চোখের ভেতর নির্লিপ্ততা শুয়ে আছে
আয়নায় দেখি তার আয়েশী নিদ্রার আয়োজন
প্রাণের গহীন খামছে ধরেছে স্থবির প্রাচীণ শেকড়
উপলব্ধির অতলান্তে বসিয়ে দিয়েছে তার মোক্ষম কামড়
এ্যানাকোন্ডার পেশীশক্তি পেচিয়ে ধরেছে মননের সবুজ শাখা
কপালের ওপর ছায়া ফেলে তার বিষাক্ত গ্রাস
মহাশূন্যের খা খা ছড়িয়ে পড়েছে মগজের সমগ্র পরিসরে
এ কী দুর্ভিক্ষের মাতন মেতেছে অনুভবে
যাপিত অরণ্য অসহ্য ভীষণ নির্বাক কলরবে
এ কী খরা চারদিকে
নীল বাতায়ন সবুজ গালিচা সবকিছু ফিকে
এ কোন সে যাদুকর
নিমেষে আমার সবুজ বনানী হয়েছে ধূসর
আর জলতরঙ্গের হাওর শুকিয়ে শূন্য সরোবর
গ্রীস্মের জমিনে ছায়া ফেলে উড়ে চলে গেছে শব্দের পাখি
বর্ণশিল্পীর বনানী জুড়ে শুনশান নিরবতা।
বিঃদ্রঃ লেখাটা লিখেও শুনশান নিরব হয়ে রইলাম। বুঝতে পারছিলাম ভেতরের শূন্যতা আরো প্রকট হয়ে উঠছে। বেশি দেরি করলে হয়ত কবিতাটা ডিলিট করা ছাড়া উপায় থাকতো না। সময়ের ব্যবধান যতো বাড়তে থাকে শব্দ আর লাইনগুলোর প্রতি আমার অস্বস্তিও তেমন বাড়তে থাকে। তাই আর এপাশ ওপাশ চিন্তা না করে দ্রুত আপনাদের দরবারে পেশ করলাম।
মন্তব্য
অনন্য, অসাধারন, অনবদ্য!!
এমন লেখা কেউ ডিলিট করে নাকি?! তোর কি মাথা খারাপ নাকি পেট খারাপ!?
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হাহাহা এইটা একটা ভাল প্রশ্ন, কি খারাপ হইলে আর্টিস্ট তার আর্টরে নষ্ট কইরা দিতে চায়, এখন এইখানে 'খারাপ' কথাটাও আমরা সরায়া ফেলি, তো দাড়াইল
'কি হইলে একজন আর্টিস্ট তার আর্টরে নষ্ট করে ফেলে বা দিতে চায়?'
এর উত্তর কি আর্টিস্ট নিজেও জানে? মাঝে মাঝে মনে হয় বেশি পার্ফেক্ট হইয়া গেলে সহ্য করা যায় না সৃষ্টি ...
ইউরেকা ! আমি একটা গল্পের প্লট পাইসি .. !! আখতারুজ্জামান আর কীর্তিনাশা ভাই অনেক ধন্যবাদ !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বাহ্ রে বাহ্ ! এইটা কি করলেন খেকশিয়াল ভাই?!! একটা গল্পের প্লটের দায় শুকনা ধন্যবাদ দিয়া সাইরা দিলেন? আমি কইলাম খেলুম না, কইয়া দিলাম !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমি খেলুম, যদি গল্পটা সচলে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ছাপা হয়। খেকশিয়াল ভাই, মুরগীর ধান্দা বাদ দিয়া তাড়াতাড়ি প্লটের উপর কন্সট্রাকশানের কাজ শুরু করেন।
শেষের দুই লাইন কিয়ের লগে বানলেন?
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ধুর, চারিদিকে খালি শূন্যতা আর কষ্ট।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পড়ে ভেতরে একটু শূন্যতা অনুভব করছি!

যথারীতি দুর্দান্ত আরেকটি কবিতা। তবে, ডিলিট করার কথা ভুলেও কখনো চিন্তা করবেন না! যা লিখবেন তাই পোস্টাবেন, পড়ে ভালো লাগা বা মন্দ লাগার দায়ভারটা আমাদেরই নিতে দিন
ভালো হয়েছে।
মূর্তালা রামাত
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন