জাকার্তায় স্বপ্নে বিভোর এক ভ্রমণ শেষ হলো। ১৮ অক্টোবর সকালে এসেছি। ১০ দিনের ভ্রমণ। খুব একটা কম সময়ও নয়। এর মধ্যে বালি আর লম্বকও যাবো। জাকার্তা শহরের আবহাওয়া অনেকটা ঢাকার মতোই। তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রী। স্থানীয় সময় সকাল আটটা চল্লিশে আমাদের বহনকারী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিশাল বিমানটি জাকার্তার সুকর্ণ-হাত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলো। বন্ধু মামুনুর রশীদকে সাথে নিয়ে প্লেন থেকে নেমে এলাম। ঝলমলে রোদ। আকাশে তখনো শরতের সাদা মেঘ। ট্যাক্সি নিয়ে ছুটলাম হোটেলের দিকে। হাতে সময় খুব কম। এখানে ট্যাক্সির কোন অভাব নেই। তবে নামকরা ট্যাক্সি ব্যবহার না করলে প্রতারিত হওয়ার চান্স আসে। ভাড়া দ্বিগুন/তিনগুন হেঁকে বসতে পারে। জাকার্তায় আমাদের মাত্র ৪ দিনের ভ্রমণ। অজস্র কাজ শেষ করতে হবে এর মধ্যে।
জাকার্তা সম্পর্কে আলাদা করে তেমন জরুরী কোন তথ্য দেয়ার নেই। বিশাল শহর। জনসংখ্যার ৮৫ ভাগই মুসলমান। শহরের মূল জানবাহন ট্যাক্সি, প্রাইভেট গাড়ী আর মোটর সাইকেল। তাই বলে বাস, টেম্পো, স্কুটার যে নেই তা নয়। তবে সংখ্যায় অল্প। শুধু জাকার্তায় নয় পুরো ইন্দোনেশিয়াতেই সাধারণ মানুষ নির্ভর করেন মোটর সাইকেলের ওপর। পাবলিক পরিবহন সংখ্যায় কম। সব পরিবহনই ঝা-চকচকে। শুধু টেম্পো আর স্কুটারগুলো বেমানানভাবে বিকট শব্দ তুলে মাঝে মাঝে রাস্তার মোড় ঘুরে অদৃশ্য হয়ে যায়।
আমাদের হোটেল জালান জাকসা রোডে। ‘জালান’ মানে রোড। জালান জাকসা, জালান কেমায়োরান, জালান প্রাপাতন, জালান লাপাংগান, এইভাবে রাস্তার নাম। হোটেলে চেক ইন করে অত্যন্ত দ্রুত তৈরি হয়ে নিলাম। ইতিমধ্যে শহর ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। নাস্তা করার জন্য আমাদের হোটেলের উল্টোদিকের একটা রেস্তোরায় গিয়ে দেখি এ কী কান্ড! কেউ ইংরেজী বোঝে না। গেলাম পাশের রেস্টুরেন্টে। একই অবস্থা! অবশেষে রুটি, জ্যাম, কলা, চা ইত্যাদি ইশারা ইঙ্গিতে কোন রকম বুঝিয়ে নাস্তা শেষ করালাম। এই ভাষা সমস্যা আমরা সমগ্র ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণেই তীব্রভাবে অনুভব করেছি। যে কোন দেশ ভ্রমণেই সেখানকার কিছু প্রাত্যহিক কথাবার্তা শিখে নেয়া খুব ভালো।
ইন্দোনেশিয়া সতের হাজারেরও বেশি দ্বীপ নিয়ে একটি দেশ। ফলে প্রত্যেক অঞ্চলেরই বা শহরেরই চারপাশে প্রচুর সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ। ফলে সৈকত, সৈকতকে ঘিয়ে নানা ধরণের বিনোদন কর্মকাণ্ড, ওয়াটার রাইড, শপিংমল, বিলাসবহুল হোটেল, আন্তর্জাতিক রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে আনচল সী বীচ সবচেয়ে বিখ্যাত। ভারত মহাসাগরের তীর ঘেঁষে এই বীচ। পাড় বাঁধাই করা। বাচ্চাদের জন্য আছে নানা রকম রাইড। কেবল কার। ওয়াটার স্পীড মোটরবাইক রেস। অনেকটা মহাসাগরের উচ্ছ্বলতাকে পোষ মানিয়ে এই বীচকে বিনোদন উপযোগী করা হয়েছে।
মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে গড়ে তোলা হয়েছে রাস্তা ঘাট, শপিংমল, হোটেল, রেস্তোরাসহ বিনোদনের কত শত আয়োজন। আয় হচ্ছে কোটি কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা। আনচল সী বীচ সপরিবারে বেড়ানোর জন্য খুব ভালো জায়গা। আমরা ঘুরে ঘুরে নানা কিছুর অসংখ্য ছবি তুললাম।
তবে গত কয়েক বছরে জাকার্তায় এসব কিছুর পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে গড়ে উঠেছে প্রচুর দর্শনীয় স্থান। জাকার্তায় যে জায়গাগুলো দেখার মতো তার মধ্যে আছে জাকার্তার উত্তরে সিলিওয়াং নদীমুখের সবচেয়ে পুরানো বন্দর এলাকা সান্দু কেপালা, মারদুকা স্কায়ারের পশ্চিম পাশে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘর মিউজিয়াম গাজাহ। সমগ্র ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগ্রহকৃত ১ লক্ষ ৪০ হাজারেরও বেশি শৈল্পিক নিদর্শন প্রদর্শন করা হয়েছে এ জাদুঘরে। এছাড়া যারা ভ্রমনস্থানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে উৎসাহি তারা ম্যারিটাইম মিউজিয়াম, টেক্সটাইল মিউজিয়াম, ফাতাহিল্লাহ মিউজিয়াম এবং দ্য ওয়াইয়াং মিউজাম ঘুরে দেখতে পারেন। শহর ঘোরার এক ফাঁকে প্রেসিডিন্সিয়াল প্যালেসের সামনে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় মনুমেন্ট মোনাস দেখে নেবেন। ১৩৭ মিটার উঁচু এই মনুমেন্টের চুড়ায় ৩৫ কেজি ওজনের সোনার তৈরি একটি শিখা আছে। লিফটে এর চূড়ায় উঠলে পুরো শহরটাকে দেখা য়ায়। শহরের ছবি তোলার জন্য দারুণ জায়গা। তামান মিনি না দেখলে তার জাকার্তা দর্শন অসম্পূর্ণ এ কথা সাহস করে বলা যায়। ‘তামান মিনি’ এক কথায় মিনিয়েচার ইন্দোনেশিয়া, একটি সাংস্কৃতিক পার্ক। ইন্দোনেশিয়ার ৩০টি দ্বীপরাজ্যের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও স্থাপত্য শৈলী, বাসিন্দাদের ঘর-বাড়ির অনুরূপ মডেল বাড়ি আর তাদের জীবন যাপনের নানা ব্যবহার্য উপাদান দিয়ে এক অনবদ্য উপস্থাপনার নাম তামান মিনি।
প্রতি রবিবার সকালে এসব রাজ্যের প্যাভিলিয়নে তাদের ঐহিত্যবাহী গান, নৃত্যসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শহরের দক্ষিণে অবস্থিত রাগুনান চিড়িয়াখানা। পৃথিবীর অন্যতম পুরোনো এ চিড়িয়াখানা ১৪০ হেক্টর জায়গা নিয়ে ১৮৬৪ সালে তৈরি। অবশ্য দর্শনীয় এ চিড়িয়াখানায় ২৪০ ধরনের ও ৪ হাজারেরও বেশি প্রজাতির বন্য প্রাণী প্রদর্শনের জন্য সংরক্ষিত আছে। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আরেকটি দারুন মজার জায়গা হচ্ছে জালান প্রামুকায় অবস্থিত একটি পাখির মার্কেট পাসার বুরাং। কত রকমের যে তাদের রং, আকার, ডাক, নানা কান্ড কারখানা সে বলে শেষ করা যাবে না। জাভাবাসীদের গর্ব অত্যন্ত জনপ্রিয় গায়িকা পাখি পার্কুতুতও এখানে পাওয়া যায়। যারা পাখি ভালোবাসেন তারা কোনভাবেই এ মার্কেট একবার ঘুরে দেখতে ভুলবেন না। নগরের ব্যস্ততা থেকে একটু দূরে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য পুলাউ সেরিবু বা থাউজেন্ড আয়ল্যান্ডের কোন তুলনা নেই। শহরের উত্তরে সুন্দা কেলাপা বন্দর থেকে ফেরি বা স্পীড বোট খুব সহজেই জাভা সমুদ্রের এই দ্বীপ অঞ্চলে যাওয়া যায়। প্রায় ১৪০টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন আকর্ষন। আপনি চাইলে একটি আস্ত দ্বীপ ভাড়া নিয়ে রাত্রিযাপন করতে পারেন। হাজার হাজার নারকেল গাছের সারিবদ্ধ বিন্যাসের স্বর্গীয় সৌন্দর্য নিয়ে এই দ্বীপাঞ্চল সারা পৃথিবীর পর্যটকদের মন রঞ্জন করছে। স্কুভা ডাইভ, সার্ফিং, স্নোরকেলিংসহ হাজারো রকমের জলজক্রীড়া আয়োজনের শেষ নেই এখানে।
পরদিন ‘তামান মিনি’ দেখতে যাওয়ার পালা। উত্তেজনা অনুভব করছি। সাত সকালে নাস্তা সেরেই মামুনুর রশীদ আর আমি ছুটলাম তামান মিনি। সারা দিন টই টই করে ঘুরেও মনেহলো এর এক তৃতীয়াংশই দেখে শেষ করতে পারিনি। পুরো তামান মিনি ঠিকভাবে ঘুরে দেখতে দুই/তিন দিন লেগে যাওয়ার কথা। পুরো এলাকা ভালো করে ঘুরে দেখার জন্য আছে রেলগাড়ি। অন্তত তিরিশ ফুট উপর দিয়ে চলে গেছে ফ্লাই ওভার রেললাইন। এই রেলগাড়ি পুরো তামান মিনি ঘিরে চক্রাকারে ঘুরে বেড়ায়। পর্যটকদের জন্য আছে দৃষ্টি-নন্দন বাস। ভারায় সাইকেল পাওয়া যায়। একসাথে দুই জন, তিন জন, এমনকি চার জন চালাতে পারে এমন সাইকেলও আছে। বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে চাইলে ট্রলিও ভাড়া পাওয়া যায়।
দেখতে দেখতে শরীর ক্লান্ত হয়ে আসে কিন্তু চোখের সাধ মেটে না। প্রত্যেকটি বাড়ি যেন ঐ দ্বীপ আর দ্বীপের অধিবাসীদের জীবন যাপনের অসাধারণ চিত্রায়ণ। রাতে তামান মিনি জুড়ে দেখা যায় নয়নভিরাম আলোকসজ্জ্বা। এই মিনিয়েচার ইন্দোনেশিয়া অন্ধকার মহাকাশে জ্বলন্ত নক্ষত্রবিথীকার মতো উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।
জাকার্তার রাস্তা অসাধারন মসৃন। রাস্তায় একটু পর পরই টোল সেন্টার। আমাদের দেশে বড় বড় ব্রীজে ওঠার আগে যেমন টোল দিতে হয়, তেমনি। রাস্তা উন্নয়নের ব্যয় নাকি এই টোল থেকেই উঠে আসে। এসব টোল সংগ্রহের জন্য আছে শয়ে শয়ে কর্মী। অধিকাংশই তরুনী। ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম শুধু টোল সেন্টারে নয়, সমগ্র দেশের শপিংমল, টিকেট কাউন্টার, কাস্টমার সার্ভিস, পর্যটন প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্টে, রেলগাড়ীর ড্রাইভার, বিভিন্ন পর্যটন স্থানে গাইড, এয়ারপোর্টে, তথ্য কেন্দ্রে, সর্বত্র মেয়েরা কাজ করছে। খুব ভালো লাগলো। আমাদের দেশেও যদি মেয়েরা এভাবে কাজে এগিয়ে আসতো?
মুসলিম দেশ হিসেবে খাবার নিয়ে আমাদের তেমন কোন সমস্যা হয় নি। তবে সব খাবারেই একটা ইন্দোনেশিয় ঘ্রাণ পাওয়া যায়। ইনোদনেশিয়ার বিখ্যাত খাবার ‘নাসি গোরেং’। ফ্রাইড রাইস, চিকেন আর ডিম ভাজি মিলেমিশে এক দারুণ উপাদেয় খাবার। সাথে থাকে দুই তিন ধরনের চিপস ও পাপড় ভাজা। আমরা নাসি গোরেং দারুণ উপভোগ করে খেলাম। নানা মানের রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি যারা স্ট্রীট ফুড পছন্দ করেন জাকার্তা তাদের জন্য খুব ভালো স্থান হতে পারে। বেশ পরিচ্ছন এই সব স্ট্রীট রেস্টুরেন্ট।
চাকরিজীবী, ছাত্র, তরুন, বৃদ্ধ সব ধরনের মানুষরাই এসব রেস্তোরায় বসে সান্ধ্যকালীন সময় কাটান, গল্প করেন, খাবার খান। কেউ কেউ সামান্য বখশীশের আশায় পুরো পরিবেশে এক অনবদ্য মাত্রা যোগ করে গীটায় বাজিয়ে গান গান। ল্যাম্প পোস্টের আলো বাঁচিয়ে ছোট্ট ছায়ার ভেতর জীবনের কত অজানা নাটকের ছোট ছোট দৃশ্য মঞ্চায়িত হতে থাকে। নগর, নাগরিকতা আর নান্দনিকতা জাকার্তায় একাকার হয়ে আছে।
ঢাকা থেকে জাকার্তায় সরাসরি কোন ফ্লাইট নেই। সিঙ্গাপুর হয়ে কানেক্টিং ফ্লাইট ধরে আসতে হয়। ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর আসতে সময় লাগে চার ঘণ্টা। আর সিঙাপুর থেকে জাকার্তায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের ফ্লাইট। সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সই অধিকাংশরা বেছে নেন। তবে টাইগার এয়ারওয়েজে কম খরচ পরে।
সেন্ট্রাল জাকার্তায় মাঝারি মানের হোটেলে মধ্যে হোটেল সিপ্টা, ইবিস, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ভাড়া রাত প্রতি ৪ হাজার টাকা থেকে ৯ হাজার টাকার মধ্যে। আরো উন্নতমানের হোটেলের মধ্যে আছে গ্র্যান্ড হায়াত, আরিয়াদুতা হোটেল, বরোবুদুর, সাংরি লা, গ্র্যান মালিয়া, শেরাটন, গোল্ডেন বুটিক, সারি প্যান প্যাসিফিক হোটেলসহ আরো অনেক পাঁচ তারকা মানের হোটেল। এগুলোর ভাড়া রাত প্রতি ষোল হাজার টাকা থেকে শুরু।
অজস্র দারুন দারুন শপিংমল সারা শহর জুড়ে বিস্তৃত। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন এসব শপিংমল সর্বত্র ছড়ানো। তবে অল্পদামে কেনাকাটা করার জন্য জালান সুরাবায়াসহ আইটিসির (্ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার) অনেকগুলো শপিংমল আছে, এখানে আছে ১০ হাজারেরও বেশি দোকান, এছাড়া মল আংগ্রেক, ডাব্লুটিসি মাঙ্গাডুয়া, মল গুনুং আগুং, সানায়ান সেন্টার, সানায়ান সিটি, মল পুরী ইনডাহ ইত্যাদি। আছে কম্পিউটার ও ইলেট্রিক জিনিসপত্রের আলাদা বিশাল মার্কেট।
তামান মিনি ঘোরা শেষ হলো না। মুষলধারে বৃষ্টি নামলো। আকাশ কালো করে। মহাযন্ত্রনা। একটা ট্যাক্সি ক্যাব পেয়ে বেঁচে গেলাম। প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। হোটেলে ফিরে এলাম। কাল সকালে আমাদের বালি দ্বীপ অভিমূখে। সকাল সাড়ে এগারটায় ফ্লাইট।
মন্তব্য
ভালো লাগলো ভ্রমণ বৃত্তান্ত। খাবারের দাম কেমন ওখানে? এত লোভনীয় ভাবে খাবারের বর্ণনা দিলেন জীভে পানি এসে গেল
ঢাকার চেয়ে কিছুটা বেশি। কিছুটা না বেশ বেশি। সাদামাটা মেনুর মোটামুটি মানের একবেলা খাবার ৫০০ টাকার কমে ভাবা যায় না।
ছবি পাচ্ছিনা
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ছবি দেখা যায়না।
ফারাসাত
আমি দেখছি সব ছবি। খাবারের ছবিগুলো বিশেষ করে স্ট্রিটফুড গুলোর ছবি থাকলে আরও ভাল লাগত। ১০ দিনের ভ্রমণ নিয়ে ১০টা পোস্ট দিন ভাই।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ছবি দেখা যায়না দখতে পারলে ভালো হত
ছবি গুলি দেখতে পারছিনা। লেখা ভালো লেগেছে।
আসমা খান
আপনার এই পোষ্ট আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলো ইন্দোনেশিয়ায় ফেলে আসা সেই দিনগুলোতে। আপাতত আর কিছু লিখছি না, এই মুহুর্তে দুবাই এয়ারপোর্টের টার্মিনাল-৩ কলম্বোর ফ্লাইটের অপেক্ষা করছি। পরে আপনার লেখার সাথে উপরে কিছু মন্তব্য যোগ করবো আশাকরি।
ইতোমধ্য সময় পেলে আমার ইন্দোনেশিয়া নিয়ে লেখা আমি তুমাকে বালোবাসি পড়ে দেখতে পারেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ছবি কেন দেখতে পারছি না !
facebook
ছবির দেখা নাই তবে বর্ণনা দারুণ।
অমি-বন্যা
কেউ কেউ ছবির দেখা পাচ্ছেন না কেন বুঝলাম না। আমি তো দিব্যি সব ছবি দেখছি।
নাসি গোরিংটা দেশেই কয়েকবার খাইছিলাম। কপার চিমনি নামের এক রেষ্টুরেন্ট ছিল চট্টগ্রামে নব্বই দশকে, সেখানে খুব ভালো ইন্দোনেশিয়ান মেন্যু ছিল কয়েকটা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
একবার পড়ে ছবি না দেখেই চলে গিয়েছিলাম - এরপর পেজ কয়েকবার রিলোড দিয়ে দেখলাম কয়েকটা ছবি আসে - বাকিগুলো দেখলাম ইমেজ এ রাইট ক্লিক করে নতুন ট্যাব এ খুলে -
ছবি কি হাই রেজুলেশন?
নতুন মন্তব্য করুন