দীর্ঘ দীর্ঘ খরা অনাবৃষ্টি খরতাপে মাঠ খা খা
বেঁচে-বর্তে বেঁচে থাকা - এও এক অবিনাশী নেশা
ভুলে যেতে হয় সেই সব রক্তিম সকাল শিশিরের ভেজা মাঠ
ভুলে যেতে হয় প্রিয়তম মুখগুলো প্রতিায় জানালার গরাদে
লাউ লতা পোড়ে তাপদাহে, ঘুঘু পাখি ডাক দেয় পেয়ারার ডালে
শূণ্য শূণ্য দুপুরেও আমি থাকি আপদমস্তক কর্পোরেট-পাথরাবৃত
যেহেতু গা-সওয়া হয়ে যায় সবার, আমারও তাই হয় বৈকি
ব্যবসা ভালোই চলে ছাই-মেঘ আকাশ-পাতাল ডিজিটাল
কোকিলের ঝরা পালক জমা হতে থাকে ব্যাংকের লকারে
বয়সের ভাড়ে কালো কালো স্যুট হয় গণ্ডারের চামড়ায়
কালো ফ্রেম চশমার অতল গহীনে চোখগুলো হয় শকুনের
গভীর নিশীথে ভারসাম্যহীন রাস্তা পাড়ি দিয়ে ঘরে ফেরে দেহ
জানালায় কেউ নেই, গরাদে গরাদে শূণ্যতার অট্টহাসি
ও জীবন, একখানা চেক লিখে দাও, একবুক ঠাণ্ডা বাতাস নিয়ে আসি
মন্তব্য
আমি তো ভাবছিলাম সচলায়তনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন!
কবিতা ভালো লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আর কইয়েন না ভাই, বহু কষ্টে পাসওয়ার্ড পাইছি, আর হারাইতে দিমু না। এইবার খালি লিখুম আর লিখুম। কবিতা ভালো লাগার জন্য অনেক শুকরিয়া।
অনেক অনেকদিন পরে আপনার কবিতা পড়লাম। ভালো লেগে্যে বরাবরের মতো।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই। কিন্তু আমি লেইখা মনে শান্তি পাই নাই। বহুদিন লিখি না, তাই যা পারলাম আপাতত লিখলাম। সামনে আরো ভালো লিখবো আশাকরি। সাথে থাইকেন।
বাগদেবী নাচের মুদ্রার মতো নিপুন ফুটিয়েছে স্মৃতিচারী কবির আত্মকথন!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন