তোর দেয়া হলুদ নোটবুকটার পৃষ্ঠাগুলো ভরিয়ে ফেলছে নীল নীল বর্ণ
উদয়-অস্ত বর্ণগুলো নানান প্রলাপ বকে
মাঝে মাঝে পাখা মেলে আসামান জোড়া -
মনেহয় স্বপ্ন-পাখির পালক-বিছানায় শুয়ে আছি
তারাদের দিকে মেলে রেখেছি দৃষ্টির মগ্নতা
আর নিয়ন্ত্রণহীন আঙুলগুলো নিস্তব্ধ ছায়াপথের গোলকে
লিখে যাচ্ছে পথিকের স্মৃতিকথা,
তুই জানিস সে পথিকের নাম -
মাঝে মাঝে বর্ণগুলো জ্বল জ্বল করে
একদিন রাতে আখ ক্ষেতে শেয়াল দেখেছিলাম
বর্ণগুলো সেই সব কথা অনর্গল বলে যায়
হলুদ পৃষ্ঠায়
আমাদের অনেক না-বলা শব্দ প্রাণের ভাষায়
লিখে যায় ...
তুই কি তার শুনতে পাস না কিছুই?
শুনতে পাস না প্রশ্নগুলো?
অনুরাগের ক্ষোভের ভাষা বুঝতে পারিস?
সন্ধ্যা নামার এত আগেই তবে অস্ত-বাড়ি ফিরে গেলি কেন?
কোথায় আছিস, কেমন আছিস, তুই?
বুকের ভেতর আগলে রেখেছি তোর দেয়া শেষ উপহার
পারিস তো একবার দেখে যাস!
ওর নাম রেখেছি তোর দেয়া নামেই।
..................................................................................................
(নিতু - ছদ্মনাম - ওর স্বামীকে তুই তুই করেই বলতো। প্রথম প্রথম শুনে একটু অস্বস্তিই লাগতো। পরে সেই অস্বস্তি এক অদ্ভূত ভালো লাগায় রূপ নিলো। একবারও আমার অস্বাভাবিক মনে হয়নি। বরং মাঝে মাঝে মনেহতো পৃথিবীর সব বউ কেন তাদের স্বামীদের তুই তুই করে ডাকে না। একবার ডেকে দেখুক - কী অদ্ভূত শিহরণ!
ওর স্বামী মারা যায় বিয়ের অল্প কিছুদিন পরেই। আমার দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দম্পতি তারা। তারা আসলেই জানাতো, ভালোবাসা কাকে বলে। হয়ত তারা এও জানতো, তাদের হাতে সময় কত কম!)
মন্তব্য
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঘটনাটি দুঃখজনক। আপনার কবিতাভাষায় এক ধরণের সারল্য আছে। কবিরা এখন কবি কম। কবিতার মাস্টার বেশী!
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমি কঠিন করে লিখতে পারি না।
চমৎকার আখতার ভাই।
ঠিক কইছো তো!
কবিতাটা সুন্দর। শেষের নোটটা পড়ে মন খারাপ হল।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আমার তো ভাই কান্নাকাটি অবস্থা, লেখা শেষ করার পরেও সারাদিন মন খারাপ ছিলো।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
পাঁচতারা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আর কি?
শেষের লাইন গুলো মন খারাপ করে দিল ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মন ভালো করে দেয়ার জন্য আসছি শীঘ্রই।
- কষ্ট লাগলো বস।
এই ধরণের পংক্তিমালাগুলো কেনো জানি খুব ভালো লাগে!
আমার 'বধুয়া'র কথা মনে পড়ে গেলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিষন্নতার ভেতর একরকম মাদকতা আছে মনেহয়, নেশা লেগে যায় এক সময়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক!
অসম্ভব ভাল লাগল... বুকের ভেতর কেমন এক শূন্যতা অনুভব করলাম...
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
আপনি আর কথা কইয়ে না। আমার স্বাভাবিক দিনযাপন আপনি পাল্টায়া দিছেন, মাথার ভেতর এখন সারাক্ষণ কবিতার পঙতি ওড়াউড়ি করে।
বাঁধ ভেঙেছে হে..
জেনে খুবই খুশি হলাম
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
আপনার লেখা কই? শেষ লেখা লিখছেন ম্যালা দিন হইছে। নগদে একটা লেখা ছাড়েন তো!
খাইছে! কে কারে গুঁতায়!
লিখতে পারলে তো ভাই প্রতিদিন একটা করে লিখতাম। আমার বরং পড়তেই (মতান্তরে- গুঁতাতেই) ভাল লাগে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
আসলেই জোয়ার আসছে আপনার।
ভাইস্যা যাইতেছি, নাইশ্যা যাইতেছি।
বিশেষত এই ডকু-কবিতা পইড়া তো মনটাই অনেক ধ্যাততেরিকা হয়ে গ্যালো।
------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নিতুর জন্য শুভকামনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
নতুন মন্তব্য করুন