তখন গভীর রাত -
মহাসড়কের সাদা দাগ টানা কালো অন্ধকার পথ;
কুয়াশা কুন্ডলী পাকায়ে দুর্ভেদ্য দেয়াল তুলে রেখেছে সারা উত্তর-বঙ্গে;
গাড়ি আর চলছে না।
আমরা কিছুটা পথ যাই, কিছুটা দাঁড়াই, চা-পানি খাই, সিগারেট ফুঁকি
আমরা ভাবতে থাকি, প্রকৃতির এ কী খেলা!
এত শীত, কুয়াশার এ্ত প্রতিরোধ কখনো দেখিনি!
সিগারেটের টুকরো পায়ের তলায় পিষতে পিষতে ভাবি -
বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনে এবারের থিম,
আমারা আরও ভাবি, রিস্ক নিয়ে এভাবে এগুনো কঠিন।
পাশ ফিরে হঠাৎ চমকে দেখি -
ঘুমন্ত একটি শিশু কুন্ডলী পাকায়ে শুয়ে আছে পায়ের কাছে
নির্বিঘ্নে ঘুমিয়ে আছে ধূলো মলিন পথের পাশে
গায়ে ছেঁড়া লুঙ্গি, শীতে জুবুথুবু, একটি হাড্ডিসার কুকুরের পাশে
কে তার মা? কোথায় সে অভাগিনী? কোথায় তার দুর্ভাগা বাপ?
প্রশ্নগুলো সদ্যখালিকরা চায়ের কাপের ওপর মাছিদের মতো
চারপাশে ভন ভন করে দূরে যায় ফের কাছে ফিরে আসে
মনেহলো পুরো বাংলাদেশ- যেন কুন্ডলী পাকায়ে শুয়ে আছে
এই হাড্ডিসার কুকুরের পাশে, ধূলো মালিন রাস্তায়;
গাড়ির দরজা হ্যাঁচকা টানে খুলে আমরা ভেতরে ঢুকে বসি
রাস্তা ছুটে চলে কুয়াশার প্রতিরোধ ভেদ করে
দুর্গম রাস্তারা এভাবেই পৌঁছে যায় নিয়ত গন্তব্যে
আর রাস্তায় পাশে কুন্ডলী পাকিয়ে থাকে এইসব লেস ইম্পর্টেন্ট ইস্যুগুলো
চিরদিন!
-------------------
জুন, ২০১৩
মন্তব্য
অসাধারণ। পড়ার পর বুকে একটা ধাক্কা লাগলো।
পথের পরে যেই কুয়াশা
রোদ উঠলে সে কাইট্যা যায়,
জীবন-পথের এই কুয়াশা
রোদ উঠে না এই নিরাশায়!
জীবন ক্যামনে কাইট্যা যায় -
কাইট্যা যায়!
- একলহমা
বানানে কিছু ভুল রয়ে গেছে, সেগুলো ঠিক করে দিলে পড়তে আরাম হতো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাহ।
নতুন মন্তব্য করুন