শেকড় নিস্তেজ
জেগে আছে ভাঙনের সুর
ঢেউয়ের রূপালী ফেনায় জনপদ কথা বলে
হারানো স্মৃতির এ কী প্রহসন!
প্রাচীর লুটিয়ে পড়ে প্রাচীন আঘাতে
জনপদ মিশে যায় স্রোতের গহীনে
ঢেউয়ের রূপালী ফেনায় জনপদ কথা বলে
নতুন স্বপ্নের এ কী আগমন!
কাকের বকের পাখার শব্দ ধেয়ে আসে কাছে
নতুন বালুকা-শিশু জন্মেছে ঢেউয়ের পলিল ঔরষে
আকাশ নিশ্চুপ
জেগে আছে অনন্ত নক্ষত্রবিথী
কেউ বলে সর্বগ্রাসী কেউ বলে শাশ্বত কল্যাণ
কেউ বলে ভেঙে গেলো
কেউ বলে এসেছে নতুন সকাল পুরানো দিগন্ত রেখায়
রোদ বৃষ্টির এ খেলা আর কতো হবে!
মন্তব্য
উদ্ধৃতি
আকাশ নিশ্চুপ
জেগে আছে অনন্ত নক্ষত্রবিথী
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
দারুন লাগল। শেষ লাইনটাও ভালো লেগেছে খুউব।
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। যদিও কবিতাটা ছাড়ার পর থেকেই মনটা খুত খুত করছে। ভালো লাগছে না, স্বস্তিও পাচ্ছি না।
কেন রে ভাই! এত অস্বস্তি বা খুঁতখুঁতানি কেন! শিল্পী কি কখনো তাঁর সৃষ্টি নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারে?!
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
ভালো লাগাটা জানিয়ে গেলাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কবিতাটা খুবই সুন্দর, এককথায় অসাধারণ। কিন্তু আপনার মন খুতখুত করছে কেনো জানতে ইচ্ছে করছে, আমার ধারণা আপনি কবিতাটা আরো এগিয়ে নেয়ার কিংবা কিছু পুর্নবিন্যাস করার প্রয়োজন বোধ করছেন। যদি তেমন হয় অপেক্ষায় রইলাম।
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন