কবিতার কথা

সৈয়দ আফসার এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আফসার (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৩/২০১০ - ২:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ধারণা; কথা-বিবরণ-তাৎপর্য এই তিনের সফল স্থাপনই হচ্ছে কবিতা! কবিতা তিনটি ধ্বনির সমষ্টি একটি শব্দ মাত্র; যার ভেতর আছে ভাবনা ও সাধনা। কখনো কখনো এ-ও ভাবি— যা দেখিনি, ভাবিনি, দোলা দেয়নি, কিন্তু মনে-প্রাণে অনুভব করি। ‘মানুষের সঙ্গে থাকা, সময়ের সঙ্গে থাকা, প্রয়োজনে জনমানুষের ডাকে সাড়া দেয়া।’ মানুষ আর সময় আমার কাছে শ্রেষ্ঠ কবিতা।এখন ভাবতে মন চায় সঙ্গ দিতে গিয়ে সব সঙ্গই কি মনে দোলা দেয়? আমার কি সব কথা মনে থাকে?মনে মনে অনেক কথা ভাবি; যতক্ষণ জেগে থাকি ততক্ষণ মনের সাথে কথা বলি— সব কথা কি মনে রাখি? কথা বলে ফেলা আর ধরে রাখার ভেতর যে আনন্দ থাকে, না-বলার ভেতরও ভিন্ন অনুভব জাগে।কথা বলে ফেলার পর তাকে আর তুলে নেয়া যায় না; কথার মর্মকথা আর একার থাকে না। পাঠক সেকথাটিকে তাঁর নিজের চেতনায় লালন করেন; নিজের মতো জাগিয়ে তুলেন। যেমন এই যে আমি হাঁটছি, পা ফেলছি, গন্তব্য ফেরার তাড়না আনন্দ দিচ্ছে; আনন্দও আমার ভেতর কথা বলছে অবচেতনে। আমি ফেরার তাড়নার ভেতর শ্বাস টানছি, নিরুদ্বেগ চিন্তা-কল্পনা আমাকে জাগিয়ে তুলছে, জিজ্ঞাসা করছে…

অবলীলায় অনেক কথা বলা যায়, অনেক কটুকথাও চালিয়ে নেয়া যায়। চালানোর দরকারও পড়ে।একসময় বাউণ্ডেলে ঘুরতে ভালো লাগত।উচ্চসুরে গান শুনতাম।বাঁশি বাজানোর বেশি শখ ছিল আমার; বাঁশি আর গানের সুর; আজো সে আশা বুকে পুষি…। কিন্তু কবিতা কেনো লিখি? তা ভাবার আগে ভাবতে মন চায়, কবিতা না-লিখলে কি হতাম; ভাবলাম অনেক… সব ভাবনার খারাপ-ভালো দুটি দিক আছে। আছে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াও; কিন্তু কবিতা আমাকে হেমন্তে-শীতে তার ঈর্ষা ও প্রলোভন রাবারের মতো লম্বা হতে হতে ভাবানুভূতির চূড়ান্ত মুহূর্তগুলো বিস্মিত করে রাখে। কবিতা ভালোবাসি বলেই স্বজনেরা আমাকে পরজন ভাবে। কারণ কবিতা লিখলে বা পড়লে কারো ক্ষতি হয় না। কবিতা কোনো শব্দ করে না। কবিতা সঙ্গী চায়; সঙ্গ দেয় না। কবিতা লেখার জন্য টাকা পয়সা খরচ করতে হয় না। কোথাও যাবার প্রয়োজন পড়ে না। কবিতা কাউকে ঝালায় না, পোড়ায় না।অক্ষরজ্ঞান হলেই কবিতা লেখা যায়। কবিতার জন্য একাডেমিক শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে না। কবিতা লিখার জন্য কোনো আয়োজনও লাগে না। ঘরের কোণে বনে-বাদাড়ে যখনই মন চায় কবিতা লিখে ফেলা যায়। কবিতার ভেতর আমি আমাকেই খুঁজি; আমাকেই মনের আয়নায় দেখি; খুঁজি বেড়ে ওঠা আমার শৈশব-কৈশোরের দিনগুলি…

কবিতা কি শুধু শব্দের ঝংকার? কবিতা কি শব্দবদ্ধতার সমষ্টি? কবিতা কি মুহূর্তকে ধরে রাখার আকুতি? কবিতা কী…? কবিতার সংজ্ঞা আমি জানি না। কারণ কবিতা কিভাবে লিখা হয়; কবিতার বিষয়বস্তু শেষ পর্যন্ত কোথায় শেষ হবে তা কিন্তু আগে থেকে ভাবা যায় না। তবে সচেতনভাবে খেয়াল রাখতে হয় শব্দ, ছন্দ কিংবা বাক্যবুননের দিকটা।কবি তাঁর কবিতায় এমন শব্দ গাঁথুনি দ্বারা কবিতাকে জাগিয়ে তুলতে চান বা চাচ্ছেন; পাঠকের পড়তে ভালো লাগছে কিন্তু শেষ পযর্ন্ত কবিতাটির কোন অর্থবহ উপস্থাপনা তার ভেতর জেগে ওঠেনি, পাঠকের অনুভব অনুভূতিতে দাগ কাটেনি; কিংবা তিনি জাগিয়ে তুলতে পারেননি।পাঠক সে শব্দজট খুলতে পারেননি সেখানে পাঠকের ব্যর্থতা নয়, কবির ব্যর্থতা। কারণ যে কোন পাঠক সবসময় ধী-সম্পন্ন হন। এ দায় কবিকেই নিতে হবে।পাঠককেই সে শব্দ-বাক্যের ভেতর ঢুকার ছন্দ দিতে হবে। তবে এ-ও ঠিক সব কবিতা সব পাঠকের ভালো নাও লাগতে পারে; কবিতা কিভাবে লিখতে হয়; একজন কবি কবিতা লিখেন নিজের জন্য, কবিতার প্রথম পাঠক কবি নিজেই; কখন কোথায় কিভাবে কোন পরিস্থিতিতে তাকে লিখতে হয় তা কিন্তু জানেন না;

হয়ত আমি বলছি- ‘এই যে তুমি ফুটপাত ছাড়া পিচরাস্তায় হেঁটে গেলে ভরদুপুরে; অজানার ভেতর পায়ের ছাপ না-দাঁড়ালে কোথায় খুঁজবো তোমাকে। হাঁটার আগে গোপনে আমাকে কি ছায়া বানানো গেল না? তবে এই নাও দেওয়াল; নাও খুলো গোপন টান, যদি নীরবে কিছু ঘটে জেনো সুনসান… আড়ালে আমাকে বলো না শীততীব্রকাহন। দৃষ্টির আবরণ খুললেই শিখো পরিমাপ, টলে যাওয়া ঘুমে সহজে চেয়েছো পরিত্রান; আমিও বনেররাজা হলে ধরে রাখবো পুরনোদিন।’

আমি যখন জীবনানন্দের কবিতা পাঠ করি তখন প্রতিটি লাইন পড়ে আমাকে থামতে হয়; কেনো থামতে হয়? কারণ লাইনটি আমাকে থামাতে বাধ্য করেছে; দৃশ্য(দৃশ্যকল্প)আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে আমার চোখ গুলিয়ে খেলছে ‘হাওয়ার রাত, লেবুপাতার ঘ্রাণ, মদেরগ্লাস, পাখির পালক, নদী, পাখি, শাদাবক, দূর্বাঘাস’… কবিতা যখন পড়ি বা দুই লাইন লিখতে মন চায় তখন কিন্তু আমার সামনে কেউ নেই; অথচ আমার চোখের সামনে এমন মানুষের স্মৃতি; অপরিচিত মানুষের অবয়ব; অচেনা সময়; এসব দৃশ্য চোখের পরত জুড়ে হাসে; পরিচিত অবয়র আমাকে লিখতে অনুপ্রাণিত করে। কেননা লিখতে-লিখতে যে কলমের কালি ফুরিয়ে গেলো, কলমটিরও প্রয়োজনীয়তা শেষ হল; কিন্তু সেই কলমেরওতো কিছু স্মৃতি আছে; যা আমাকে ভাবায়, এই কলম দিয়ে লাইনের পর লাইন লিখেছি আবার কেটেছি, কলমটিকে বালিশের পাশে নিয়ে ঘুমিয়েছিও; সেও তো আমার স্মৃতির অংশ। কবিতা যদি হয় শূন্য করতলে জেগে ওঠা রেখার সজীবতা… কবিতা যদি হয়, জলের আঁচলে বাঁধা চিহ্ন কিংবা রেখা; কবিতা যদি হয়, হাজার শ্বাসের ভেতর না-ফোটা পুরো দশ আঙুলের ম্যারপ্যাচ; অবলুপ্ত-দ্বিধা। কবিতা যদি হয় জিজ্ঞাসা, একান্ত প্ররোচনা…

দৃষ্টি খুলেই অনায়াসে ব্যথা পাই; ব্যথার ভেতর লোভনীয় হলেও ভরসা পাই। দীর্ঘভরসায় শ্বাস টেনে নীরবে চোখ বুজে থাকি। পুলকিত হই। আমাকে তাড়ায় সম্পর্ক।আমাকে তাড়ায় স্পর্শ। আমাকে তাড়ায় বদচোখের ইশারা ও আঘাত। দৃষ্টি ফেরালেই দেখি তার এলোকেশী চুলের ঘ্রাণ হাত ধরাধরি করে হাঁটছে বাতাসে।আর আমি তাকাচ্ছি…। বন্ধচোখ তাকাচ্ছে মনোযোগ,বিভ্রান্তি। কাঁধ চেপে ধরে অবাক করে দেয়া ব্যক্তি-জিজ্ঞাসা। নিজের ভেতর যে উম্মাদনা খেলা করে মৌনকাঙ্ক্ষাও সুখে-দুঃখে আপন করে তুলে; আমার জিজ্ঞাস, আমার জীবনযাত্রা কোনো দর্শন নয়; দর্শন আমার কাছে স্রেফ বেঁচে থাকা। কিভাবে বেঁচে আছি আমি; কিভাবে বেঁচে আছে সরলতা; পাশ-পড়শির ছায়া ও কায়া। ঘোর অন্ধকারে আমার চোখে ভাসে জল, দৃষ্টিও খুলে রাখে গোপনস্পৃহা… বুক পাঁজরেও জাগে ব্যথা। সহজ সরল কথার পাশাপাশি থাকে স্মৃতিসম্পর্ক-ব্যস্ততা-বাস্তবতা। কিন্তু পরিস্থিতি আমাকে হতাশাব্যঞ্জক অবস্থায় ঠেলে দিয়ে অবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। বিকল্প আশাও যে জাগে না তা নয়; স্পর্শ-উৎকণ্ঠা এমনি হতে পারে যেমন কখনো কখনো দূর্বাজলের সচেতনস্পর্শও নির্যাস ভারে স্বপ্নভঙ্গ করে; লক্ষ্য স্থির করে রাখার বদলে পথ হবার আর্তনাদও জাগায়।

নিমেষেই চিনে রাখে সময়, অসমদূরত্ব… অপরিচিত মুখের দিকে তাকালেই চোখের বোবা ভাষাও অহেতুক খুঁজে পাথর আর অচেনা পথ… প্রায়শই একাকী দাঁড়াই; নিজের ছায়ার মাঝে নিজের নিরাপত্তা চাই; রোদে শরীর পোড়াই; শীতে ওম খুঁজি… হাতে হাত ঘষে কখনো-সখনো উষ্ণতা মিলে। জানি হাটাঁরও একাগ্রতা আছে; তারপর ভাবছি যতগুলো মুখ দৃষ্টির জালে ওঠে, ততগুলো কবিতায় না-জাগালে ক্ষতি নেই; চোখের পাশে দাঁড়ানো আর নিজের ভেতর নিজেকে তাড়ানো কখনো একই আবর্তে আসে না। যদি না স্পর্শ থেকে তৃপ্তি আসে…

মূলকথায় ফিরি ‘আমার ধারণা; কথা-বিবরণ-তাৎপর্য এই তিনের সফল স্থাপনই হচ্ছে কবিতা!’ তাহলে প্রথমে ভাবা দরকার কোন ‘কথা’গুলো কবিতার জন্য মানানসই, কোন ‘কথা’গুলো কবিতার জন্য নয়। প্রাণী মাত্রই মরণশীল; আর সব প্রাণীই তার ভাষায় কথা বলে। আমার মতে অনেক প্রাণী আমাদের ভাষা বুঝে বা পুষে। আমরা হয়ত কিছু বুঝি কিন্তু পুষি না। সবাই কথা বলি, মনের ভাব প্রকাশ করি, যাঁরা বোবা তাড়াও আকারে ইঙ্গিতে কথা বলেন; কেউ অঙ্গের ইশায়ায়, কেউ স্বপ্নেও…। আবার কথার প্রকারভেদ আছে— কেউ কথা বলেন হাসির ছলে, কেউ গোমরা মুখে, কেউ দাঁত বের করে, কেউ থুতলিয়ে, কেউ জোরে, কেউ আস্তে, কেউ আড়ালে, কেউ সারাক্ষণ মুঠোফোনে, কেউ গোপনে, কেউ কারণে-অকারণে, কেউ সত্য বলে, কেউ মিথ্যা বলে, কেউ কেউ সত্য-মিথ্যা একত্রে গুলিয়ে বলে। এসব যদি কবিতার কথা নয় তবে কোনটি কবিতার কথা; সেখানেই আমার জিজ্ঞাসা?

অনেকে মনে করেন চোখে চোখে যে কথা হয়, তা অলৌকিক রসাস্বাদন…। আর এই অলৌকিক রসাস্বাদনই কবিতার শ্রেষ্ঠকথা; তাদের মতে সে কথাটির ভেতর অনেক আনন্দ থাকে; আর আনন্দের ভেতর যে রসাস্বাদনের কিছু রকমসকম থাকে… তা যাপিতজীবনকে চেখে দেখার কিংবা নিজের অসহায়ত্বের কারণগুলো খুঁজে দেখার সামান্যক্ষণই; অনেককে আমি জিজ্ঞাসা করেছি— আপনার মতে কবিতার কথা কি?তারা জীবনবাবুর মতো বলে নিজের দায় এড়াবার চেষ্টা করেছেন ‘কবিতার ঝাপসা উত্তর দেবার আগে এরকম বলা যায় কবিতা অনেক রকম’ কবিতা মনের কথা; যা কখনো বলে বুঝানো যায় না; লিখতে ইচ্ছা কিন্তু লিখতে বসলে অপূর্ণতা থেকে যাওয়া; সারারাত ভেবে একটি লাইন লিখা হয় না।কবিতা একটি ফুল। কবিতা একটি ফুলের কলি।কবিতা একটি সবুজ পাপড়ি। কবিতা একটি মরাডাল। কবিতা একটি সতেজ ডালের ছায়া। কবিতা একটি…

এখন আমাদের একটু খুঁজে দেখা দরকার কথার অনেকে রকম-সকম রেখে কেনো অনেকেই মনে করেন চোখের ভাষাই কবিতা! কারণ হিসাবে আমার মনে হয় যে কোনো চারটি চোখ যখন এক জায়গায় লক্ষ্য স্থির করে তার মাঝামাঝিতে যে অনুভূতি-অনুভব তৈরি করে তাই হচ্ছে কবিতার কথা। আবার এদিক থেকে ভেবে দেখা যায় যে চোখ বন্ধ করে যখন আমরা কিছু চিন্তা করি তখন আমরা যা ভাবছি তার পুরো অবয়ব আমার স্মৃতিদর্পণে দাঁড়ায় আমাকে পুলকিত করে, কথাই মনের চোখ; আর স্মৃতি রোমন্থণই কবিতা। চোখ বন্ধ হলেই সারাদিনের ব্যস্ততা
আমার সামনে দাঁড়ায়। সেখান থেকেই কবিতারা প্রাণ পায়; এক বছর আগের কোন স্মৃতিও কবিতায় জড়ায়…

আবার কথারও খারাপ ভালো দুটি দিক আছে।কিছু কথা আছে যা বারবার শুনতে মন চায়, কিছু কথা আছে জীবন বদলায়; কিছু কথা আছে আজো স্মরণ হলে গা শিউরে ওঠে, কিছু কথা আছে জন্মাবধি তাতাবে, কিছু কথার ব্যথাও আছে যা আমাকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। বাস্তবতাও আবেগি করে তুলে; কিছু স্থূলকথা আছে যা কখনো মনে না রাখলেও চলে কেননা মানুষ যতক্ষণ জেগে থাকে ততক্ষণ কথা বলে, চিন্তা করে কিন্তু কথা হল মানুষ যা ভাবে, চিন্তা করে উপলব্দি করে সে কি তার পুরোটা বলে? বলে না।আর কবিওতো মানুষ; তাই কবির সঙ্গে কবিতার কথা, কবির সঙ্গে কবিতার গোপনকথা, ‘প্রতিটি মুহূর্তে তুমি কবি’ কবিকেই ভাবতে হয়; কবিকেই মনের আকাঙক্ষা অনুভব স্পন্দনের বীজ সম্প্রসারণ করে কবিতা লিখতে হয়। কবিতার কথা-বিবরণ-তাৎপর্য কবির চিন্তা-ভাবনার ভেতরই বেড়ে ওঠে; কেননা ‘সব কবির পদ্ধতি এক নয়, হওয়াও সম্ভব নয়।’ কবি তাঁর নিজের মতো করে ভাবেন— ‘তুমি, সম্ভবত একটি পাতা। শেষ পর্যন্ত তুমি একটি পাতাই।


মন্তব্য

kazal এর ছবি

khub bhalo laglo.

সৈয়দ আফসার এর ছবি

পাঠের জন্য কৃতার্থ।
ভালো থাকুন।

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জানতাম লেখাটা দারুণ লাগবে। এজন্যই সময় করে পড়া হলো।

কবিতা নিয়ে ভাবনাগুলো সুন্দর করে প্রবন্ধের মত লিখে ফেলেছেন আপনি। কবিতা কখনো কখনো মাদকের মতো, মাদক না নিয়েও যার স্বাদ টের পাওয়া যায়। কবিতার (পাঠের) সাথে সময় এবং ভাবের একটা সম্পর্ক আছে, ঠিক যেমন আছে কবিতা লেখার সময়। একই কবিতা, সামান্য ক'টা লাইনই কখনো সখনো দারুণ দোলা দিয়ে যায় মনকে। আবার একই কবিতা ভিন্ন কোন পরিবেশে তেমনটা টানেনা। কবির প্রতি ভালোবাসা থেকেও প্রচ্ছন্ন একটা ভালো লাগার অনুভূতিও জন্মে কি? হয়তো জন্ম, হয়তো জন্মে না।

যাহোক, আরো কিছু লিখতে ইচ্ছে করছিল, কিন্তু সময়ের বড়ই টানাটানি। কয়েক জায়গায় দাড়ির পরে স্পেস বাদ পড়েছে দেখলাম। ভালো থাকুন নিরন্তর।

সৈয়দ আফসার এর ছবি

পাঠের জন্য কৃতার্থ।
ভালো থাকুন।

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।