শিশু যখন কাঁদে, মা বুকের প্যাঁচ খুলে; স্নেহভরে নিরন্ন মুখে স্তন ধরে চেপে; শিশু কোল জুড়ে হাসে… কান্না থেমে যায়! ও-মা, তুমি স্তনপাত্রে রেখেছো জন্মঋণ। দিনের পর দিন আগলে রেখেছো প্রাণ গোপন জঠরে, তোমাকে ভালোবেসে পঞ্চমদিন চুরি করেছি দীর্ঘজীবন! পরজন্মে শোধ হবে কী? তোমার দুধঋণ…
ভাত আমাকে আর ভালোবাসে না! ভাতফুল দুধঠোঁটে হাসে; চিবুক খুঁটে খুঁটে খায়। ভাতভাই তুমি কি ক্ষুধার রহস্য বুঝ? জানো কি— ফুটপাতে যাঁরা ক্ষুধা খেয়ে ঘুমায়, বাসায় যাঁরা আয়ার কাজ করে, আমি তাঁদের মেজভাই… ভাতভাই, তুমি একবার বলো, ক্ষুধার কষ্ট কেমন? আমাকে ক্ষুধাগাছ বানালেই ভালো হতো; ভাতজন্মে শোধ হতো জন্মের দেনা
ভাতবন্ধু তুমি পাঠ করো ক্ষুধার নামতা; আর আমি ক্ষুধাতাপে নষ্ট করি খাদ্যনালী, খাদ্যাভ্যাস, ক্ষুধা পেলে থালাও কান্না জুড়ে দেয় ভাতের নাড়াচাড়া দেখে
ও-মা, তুমি কেনো যে আজীবন আমাকে বানিয়ে রাখলে না দুধেরসন্তান
মন্তব্য
সেই রকম হইছে।
অনন্ত আত্মা
মা কি তবে দুধগাছ, বিস্তৃত স্নেহমূল অনন্ত জঠরে? খুব ভালো লেগেছে!
রোমেল চৌধুরী
খুব সুন্দর
-------------------------------------
হামিদা আখতার
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন
নতুন মন্তব্য করুন