শরীরের সমস্ত নোঙর একসাথে গেঁথে যায় মাটির ভেতর
আমি চোখ রাখি দিগন্ত-ধূসরে
মহাসাগরের নীল থেকে মহাকাল মুছে যায়
আমি বাতিঘর খুঁজে মরি দিগন্তে, আকাশে, আতুঁড় ঘরের বারান্দায়
যারা আমাকে নাবিক বলে ডাকেন তারা জানেন না
ক্ষুধার্ত গাঙচিলের ডানা যখন হাওয়ায় পালক মেলে
তখন নন্দনতত্ত্ব দেখতে অনেকটা ফ্লাইং ফিশের মতো
পৃথিবীর তলদেশ নিকটবর্তী হয়
শেফালির সন্ধ্যা-স্মৃতি বারবার চোখে ফিরে আসে
পালের পর্দা সরিয়ে জাহাজের কত চরিত্র
আমি অভিনীত হতে দেখি জীবনের জল-মঞ্চে!
খ্যাপাটে নিদের্শকের অঙ্গুলি-দুলনে
কত স্রোত, পোতাশ্রয় আর বন্দর হারিয়ে
খান খান হয়ে ফিরে আসি তীরে
সিংহের কেশর সোনালী করে তবুও সূর্য ওঠে দিগন্ত-ওপারে
আবার চোখে লাগে মাস্তুল-রাঙা সকালের আলো
কারন হাজার নটিক্যাল মাইল দূরে বুকে ধারণ করে রাখি
তোমাকে আলতো আকড়ে ধরা-এক ঘুম!
মন্তব্য
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
কবিতা ভালো লাগলো। একটা লাইন মাথার ভেতর করে নিলো ঠাঁই,
মচৎকার।
চমৎকার
খুব সুন্দর !
শুভকামনা কবির জন্যে !!
নতুন মন্তব্য করুন