এই ঠাণ্ডার দেশে ঘরে বসে সিগ্রেট টানা যায় না! যাযাবর জীবনে নিয়মনীতি মানা কষ্টের। তবুও মানতে হয়। আজ হিমবাতাস একটি সিগ্রেট জ্বালাতে তিনটি কাঠি খরচ!... সিগ্রেট টানতে-টানতে আমি নামক আত্মাটি কোথায় হারিয়ে গেছে— আর সেখান থেকে ভাবছে মানুষ প্রকাশে যেমন পোষাকেও সমান। অনেকে আশার সিঁড়ি খুঁজে দেহ দিচ্ছে উপহার… ভাবে, একবার প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলেই সব নিরাপদ।
প্রতিষ্ঠা, এসো ভাই সব দুঃখ ভুলে তোমাকে চিবিয়ে খাই। এখনও একাকী তাই বলেই কি হাজার স্বপ্নে মিশে থাকা প্রয়োজন? আমি কল্পনা করতে চাই না। বলতে চাই না হাঁটুন। দিন বদলের হাওয়া ভরে খাড়া হন। আর পাখপাখালির ছায়া দেখে আকাশের দিকে মুখ ডুবিয়ে বাঁ হাতটির উল্টোপিঠ দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে-মুছতে বলুন স্বপ্নভঙ্গের কথা।
আত্মা হাসছেন? অনেকদিন পড়ে হাসলেন। হাসির দৃশ্য রাখছি পাহারায়। জীবন আসলেই একটি জলন্ত সিগারেট… তিন টুকরো ছাই। মৃতআত্মা, চোখ বন্ধ করে একটু গভীরে ভাবুন। এই যে, সিগ্রেটের জ্বলার দৃশ্য। পোড়ার দৃশ্য। নিভে যাবার দৃশ্য। এতকাল অচেনাই ছিল; তিনটি স্তরের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। তিনটির আলাদা অভিজ্ঞতা, আলাদা অনুভব।
সিগ্রেটের সুখটান শেষে ভাবছি— আমি কে, যাব কোথায়?… জীবন, এতকাল অচেনাই ছিল, বোধ করি ভালোই ছিল, কেন যে বেরিয়ে সামনে এলো; এলে যখন জানতে বড়ই ইচ্ছে এত তৃষ্ণা কোথায় জমিয়েছিলে?...
_________________________
মুহূর্তভাবনা : একটি কণাগল্প ০৮/০৪/২০১১
মন্তব্য
আফসার ভাই অনেক ভালো লাগল। ঠিক উপলব্দি--------- জীবন এমনি।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
নতুন মন্তব্য করুন