বন্ধু ভাবলেই প্রবেশ-দুয়ারে জেগে ওঠা ক্ষণ, শূন্যদিন!
অনিচ্ছায় কোথায় যে দাঁড়াই!... চাওয়া যে দশানন
দৃষ্টিকার্ষণ ছুঁলে তুমিও অন্যদিকে জাগাও বর্ণ ও জল
ঘুমে ঘুমে দেহের করতলে আমিও অ-নির্মিত সুখফল
গাঢ়ঘুম আর রাত্রিযাপন বোবাপাথর পার্রসোনাল কথা
আহত জলের সিলেবাসে তুমি জাবরকাটা— অস্থিরতা…
২.
অধিক ঋণের কম্বিনেশন একবারই হয়; যেমন বিষাদবেগ
না-ফেরা ব্যাপারটা হয়ত অহংকার; বুকসিন্দুকের উদ্...
চোখে চোখে কথা হলেই সহৃদয় সুনসান আর
বর্ষাদিন!
দৃষ্টির ঠিক পেছনে দেখি পুরাতন ভাব বিনিময়
আমাকে জড়াতে চায় গুহামুখ আর মাটির বাকল
আমাকে খুলে রাখিও একেলা; ওহো খোলা জানালা
কান্নারও যদি অদল-বদলে হয় বিশ্বাসে; শঙ্খমালায়
কুয়াশার চাদর ফেরাও দৃষ্টি; অদৃশ্যে হই আত্নভোলা
সহস্রকুয়াশামুখ দেখে আমাকে বেরুতে হয় সকালবেলা!
ভাব
শীতরাতে
স্বতঃস্ফূর্ত ঘুম কেনো জানি একা শুতে পারে না পুরনো গল্পের
ভেতর, পারিপার্শ্বিক নারী! জানতে না বুঝি? খরা-দেহে কষ্টফুল
কিভাবে খেয়ে ফেলছে হৃদয়; আহ্! রাত্রিপোহানোর তাবৎ মহিমা
মনে হয় শীতহীন সহস্র রাতে... ভ্যাপসা গরমে সচরাচর ঘুমোতে পারে না নাক টেনে টেনে মিশে যেতে থাকে চাওয়া,লালায় বারবার জেগে ওঠা গোপনস্মৃতি চাপা পড়েনি উল্টো বহু ছলাকলা ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনে,...
গতরাতে যে নারী স্বপ্নমোহে শরীরের
প্রতিটি অঙ্গ খুলে রেখে ছিল প্রদীপের সামনে
বলেছিল যৌবনের ফুল ফোটাতে পারো
হাতের আঁচে
সবকিছু ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবে বাঁধা দেব না শুধু-
শুধু বুকের গিঁট খুলতে মানা, যদি পারো
হাতড়ে ওঠো শরীর- দেখবে কার জন্য অধরার বুকে
অসংখ্য বেদনা জমা; সে রাতে ধৈর্যচূত হইনি-
স্বপ্ন ভেঙে থতোমতো দেহ, মুখটি ছিনতে পারিনি
ভয়ে সে রাত তোমাকে ছাড়া ঘুমোতে পারিনি
কিসের দায়ভার থেকে মুক্ত চাও
দায়ভারটা কার?
দায়ক তো তুমি, আর আমি দায়গ্রস্থ
সময়ের স্রোতে ভেসে গেছে যাহা
পড়শির কানে, টুকরো টুকরো করে
চিবুচ্ছে রক্তখেকুর দল...
কিসের টানে তুমি মুক্তি দাবী করো!
অসীম আকাশে অজস্র নক্ষত্র কোথায় তুমি
তাকাবে, পালাবে কোথায়...
বরং আমার সাথে যোগসাজসে মিশে যাও
কথা বলো কবিতার সনে ভাল লাগবে
ভালবাসবে তোমাকে। দায়, প্রতিবাদ ঘৃণা
সব ঋণের দায়ভার থেকে মুক্তপাবে আর...
২০০০ সালে জানুয়ারিতে দে’জ থেকে প্রকাশিত নির্মল হালদার এর‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গ্রন্থের ভূমিকায় নির্মল বলেন— ‘কবিতা লিখতে লিখতে ক্ষয়ের দিকে যাওয়া। কবিতা লিখতে লিখতে আলোর দিকে অন্ধকারের দিকে যাওয়া। আমি আমার দিকেও যাই। কবিতা ছাড়া আমার আর কিছু নেই।’ নির্মলের কবিতা পাঠ করলে পাঠককে ক্ষয়ের দিকেই যেতে হবে; প্রাত্যহিক জীবনই নির্মলের কবিতা...। যতই নির্মলকে পাঠ করি; পুলকিত হই। আমার অনুরোধে ...
আমার ধারণা; কথা-বিবরণ-তাৎপর্য এই তিনের সফল স্থাপনই হচ্ছে কবিতা! কবিতা তিনটি ধ্বনির সমষ্টি একটি শব্দ মাত্র; যার ভেতর আছে ভাবনা ও সাধনা। কখনো কখনো এ-ও ভাবি— যা দেখিনি, ভাবিনি, দোলা দেয়নি, কিন্তু মনে-প্রাণে অনুভব করি। ‘মানুষের সঙ্গে থাকা, সময়ের সঙ্গে থাকা, প্রয়োজনে জনমানুষের ডাকে সাড়া দেয়া।’ মানুষ আর সময় আমার কাছে শ্রেষ্ঠ কবিতা।এখন ভাবতে মন চায় সঙ্গ দিতে গিয়ে সব সঙ্গই কি মনে দোলা দেয়? ...
ওই পথের রঙ ছুঁব কি ছুঁব না ভাবতে ভাবতে উড়ে গেল পদতল-মাটি আর
জলভেজা বালির কথা তবুও বাঁধা পড়তে হলো শুকনো জল আর পিঁপড়ের
নিকট এসে অথচ জলপতনের আগে আমাদের ডুবে যাবার কথা ছিলো
ঝোপজঙ্গলের পাশে, আর ওই পথ ছুঁব না বলেই তখনও আমরা খুঁজেছি
বহুবর্ণ পথের ডাঁটা;তোমার কথা শুনে লতা পাতার মতো বোবা হতে থাকি
স্বর্ণলতা গাছের মর্মরে...শুনেছি এখনও অতিযত্ন করে গুনে রাখো নীরবতা
যেন পত্রলিপিতে কেঁপে ওঠে স্...
জিজ্ঞাসা মিথ্যা হয় কথায়, বাঁকে বাঁকে উথালা হাওয়ায়
আমার জিজ্ঞাসার ভেতর মুছে যায় চোখ; পরিচিত মুখ
প্রত্যাশিত আশার’চে রোদটুকু চুষে নিক আলোর পোশাক
পতনের কথা ঘুরেফিরে আসুক; এভাবে চলে কি সময়?
আমার আসা-যাওয়া, ঠিক সময়ের সাথে বেড়ে ওঠা অ-মঙ্গল
আমার চেনা অনুভব; তোর পরিচিত চোখে আবিষ্কৃত ব্যাপার
বলছে কি পেলাম না বহুকাল ধরে? কি যেনো স্পর্শ দরকার
আশা আমার প্রিয়বন্ধু; তোর পূর্ণতৃষ্ণা ধরে রাখা...
এসব বললে তুমিও কুলকুলে হাসো; বলো না-হেসে পারি না; তোমার মতো কুলকুলিয়ে হাসে লাউপাতা,কচুপাতা,সর্ষেদানা। লাউ-কুমড়ার পাশে অসহায় আলু-পটল সুপারসহ পানপাতা। তারচে’ভালো ছিল বালু সিমেন্টের পাশাপাশি বাজুক দেহসমর্পণ; ইটগাঁথা দেয়ালপিঠ দেখুক স্পর্শবেদনা... তোমার পায়ের ছাপ গুনে যেতে যেতে দেখি এই তো পরবাসে জীবন বাস্তবতা!
ক্যাবিজ,কলিফ্লাওয়ার,ক্যারটের ঝাঁঝে পুড়ে
বাঁধাকপি,ফুলকপি,মুলা নাক সি...