মোরগফুল বলে একটা অদ্ভূত ফুলগাছ ছিলো ছেলেবেলায়
‘ঐ দেখা যায় তালগাছ’ পড়ার বয়সে ফুলগাছটা ছিলো
পড়ার টেবিল বরাবর জানালার কাছে
প্রতিদিন জানালার গরাদে আমি ওর উচ্চতা মেপে রাখতাম
শিক বেয়ে প্রতিদিন একটু একটু উপরে ওঠতো সে
তরতরিয়ে লকলকিয়ে আলোর সাথে পাল্লা দিতো
সারাটা সকাল বাংলা বই নিয়ে ঠায় বসে থাকি
বাতাস এলেই মোরগফুলের পাতাগুলো নড়ে
কবিতার আট লাইনও মুখস্থ হয় না সারাদিনে
স্কুলের বারান্দা চোখের সামনে ভেসে ওঠে
অংক পরীক্ষার আর দু্ই দিন মোটে বাকি
মোরগফুলের ডাল বেয়ে পিঁপড়েরা হাটে
আগামীকাল খোকনদের বাড়িতে মার্বেল খেলা হবে
ইংরেজী রচনা - জার্নি বাই বোট, কিছুই মনে থাকে না
ফুলগাছটা বৃষ্টিতে ভিজে একাকার
শোয়ার ঘরে বাবা-মায়ের ঝগড়া এখন তুমুল তুঙ্গে
ফুলগাছটা কাঁদছে ভীষণ আমার মতো
এখন আমার বয়স অনেক
অনেক দূরের দ্বীপে এখন বসত-বাড়ি
ঝাপসা স্মৃতি হাতরে বেড়াই কাজের ফাঁকে
ফুলগাছটাও হারিয়ে গেছে তারার ভিড়ে
একটা মোরগফুলগাছে
আমার অসীম শৈশব ধরা পড়ে আছে।
মন্তব্য
বালকবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমারও ভীষণ মনেপড়ছিলো..............
ধন্যবাদ।
সুন্দর।
পাঠক সুন্দর বললেই সুন্দর।
ভালো।
----------------------------------------
শুধু শরীরে জেগে থাকে শরীরঘর
মধ্যবর্তী চরকায় খেয়ালী রোদের হাড়
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ধন্যবাদ।
চমৎকার!
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই।
শুধু এই দুই লাইনের জন্যই পাঁচতারা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এই রকম দুই লাইনের মতো গোটা কবিতা কবে হবে?
ধুর মিয়া কই আছিলেন এত দিন?
এমন সব কবিতা পেটে নিয়া ঘুমাইয়া ছিলেন!!
তারা শর্ট পড়ে গেল রে ভাই।
পেটে কিছু নাই ভাই। এই মৃদুল ভাই, কীর্তিনাশা, অতন্দ্র প্রহরী, নজরুল ভাই এরম কিছু বাজে লোক আছে সংসারে। খালি খোঁচায়। না লিখলে প্যাদায়। এদের ভয়েই আজকাল। এক সময় অতন্দ্র প্রহরী নাম হয়ে গিয়েছিলো গুতাবাজ। খালি গুতায়...........
আমার যে মোরগফুলটি ফুটেছিল, সেরকম বিশাল ফুল আমি আর দেখিনি!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আহা কদ্দিন পর তীরুদার কমেন্ট পাইলাম।
যতই দিন যায় মোরগফুলের সাইজ ততই বাড়তে থাকে মনেহয়। আগে এমনটা মনেহতো না, এখন হয়।
দারুণ
গুঁতাবাজ ভাই, ইদানিং একটু ভালো হইয়া গ্যাছেন। আর গুঁতান না।
(আপনার গুঁতা খাইলে আরো ভালো হইতো বোধহয়।)
তাই? আগে বলবেন না! তাইলে এখন থেকে আবার নিয়মিত গুঁতাতে হবে আপনাকে
নতুন মন্তব্য করুন