মনে আছে একটা সময় ছিল কম্পিউটারে বাংলা লেখাকে মনে হতো এভারেস্ট জয়ের সমান! বাসার কম্পিউটারে বিজয় ইনস্টল করা ছিল, বাংলা দুইটা কি-বোর্ডের লে-আউট প্রিন্ট করে রাখা ছিল। বাংলা অক্ষরসহ কি-বোর্ডও কিনতে পাওয়া যেতো। কখনো দরকার হলে, অনেক কষ্টে দেখে দেখে বানান করে করে বাংলায় লিখতাম। খুব জরুরি আর বড় কিছু হলে নীলক্ষেত থেকে কম্পোজ করিয়ে প্রিন্ট করিয়ে আনতে হতো!
আস্তে আস্তে সময় বদলালো, অনলাইনে বাংলা ব্লগ এলো। ফেসবুক এলো। তখন যারা বাংলায় অনলাইনে লিখতেন তাদেরর লেখা মুগ্ধ হয়ে পড়তাম আর ভাবতাম, এঁরা কীভাবে এত কষ্ট করে এত প্রাঞ্জল বাংলায় লেখেন?!! প্রাচীন আমলের সেই বাংলা ব্লগাররাও তখন খুব সম্ভব কি-বোর্ড লে-আউট মুখস্থ করেই লিখতেন- বিজয় নাহলে অন্য কিছু দিয়ে। তাদের লেখা পড়ে মনে হতো, "কী মারাত্মক সব লোকজন! অনলাইনে বাংলায় লেখে"!! আমার মত বেশিরভাগ মানুষই, বাংলা লেখার ভয়ে, ইংরেজি বা বাংলিশ বা বাংরেজি ভাষায় ফেসবুকে/ইমেইলে/মেসেঞ্জারে বা অন্য কোথাও লিখতো। দেশের বাইরে আসার পর আস্তে আস্তে অভ্র নামক ফোনেটিক বাংলা লেখার সফটওয়ারের কথা শুনতে পাই। কিন্তু, "নিশ্চয়ই খুব জটিল কিছু হবে! অনলাইনে বাংলা লেখা এত সোজা নাকী!"- এই ভয়ে, অভ্র শেখা ও ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকি। এরপর খুব সম্ভব ২০০৭/০৮ সালের একদিন, এক প্রিয় ছোটভাই তানভীর খান আমাকে ইয়াহু মেসেঞ্জারে গুঁতা দিয়ে বললো, "দাদা, আর কত ইংলিশ-বাংলিশ লিখবেন! অভ্র শিখে নেন। চলেন শিখায়ে দিই!" কথা বলতে বলতে দশ মিনিটের মাথায় দেখলাম আমি শুদ্ধভাবে বাংলায় লিখতে পারছি... !!!! হতবাক হয়ে গেলাম!! এও সম্ভব!! আমি সবজায়গায় এত সহজে বাংলায় লিখতে পারছি!! অবিশ্বাস্য!!
তানভীরকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করিনি আজও, কিন্তু সেদিন আনন্দে কী বিশাল লাফ দিয়েছিলাম মনে পড়ে! অনেকটা নিরক্ষর থেকে প্রথম লিখতে-পড়তে পাড়ার আনন্দের মত... অন্ধত্ব থেকে প্রথম আলো বা রঙ দেখার অনুভূতির মতো... খুশিতে-আনন্দে আত্মহারা হয়ে সব জায়গায় বাংলায় লেখা শুরু করলাম!
ছোট বেলা থেকেই বাংলায় হালকা-পাতলা লেখালিখির চেষ্টা করতাম। কোবিতা (মাঝে মাঝে কবিতাও ), ছড়া, নাটক, চিন্তাভাবনা, চিঠি, প্রেমপত্র, প্রবন্ধ, গল্প ইত্যাদি ইত্যাদি ডায়েরীর পাতায় নাহলে চিপায়-চাপায় লিখতাম। স্কুলের বাংলায় সর্বোচ্চ নম্বরও বরাদ্দ ছিল প্রায় সবসময়। কলেজেও অনেকবার বাংলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিলাম ক্লাসে। একসময় স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে কবি হবো! সাহিত্যিক হবো! লম্বা চুল আর পাঞ্জাবি পড়ার কারণে বুয়েটে পড়ার সময় অনেকের ধারনা ছিল আমি হয়তো বাংলা বিভাগের ছাত্র! খুব কাছের প্রিয় বন্ধু ও অসাধারণ কবি অর্ঘ্য-এর কবিতার বই ছাপাতে গিয়ে প্রোপোজাল পেলাম কবিতার বই বের করার... অথচ আমি কবিতার "ক" এর সামনের শুঁড়টাও জানিনা!! আমি নাকি দেখতে কবিদের মত, বিক্রি হবে বেশি!!
যাকগে, আমার কবি হওয়া হয় নি, কবি-গল্পকার-সাহিত্যিক-প্রাবন্ধিক-ব্লগার-শব্দশিল্পী কোনকিছু হবার মতই বিন্দুমাত্র প্রতিভা বা ক্ষমতা নেই, ছিলও না কোনদিন। সব বাঙালিই ভেতরে ভেতরে কবি (মাঝে মাঝে কেউ কেউ কোবি!!)। অসাধারণ সব লেখকের লেখা পড়তেই সচলায়তনে আসা। এর মাঝে অগ্রজ হিমু ভাই (হাঁটুপানির জলদস্যু), খুব প্রিয় অনুজ ইশতিয়াক রউফ আর প্রিয় বন্ধু-সহযোদ্ধা ডক্টর ফারুক হাসানের উৎসাহে সচলে পা দিই। আজ আমি ইচ্ছে-স্বাধীন মত ফেসবুকে-ব্লগে-ওয়ার্ডে লিখে যাই... এবং প্রতিটি সেকেন্ডে অভ্রকে ধন্যবাদ দিই!!
মেহদী হাসান নামক ময়মনসিংহ মেডিক্যালের এক ছাত্র কী অসাধারণ কাজ করেছে সেটা এখন প্রতিটি সেকেন্ডে টের পাই। অনলাইনে বাংলাভাষাকে জীবন দান করার কৃতিত্ব এই মেহদী আর তার অভ্র দলের! দূর থেকে একসময় মেহদীকে মনে হতো কী বিশাল মানুষ!! কত অসাধারণ ব্রিলিয়ান্ট!! সেলিব্রিটি মানুষ!! আস্তে আস্তে মেহদীর সাথে সচলায়তনের মাধ্যমেই ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় হয়, এবং কিছুদিনের মধ্যে আমার দেখা এই পৃথিবীতে সবচেয়ে উদারমনা-সাহসী-নিরহংকারী-নিবেদিতপ্রাণ-দেশপ্রেমিক-ভালমানুষের লিস্টে সে ঢুকে পড়ে! কাছে এসে আরও বুঝতে পারি, যতটা ভেবেছিলাম তার চেয়েও কত বিশাল হৃদয়-কতটা হিমালয়ছোঁয়া অসাধারণত্ব এই ছেলেটার মাঝে আছে! আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ হয়ে যায় মেহদী!
মেহদী যা করেছে বাংলাভাষা যতদিন টিকে থাকবে ততদিন তার কথা স্মরণ করতে হবে, অভ্রকে কৃতজ্ঞতা দিয়ে যেতে হবে। আমাদের মতো লাখে লাখে মানুষ অভ্র দিয়ে আজ বাংলায় লিখে যাচ্ছে- বিনামূল্যে-সহজে-বিনা পরিশ্রমে!! মাঝে মাঝে ভাবি, আমি যদি মেহদী হতাম, মাটির দশফুট উপর দিয়ে হাঁটতাম... অহংকারে! আর মেহদী? মাত্রাতিরিক্ত বিনয়ী-সজ্জন অসম্ভব সুন্দর মনে অধিকারী এই মানুষটি পারলে মাটির তলা দিয়ে হাঁটে!
একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে একুশে পদক দেয়া হয় বাংলাভাষায় অবদানের জন্য। অনলাইনে এর আগেও অনেক বার অনেক উৎসাহী গ্রুপ-উৎসাহী মানুষজন কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কেউ কেউ মেহদীর জন্য একুশে পদকের দাবী জানিয়েছিল। কিন্তু মেহদী বরাবরই এই দাবী থেকে দূরে ছিল এবং এর ধরনের কোন পুরস্কার বা দাবীর সাথে কখনোই একমত বা আগ্রহ প্রকাশ করেনি! (ঐযে বললাম মাত্রাতিরিক্ত বিনয়ী!) কোনটির সাথেই তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
কিন্তু আমি আজ নতশিরে আবার বলি, মেহদীর কাছে-মেহদীর অভ্রর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। চিরকালের জন্য ঋণী! বাংলাভাষার জন্য কে কী করেছে সেই বিচারে যাবো না, কিংবা বাংলা ভাষায় কী অবদান রাখলে মানুষ একুশে পদক পায় তাও আমি জানিনা, কিন্তু বাংলাভাষার ইতিহাসে অভ্র এবং মেহদী অমর হয়ে থাকবে।
It is an honor to know you, Mehdi! Salute!
মন্তব্য
মেহদী হাসান ভাইকে আমি চিনি না। তার কথাও এই প্রথম জানলাম, এই লেখা পড়ে।
আমি আগে সবার মত বিজয় দিয়ে লিখতাম। ব্লগ পড়তে এসেই অভ্রের পরিচয় পাই এবং হাতে খড়ি।
অভ্রের ম্যাজিক আমাকেও লিখতে সাহসী করল, বলা ভাল, লিখতে শেখাল। অভ্র না থাকলে কখনো কি মন্তব্য/ব্লগ লেখার কল্পণা করতাম??
অভ্র তাই আমার কাছে লেখার স্বাধীনতা, আজ যে এত্ত এত্ত মানুষ মনের আনন্দে বাংলা লিখছে ভার্চুয়াল জগতে, সে তো অভ্রেরই দান।
সেই অভ্রের আবিষ্কারক মেহদী হাসান, তা জানতাম না। মেহদী হাসান ভাইকে তাই যদি কখনো সামনে পাই, তাহলে আমি নির্ঘাত মাথা নত করে শ্রদ্ধা জানাব। যে লোকটি আমাকে এনে দিয়েছেন বিপুল স্বাধীনতা, যেমন ইচ্ছে লেখার আমার মনের ভাব প্রকাশের খাতা, তাকে সর্বোচ্চ কৃতজ্ঞতা জানানোর আর কোন উপায় জানতে পারলে, আমি তাও করব!
মেহদী হাসান ভাইয়ের জন্য
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
মেহদী কিন্তু সচলায়তনেরই একজন
মুনাফালোভীদের খপ্পরে বাংলাভাষাকে অনলাইনে এবং সব কাজে শৃঙ্খলিত করে রাখার চেষ্টাকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে মেহদি ও অভ্র এগিয়ে চলেছে। "ভাষা হোক উন্মুক্ত"!
মেহদীর লেখা পড়তে পারেন এখানে।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বাংলাদেশের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশিরভাগ দাপ্তরিক কাজ এখনো ইংরেজিতে হয়। এর প্রধান কারন বাংলা টাইপ করতে না পারা, আর দ্বিতীয় কারন তথাকথিত স্মার্টনেস।
অভ্র বা মেহদীর অবদান নিয়ে কথা বলে আমি আমার মূল্যবান সময় নষ্ট করতে চাই না
এখন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নিবেদন... ভাই, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কাজগুলো বাংলায় করেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ, বাংলা টাইপ করার ভেজালে অনেকেই দূরে থাকে বাংলা থেকে।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
সহমত
যদিও আমি বিজয় দিয়ে বাংলা লেখি তারপরও মেহেদী ভাইকে শত সহস্র কুর্নিশ
মাসুদ সজীব
বাংলাভাষা হোক উন্মুক্ত! আসলেই হাজারো কুর্নিশ!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অভ্র না থাকলে আজীবন হয়তো মুরাদ টাকলা হয়েই থাকতে হইতো।
---------------------
সলিটারি সাইলেন্স
হ, আজীবন মুরাদ টাকলা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বিজয় দেখে আজীবন ভয় পেয়েছি। কখনই শিখতে চাইনি, শেখাও হয়ে উঠেনি। এইত বছর দুয়েক হল প্রথম জানতে পারলাম অভ্র নামক এক পরশ পাথরের কথা, আর তার সাথে সাথে এর পিছনের মানুষটির কথা। অভ্রর স্পর্শেয় প্রথম বাংলা লেখার হাতেখড়ি। এত মুগ্ধ হয়েছি এর ব্যবহারের সহজলভ্যতায় যে আশে পাশের যাকে পেতাম তার ল্যাপটপেই অভ্র ডাউনলোড করে দিয়েছি।
এমনকি আমার ল্যাবের এক নেপালি ল্যাবমেট একদিন আমার বাংলা লেখা দেখে আগ্রহী হয়ে জানতে চায় কিভাবে লিখছি, বুঝিয়ে বলার পর সেও অভ্র লোড করে নেয় তার পিসিতে। জানিনা তার কি কাজে লাগবে কিন্তু তার আগ্রহও ছিল অসীম।
আমার আজকের ছাইপাঁশ যে লেখালেখি, যে আনন্দ সবটাই অভ্রের জন্য।
আর যে মানুষটা এর অন্তরালে থেকে বাংলা ভাষাকে উন্মুক্ত করার জন্য, সবার কাছে সহজে পৌঁছে দেবার জন্য নিরন্তন কাজ করে চলেছেন তার জন্য কোন বিশেষণ-ই কি সঠিক হয়?
জানি হয়না,তবুও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা, ভালবাসা জানালাম।
একমত।
আমি জানি আমার মত লাখ লাখ মানুষ অভ্রর কাছে, মেহদী হাসান খানের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
দুঃখ লাগে এটা ভেবেই যে,আমরা এমন এক অদ্ভুত জাতি যারা গুনের কদর করতে জানিনা।
লেখাটার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ধন্যবাদ সাফিনাজ আরজু।
আবার আমরাই এমন এক অদ্ভুত জাতি যেখানে মেহদীর মত অসম্ভব মেধাবী-নির্লোভ-গুণী-পুরষ্কারের তোয়াক্কা না করা-আত্মপ্রচারবিমুখ-মহান-দেশপ্রেমিকের জন্ম হয়!!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
দারুন বলেছেন তো স্বপ্ন ভাই।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অভ্রের বিরুদ্ধে আমার একটা অভিযোগ আছে। অভ্রের কারনে আমার ২০০০ টাকা গচ্চা গেছে!
৭-৮-৯ বা ঠিক কত বছর আগে মনে নেই, আমি ২০০০ টাকা দিয়ে 'বর্ণসফট' নামের ইউনিকোডে বাংলা লেখার সফটওয়্যারটির একটা লাইসেন্সড ভার্শান কিনেছিলাম। কিন্তু এটা কেনার কিছুদিনের মধ্যেই অভ্রকে আবিষ্কার করি। প্রথমে বিশেষ পাত্তা দেইনি। ভেবেছিলাম স্ক্রীনের উপর পিচ্চি একটা টিকি না টুলবারের মত কি যেন একটা ঝুলে থাকে - তার আর কি ক্ষমতা হবে বাংলার মত যুক্তাক্ষরবহুল এমন বাঘা একটা ভাষাকে কাবু করে। বিশেষ করে আরও কত স্বঘোষিত বাঘা বাঘা প্রোগ্রাম ও প্রোগ্রামার যেখানে নিজেরাই কাবু হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ২০০০ টাকার দস্তুরমত পেইড ও লাইসেন্সড একটা সফটওয়্যারের আভিজাত্যের বিপরীতে "ফ্রি" একটা প্রোগ্রামের "ঢাল নাই তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার"-টাইপের হাস্যকর হাফপ্যান্ট-পরা আঁতলামিতে হাসিই পেয়েছিল। তাই শিখার চেষ্টাটাও করিনি। এর বিপরীতে বর্ণসফটের ব্যপক গবেষণালব্ধ খুব গ্রামভারী যুক্তিভিত্তিক নিয়মবহুল পদ্ধতিতে বরং খুশিই হয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল খুব সিরিয়াস একটা উঁচুদরের জিনিষ। লেগে থাকলে শিখে নিতে পারব কোন এককালে। তারপর কি কারনে যেন একদিন অভ্র ব্যবহার করতে বাধ্য হলাম - সম্ভবত বর্ণসফটে কোন সমস্যা হচ্ছিল - হায়, তারপর আর কোনদিন বর্ণসফট ব্যবহার করার কথা মনেও পড়েনি - পয়সা দিয়ে কেনা সত্ত্বেও। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অভ্রতে হুক্ড হয়ে গেলাম। সেই থেকে আজও। এর সহজতা তুলণাহীণ। বর্ণসফট খুব একটা ব্যবহারের, এমনকি পুরোপুরি শিখে উঠারও সময় পাইনি - তার আগেই বাতিল । অভ্রের কারনে ২টি হাজার টাকা আমার পানিতেই গেল।
(কনফিডেনশিয়াল নোটঃ ২০০০ গচ্চার পরিবর্তে উপকৃত যে হয়েছি বহুগুণে বেশি, সেটা আর এখানে বললাম না)।
****************************************
এই টাকা আমরা ফেরত চাই অভ্রের কাছে
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অভ্রতে প্রথম যে সংস্করণে ফনেটিক এসেছিল সেখানে বর্ণসফট এবং বংশী'র (বিডিকমের বানানো ছিল) প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা ছিল। বর্ণসফটের যে বিষয়গুলো আমার কাছে সমস্যা/জটিল মনে হয়েছিল অভ্রতে সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করেছিলাম। সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা মনে হয়েছিল, সেখানে বাংলা লিখতে একটা নির্দিষ্ট এডিটরের গণ্ডির মধ্যে থাকতে হতো। যাই হোক, সে হিসেবে অভ্রও কিন্তু বর্ণসফটের কাছে ঋণী।
নাহ, আমি মেলাক্ষণ কী লেখা যায় চিন্তা করে হাল ছেড়ে দিলাম। এরচেয়ে ঝগড়া-টগড়া করা বরং সহজ কাজ
তুমি বরং রাগ করে কোন কথা না বলে একটা ছবি ব্লগ পোস্ট করে ফেল। বছরখানেক হয় পাঠকরা তোমার ছবি দেখতে পাচ্ছে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনেকদিন ছবি তোলা হয়না পাণ্ডবদা। অনেকদিন কোথাও ঘুরতেই যাইনা।
আসো কাইজ্যা করি
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
মেহদী লোক ভালো না, বাংলা টাইপ করা শিখায়ে জীবনের বিশাল সময় দখল করে রাখছে ব্যাটা
facebook
হ, খুব খারাপ! বাংলা ছাড়া লেখা হয় না এখন। ইংরেজি ভুলে যাচ্ছি
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
থ্যাংকু মেহেদী। আর বেশী কিছু বলার নাই। এখন বউও ফেইসবুকে বাংলায় লিখতে চায়, কারণ সবাই নাকি এখন বাংলায় লেখে। কী আর করা, ওখানেও অভ্র ইনস্টল করতে হবে এখন।
আমি আমার সব জায়গায় করে নিয়েছি...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
মেহেদী ভাই আর অভ্র'র কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
সপ্নহারাকেও অনেক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য।
আচ্ছা - অভ্রের কি কোন অ্যাপস সংস্করণ (অ্যান্ডরয়েড, আইওএস, ডাব্লউপি৮) আছে বা নিকট ভবিষ্যতে মুক্তি পাওয়ার কোন পরিকল্পনা আছে? স্মার্ট ফোনে বাংলা লিখার কোন ভাল অ্যাপস এখনও খুঁজে পাচ্ছিনা।
অবশ্য অ্যাপস স্টোরগুলোতে রিলিজ করার জন্য আর্থিক দিকটাও ভাবার দরকার আছে।
তবে আমার ধারনা, পেইড অ্যাপস হিসেবেও যদি বের হয় তারপরও আমার মত অনেকে টাকা দিয়ে অভ্র কেনার জন্য দুইবার চিন্তা করবেনা।
--------------------
বাপ্পীহায়াত
আমি সাম্প্রতিক কালে রিদমিক কি-বোর্ড ইনস্টল করলাম। বেশ অসাধারণ লাগলো! রিদমিক কি-বোর্ডের স্রষ্টার ব্যাপারে পড়তে পারেন এখানে
আমার ভাল লেগেছে রিদমিক। ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
অভ্র নিশ্চয়ই একসময় এপস হিসাবে আসবে বলে আশা রাখি...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আমার এনড্রয়েড ফোনেও সাচ্ছন্দ্যকর হাসনাতের রিদমিক কীবোর্ডই ব্যবহার করি। অনলাইনে কম্পুতে মেহদীর অভ্র।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এবারের মেলায় কিন্তু এখনো মেহেদীর দেখা পেলাম না ! নতুন পিতৃত্বের আনন্দে কি মেলা সহ আমাদেরকে বর্জন করলো ! ছেলেটা খুব খারাপ খুব খারাপ ! হা হা হা !
এখন না হোক, রাষ্ট্র মেহেদী ও তাঁর দলকে স্বীকৃতি দিতেই হবে। নইলে আমার ধারণা, ওই রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পদকগুলোই মাহাত্ম্য হারাবে একদিন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অভ্রকে এই সম্মান দিলে পুরষ্কারই সম্মানিত হবে বলে মনে করি।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
মেহদী এক আশ্চর্য মানুষ! সে ইতিহাস গড়েছে আর আমাদের সেই ইতিহাসের অংশীদার করে নিয়েছে।
লেখা ভাল লেগেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অভ্রটিম আর মেহদী'র কাছে আজীবন ঋণী হয়েই থাকবো। এই ছেলেটার জন্যেই অনলাইনে-অফলাইনে বাংলা লিখতে পারি। আমার বিজয় কোনোকালেই শিখা হয়নি। সেই '৯৮-এ একবার শিখতে চেয়েছিলাম, মাগার এতোকিছু আমার মনে থাকেনা, তাই বাদ দিয়ে দিলাম। কিন্তু অভ্র আমার কাছে অন্য একটা দরজা খুলে দিলো যেনো। এখন আমি বাংলায় টাইপিং পারি ... ওয়াও ...
আর যেই অফিসেই গিয়েছি, প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হিসেবে বিজয় ঝেঁটিয়ে অভ্রকে নিয়ে এসেছি!
মেহদীকে বিয়াপুক ভালু পাই - এই কথাটা সামনাসামনি কোনোদিন বলতে পারিনি। আজ চান্সে জানিয়ে গেলাম।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আমিও খুব ভালু পাই
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
দু'টি কথা:
১। কিবোর্ড মুখস্থ না করে বাংলা ভাষা একটা লেখার একটা রাস্তা বের করেছেন বলেই আজ বাংলায় গড়গড় করে টাইপ করতে পারছি।
২।মেহেদী ভাই, (এবং অন্য যারা এর পিছনে অবদান রেখেছেন) আপনাদের সবাইকে শ্রদ্ধা।
[মেঘলা মানুষ]
ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
মেহদী হাসান খান কে যথাসম্ভব স্বল্প সময়ে একুশে পদক দেওয়া হোক, কর্তৃপক্ষের কাছে দৃঢ় দাবী থাকলো।
একুশে পদকের সম্মান রক্ষার জন্যই এটা দেয়া দরকার
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
মেহেদীর কারণে ব্লগে ব্লগে অনেক সময় নষ্ট হয়। সে এবং অভ্র একটা অভিশাপ।
খাঁটিকথা! ব্যাপক অভিশাপ!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হ। শাস্তি হিসাবে তাঁকে একুশে পদক দেয়া হোক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেকটা নিরক্ষর থেকে প্রথমবার লিখতে পড়তে পারার আনন্দের মত - যথার্থ, একদম যথার্থ !! অভ্র টীম যে কত লেখক তৈরি করলো, কতজনকে অনলাইনে সাহিত্য চর্চা করার জন্য উৎসাহ দিলো, এজন্য তাদের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা থাকবে। ফেসবুকে একসময় ইংরেজি অক্ষর ব্যবহার করে নোট লিখেছিলাম, সব এডিট করে দিয়েছি অভ্র আসার পর। জিনিস একখান।
- ফরহাদ হোসেন মাসুম
নিজেকে মানুষ মনে হয় মাতৃভাষায় লিখতে পারার ক্ষমতা অর্জন করায়
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অভ্র, মেহেদীভাই এবং অভ্র টিমের কাছে কৃতজ্ঞতার কোন শেষ নেই। আজ অন্তর্জালের আনাচে কানাচে বাংলার ছড়িয়ে পড়ার পেছনে এদের অবদান অসামান্য।
____________________________
প্রতিবার বাংলায় লিখতে গিয়ে যে আনন্দ পাই তার পেছনে পুরো অবদান মেহদী ভাই ওবং তাঁর অভ্র টিমের। অশেষ কৃতজ্ঞতা তাদের প্রতি।
কড়িকাঠুরে
একদম নিজের মনের কথা যেন! বাংলা লিখতে পারার অভ্যেসটা এতটাই হয়েছে যে মাঝে মধ্যে বাংলা না জানা কাউরে বাংলায় টেক্স করে বিপদে পড়ে যাই। মেহেদী ভাইয়ের কোন পদকের হয়ত বা দরকার নেই। কারণ লক্ষকোটি মানুষের ভালোবাসা আর শুভকামনায় তার নাম স্হায়ীভাবে লিখা হয়ে গেছে। মানুষের বিরামহীন ভালোবাসা, দোয়ার মত বড় পুরস্কার ক'জনার ভাগ্যে জুটে? তারপরও জাতি হিসেবে যে আমরা অকৃতজ্ঞ নই সেটা প্রমাণ জন্য একুশের পদকটি তার এবং অভ্রদলের পাওনা। সেটি খুব দ্রুত দিয়ে পদকটির মহিমা বাড়ানো হবে, এটাই চাই। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভালোবাসা অভ্র আর তার দলের জন্য। স্বপ্নহারাকে কিঞ্চিৎ ঈর্ষামিশ্রিত ধইন্যা
মেহেদী ভাই যেমন অমায়িক, এই লেখাটিও তেমনি অসাধারণ।
আমি বিজয় শেখার উৎসাহই বোধ করিনি কোনদিন। আমার কম্পিউটারে বাংলা লেখার শুরুই অভ্র দিয়ে। নইলে আমার বরাবরই ইংরেজিতেই লিখতে হত অনলাইনে। সম্ভবত ২০০৮ সালে আমার এক ছোট ভাই আমাকে অভ্রর কথা বলে। আমি তখন কথা বলছিলাম, এমন একটি সফটওয়্যার নিয়ে যা ইংরেজি হরফে লেখা বাংলার ফোনেটিক কনভার্সন করে বাংলা হরফে রূপান্তরিত করে! তাই গুগল করে যখন এটা পেলাম- তখন আমার আত্মহারা অবস্থা! আরো অবাক হলাম যখন জানলাম যে, এই লোকটি ডাক্তারির ছাত্র এবং আমাদের চেয়ে ১ বছরের সিনিয়র।
মেহেদী ভাইকে দেখবার পরিচিত হবার খুব ইচ্ছে ছিল। একদিন চক্ষু-কর্ণের বিবাদভঞ্জন হল ম,মে,ক,হার ডক্টরস ক্লাবে। প্রথম পরিচয়েই মুগ্ধ হলাম।
একটি সমস্যার কথা বলে যাই। বিজয় ব্যবহার করা নিয়ে অনেকের একটা উন্নাসিকতা দেখি, অভ্রকে এরা ব্রাত্য বানিয়েছে- দেবব্রত বিশ্বাসের রবীন্দ্রসঙ্গীতের মত। আসলে মূল কথা হল এদের সহজ কিছু ভালো লাগে না!
একই কাজ সহজে করতে না পারার ব্যর্থ আক্রোশে এরা ফুঁসে মরছে!
আমি অভ্র-দলের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
মেহদী ভাই একটা জ্বলজ্যান্ত অভিশাপ, অভ্রও তাই, অভ্রের চক্করে পইড়াই
সচল নামের আরেকটা অভিশাপে ঢুকছি, এখন আর বাইরাইতে পারিনা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন