এ-রকম বৃষ্টির দিনে ফেরাবার পথ খোলা নেই
পতনমুখে ঘূর্ণিবাতাস মাঝখানে শোয়ে থাকা
প্রচলন রীতি বিকেল বেলা... প্রতিরোধ ছিল
আগলে রাখা নরম-চরম বুকে
পালাতে পারিনি চিবুকের পাশে হামাগুড়ি দিয়ে
চক্ররেখায় ঘুরতে ঘুরতে পালতোলা নৌকার
গলুইয়ে নুয়ে পড়ছে দেহ, নুয়েছো তুমিও
নির্ঘাত ভয়ে
না-হলে তীব্র ঘৃণায় স্পষ্টজিজ্ঞাসা গুছিয়ে রেখেছো
রান্না ঘরে আনাজের ঘ্রাণে; কাছে দাঁড়াইনি বলে
দাওনি সুগন্...
না-কিছুই বলবো না। কথা বলার আগেই শুকিয়ে যাচ্ছে গলা। ওই যে আমি দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করছি সকলের হেঁটে যাওয়া, আলোছায়া। হেঁটে যাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে যতটুকু পথ আমাকে ছুঁতে পারেনি, ওই যে হেঁটে যাবাব পর আমি যা পেলাম সারি-সারি গাছের প্রেম, পাতাদের আসক্তি… চারপাশ নিয়ে উড়ছে যে বাতাস, গাছপালার শ্বাস তাকে কি আমরা ধরতে পেরেছি? আমাদের শত আর্তনাদ নীরব সাক্ষী। শুধু জেনেছি গাছের নিচে বসে গাছপাতার গান শু...
গতি-দাহ নিয়ে সন্দিহান চোখে; সেও আসতে পারে এমন কথা কাউকে বলা যাবে না দু-জনের সন্দেহে; এরকম চিন্তায় আমাদের সম্পর্ক মিশে যেতে পারে আ-ছোঁয়া ভ্রমর বাতাসে রূপকথার স্মৃতি বলতে আসিনি, যা বলবো শুধু নিজের কাহিনী
জীবনের কিছু মুখ, কিছু মুখোশ, কিছু কথা, কিছু নিরবতা, কিছু ছন্দ, কিছু দ্বন্দ্ব সব মিলিয়েই তৈরি হয় একটি কবিতা। আমার চারপাশে যে মুখগুলো, মানুষগুলো আছে, তা যদি ভাবি দেখবো কেউ খোঁড়া,কেউ আবার চমৎকার দৌঁড়াতে পারে, হাতে হাত রেখে পাশাপাশি হাঁটে, কেউ আবার আড়চোখে তাকায়, বুকদোলে ওঠে কাঙ্খাও লোভায়…! কেউ মৃদুসুরে কথা বলছে, কেউ আবার কথার ফাঁকে-ফাঁকে হাসে, কখনো বোবা হয়, বোবার মতো তাকায়! কেউ থুতলায়। ত...
আমাকে তাড়া করে গড়িয়ে নামছে সন্ধ্যা
খিড়কি দরজার ফাঁকে
ফলে কার্নিশ ছুঁয়ে নামছে এক পশলা রোদ
গোপনে নেমে গেছে তখন রোদের ছায়া
তারপরও রয়ে যায় অপেক্ষাসহ স্মৃতি-স্বপ্নকথা
যার জন্য গুনে রাখি প্রহর; আঙুলের রেখা
সে তো শাদাপরী
সন্ধ্যে নামার আগে ফিরলে না তাড়াতাড়ি
যেভাবে পাখি ফিরে নিজের বাড়ি
কারো তাড়ায় আমি মিশে যাই দূরের ছায়ায়
যদি ফিরে এসো আমরাও মিশে যাবো
রাত্রিদিনে তারায় তারায়
শুকনো পাতা
শুনে ভীষণ ভালো লাগে যখন দেখি
তোর চোখের কাছে জমা বহুকালের
আহত স্মৃতি
বলছে তারও রয়েছে চারচোখা ইর্ষার বাতি
ভাবছি পরস্পর কিছুই ঘটেনি; যতটা এগুলে
তোর গতির চাইতে বাড়তি অনুভূতি
বিগত দিনের ব্যথা এখনিই ভুলে যাবার কথা
তাতে কতটুকু দূরে দাঁড়ানো ফলধরা ব্যর্থতা
কিছুই জানলি না-
কিন্তু কী আশ্চর্য! এমন ভালো লাগার সাথে
লুপ্ত ছিল তার টান-টান গভীরতা
তুমিও চিনে রাখো শুকনো
আনন্দ শিরা
ভালবাসার সাথে স্পর্শের সম্পর্ক তাল-পাখা-হাত,ভরামধুমাস,দু’হাতের চাপে ঘষা লোলানো আমলকীফল,চিনাবাদাম-খোসা ইতা পোড়ানাদিবস, তারচে’ বলো আখ-খেজুরের রস, তালের সন্দেশ, যত মুগ্ধতা খুঁটে-খুঁটে পড়, উপভোগ করো, বুঝাও, দূর্বলতাগুলো উচ্চসুরে পাঠ করো, তাকেও জানতে দাও হাত-কলম ধরাও সহজ ভাষায় শিখাও আমিতো কিছুই শিখিনি, দেখিনি কিছুই তোদের কৃপায়, তাদের বলে দাও আমি শুধু ভাত-ডিম-ডাইল বাঁধতে...
জলফল মৌসুম
রোদঝরা দিনে বহুকাঙ্খার লোভ জমছে না চোখে
তার মৌনতা আর স্বতঃতাড়িত রোদ চশমার ফাঁক
ঘেঁষে গড়িয়ে পড়ল আমাদের চেনা সরুপথ মোড়ে
আমিও তাকাবো-- তাকিয়ে দেখবো কিভাবে মায়া
সারাবেলা কাঙ্গালিনী হৃদাকর খেয়ে গুটিয়েছে হাত
পাঁচ-আঙুল-প্যাঁচ
২.
উড়ুহাওয়ায় ধূলিবালি উড়ে বেড়ায় নিজস্ব তরিকায়
আহ! শৈশব ফাগুন মাস একই স্থানে ঢিল ছুঁড়া হত
যদি আধাপাকা বরই দু-চারটি পড়ে, সে স্মৃতি
মনে পড়ে, ...
ভয়
আমি ভয় পেয়েছিলাম সেই দিন, অতি গোপনে
যেদিন আমার চোখের সামনে হাসপাতালের মেঝে
ছোট্ট শিশুটি বাঁচার তীব্র কাঙ্খায় তাকিয়েছিল
তার চোখের ভাষা যেন সবার কাছে আকুতি-মিনতি
করে বলছিল 'বাঁচিতে চাই সুন্দর ভুবনে'আমাদের
তাকানোর ভেতর দিয়ে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল
সেদিনই উপলব্দি করেছি সব জীবের মৃত্যু অবধারিত
আজ সে কথা নিজের করে ভাবতে ভাবতে মনে হলো
এ-জীবনের যত ইচ্ছে, যত বাহাদুরি সবই ম...
বিনয় মজুমদারের ২০১টি এক পংক্তির কবিতা (পুর্নপাঠ)
১.
কবিতা লিখলেই মানুষ, গণিত আবিষ্কার করলেই বিশ্বের মালিক
২.
যা ঘটে তাই স্বাভাবিক
৩.
পাহাড় ও নদীর মালিক সরকার
৪.
বলতো কী নেই অথচ তার মালিক আছে— আকাশ
৫.
ঘি-ও জ্বাল দেবার সময় দুর্গন্ধ
৬.
একটা ধান থেকে মোটামুটি চুরাশিটি ধান হয়
৭.
সবচেয়ে বোকা প্রাণী মাছ
৮.
শরীরের তুলনায় প্রজাপতির পাখনা কত বড়
৯.
খোসায় লাগানো চীনাবাদাম পাকলে খোসা থেকে...