লিখবার খাতা হয়ে আছে রাতের আকাশ
শব্দ-নক্ষত্র অস্থির উদাসীন ধ্রুব ছায়াপথে
সোনালি বাতাসে অগ্রহায়ণের ধানের ঘ্রাণ ভাসে
সাদা কালো নীল মেঘ উবু হয়ে আছে ক্ষেতের উপর
আমারো অবশ সব, থিতু হয়ে আছে হাঁটুর বাকল
বুকের হাপরে ওম নাই, হিমেল কুয়াশা
কনকনে শীত চারপাশে
হৃদয়ে বড়শী ফেলে ঠায় বসে আছে জীবনের প্রখর শিকারী
বাতাসে পিদিম নড়ে, নড়ে অস্থি-মজ্জা
জমাট বাতাস ওত পেতে থাকে রাতের আড়ালে
থমথম করে ঝাউ গাছের বাদামী ডাল
অন্ধকার জাপটে বসে শিয়রের কাছে
আকাশের শতবর্শী থলথলে চামড়ায়
শীর্ণ স্তন হয়ে ঝুলে থাকে চাঁদ
মরা দিগন্তের নীচে জ্বলে ওঠে চিতার আগুন
পোড়া রাতের ছাই ওড়ে আকাশমুখী
আঙুল পাথর আজ, পাথর সময় ঘিরে বাঁচি
শূন্য চাকের ভেতর পড়ে আছে সব মৃত মৌমাছি
মন্তব্য
শব্দ-নক্ষত্র অস্থির উদাসীন ধ্রুব ছায়াপথে
ঠিক বুঝিনি এই উৎপ্রেক্ষা।
হাটু> হাটুঁ
হাপড়> হাপর
"শীর্ণ স্তন হয়ে ঝুলে থাকে চাঁদ..."
অভিনব উপমা নিঃসন্দেহে। এত কাল কবিরা চাঁদকে নতুন, যৌবনবতী ইত্যাদি ভাবে চিত্রিত করলে আপনি বেশ সাহসিকতার সাথে তাকে ঝুলে থাকা স্তন হিসেবে দেখেছেন। ভাল! তবে আকাশ শতবর্ষী কি????
কবিতা ভাল লাগল।
জহিরুল ইসলাম নাদিম
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। বানানের আসলেই করুণ দশা। ঠিক করে দিয়েছি।
আসলে নক্ষত্রকে শব্দের উপমায় রেখে 'অস্থির' ও 'উদাসীন' শব্দদুটো দিয়ে তাদের বর্তমান অবস্থা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। নক্ষত্রের অবস্থান ছায়াপথে, যা কিনা বর্তমান অবস্থায় ধ্রুব বলে মনেহচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে তুলে ধরা এই পুরো আকাশ যেন এখনকার কবিতার খাতা।
আর পরিস্কার করে তেমন কিছু বলতে পারছি না। পুরো কবিতাটাই একটা প্রচন্ড বিষাদ, স্থবিরতা, বিশৃংখল মানবিক অবস্থার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা। যেখানে চাঁদও এমন চেহারায় ভেসে ওঠে চোখের সামনে।
আকাশ শতবর্ষী নয়। তবে চামড়া শতবর্শী হলে কেমন হয় তা যেমন সহজেই চোখের সামেন ভেসে ওঠে কোটিবর্শী হলে ততটাই জটিল বলে মনেহয়েছিলো। তাই আক্ষরিক অর্থে না ভেবে পুরো পরিবেশটার বিস্রস্ততা বোঝাতে 'শতবর্ষী' শব্দটা ব্যবহার করা উচিত বলে মনেহয়েছে। ঠিক, অঠিক এখন আর কিছু জানি না।
আমার লেখার ব্যাপারে আরেকটা সত্যি কথা বলি, লেখা শেষ হওয়ার পর একটা ভালো লাগা কাজ করে। এই ঘোর কেটে গেলেই, ভীষণ খারাপ লাগা শুরু হয়। মনে হয়, কিছুই হয়নি, কিচ্ছু হয়নি। এটা একটা পদ্য হলো?
এখন ঠিক তাই-ই মনেহচ্ছে। সময় নিয়ে পড়া ও মন্তব্য করার জন্য আপনার প্রতি নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।
বেশ লিখছেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মনটা খুব খারাপ, তাই।
যা বের হয় - শুধু সেটাই তো দেখেন। যেখান থেকে বের হয় সেখানটাও যদি দেখতে পেতেন!
উত্তর জীবনানন্দীয় সৌরভ খুঁজে পাই!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমার কুনো দোষ নাই এবং সব কৃতিত্বই উনার........
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সময় করে পড়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা, সুমন ভাই।
নতুন মন্তব্য করুন