এই যে আলো ছায়া
এই যে ম্রিয়মান প্রিয় ঘর-বাড়ি
ছায়াগুলো ঘিরে বেড়ে ওঠা বসত-ভিটে
আর তার চারপাশ ঘিরে ঘড়ির কাটার মতো চক্রাকারে ঘোরা
এই যে প্রতিদিন দৌড়ানো রোদে পোড়া পৃথিবীর কপালের ওপর
তারপর ছুটতে ছুটতে চলতে চলতে
স্কুলের নদী পার হয়ে
কলেজের আদিগন্ত খোলা বিল
হাওয়ার ডানায় ভর করে পার হই বিশ্ববিদ্যালয়
তারপর টুনিদের গ্রামের বাড়ি পার হয়ে
টের পাই রুদ্র মরুভুমি আছড়ে পড়েছে জীবনের ওপর
যেখানে খরতাপ বালুঝড় কন্টকময় বৃক্ষের প্রতাপ
টের পাই জীবনের রেলগাড়ি পেরিয়ে যাচ্ছে
সময়ের উত্তাল ষ্টেশনগুলো ।
এই যে আলো ছায়া খেলা করে লেখার টেবিলে
আর ঘরে ঢোকে মরুময় ক্লান্ত হাওয়া
আর বসে বসে ভবিষ্যতের সৈকতে খেলি জলকেলি
নিরন্তর জাবর কাটি অতীতের খড়-কুটো
বাড়ির উঠানে ঘাসফুলের মতো উপেক্ষিত থাকে বর্তমান
বর্তমান, জীবনের ভয়ঙ্করতম ক্ষণ মনেহয়।
মন্তব্য
এই যে আলো ছায়া
এই যে ম্রিয়মান প্রিয় ঘর-বাড়ি
ছায়াগুলো ঘিরে বেড়ে ওঠা বসত-ভিটে
আর তার চারপাশ ঘিরে ঘড়ির কাটার মতো চক্রাকারে ঘোরা
অসহ্য যাপিত জীবন । কবিতা খুব মন ছোঁয়া হলো...
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
অসহ্য যাপিত জীবন ।
মনেহয়েছে তাহলে? সার্থক হলাম।
বর্তমান, জীবনের ভয়ঙ্করতম ক্ষণ মনেহয়।
দুর্দান্ত!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ, পুতুল।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
অশেষ ধন্যবাদ, ফারুক ভাই।
এবার সত্যিই অসাধারণ... আখতার! আমি মোহিত! প্রতিটি শব্দই নাড়া দিচ্ছে আমাকে, প্রতিটি চিত্রকল্প... এবার নির্দ্বিধায় পাঁচ তারা...
-------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মৃদুল ভাই।
এই যে আলো ছায়া খেলা করে লেখার টেবিলে
আর ঘরে ঢোকে মরুময় ক্লান্ত হাওয়া
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
ধন্যবাদ শাহীন ভাই।
এটা একটু দেখবেন।
কবিতার ব্যাপারে কী বলব? এক কথায় দুর্দান্ত বলা যায়।
কি মাঝি? ডরাইলা?
অনেক ধন্যবাদ দ্রোহী ভাই। ঠিক করে দিয়েছি। লেখার সময় চোখে চশমা ছিলো না, বুঝি নাই।
পাঁচ দিলেই তো বলা হয়ে যায় যে অসাধারন হয়েছে... আর কি বলবো? কথা শেষ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাহ্ বাহ্ শেষ পর্যন্ত পাঁচ তারা পেলাম তাহলে। সচলের অনেকে অবশ্য 'তারা' কেয়ার করে না। আমি খুব করি। অবশ্য যারা অসংখ্য 'তারা' পান, এবং পাবেন তাদের কথা আলাদা। আমি এবং আমার মতো আর যারা বছরে কষ্টে-সৃষ্টে কিছু 'তারা' পান, তাদের জন্য এর মূল্য 'হাতে তারা পাওয়া'র মতোই মূল্যবান। সযতনে তুলে রাখি সব 'তারা' হৃদয়ের মনিকোঠায়।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
ধন্যবাদ।
*****
কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
আমার কিছু বলার নেই। তোর কবিতা - ভাবরসে, উপমায়, কাব্যিকতায় পরিপুর্ন হয়ে উঠেছে। প্রতিটা কবিতাই ছুঁয়ে দিচ্ছে মনের গহীন কোন। আমার প্রিয় কবির তালিকায় সেই প্রথম থেকেই ছিলি। তোর সে আসন দিনে দিনে মজবুত হচ্ছে দোস্ত।
আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি - একজন কবির কবি হয়ে ওঠার সাক্ষি আছি বলে।
কীর্তিনাশা
কী লিখবো? এই মন্তব্যের ধন্যবাদ দিয়ে তোকে খাটো করবো না। তবে আমিও যে কম ভাগ্যবান নই, সে গল্প সচলের বন্ধুদের কাছেও করবো একদিন। ভালো থাকিস। তোর গল্প কই?
অসাধারণ !
আসলেই? তার মানে ৫ তারা দিছেন তো? না দিলে তাড়াতাড়ি দ্যান মনিকোঠায় তুইলা রাখি।
নতুন মন্তব্য করুন