রাস্তার ও-পাশ ধরে হাঁটলেই মনে হয় আমার ইচ্ছেটা ঐশ্বর্যময়
রোদের প্রখর দৃষ্টি যেন গহননদী! নাড়ছে-চুষছে রীতিহীন খেলায়
কিছু ছায়াহীন ধূলিপথ গিলে ফেলছে কেউ জলগন্ধ পিপাসায়
আলতা-সিঁদুর পরা পায়ের ঘুঙুর… বেণীচুলের ঘ্রাণে সেও প্রিয়
দুশ্চিন্তা, অমন করে কেউ কি ধরে রাখতে পারে ছড়ানো ছাতায়
বৃষ্টি আসলেই পুরনো বছরের প্রতীক্ষায় ‘দিনানুদিনের’ ঝঞ্ঝায়
বাড়ি ফিরে না ইতস্তত মন-মানুষের-লোর, জলপাতায় মিলায়
শুধু লক্ষ্য রাখি বিমূঢ় অন্ধকার, তোমার সংসার; লোকলজ্জাভয়
২.
জানি না কার ইশারায় বাঁক পেরুলেই অন্তর্ধান, পুরো মনোটান
ছন্নছাড়া জীবন, তার চুলের ভেতর লুকানো স্নানস্লিক-ঘ্রাণ, দারুণ
আমার মুখাবয়ব যেন হাসির উৎসব, দু’চোখ ভরা নেশাঘুমক্ষণ
প্রতীক্ষা আমার জন্য দাঁড়াতে পারো তুমিসহ পঞ্চ-শিরা-পান-পাতা
রোদের ভেতর আমি দুপুর হতে চাই, আমাকে আলোকিত করো
আমাকে প্লাবিত করো, কিছু সুন্দর মুহুর্ত্বে আমাকে জাগিয়ে রাখো
যেন ইচ্ছা বুকের ছায়ায় এমনিতে গলে-গলে মিলায়; গলারমালায়
সান্ত্বনাটুকু ঘষতে দাও দুই-চোখে; আমাকে প্রাণ করুক রমণীকথা
আলোফুলে আমিও দেখতে চাই; তোমার ব্যস্ততা মনে পড়ে কি-না?
♣
রাস্তার এ-পাশ ধরে হাঁটলেই মনে হয়, কেনো যে হাঁটার শব্দগুলো
কানে বাজে, কানের শব্দগুলো অসহ্যসুন্দর! মনে হয় যেন কুড়ানো
উষ্ণতা রোদের ভাঁজে ভাঁজে সরিয়ে নিচ্ছে আমাদের মিশানো আদর
আমাকে রাখছে টেনে তার দেহসৌষ্ঠবসহ রোদে গলানো কঠিন তরল...
গ্রহণ কি করে এতো কাছাকাছি এলো? তুমিও সরে যাও সবর্ত্র
আর আমি—
ইচ্ছের রোদ ছিঁড়ে গোলাপ বানাই, গেঁথে দেই ভেজাচুলে; খোঁপায়
২.
সদাব্যস্ত আমাদের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য… সম্পর্ক-সংসার! তারও আছে জানার
আগ্রহ, গোপন কথারা কি জানে? মনের অসুখ কেনো দিন দিন বাড়ে!
হাঁটতে হাঁটতে তুমি নির্জীব হলে, আর আমার পা দু'টি কিভাবে— ব্যস্ত
রাস্তা পাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো পাশরাস্তার মোড়ে; যতই বাঁধো তুমি
রোদের সারাদিন; সে-কি জাগে না অনিবার্য-মিহিন... আমি সবই এড়িয়ে
যাচ্ছি নিজস্ব দক্ষতায় কারণ—
রাস্তার এ-পাশ, ও-পাশ দু'পাশের মাঝে
তীব্র পিপাসায় সে আসে, জল নেয় খুঁজে
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন