সারাদিন উদভ্রান্ত শেয়ালের মতো
ঘুরে ঘুরে সন্ধ্যায় বাড়ির পথ ধরলাম
ল্যাম্পপোষ্টে কেউ জ্বালিয়ে দিয়েছে গোধূলীর আলো
সারা পথ সন্ধ্যার জৌলুসে ঝিকিমিকি
মনুমেন্টের উজ্জ্বল আলো ঘিরে
উড়ছে সভ্যতার অভিলাষী পতঙ্গের ঝাঁক
কত বৈচিত্র ছড়ানো আলোর এই দূর্গের ভেতর
নিস্প্রাণ পাথর কী দারুণ প্রাণবন্ত করে সাজিয়ে রেখেছে কারা
রাজপথে শোভা পাচ্ছে নীল পাথরের ডলফিন
লাফিয়ে উঠেছে ঝর্ণা জলের সমুদ্র থেকে
বিশাল বিলবোর্ডের গায়ে আঁকা অতিকায় শিরীষের ডাল
তার নিচে গাঁয়ের বিজন পথ চুপচাপ শুয়ে আছে
কিছুটা এগিয়ে টের পাই নগরীতে পথনাট্যোতসব
শুরু হয়ে গেছে -
এক ছোকরা শাদা দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে সেজেছে লালন
জোনাকির মতো থোকা থোকা হয়ে জমাট বেঁধেছে পথচারীরা
আমি দিনান্তের আলোকে বিদায় জানিয়ে বাড়ির পথ ধরলাম।
মন্তব্য
উড়ছে সভ্যতার অভিলাষী পতঙ্গের ঝাঁক
সুন্দর উপমা।
গাঁয়ের বিজন পথ চুপচাপ শুয়ে আছে
চমৎকার চিত্রকল্প।
হচ্ছে। তবে লাই দিয়ে গাছে তুলবো না। ধন্যবাদ।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম। তবে বোঝা যাচ্ছে আপনি লাই খুব হিসেব করে খরচ করেন। তা বেশ বেশ। তবে পরিমানে যেহেতু কম দিচ্ছেন, বারে বারে দিলেই হবে। আগামী লেখাগুলোতেও সাথে থাকুন।
চলতি পথের কবিতা। ভালো লেগেছে।
ভাল্লাগলো।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সুন্দর তোর কবিতাটা। একটা ছোট্ট নদী যেন - পাগলা স্রোত বা ঢেউ নেই, তবে এর স্নীগ্ধ সরল রূপটাও উপেক্ষা করা যায় না।
কীর্তিনাশা
দিন শেষে খুব ক্লান্ত ছিলাম তো, পাগলামী করার শক্তি গায়ে ছিলো না। নইলে কি আর ছেড়ে দিতাম? পাগল করা লিখেছি কয়েকখানা, গতকাল মাঝরাতের পর।
'উদভ্রান্ত শেয়াল'!
অসাধারণ উপমা!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ছেড়ে দে যত তারাতারি পারিস। অপেক্ষায় আছি।
কীর্তিনাশা
নতুন মন্তব্য করুন