মানুষ প্রতিনিয়ত বাস করে অনুভব-অনুভূতির ভেতর, শুধু মনের প্রশ্নরা ঘুরে বেড়ায় সময়ের রূপ-রেখায়; তাকে সমীক্ষা করলেই তো হয়! কেন মানুষ প্রতিনিয়ত বাস করে ধ্বংসের ভেতর? মানুষ কেন প্রতিনিয়ত ধ্বংস হয়, এই যে নির্মাণ ঠেলে আমরা হাঁটছি নতুন পথে, নতুনের সন্ধানে। নতুন আহরণ যে আনন্দ থাকে, পুরাতন বর্জনেও আনন্দ থাকে সমপরিমান।হয় শুধু সময়ের ফারাক।পৃথিবীর সকল শুন্যতা মানুষেরই তৈরি, আবার মানুষেই খুঁজে নেয় নিজের সৌরভ চিনে নেয় নিজের ব্যবাধান। মানুষকে ডিঙিয়ে পাড় হচ্ছে সময়, কিন্তু মানুষ সময় ডিঙিয়ে যেতে পারে না। এই ধরিত্রী, এই প্রকৃতি মানুষের পূর্ণতায় বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে আর রচনা হবে অজস্র গান,নাটক,সিনেমা। আমাদের গৌরব আমরা স্বাধীন। মুক্তিযুদ্ধ আমার অদেখা রূপকথা গল্পশোনা, বিজয় আমার কবিতা।
কৈশোরে ঘুড়ি উড়ানোর শখ ছিল প্রবল, ঘুড়ি হাতে মাঠে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতাম বন্ধুদের সাথে। তখন খাওয়া-নাওয়ার কোন বালাই ছিল না। সাপঘুড়ি নিয়েও যেতাম তাদের সাথে হালকা বাতাসে ঘুড়ি যখন আকাশে উড়তো মনটাও ঘুড়ির সাথে আকাশে চলে যেত, আমিও বাতাসে উড়তাম। যখন ১৫/২০ মিনিট ধরে আকাশে ঘুড়ি উড়ছে তখন নাটাইয়ের সুঁতোয় লাগিয়ে দিতাম একটুকরো কাগজ। তাকে চিটি পাঠাতাম এতো দূর আকাশে উঠেছো তোমার কি কোন কষ্ট হচ্ছে? তোমার কি ভালো লাগছে, আনন্দ হচ্ছে? আমার জন্য আনন্দ নিয়ে এসো, যদি পারো পুরো আকাশটাকে পেরে নিয়ে আসো। যখন পয়মন্ত বিকেলে বাড়ি ফিরতাম, মনে হতো আমি ফিরছি বিজয়ের বেসে।
ছোট বেলা স্কুলে যেতে ভালো লাগত না, ভাবতাম- আজ যদি সারাদিন তুমুল বৃষ্টি হয় খুব ভালো হত… স্কুলে যেতে হবে না; সে কথা ভাবলেই যে মন পুলকিত হত। সে সময় আমাদের মাধ্যমিক স্কুলে প্রতিবছর শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসের অনুষ্টানে আমি যেতাম। কৈশোরে মনে মনে ভাবতাম প্রশ্ন জাগত মনে— ২১শে ফেব্রয়ারিতে কেনো সবাই নগ্ন পায়ে প্রভাত ফেরিতে যায়? কোনো ২৫শে মার্চ রাত থেকে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্টান শুরু হয়। বিজয় দিবসে কেনো আনন্দ করা হয়। পাঠশালা পাঠ শেষে আমার ভেতর জেগে গেল জানার স্পৃহা মাধ্যমিক স্কুলে নিয়মিত যাবার একটা তাড়া মনের ভেতর জেগে থাকত।
প্রতিটি বিজয়ে অনুষ্টানে আমি কবিতা পাঠ করেছি, বিজয়ের গান শুনেছি, সবই এক-একটি স্মৃতিকথা। এবারের বিজয় দিবসে আমাদের কাছে ভিন্নতা আছে। এবারের বিজয় আমাকে ছুঁয়ে যাবে পুরোটা দেহ। এই বিজয় প্রতি বছর ফিরে চৈত্রালি হাওয়া মাড়িয়ে, তোড়া তোড়া শীতের আমেজ গায়ে জড়িয়ে। নতুন রূপে আসে স্মৃতিতে জমিয়ে রাখি পুরনো বছরের দিনলিপি। বিজয়ের কাছে আমি ফুল হব, অভি হব, হব না-ফোটা কথার প্রেম। কারণ দীর্ঘ ৩৪ বছর প্রতীক্ষার পর বাঙালি জাতি তাঁর শ্রেষ্ট সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সপরিবার হত্যার বিচার পেয়েছে। জাতি কলঙ্ক মুক্ত হয়েছে। জাতির দাবী যত দ্রুত সম্বব যুদ্ধাপরাধীর শুরু হউক।
নতুন প্রজন্ম জানুক একাত্তরে কারা দেশ বিরোধী ছিল। যেদিন বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়া শেষ হবে, সেই দিন থেকে জাতি পূর্ণ বিজয়ের স্বাদ পাবে। আমরা বুকে গেঁথে রাখবো একটি বিজয়ের ফুল।
মন্তব্য
ধন্যবাদ।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
কবিতা বুঝি না বলে আপনার পোস্ট কখনো খুলে দেখি না। তবে সচলে আপনার পোস্টের ফ্রিকোয়েন্সি দেখে এইটুকু বুঝি যে, আপনার কবিতা প্রসবের ক্ষমতা ঈর্ষণীয় পর্যায়ের।
এই পোস্টটা একটু গদ্যটাইপ বলে সাহস করে পড়ে ফেললাম।
নিচের বানানগুলো একটু দেখুন তো।
সমপরিমান>সমপরিমাণ
শুন্যতা> শূন্যতা
ব্যবাধান>
সুঁতোয়>সুতোয়
চিটি>
পেরে>পেড়ে
বেসে>বেশে
অনুষ্টানে>
শ্রেষ্ট>
সম্বব>
এই বালখিল্য ভুলগুলোর কারণ কি আপনার ব্যস্ততা? নাকি পোস্টের সংখ্যাবৃদ্ধির ব্যাপারে আপনার অতিমনোযোগ?
কষ্ট দিয়ে থাকলে দুঃখিত। শুভকামনা রইল।
সত্যেন্দ্র সিনহা
অনেক সময় লিখেই সচলে পোষ্ট করি। অনেক সময় লেখাটি নীড়পাতা'য় প্রকাশের পর চোখে লাগে, 'অতিথি' তাই ঠিক করা ক্ষমতা নেই।
অনেকটা অসাবধানতাই বলতে পারেন।
পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
নতুন মন্তব্য করুন