।।এইম ইন লাইফ।।
জ্ঞান হবার পর থেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ি আমরা, 'বড় হয়ে কী হবো?'
জীবনের তেত্রিশ বছর পার হয়ে গেলেও বুঝে উঠতে পারছিলাম না, 'বড় হয়ে কী হবো?'
গত দুইদিনে বুঝে গেলাম, বড় হয়ে আসলে কী হতে চাই!
তেত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতায় বুঝলাম, বড় হয়ে আমি সংখ্যাগুরু হতে চাই!
কিন্তু একজন সংখ্যালঘু কী কোথাও গিয়ে কোনভাবে সংখ্যাগুরু হতে পারে?
।।গণতন্ত্র।।
'গণতন্ত্র' মানে
- মানুষ জীবিত পুড়িয়ে মারা
- নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা
- যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা
- চলন্ত ট্রেনে আগুন দেয়া
- ফিশ প্লেট খুলে শত মানুষকে লাশ বানানো
- ব্রিজ-রাস্তা ধংস করা
- জ্যান্ত মানুষের গায়ে আগুন ধরানো
- গাছ কেটে দেশ মরুভূমি বানানো
- ঘুমন্ত শিশুকে পুড়িয়ে দেয়া
- সেকেন্ডে সেকেন্ডে আর্মি ডাকা
- মিনিটে মিনিটে বিদেশের ঠাকুর ডাকা
- পিটিয়ে-পুড়িয়ে-থেতলিয়ে পুলিশ মারা
- স্কুল আর বইখাতা পোড়ানো
- সবার পড়াশোনা বন্ধ করা
- সবার জীবিকা ধংস করা
- সংখ্যালঘুর বাড়ি পুড়িয়ে বাস্তুহারা করা
- ভোট দিতে গেলে পিটিয়ে নাহয় পুড়িয়ে মারা
- অমানুষ আর খুনী হওয়া
- সেনাশাসন
- বিশ্বমোড়লের হস্তক্ষেপ
- বিবেককে ভুলে যাওয়া
গণতন্ত্র = যা আছে সবকিছু ধংস করা?
।।সংখ্যালঘু।।
খবরে প্রকাশ, প্রাক্তন কিছু মন্ত্রী ছিলেন, যারা সংখ্যালঘু- কারণ তাদের সম্পদ বাড়েনি!
পৃথিবীজুড়ে দেখা যায় ধর্মান্ধ, ধর্মোন্মাদ, ধর্মব্যবসায়ী আর ভন্ড- কদাচিৎ মেলে সংখ্যালঘু 'ধার্মিক'!
আশেপাশে দেখি শ্বাপদ পশুর পাল, মাঝে মাঝে দুই একটা সংখ্যালঘু 'মানুষ'!
মন্তব্য
সংখ্যালঘু শুধু ধর্ম দিয়ে হয় না, দেশ দিয়ে হতে পারে, চিন্তা আর বিশ্বাসেও হতে পারে। ধর্ম কিংবা দেশ দিয়ে না পারেন মতবাদ/বিশ্বাস প্রচারে সংখ্যাগুরু হতে পারেন যদি আপনি প্রতিক্রিয়াশীলতায় নিজেকে সমর্পন করেন, সব কিছুতেই বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। আপনার পাশের মানুষটি যদি জানতে পারে আপনি তার মতোই বিশ্বাসী তাহলে আপনার ভয় নেই, রাষ্ট্র থেকে শুর করে সমাজ সবাই আপনার বন্ধু। কিন্তু যখনি জানবে আপনি অবিশ্বাস পুষেন বহুকাল ধরে চলতে থাকা প্রথা আর আর নিয়ম কানুনের উপর তখনি আপনার বিশ্বাস না শুধু আপনার জীবনটাই চলে যাবে চুরির তলে, আপননি হয়ে উঠবেন বিপন্ন। পৃথিবীতে প্রতিক্রিয়শীলতার জয়জয়কার সবখানে, বিশ্বাসী মানুষদের জন্যে পৃথিবীটা বড় বেশি নিশ্চিত আর কোমল। তাই বিশ্বাসী আর প্রতিক্রিয়াশীলতার শিক্ষি নিন, দেখবেন আপনিও সংখ্যাগুরু হয়ে গেছেন।
মাসুদ সজীব
মাসুদ সজীব
মূল কথাটাই তাই ছিল, সবাই কোন না কোনভাবে সংখ্যালঘু, কোন না কোনভাবে সংখ্যাগুরু। কখনো সংখ্যালঘুই ভাল, কখনোবা উল্টোটা
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আর আমি সংখ্যালঘু হিসেবে জন্মে পরে সংখ্যাগুরুতে কনভার্টেড হতে চাই, কারণ নও-সংখ্যাগুরুরা এদেশে জন্মগত সংখ্যাগুরুদের চেয়েও বেশী মর্যাদ লভে!
বিরোধী দলীয় নেত্রী একাধিকবার বলেছেন, তারা "সংখ্যালঘু'' শব্দটিতে বিশ্বাস করেন না, শুধু শুধু মানুষ 'লঘু' হয়ে থাকবে কেন? মানুষের সমানাধিকারের প্রশ্নে আপোষহীণ এই গুরু জননী তাই সংখ্যালঘুদের জন্য মাত্র দুটি গুরু অপশান খোলা রাখেনঃ হয় কনভার্টেড হও, না হয় সীমান্ত পাড়ি দাও। আর গুরুর গুড় সার্বজনীন করতে বিরোধী নেতার আপোষহীণ সংগ্রাম চলতেই থাকবে!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
নতুন মন্তব্য করুন