দেখুন,
আশার পায়ে লেফে রাখছি গন্ধভেজাজল
জলফুল, মনফুল ব্যথার প্রায়শ্চিত্য শিখুক
তার নিচে লিখে রাখছেন বন্ধপথ, এটুকুই
বল্লেন!... আপনিও বলেন হারানো বিশ্রামাগার
জানালেন,
সর্বাঙ্গে গতিফুলের প্রত্যাশা, কি ভীষণ নেশাতুর
ফলে বহুকালের দুঃখবোধ সাজিয়ে আমরাই...
পাশে জল, ছায়াফুল, সেলাই গাছের কারখানা
ভাগ্যিস, ভরা-রোদে আমার ছায়ায় আমি স্থির
শিশু যখন কাঁদে, মা বুকের প্যাঁচ খুলে; স্নেহভরে নিরন্ন মুখে স্তন ধরে চেপে; শিশু কোল জুড়ে হাসে… কান্না থেমে যায়! ও-মা, তুমি স্তনপাত্রে রেখেছো জন্মঋণ। দিনের পর দিন আগলে রেখেছো প্রাণ গোপন জঠরে, তোমাকে ভালোবেসে পঞ্চমদিন চুরি করেছি দীর্ঘজীবন! পরজন্মে শোধ হবে কী? তোমার দুধঋণ…
ভাত আমাকে আর ভালোবাসে না! ভাতফুল দুধঠোঁটে হাসে; চিবুক খুঁটে খুঁটে খায়। ভাতভাই তুমি কি ক্ষুধার রহস্য বুঝ? জানো কি— ...
কাছের মানুষ পাশে থাকতে নেই! বলা কি ঠিক? যতদূরে থাকি ইচ্ছের ভেতর খেয়ে ফেলি ভয়। তৃপ্তি ফুরাবার নয় জেনে সম্পর্কের গাঢ়ত্ব আরো বেশি ছুঁই… তুই জানালা ঘেঁসে দাঁড়িয়ে থাকিস; আমিও মুখোমুখি দাঁড়াই নিয়মচক্রে, বিস্তারে। যতই অপেক্ষা, ততই অভিযোগ। যতটা সংশয় সে-তো আমারই পাশের চোখ। আমি তারে দু’চোখের পাশেই রাখি— সত্যি, রাগ চেঁচিয়ে কিছুই বলতে পারি না। মমতা, নিকটে এসো পুনর্বার; বলো— তার সঙ্গ পেয়েছো ...
সহজমন্ত্র
হঠাৎ তার চোখের ভেতর জমানো সান্ত্বনা
সহজ হতে দেখে রহস্য আঁকছি পোড়াহাতে
এ-দেহের গোপন ইচ্ছেগুলো শরমিন্দা হতে
দেখে ভয়ের উপর সজোরে হাসে কার কান্না
আমাদের প্রিয়বোধগুলো বেড়ে ওঠার চূড়ায়
আমাকে পান করাও একডোজ অব্যবহৃত-সময়
সুখে স্বাচ্ছন্দে থাকবে আমাদের অবশিষ্ট ভয়
♣
দূরে ঠেলে রাখার সন্দেহ; প্রতিনিয়ত কেনো যে
আমাকে জড়িয়ে পেঁচিয়ে রাখো বুকের ভেতর—
যত নিরবতা, তত নিরাপদ; মন খু ...
গতকাল কি ঘটলো মনে রাখতে চাই না; বেদনার গন্ধ পাই। মনে রাখলে বেদনাও বেঁচে থাকতে চায় ত্রিশফুট উচ্চতায়। প্রতিটি বেদনার একটি কারণ থাকে তাই কালে-পার্বণে দোলা দেয় মুহূর্তচোখে। আগামীকাল আমাকে তাড়ায়, দৌড়ায়, বোকা বানায় আশেপাশে যেন কিছুই মনে থাকে না। ইদানিং ঘৃণাকে অধিক মমতায় নীল মলাটে সাজাই। ঘৃণার চেয়ে কষ্টের তীব্রতা এতো গাঢ় যে কারো চোখের দিকে তাকাতে পারি না; ঘৃণা যদি অপূর্ণতা পায়
তোমার ...
আঘাত দাও, মুগ্ধ হই। অপেক্ষাভ্রমে চমকে দাঁড়াই। রাত্রি প্রত্যাশায় সারাদিন ঘুরি। আকাঙ্ক্ষায় রাত্রি জাগে না; একাই জাগি। রাত্রিপরিচয় সর্বদা নিচুপথে হাঁটো, পতন শেখাও। জানা গেল না; ভরা চোখে কত নিষেধ আছে। জানা গেল না; চোখের ভেতর কত সুখ জাগে। কেবল খুনি করো জলঠোঁট অপরিচিত ঘ্রাণে
মেজাজ ভালো নেই। কিছুই মনে পড়ে না। বিশ্বাসী, তোমার কাজ কি শুধু মন খারাপ করা? আমাদের মন খারাপ হলে প্রবলতৃষ্ণা চ ...
দাঁড়াও রোদে, আমি দেখি সালোকসংশ্লেষন
নিয়নের মতো এ্যাতো বায়না ধরো সর্বাঙ্গে
আপাদমস্তক টানাটানি প্রীতিসহ গভীর চোখে
শোধ পাবার আশায় আমাকেও ঋণী করো
স্পষ্টবর্ণে, বহ্নির ধ্যানে দূরঅব্দি বানাও
বোবাদর্শক...
নিজেকে খুঁজি স্বপ্নমহিমায়, মশারির আলোয়
ভাগ্যিস আমি আজও বেঁচে আছি সতর্কতায়
ভরাদৃশ্য অচেনা মোহে নয়, কাছে দাঁড়ালে—
তোর বিশ্বস্ত চোখ আমাকে শিখায় নিরবতা
জলপ্রাচুর্য, জলপতন
আমাক ...
তুমি রাখছো আচ্ছন্নতায়, সুতোপথে
পৃথক সত্তায়
নিজেকে ব্যবহৃত করি পৃথক অর্থে—
ডালের ছায়ায়
ভরা ভাদরে জ্বরস্পর্শ ছুঁয়ে আসো
কথা ও ঘটনায়
আমাকে বিদ্ধ করো যাচ্ছো বারবার যৌনহাওয়ায়
যাত্রাপথে কতবার শীতজন্ম চুরি করেছো মেঘহৃদয়?
তুমি রাখছো টেনে গতি, কোলাহল ভরা
রাত্রি-আঁধার
নিজেকে জানতে স্বপ্নরা নিকটে এলো
উড়াল হাওয়ার
রহস্যে দেখে অতি সহজে বেলা গেলো
তারপর…
নিজেকে গুটিয়ে রাখছি দূরে, উচাট ...
কাঁপছে বাতাস! রোদে পাতো হাত। ছায়ার বুকে হাত রেখে আমি আরো গহীনে যাবো, প্রকাশ্যে তুমিও এসো গহীন বনে... আমাকে কাঁপাও বন্ধু; শুধু কাঁপিও না পুরনো ক্যাকটাস। কুড়িটি আঙুলের তোলপাড় চিরে ছড়িয়ে পড়ো ফায়ারবক্সে আমাকে সারিয়ে তোলো পুরনো অসুখ! পুরনো অসুখ কেনো যে হাসো অবহেলায় বোবা কান্নায়
অপেক্ষা, বাতাসে উড়ো, বাতাসে দাঁড়াও। দশটি আঙুলে আলতা পরাও; আমাকে করো ডিসটার্ব। বাকি দশ আঙুলে অনুভব জমাও। সহ ...
প্রাপ্তির অনুভূতি চোখ আলোকিত করে! সব প্রাপ্তি ধরে রাখা যায় না তুমুল আলোড়নে... প্রাপ্তি বেশি কিছু নয়; অর্গল কথা বলি পোড়াবুকে। একটাই দোষ গোপন করতে পারি না মোহ ভঙিমা, সরলতায় পুড়ে
শরমিন্দা, আমাকে ছেড়ে দাও। আমি ঘুমাবো। ঘুমোতে যাবো। দিনের ব্যস্ততা কেটে গেলে বেশ ক্লান্তি লাগে। ক্লান্তিটুকু আলাদা করতে পারি না বলেই ঘুম-ঘুম লাগে। পবিত্র হও ব্যাকপেইনের যন্ত্রণা। সহ্য হয় না পায়ের শিরাগুলো ...