বিজ্ঞানীর ভাষায় পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ঠিক যেনো কত? যতই হউক, পূর্ণদৃষ্টি থেকে বেশি নয়। কারণ— পূর্ণদৃষ্টি দিয়ে পৃথিবী থেকে সূর্যকে দেখা, আর জোড়াচোখে সৌন্দর্য উপভোগ করে বুঝলাম: দৃষ্টির দূরত্ব থেকে সূর্যের দূরত্ব কয়েক কোটি গুন কম
হেলানো দেয়াল আনন্দ দেয়! দেয়ালের কি হৃদয় আছে? হেলানো দেয়ালে প্রায়ই ঘটে চোখাচোখি। সে আর আমি সটান হয়ে দাঁড়াই; দাঁড়িয়ে দেখি আমাদের প্রস্তুতি… আমার সাথ ...
কেশ বাতাসে উড়বে বলে দু’চোখ জেগে রয়
চোখ ফেরালে পুনরায় জাগো স্বপ্ন বিক্রিয়ায়
স্বপ্নযত, গোপনতত, ফেরাও যদি ডরে-ডরে
ভাবনা আমার ঝুঁকে আছে গোপন হাহাকারে
চোখের উপরে বুকের কথা… মৌন আবেদন
বৃথাগন্ধ চিনো কি বলো?— দেবী-স্বপ্ন-সন্তরণ
পেরোনো গেল না গতিপথ, ফিরিয়ে দিলে ক্ষত
সীমানা ছেড়ে চুপচাপ দাঁড়াও; লীনতাপে অক্ষত
কেশ বাতাসে উড়াবে বলে চোখ খুলে তাকাইনি
কখন এলে, কখন ফিরবে… কিছুই আমি বলিনি
সে-ও কি জানে— বাতাসের গতিবেগ ঠিক যেনো কত? সে কি জানে, মানব জন্মের আগেও বাতাস শব্দের ফেরিওয়ালা ছিল? না-হলে কেনো হবে নয়নগোচর করা শব্দকারিগর; শব্দধারা
পাথরদেবী, অধিক পিপাসায় কালো হও, লোভী হও… চিবুকে শব্দ দমাও। ইশারা জমাও ত্রিকালে; এই হলো রীতি; রপ্ত করো হৃদয়রহিত
নীরবতার আলাদা শব্দ থাকে তাই— চুড়ির শব্দ, কাচ ভাঙার শব্দ, কলঘরে জল পড়ার শব্দ, শুনতে ভালো লাগে, শুনি… কিন্তু শুষ্কহাত শব্দ বাজে...
আশার প্রস্তুতি দেখে আঙুল যদি পূর্ণতা পায়। তবে পান হউক অর্ধেকচোখ, চোখের অর্ধেকভাষা। বাকি অর্ধেকে আমি সংসারী হবো; কেউ যদি শিখায় আদালেবু দিয়ে মাছ রান্না…
জানি রান্নাও শিল্প। রান্না শিখবো বলে মাঝে-মাঝে ভাবি, হবো কি সংসারী? ঘোর কেটে গেলে সবই আকাশকুসুম কল্পনা। পাছে ভয়, বেশি সংশয়…
কবিতার কি হয়?
চক্রপথে এতো উৎসাহ, এতো অপেক্ষা দেখে খালিপায়ে হেঁটে-হেঁটে আমরাও মিশে যেতে পারি ছায়াবাড়ি...
দেবী। আমি স্বপ্নপাপী। কাছাকাছি এসেও দূরে-দূরে থাকি। দ্বিধা, তোমাকে কিছুই বলেনি। আমি কিছুই বলতে পারি না। পরাজিত হতে চাই না বলে অপেক্ষায় পাপ শিখি; পাপে-তাপে লুকাই লালমুখ... আমি তো প্রেমিক নই যে তোমার অধীনইচ্ছায়, আড়ষ্টতায়, জাগিয়ে তুলবো সর্বদা দশ আঙ্গুলের দ্বিধা
আমি স্বপ্নপাপী। অতিসতর্কে ধরে রাখি চোখ; উত্তাল চাহিদা। চোখের শাসন নির্বিকার জেনে নিকটে আসি। পূর্বপ্রস্তুতি, কেবল ধরে র...
জুতোর সাথে খাতিরটা বেশ পুরনো, সে আর আমি একসাথে অনেক পথ হেঁটে, অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। পুরোনো জুতোগুলো কথা আজ বেশি মনে পড়ছে!
শীতের দেশে আজই প্রথম ৩০ডিগ্রি তাপমাত্রা আমাকে জিজ্ঞাসা করলো? এতো দিন ধরে পাশে আছি, আজই প্রথম আমাকে সাথে নিলে; এতো দিন কেনো নাওনি? কালো হলাম বলে?… আমি কিছু বলি না, যদি তার বুকে ঘাম ঝরে…
ভাবছি, অন্যান্য জুতোজোড়া সরিয়ে রাখবো। কালো জুতোকে পাশাপাশি রাখা দরকার, ...
বেদনার সাথে অকারণেই সম্পর্ক ভালো।স্বপ্ন, তুমি বেদনার হাত ধরে বেঁচে থাকো আর সীমিত আকারে অভিমানী হও ঠোঁটে… বেদনা চেকআপ করতে পয়সা লাগে না।তবুও ডাক্তারের কাছে যাওয়া-আসা ক্লান্তিকর অস্বস্তি লাগে
শোনা গেল, বেদনার বয়স বাড়ছে চেপে রাখি। কাউকে কিছুই বলি না। শুধু জিজ্ঞাসা এই যা... মরার পর কী কবিতা লিখা যাবে?কে শুনে কার কথা; শেষমুহূর্তে ঋণ বাড়ছে অনেক; আমাদের গড় আয়ু সাতান্ন! আমাদের গড় উচ্চতা...
ইচ্ছে কাঁদি, কিন্তু পারি না! চোখ জিজ্ঞেস করলো, কাঁদবে, জল পাবে কই? জলটুকুন খেয়ে ফেলছে দেহতৃষ্ণা।... তারচে’ ভালো চোখের গভীরতা খুলে ফেলা হউক, খুলে ফেলা হউক আরো কিছু ঘুম, অদেখা শোকটাও দেখুক, কিভাবে খোলস পরে থাকে সমপরিকল্পনা
২.
সেও বিপরীতমুখি, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা, আশেপাশে মানুষজন ভালোই আছে এমন প্রণোদনা অভিমানে খাড়া, অভিমান দূরত্বে যাও; আমাকে পাবে দৃষ্টিজঙ্গলে; দৃষ্টিজঙ্গলে আমরা কি ঘু...
অপরিচিতা, জানার কিছুই ছিল না।তবুও দেহের ভাষা ভালো বুঝে চোখ।ভালো দেখায় মুখের সাজগোজ। কানে পাতাদুল, আঙুলে দুটি রিং,গলার চিকণ চেইন… বেবীগোলাপী রঙে আমার দুর্বলতা এতো-এতো বেশি যে, তাও মিলে গেল জামা পরায়
অধিক চিন্তায় ভুলে গেছি সব, ইদানিং নিজের সাথে কথা বলতে পারি না।কৌতূহলে অপরিচিতার চুল দেখি। চুল কতটুকু দীর্ঘ না-হলেও নারী বলা যায়। ভ্রু কতটুকু কেঁটেছেঁটে ছোট বানালে আই-ভ্রু ছাড়া কিছু...
না-ছুঁলে পাথর হয়ে ওঠো হাতের রেখা, রূপ খোলে গোপন করো অচিনতালু; লক্ষ্য করো, দেখো, কার চক্ষে গাঢ় হয়ে দাঁড়ায় রাত পোহাবার আলো… কার বুক ছিঁড়ে এসো আর দেহ বেয়ে যাও! অচিন মায়া। যে পোড়ায়নি পাতালে, নীরব রেখায় তার বশে কাঁপছি, কাঁপছে কিশোরবেলা, হৃদয় ভোলাবার আগে চোখ খোলো, বুক খোলো, খোলো দেড়হাত মোড়ানো নিষেধ টানা…। সুদূরে আছো, তনুমনে আছো, জল খোলে ধরো কামনাপাতা। শেষরাত্তি গ্রহণ করো, এসো দেখি কতটা জ...