্ব পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের গুটিবাজি-ইতরামিকে ছি ছি করছে, সেখানে আলুর এই অবস্থান পাকিমেহনের চূড়ান্ত অর্গাজমিক অবস্থার প্রমাণ দেয়।
আমার কিছুতেই মাথায় আসে না কী করে একটি দেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক নিজের দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট টিমকে প্রায়-নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে জনমত গঠনে সাহায্য করে! টপিকঃ আর এই দেশের ক্রিকেট বোর্ড এরকম একটা আত্মহত্যার ডিসিশন নেয়! কেন???!!! কীভাবে সম্ভব???!!!)
প্রথম আলো প্রতিদিন বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের পক্ষে খবর-রিপোর্ট করছে। যে দেশে মন্ত্রী-সেনাবাহিনী-সংসদ সদস্য-সাধারণ মানুষ কেউ নিরাপদ না, প্রতিদিন চলছে হত্যা-বোমা হামলা, সেই দেশে আমাদের খেলাধুলায় একমাত্র গর্বের সবচেয়ে প্রিয় দলটির প্রতিটি সদস্যের জীবন নিয়ে জুয়া খেলায় ক্রমাগত উৎসাহ দিয়ে চলেছে প্রথম আলো! এই খবরগুলো এবং তার সাথে সাথে বাংপাকিদের কমেন্টগুলো দেখুনঃ
তাহলে বাংলাদেশই হতে যাচ্ছে চার বছরের মধ্যে পাকিস্তান সফর করা প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দল! - নেই প্রতিবাদ, আছে আশাবাদ!
বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরটা প্রায় নিশ্চিত। খেলোয়াড়দের জোর করবে না বিসিবি! - আমরা খুব ভালমতই জানি জোর না করলেও কোন খেলোয়াড় বিসিবির বিপক্ষে গেলে কী হবে! পাকপ্রেমী-পাকিলেহনকারী বিসিবির মুখপাত্র প্রথম আলো তাই সেদিকে পা-মাড়ায়নি!
ওয়াসিম আকরামের স্বস্তি - ওয়াসিম আকরাম বলেছে, তাহলে তো যেতেই হয় পাকিস্তানে, তাই না?
আফ্রিদী, সাকলাইন মুশতাক ও ক্রিকেট বিষয়ক পাকিমেহন
প্রথম আলোর সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড় শহীদ আফ্রিদী- যার নাম উচ্চারিত হওয়া মাত্র প্রথম আলোর স্পোর্টস ডেস্ক মাল্টিপল অর্গাজমে দুনিয়া ভাসিয়ে দেয়! মাঝে মাঝে আফ্রিদীপ্রেমী উৎপল শুভ্র এন্ড গংদের শীৎকারে পত্রিকার পাতায় চোখ রাখা দায় হয়ে যায়! গত কয়েকদিন আফ্রিদীর কারণে প্রথম আলোতে কান্নার রোল পড়ে গেছে!
পাকিস্তানের ওয়ানডে দলে নেই আফ্রিদি! -এটি গুরুত্বপূর্ণ খবর, সন্দেহ নেই। কিন্তু তারপর?
প্রথম আলো আফ্রিদী প্রেমী এমনকী আফ্রিদীকেও দেখাচ্ছে আশার আলো!- আহ!! সাব্বাশ!
বর্তমান বিশ্বক্রিকেটে আফ্রিদী খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নাম নন। তাই বিপিএল-এ তার খেলাতে কোন কিছু আসবে-যাবে বলে মনে হয় না (বাংপাকি ছাড়া!)। আমাদের দেশের এখনকার ব্যাটসম্যানরা তার চেয়ে অনেক ভাল খেলেন বলে বিশ্বাস করি। কিন্তু আলুর গুরুত্বপূর্ণ হেডিং- গেইল না থাকলেও আফ্রিদি আছেন! -আহ! বেঁচে গেল বাংলাদেশ, বর্তে গেল বিপিএল!
পাকিস্তানী ধরা পড়া চোর-বাটপার-চরিত্রহীন ক্রিকেটারদের জন্য প্রথম আলোতে প্রায়ই কান্না আর কষ্টের ঢেউ বয়ে যায়। বাটের কষ্টে প্রথম আলোর অশ্রু বিসর্জন তো যারপরনাই বিখ্যাত (কারাগারে কষ্টে আছেন বাট, লাই-ডিটেক্টরের বিরুদ্ধে বাট, বাট-আসিফের শুনানি, আহ! শান্তি! কারামুক্ত বাট)। যাকগে, এগুলো পুরান খবর- নতুন কিছু দেখি!
বয়স মাত্র ২০! কিন্তু প্রথম দেখায় কিশোরের মতোই লাগে। মায়াবী একজোড়া চোখ। কিন্তু সেই চোখের দিকে তাকালে মনে হয় কতই না পরিণত! ২০ বছরের এই চোখজোড়ায় ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে এরই মধ্যে। মোহাম্মদ আমিরকে তাই কখনো আপনার একজন কিশোর মনে হতে পারে, কখনো মনে হতে পারে পোড় খাওয়া পরিণত একজন মানুষ।- মনে হতে পারে প্রেমের গল্প পড়ছেন! অথচ সেই সময়ে কথা কিন্তু হওয়ার কথা বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে!!!!
আমাদের প্রিয় উৎপল দা অবশ্য পাকিস্তান ছাড়া কোন কিছুই লিখতে পারেন না। তা সে কথা হোক পটলের বাজারদর বা ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব- পাকিস্তান চলেই আসবে। তাই সাকিবহীন বাংলাদেশের কঠিন পরীক্ষা শিরোনামের লেখায় চলে আসে শোয়েব মালিক!
সে সময়ের পাকিস্তান অধিনায়ক শোয়েব মালিক বলেছিলেন, ‘এটা কোনো কথা হলো! সাকিবের পরীক্ষা দেওয়ার কী দরকার, তোমরা ওকে এমনিতেই সার্টিফিকেটটা দিয়ে দিলে পারতে!’
প্রসঙ্গত বলিঃ স্যরি স্যার, আমরা বাংলাদেশে এভাবে সার্টিফিকেট দেই না। আমাদের খেলোয়াড়রা আপনাদের মত নিরক্ষর নন- তারা শিক্ষিত এবং শিক্ষালাভের জন্য কোন শর্টকাটের আশ্রয় নেন না!
তারপর বিজয়ের মাসে বিজয়ের ব্যাটে জয় শিরোনামের জয়োৎসবের লেখাতে চলে আসে,
স্পিন কোচ সাকলায়েন মুশতাক তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে বলেছিলেন, মাথায় বুদ্ধি আর বুকে সাহস থাকলে এটা কোনো সমস্যাই নয়।
প্রসঙ্গত বলে নিই, বিশ্বক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ম্যাজিশিয়ান, সর্বকালের সেরা ব্যাটিং কোচ, সর্বকালের সেরা বোলিং কোচ কে বলুনতো? জানতে চাইলে দেখুন কে সেই ম্যাজিশিয়ান! আরো বিশ্বাস নাহলে প্রথম আলো সহ ঢাকার সকল বাংপাকি মিডিয়ার রিপোর্ট দেখুনঃ বাংলাদেশ দলের ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ে বোলিং বলেন-ব্যাটিং বলেন-বা কোচিং বলেন সবকিছু একজনই করেছে, তার কারণেই দল জিততে বা ভাল খেলতে পেরেছে। দুই মাসে সে এমন ম্যাজিক শিখিয়ে দিয়েছে যে কাউকে মাঠে কিছু করতে হয় নি অথবা বাংলাদেশ হঠাৎ করে স্পিন বোলিং শিখে গেসে! এর আগে পারতো না কিছুই! বাংলাদেশ দলের যে কোন হেড কোচ আছে বা তিনি কোন কাজ করেন বা তার নাম লোকে জানে এমনটা কারও মনে হবে না- কারণ বাংলাদেশ দলের স্পোকস্পার্সনও সেই একজনই! পত্রিকাগুলোর রিপোর্ট পড়লে তো তাই মনে হয়!
সেকারণেই, সেই ম্যাজিশিয়ানের পক্ষে লবিং-কান্নাকাটি শুরু করে প্রথম আলো!
ক্রমাগত পাকিমেহনের চূড়ান্ত সীমা
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় আকারে "পাকিরাও ভালু" তত্ত্বের প্রচারক ও সংগঠক, প্রথম আলো, বহুদিন ধরেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন পাকিস্তানীর মনোকষ্ট (!) ও ইতংবিতং ক্ষমাপ্রার্থণা ব্লা ব্লা রিপোর্ট ছাপিয়ে আসছে। এই প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক সংযোজন, পাকিস্তানী (চোর) বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান।
কাদির খান রাজনীতি করেন, রাজনৈতিক কারণেই তিনি বলছেন,
আমরা ভাড়াটে সৈনিকদের চেয়ে খুব একটা ভালো আচরণ করছি না। সামান্য অর্থের জন্য আমরা আমাদের মানুষদের হত্যা করছি। আমরা ভুলে গেছি, কীভাবে আমাদের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায়।
মূল লেখাটিতে দেখা যায়, কাদির খান বলছেনঃ
It is unfortunate that both our political and military leaders are under the illusion (as happened in previous eras) that they can crush their opponents. They could not manage to do that to a very docile nation in 1971, how then can they contemplate crushing a martial race? They will be fighting for a thousand years and bleed the country to destruction and disintegration.
প্রসঙ্গত, "Docile Nation" শব্দটির মানে অভদ্র ভাষায়, অপমানজনক অর্থে 'পুরুষত্বহীন জাতি'।
তা এক ইতর পাকিস্তানী কী বললো তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু প্রথম আলো 'কাদির খান/পাকিস্তানীরা ভালু' এই নীতিতে চেপে যায়, এই সেই কাদির খান যে বলেছিল,
পাকিস্তানের হাতে নিউক্লিয়ার বোম থাকলে, বাংলাদেশকে স্বাধীন হতে দেয়া হতো না!
এত বড় বিজ্ঞানী (!), এত বড় মন তার (!), তাই তাকে নিয়ে আবারও রিপোর্ট করে প্রথম আলো!
প্রথম আলোর রিকন্সিলিয়েশনের তত্ত্বে আর নিরপেক্ষতার রোদ চশমায় দেখা মেলে সেইসব লেখকের যারা বিজয়ের মাসে, পাকিস্তানী বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বিশাল কলাম লেখেন, ইতিহাস লেখেন, আর ফাঁকে ফাঁকে ঢুকিয়ে দেন- বিতর্ক-মিথ্যা প্রোপাগান্ডা!
বুদ্ধিজীবি দিবসে লেখা "বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে ‘জামায়াতি দুর্বৃত্তরাই’" প্রবন্ধে জানা যায়,
তাঁর সন্দেহ, বিদেশি সংবাদদাতাদের বাংলাদেশ সরকার যে দেশে ঢুকতে দিতে অনীহা দেখাচ্ছে, তার মূলে আছে ভীতি। বিহারিবিরোধী তৎপরতার খবর যদি তাঁরা লিখতে শুরু করেন, তাহলে বিশ্বজনমত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলে যাবে। বাংলাদেশের প্রতি গভীর অনুরাগী জন রোড ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন, ‘বিহারিরা নিপীড়নের শিকার’।
পাকিস্তানের ক্ষমা প্রার্থণা
প্রথম আলোর পাকিস্তানী দোসর- দুনিয়ার একমাত্র ভাল মানুষ- একমাত্র ভাল সাংবাদিক হামিদ মীর। তিনি প্রথম আলোতে লেখেন, লেখেন পাকিস্তানে- তিনি লেখেন কিছু মানুষ মারা যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। প্রথম আলো মহা উৎসাহে প্রচার করে, 'পাকিরা কত্ত ভালু'!
হামিদ মীর লেখেন শেখ মুজিবের আত্মজীবনী ও পাকিস্তানের মিথ্যাচার নিয়ে, তারই কারণে তিনি হয়ে যান প্রথম আলো সহ বাংলাদেশের সকল বাংপাকির এবং কনফিউজড বাংলাদেশিদের পরম মিত্র।
হামিদ মীর কত্ত বড় বীর, সেই সম্মানে লেখা হয় প্রশংসাগাঁথা! কিন্তু হামিদ মীর ১৯৭১ এ গণহত্যায় কতজন মারা গিয়েছিল সেই বিষয়ে থাকেন নিশ্চুপ। অবশ্য এটা স্বীকার করতে বাধ্য, পাকিস্তানের একজন তবু তো কিছু বললো!
তাই প্রথম আলোর কলাম লেখক লেখেন,
তবে আমি এ কথাও মানি, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান—উপমহাদেশের এই দুই দেশ যদি একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে তাতে উভয়েরই লাভ। কিন্তু সে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অর্জনের লক্ষ্যে সামনে এগোতে হলে পিছে ফিরে তাকাতেই হবে। পাকিস্তানিদের হাতে এখনো যে রক্তের দাগ, তা স্বীকার না করে এগোনোর সব চেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য।
যেন, পাকিস্তান ক্ষমা প্রার্থণা করলেই আমাদের মিলনে আর বাধা থাকবে না- আমরা আপন ভাই-ভাই মিলেমিশে থাকবো!
শুনে রাখুন বাংপাকি ক্ষমাশীল 'তথাকথিত ক্ষমাপ্রার্থণা'র দালালেরা,
যতদিন পর্যন্ত না,
পাকিস্তানের সরকার-সমস্ত সেনাবাহিনী-পাকিস্তানের সকল নাগরিক, হাটুঁ গেড়ে বসে করজোড়ে 'ক্ষমা চাই' বলছে,
এবং ২৪ বছরের সকল লুটপাট-অত্যাচার-অবিচার-হত্যা-বাংলাদেশের সম্পদ লুন্ঠন-বৈষম্যের দায় শোধ করা হচ্ছে,
এবং বিহারী অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেয়া ও সকল লুন্ঠিত সম্পদ ফেরত দেয়া হচ্ছে,
এবং ১৯৭১ এ যুদ্ধের সকল ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে,
এবং ৩০ লক্ষ শহীদ বাঙ্গালির প্রাণ ও ৩ লক্ষ নির্যাতিত নারীর সম্ভ্রমের মূল্য শোধ করা হচ্ছে,
এবং প্রতিটি বিন্দু রক্ত-প্রতিটি বিন্দু ঘাম-প্রতিটি হারানো অঙ্গের দাম শোধ করা হচ্ছে,
এবং স্বজনহারা প্রতিটি মানুষের-প্রতিটি শিশুর সারা জীবনের কষ্ট-বঞ্চনা-স্বজন ছাড়া বেঁচে থাকার দুর্বিষহ যন্ত্রণার দায় শোধ করা হচ্ছে,
এবং প্রতিটি শহীদের পরিবারের প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার সংগ্রামের দায় শোধ করা হচ্ছে,
এবং প্রতিটি হারিয়ে যাওয়া মানুষের কারণে বাংলাদেশের লোকসানের ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে,
এবং প্রতিটি বুদ্ধিজীবি-প্রতিটি আলোকিত মানুষের হারিয়ে যাওয়া জ্ঞান-বুদ্ধি-সৃষ্টি-ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য দিকনির্দেশনার অভাব পূরণ করা হচ্ছে
--ততদিন পর্যন্ত পাকিস্তান, তার দোসর, পাকিস্তানী, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দালালদের কোন ক্ষমা নাই! তোদের ঐ লোকদেখানো-মনভুলানো রিকন্সিলিয়েশন আর ক্ষমাপ্রার্থণার মুখে প্রতিদিন সকালে আমি প্রস্রাব করি!
***প্রথম আলোর বেশ কিছু কমেন্ট সেকশন আমার ধারণা কোন পাকিস্তানী অথবা পাকিপায়ুজাত কেউ মডারেট করে। সেটা নিয়ে আগামীতে একটি পর্ব আসবে। পাঠককে অনুরোধ, আপনারাও অনুগ্রহ করে এই সিরিজে যোগ দিন। ***
মন্তব্য
আই-সি-সি জানিয়ে দিয়েছে তারা নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিতে পারবে না সিরিজের জন্য। সুতরাং শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরই বিদেশী হিসাবে পাকিস্তানে যেতে হবে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হ!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
জারি থাকুক
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই সংকলনটার বড় দরকার। শালারা এই রকম পাকিপ্রেমী কেন!!
_____________________
Give Her Freedom!
হ, আস্তে আস্তে সব বাংপাকি পত্রিকাগুলোকে ধরতে হবে!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে সিরিজ জিতলে আলুর শিরোনাম হবে, পাকিস্তান অল্প হেরেছে বাংলাদেশ কিছুটা জিতেছে।
onibarjo sotto
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এই ধরনের কথা পাকি ক্রিকেটাররাই কেবল বলতে পারে।
শহীদ আফ্রিদির উচিত তার ডিংডংটার একটা প্লাস্টিক কাস্টিং কাওরানবাজারে পাঠিয়ে দেওয়া।
অন সেকেন্ড থট, একাধিক কাস্টিং পাঠানো উচিত। একটা পাঠালে কাড়াকাড়ি পড়ে যাবে।
ঐটাকে 'আফ্রিদিলিঙ্গ' হিসাবে পুজো করা হবে না তো ?
জোর সম্ভাবনা। দুগ্ধস্নান করান হবে প্রতিদিন
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
হ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
প্রথম আলো কার্যালয়ে আফ্রিদি (লিঙ্গ) মন্দির খোলা যাইতে পারে!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আমি বুঝিনা বাঙালী মানুষগুলা এতো বেশী পাকি ভক্ত কেন ! আফ্রিদি কে নিয়ে এতো লাফালাফি করার কি আছে?
ইয়জা ।
গুগলে তানভীর আলাদিন সরব আফ্রিদি লিখে সার্চ দিন, বুঝে যাবেন!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এই "তানভীর আলাদিন সরব" সাহেব এক বিশাল বিনোদন!
সরব সাব আজকেও যথারীতি নিন্দুকদের নীরব করে দিলেন। আইজ তিনি ফরমাইয়াছেন,
সরব "ভাইয়ের" বাণী চিরন্তনী সামনের বইমেলায় প্রকাশ করার জোর দাবী জানাই আমিষুল "ভাইয়ের" কাছে।
হ
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
খেলার সঙ্গে রাজনীতি মিশাবেন না, লাইনে আসুন জনাব
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
না মিশাই নাই তো!!!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আলুর দোষ ধরেন ক্যালা?
দোষ ধরি নাই তো, একটু জিগাইলাম আর কী! পুছ, পুছ করতাসি
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আজকের গরমাগরম আফ্রিদি-পূজাঃ ওয়ানডেতে ফিরবেন আফ্রিদি! কারওয়ানবাজারে আজ আনন্দের ঢেউ(সাথে আরেকটা জিনিসের ঢেউ, না বলি) বয়ে যাচ্ছে ...
হ। একটা ইমো দরকার এইখানে- আফ্রিদীর আগমণে ( ) স্পোর্টস ডেস্কের শীৎকার!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এই সিরিজ চলুক।
চলবে- যোগ দিন!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ভাই,
একটা সত্যি কথা হচ্ছে, দোষ আসলে আমাদের, আলুর না। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে যত ফ্রেন্ড ছিল আমার, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ছিল পাকি ক্রিকেট ফ্যান। আমার ধারণা আপনি বাংলাদেশে হাইয়েস্ট ফ্যান কাউন্ট করলে পাকি ক্রিকেটেরই পাবেন ( বিদেশী টিমগুলোর মধ্যে আর কী)। এই বিশাল পাকি বেসের ভাল না লাগার মত কথা তো আলু বলতে পারেনা।
হ্যাঁ, আপনার কথা ঠিক। তখন আমাদের নিজেদের দল ছিল না- আগাড়ে-ভাগাড়ের দল নিয়ে লাফালাফি করতে হইতো! এখন সেইটা আস্তে আস্তে কমে যাওয়া উচিত, কিন্তু সেইটা যেন কমে না যায় সেজন্য বাংপাকি মিডিয়ার আপ্রাণ চেষ্টা পাকিস্তানের সব প্লেয়ারকে সুপারম্যান হিসেবে প্রকাশ করার!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আলুর ডেইলি পাকিলাভিং উটপাঁদের http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-21/news/314869 আফ্রিদি ভালবাসা। সেই সাথে বোনাস http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-21/news/314827 পাকিরাও ভালু টপিক।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
সরকারের একটা মহল সক্রিয় ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আর প্রথম আলোতো অনেক আগে থেকেই পাকি স্বার্থ রক্ষার টিকাদারি নিয়ে রেখেছে। কাকে কি বলবো বুঝে পাইনা।
আলুর পাকিমেহন আর্কাইভ হিসেবে ধরে রাখতে আপনার যে প্রয়াস সেটা চলতে থাকুক।
''দিবাকর''
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
পাকিস্তানের ব্যাপারে আমাদের রাজনৈতিক ভাবে অনেক কিছু পাওনা আছে যেমন - রাষ্ট্রীয় ক্ষমা এবং তাদের প্রতিশ্রুত ঐ ১৯২ জন যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার এবং আর্থিক ক্ষতিপূরন।
কিন্তু
এইভাবে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার বিরোধিতা কপট হিপোক্রেসি। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিলতা না থাকলে কোন কারণই নাই না যাওয়ার। আর যারা আসলেই বাপের বেটা তাদের আমেরিকার বিরুদ্ধে একই অবস্থান নেওয়া উচিৎ। মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত রাশিয়ার সমর্থন ছাড়া ভারত আমাদের কখনও সাহায্য করতনা তেমনি আমেরিকার সাহায্য ছাড়া পাকিস্তানও এত কিছু করতে পারতনা। যুদ্ধের পর আমেরিকা কি করেছে ঐটাও সবাই জানে। পাকিস্তানে খেলতে যেতে অসুবিধা কিন্তু তাদের তৈরি MBT 2000 ব্যাটেল ট্যাংক বিজয় দিবস কুচকাউয়াজে কমিশন করতে অসুবিধা নাই!!!! তাদের সাথে ব্যবসা করতেও কোন দোষ নাই!!!!
এই সব হিপোক্রেসি ত্যাগ করতে হবে। আর যারা এই সব "পাকি পাকি" কইরা মুখে ফ্যানা তুলে, তারা সত্যিই বাপের ব্যাটা হয়ে থাকলে, তাদের উচিৎ আমেরিকার বিরুদ্ধেও একই স্লোগান তোলা এবং এই দুই দেশের সাথে ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করার জন্য সরকারকে চাপ দেওয়া পারলে গণ আন্দোলনের জন্য চেষ্টা করা। এসব না পারলে তাদের মুখে কুলুপ এটে বসে থাকা উচিৎ, এসব হিপোক্রেসি বন্ধ করে।
সৌদি আরবে হজ্জ্ব করতে যাবেন?
আরে না, উনি ইসলামাবাদে হজ্জ্ব করেন। এইজন্যেই তো কেউ ""পাকি পাকি" কইরা মুখে ফ্যানা" তুল্লে উনার এত গাত্রদাহ হয় -- প্রকাশ্যে অটো-নাপাক হয় যান কিনা ঐ "পাকি" শব্দে। বেচারি!
****************************************
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
'সং'বাদিকা, আপনে ঝাইড়া কাশেন। পাকিস্তান ইস্যুতে 'কিন্তু' ব্যপারটা খুবই সন্দেহজনক জানেন তো?
কয়েকটা প্রশ্নের জবাব দ্যান।
১। আপনার প্রিয় খেলোয়ার শহীদ বিন্তে আফ্রিদি নয়তো?
২। আপনার প্রিয় স্পোর্টস রিপোর্টার উৎপাল শুভ্র নয়তো?
৩। আপনার প্রিয় বচন 'খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না' নয়তো?
উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি 'না' হয় তাহলে হিমু ভাইয়ের প্রশ্নটার জবাব দিন,
উত্তর 'হ্যাঁ' হলে জবাব বোধহয় না দিলেও চলবে, আমরা না হয় বুঝে নেব।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনার নাম সংবাদিকা না হয়ে 'সংপাদিকা' হলে নামকরণ তাৎপর্যময় হতো; যা দূর্গন্ধ করে দিয়েছেন। বাই দি ওয়ে, সংবাদিকা মানে কি?
ফারাসাত
হুম্ম, সভা সেমিনার কিংবা টেলিভিশনে মাঝে মাঝেই লক্ষ করি ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে, সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধা কিংবা ৬৬ কিংবা ৬৯ এর গণআন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী থেকে তথাকথিত "কণ্ঠ-সৈনিক" দের তর্জন গর্জন অনেক বেশী
সৌদি আরবে হজ্জ্ব করতে যাবেন?
হা হা হা.... কিন্তু তাতে আপনার সমস্যা কি ? পাকিদের 'পাকি' বললে তাওয়ায় পড়া তেলের মত আপনি এত চিড়বিড়াচ্ছেন কেন? কোন পুরনো ব্যাথা নতুন করে চাড়া দিয়ে উঠে?
****************************************
ঠিক এই মূহুর্তে কিভাবে বলি। অদূর ভবিষ্যতে কি হয় কে জানে। তবে ইচ্ছা আছে। তবে মনে হয় "সৌদি আরবে হজ্জ্ব করতে যাবেন" এই বাক্য বাহুল্য দোষে দুষ্ট।
উত্তরঃ
১ এবং ২ প্রশ্নের উত্তর না।
৩ নং প্রশ্নের উত্তর কারও সাথে অন্তর্দেশীয় খেলা-ধুলা না করতে পারলে তার সাথে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রাখাও উচিৎ না; ব্যবসা বাণিজ্য অনেক দূরের ব্যাপার। কৈশোর মানসিকতায় নানা রং এর শুধু ত্রিমাত্রিক না, বহুমাত্রিক অনেক কিছুই ভাবা যায়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বাস্তব সিদ্ধান্ত নিতে হয় অনেক ভেবে চিন্তে। এজন্যই আমাদের নেতৃত্ব ৫২ কিংবা ৬৬ তে স্বাধীনতার ডাক দেয়নাই; দিয়েছিল ৭১ এ।
অবশ্য রাষ্ট্রে সব রকম কিংবা নানা মাত্রিক চিন্তা-চেতনা সমৃদ্ধ নাগরিকের প্রয়োজন আছে, এতে একটা সাম্যাবস্থা থাকে।
১। প্রশ্নটা মনে হয় না বাহুল্য দোষে দুষ্ট, হজ্জ্ব করতে মানুষ যায় তার নিজস্ব 'তীর্থস্থানে'। কার তীর্থস্থান কোনটা সেটা কে বলতে পারে! আর প্রশ্নটার আরেকটা অ্যাস্পেক্ট ছিল, আপনি আপনার বার্ধক্যের পরিণত চিন্তায় বোধহয় ধরতে পারেননি।
২। হ্যাঁ আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হলে (যেমনঃ খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না) আমাকে 'কৈশোর' পার করে আপনার মত 'বার্ধক্যে' উপনীত হতে ববে। তবে চিন্তা চেতনার বার্ধক্য খুব খারাপ জিনিস জানেন তো। আপনার মত পরিনত চিন্তার পাক্মনপেয়ারু লোকজন ওইসময় থাকলে ৫২, ৬৬, ৭১, কেন কোনদিনই আমাদের স্বাধীনতা আসত না। আর হ্যাঁ সাম্যাবস্থার দায় দিয়েই আপনারা টিকে আছেন।
অফটপিকঃ পাকিস্তানে বাংলাদেশ টিম পাঠানোর বিরোধিতা কেন করা হচ্ছে আপনি জানেন তো? আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি বিশিষ্ট জ্ঞানপাপী। এরকম লোকজন আশেপাশে দু-একজন সবসময়ই থাকে তো, খুব সহজে চিনে ফেলা যায়
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপ্নে কইছেন
"কিন্তু"
আর কিছু কওয়ার দরকার নাই, আপ্নেরে চিইন্যা ফালাইছি।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
কাঁঠালপাতার ইমো এখন সময়ের দাবি।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
সৌদি আরবে আপনি যদি হজ্জ্ব করতে যেতে অনিচ্ছুক নন তাহলে। কারণ এটা সম্ভবত আপনার ধর্মীয় ঠ্যাকা। তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ঠ্যাকা।
পাকিস্তানে, যেখানে দুনিয়ার আর কোনো দেশই ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছে না, সেখানে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার কী ঠ্যাকা?
আমি পূর্বের মন্তব্য আগেই বলেছি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সবার আগে।
যাই হোক, একমত সবাই হবে এমন কোন কথা নেই।
তবে, মতের মিল না হলেই কাউকে ছাগু-জামাতি ট্যাগ মারা, ঐ তাদের মতই, যাকে তাকে ভাদা, পাদা, পশ্চিমা দালাল, আরবের দালাল কিংবা চীনা দালাল-রাশিয়ার দালাল কিংবা কর্পোরেট দালাল ট্যাগ মারার মতই আচরণ। আমার আগের এর আগের মন্তব্য কোন কারণে ছাপানো হয়নি। এবং না ছাপিয়েই এসব মন্তব্য করা হচ্ছে। এজন্য এটাকে আপনার মন্তব্যর rejoinder বলতে পারেন।
ধন্যবাদ।
"মতের মিল না হলেই" কাউকে ছাগু বলা হয় না। ছাগু আচরণ করলেই ছাগু বলা হয়। যেমন আপনি যে একটা গান্ধা ছাগু তাতে আমার সন্দেহ নাই। সিনা টানটান করে বুলন্দ গলায় স্বীকার করেন যে আপনি একটা পাকি গর্ভস্রাব, লজ্জার কী আছে?
পরবর্তী লাদি সচলায়তন বাদ দিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে ছাড়েন। উইন-উইন সিচুয়েশন হবে।
এই পোস্ট থেকে রীতিমত দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। -রু
ঠিক
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
জিন্নাহর জন্মদিনে পোথোমালোর উপহার । 'জিন্নাহর ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী' শিরোনামে উল্টা তার সাফাই গাওয়া। একদিকে জিন্নাহকে অসাম্প্রদায়িক দেখানো, অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুকে সাম্প্রদায়িক দেখানোর চেষ্টা ।
জিন্নাহর জন্মদিনও যে এই দেশে কেউ মনে রাখে জানতাম না!
আলুপেপার চিন্তাকোষদের অন্যতম অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হেবো তো জিন্নার হিউজ ফ্যান।
থ্যাংকু, মিস কইরা ফেলছিলাম জিন্নাহ সাবরে।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
দেখেন আগামী কালকে আলু-র স্পোর্টস পেজ-এর হেডলাইন কি হয়! আজকে তো শোয়েব মালিক ছক্কা মাইরে ম্যাচ জিতাইলো।
অপেক্ষায় নাজির
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
নতুন মন্তব্য করুন