ওই তো দেখা যাচ্ছে রূপান্তর। অনতি দূরে চুষে রাখছ চোখে আশা ও আর্শীবাদ। আরেকটু দেরি হলে ফিরে পেতে পারো দীর্ঘনিঃশ্বাসসহ হারানো বিশ্বাস। বিরলে আমিও ধরে রাখি কারও উপস্থিতি, বত্রিশ প্রকার হাড়ের নীরবআর্তি। এতদিন পর স্মরণকথা আলাদা হচ্ছে না জেনে কড়া নাড়তে এসেছো শ্যামতলা বনে…। ফলে চৈতালি দিনে তীক্ষ্ণ বাতাস সবখানে ফোটছে অপ্রস্তুত আঙুল গুনে
ঋতু পাল্টাবার আগে দৃষ্টি ভরে বিদায়ী ঋতুটি দেখি সমান সৌরভে। ভাবি বিদায়ী ঋতুগুলোর এমন রূপ-বৈচিত্র পৃথিবীতে আর কখনই ফিরবে না। যেমন দৃশ্যবেদনা ফেরেনি নির্দিষ্ট দিনে। ছায়াসংহিতা জানে কত ঋতু কেটেছে ঘোরে, দেখতে দেখতে কত ঋতু কেটে গেল, জানি ত্রি-ঘোরে ফিরবে না আমার যৌবণঋতু…। স্মৃতির ভেতর হাঁটছি আমি, পৃথিবী হাঁটছে সময় পথে। একুশ শতক হাঁটছে বায়ুমণ্ডল পরিবর্তনের দিকে
তুমি কী জানো— শীতঋতু আমার কতটা প্রিয়? জীবনাত্তরণে কতটা লেগেছে ওম পউষের নরম রোদে? এখনও কী অঘ্রাণের মওসুম তোমার শরীরে জড়ালে তুমি বেজে ওঠো চাপানুভবে! নির্জনতা কতদূর যাবে জানতে চাচ্ছি না, জানতে চাচ্ছি না কেন দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে ব্যস্ততা বয়সের ঋণে
মন্তব্য
____________
হামিদা আখতার
নতুন মন্তব্য করুন