ক্রিষ্টাল
চুপ চর্চায় পেয়েছিলাম অসত্যভাষণ
ক্রিষ্টালের গলায় ঝুলা অনাসক্ত শোষণ
মৃদু হাসলে প্রস্তুত রাখো তোমার—
ঠোঁটের আলোড়ন!
এবার এসো, অ-স্থির হয়ে বসি; স্বপ্নের মুখোমুখি
ঘরে ফেরার শিথানে দাঁড়াবে কী? ঘুমহীন পাখি
রাত্রি গভীর হলে নিঃসঙ্গতা জানালার শিক বেয়ে ওঠে, আহ্লাদ তার নিকট যাবার পূর্বে তীব্রকাঙ্ক্ষাগুলো সগৌরবে চাখে প্রেসারকুকারে; ইচ্ছেকথা একারে থাকে না হরণিয়া চোখে; তখনই শব্দের প্রতিযোগিতা শুরু… আলো-অন্ধকারের সাথে যদি ভেজারাত জলতেলহীন ফ্রাই হত তবে বলতাম ধরো দেওয়াল নাও, খোলো গোপন টান; রসাবেগ বেশ সুন্দর! সুনসান নিঃসঙ্গকাহন। কার ইচ্ছে আমাকে দাঁড়িয়ে রাখে? আর কতদূর এগুলে ব্যথাও নাক সিঁ ...
একটি কান্না সলাজে হাসতে দেখে তুমি ছোটাছুটি করো চিলেকোটায়, উঠোনে। দেখো আমি কেবল হাওয়ারূপে পাখিদের কন্ঠ শোনে চারপাশ ঘুরি; ঘুরে-ঘুরে স্মৃতিস্পর্শ অবলোকন করি, সগৌরবে খুঁজি দেহসুরসহ গোপনমোহ। মুখভর্তি নীরবতা মেখে একটি কবিতা লিখবো বলে কতশত ইশারা খুঁজছি চোখের গহব্বরে
কি করে যে দিনের রূপ ফেটে ওঠে রোদের ভেতর! সন্নিকটে চতুর আকাশ চমকাতে চমকাতে ছায়াভরে দাঁড়ালে ঝরো-ঝরো রোদ্দুর রহস্যভেদ ...
কাহিনী শেষ হবার পূর্বেই একটি অনুভব শ্যামবাজারে আলাদা হতে-হতে অস্পর্শ নুড়িপাথর কুড়াতে কুড়াতে রঞ্জন ভাবে শুশ্রূষা কীভাবে গা-ঘেঁষে বেঁচেছে এতকাল! প্রায় দেড়শ বছর পূর্বে; খুব কাছাকাছি ছিলে, আছো, থাকবে। সবই ঠিক আছে। তবুও সন্দেহ। পূর্ণসন্দেহ...
পূর্ণসন্দেহ, সে কথাই ভাবছি অর্ধেকের চেয়েও কম বয়স সত্তরে। ভাবনা যত আগে আসে তত ভালো। যৌবনের ভাবনাগুলো ফুরফুরে বেশি মনে পড়ে, যেমন আশা ও ইঙ্গিতে, ...
ছায়ার নিচে সে যদি রোদ কুড়ায় তবে
সেলাইকলের টানাটানা শব্দগুলো
বাদ যাবে কেন, কলঘরের একটানা শব্দও
কুড়াক
নৈঃশব্দ জানে না সোনামুখী সুইয়ের ছিদ্রকথা-
সুতোহীন দীর্ঘশ্বাসে যতটা থেকে যায়; ওড়াটাই
শুকনো পালকে জ্বররুগ্নতা...
সেও যদি উড়তে পারে তবে বালুচরে না-হেঁটেও
চোখের ভেতর জেগে উঠবে চর- তারপর
নিঃশ্বাসে মশলার ঘ্রাণে লোভ বাড়ে; কলকব্জা-হাড়ে
দগ্ধপাঁজর জুড়ে চুম্বনের হাসি পাবে, ম ...
ইচ্ছে ছিল তোর সাথে যাবো
ভরা বর্ষায়!
তাই ভিজে গেলো শরীর
উলটো হাওয়ায়
ভরা বর্ষায় বাড়ির চারপাশ জুড়ে
জলভাঙার শব্দে বৃষ্টি গুঁড়ো হয়ে মিলায়
ঝরে চিলেকোঠায়, বারান্দায়
তুই কী জানিস-
আমাদের জলকেলি খেলা নিয়ে
জলে-স্থলে কত সংশয়
নীলভয় পাথর চাপায় যথেষ্ট ক্ষমতাবান হয়! বিবর্ণরেখা আমাকে গ্রহণ করতে চায়; প্রতিক্ষায়। পুরো অধিগ্রহণ যাকে বুঝায়। দেহবারতা,আমাদের পরিণাম কি এভাবেই নামতে শিখেছে আঁধার ছায়ায়। ভয়, দাহতা নিভে গেলে আমাদের জিজ্ঞাসা গলে গলে কতোই হবে আর একটুকরো মোম
আহত করো না প্রিয়লজ্জা… যতক্ষণ তুমি বাজুতে রহিয়াছো খাড়া। তোমার দেহ- বাতাসের দোলায় উৎকন্ঠা-অপারগতা লাগে নিষ্ক্রিয় এই আমি আত্মতুষ্ট শীতরাতে। ...
আগ্রহ, নিঃশব্দে যত্রতত্র ঘুরো। সবই দেখি, শুনি… শুধু শুনি না চুলের আওয়াজগুলো কিভাবে দলা পাকিয়ে দূরে দাঁড়ায়; পুনরায় জাগিয়ে তোলো রহস্যময় নিঃসঙ্গতা। ভাবুক পৃষ্টাগুলো একত্র হলে জ্যোৎস্নায় মিশে থাকে ছায়াপালকসহ হাজারতারা। দৃষ্টি থেকে খসে পড়ে কলঙ্ক, হারানো রূপ, লোভাতুর নীরব ভঙিমা… এইবার দেখা যাবে রাত্রিফুলগুলো কিভাবে লাফিয়ে ওঠে খোলা জানালার শিকে
চিরে-খুঁড়ে দেখো, অনির্দিষ্ট কাল ...
কতটুকু আহত হলে দীর্ঘ চুলে? কতোখানি কৃতজ্ঞতা ডিঙিয়ে ছড়ালে জল নৈরবে। যিনি পাশে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর ক্লান্তি দেখে পায়চারি করো; ইচ্ছেগুলোকে নীরবতা মাখিয়ে চেপে ধরো বুকে...
আ-হা, আহারে বাঁকাদৃষ্টিবাহিকা তোমার ছায়াটাও মাড়িয়ে গেল প্রাইভেট-কারে! তুমি কি জানো; বৃষ্টি নামার আগে একটি অকৃতজ্ঞ হাত তোমার বুকের উপর ডানাভরে কেনো উড়ে গেল?
কৃতজ্ঞতা, শুধু আমি উড়ছি না ডানায়। প্রেরণা পেলে আশার আকাশ ...
এমন দিনে মর্মগ্রহণ, তপ্তসন্তরণ
বহুদূরে তখন ঝরছিল বৃষ্টিফুল
নিকটবর্তী জলানুভব, ভেজাচুল
ছুঁলেই উদ্দেশ্যহীন তুমি; কারণ—
করতলে খুঁজে পাই না রাশিফল
মৃদুকৌশলে ন্যস্ত করো আর্শিবাদ
পঞ্চাঙুলিতে লুফে নাও অমৃতস্বাদ
অপেক্ষা সে-তো গ্রহণের পূর্ণফল
একেলা ভিজো অঝোর বৃষ্টিতে
একেলা জাগাও পুরো বর্ষাকাল
কোন অর্থে তবে উথালপাথাল?
তাহারে ডাকি আমি প্রিয়মুহূর্তে
দাঁড়িয়ে থাকি, পুনরায় দেখি
...