অপেক্ষায় আছি, বসন্তে
আমি অপেক্ষায় থাকি
বাতাসের দরজায় কড়া নাড়ে মেঘ
আমি নিস্পলক থাকি
একটা নক্ষত্র জন্ম নেবে শীঘ্রই
ঘুমে ঢুলু-ঢুলু একটা পাহাড় হঠাত চমকে ওঠে
আর আমি মগ্নতায় চেয়ে দেখি
পলাশের রক্তে লাল একটা ভোরের পাখি চৈত্র পাড়ি দ্যায়
অস্থির আমার ভেতরটা তরপায়
একটা ভোরের অপেক্ষায় থাকে কোটি কোটি চোখ
একটা গুবরে পোকা সারারাত পাহাড় বেয়ে ওঠে
একটা ঝিঁঝিঁ পোকা নৈ:শব্দের বনে ডাকে
আমি এদের মতো অপেক্ষায় আছি
একটা জীবন...
পহেলা বৈশাখে
তবুওতো এইসব মিলনের মেলা
বাবার কাঁধের ওপর বসে বসে সারাবেলা
শিশুদের ঘোরাঘুরি, ছবিতোলা হয় ক্যামেরায়
মায়েরও আয়োজন কতো
সত্তর বছর পর একবার করে হ্যালির ধুমকেতু দেখার মতো
গালে আঁকা হয় বৈশাখি নকশা
শাড়ির সযত্ন-বৃক্ষে ফুটে থাকে ফুলেল খোঁপা
বাবারও বুকের হাপর - চাকরের নতজানু নিশ্বাসের বদলে
গর্বে ফুলে ওঠে - ‘এইতো এমনই জীবন চেয়েছিলাম’।
তবুওতো আমাদের এই মিলনের মেলা
সারাটা সংসার জুড়ে সারাদিন সারা বেলা...
বসন্ত উতসব
চোখ-উল্টানো মানে কথা-না-রাখার দিন
ঝরাপাতা ঝরে গ্যাছে শীত-শৈশবে -
সবুজ পাতারা সমীচীন
তুমি কিন্তু চোখ সরিওনা বালিকা, এ-চোখ অঙ্গার হবে
এই চোখ বলি দিয়ে দেবো
তোমার না-দেখা পলকের উতসবে।
বৈশাখের ট্রেন
একটা ট্রেনের হুইসেল বাজে
বুকের ভেতর বেজে বেজে যায়
রাত্রি খান খান ট্রেনটার চাকা
খটাস্ খটাস্... খটাস্ খটাস্...
পাড়ি দিয়ে সাগর, নদী, খাল...
একটা সকাল
ধেয়ে আসছে
খটাস্ খটাস্...
ভাষায় ভাষায় ফাগুন-বসন্তে
ভাষা-সে বুঝি না
সে-ভাষা জটিলতর
হ্যাঁ-মানে নিকটবর্তী
না-মানে আরো নিকটে
এহেন রাজনীতিতে আমার পা-পিছলায়,,,
ভাষায় ভাষায় ফাগুন-বসন্তে
চোখ-ব্যাকরণ-পাঠ শিখিতেছি,,,
মন্তব্য
উন্মন মন উচাটন!!!
আসলেই উচাটন। কী করব বলুন! আমার হাত পা বাঁধা!
বোধকরি বৈশাখ বাংলা কবিতায় সবচাইতে উপেক্ষিত ঋতু। তাই বৈশাখ নিয়ে লেখা আপনার কবিতা স্বস্তির পরশ দিল।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমি মানুষটাই খরা প্রবণ। বৈশাখ আমার ভীষণ প্রিয়।
নতুন মন্তব্য করুন