ভাষা বিভ্রাট

সাঈদ আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন সাঈদ আহমেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/১২/২০০৯ - ৭:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১. আপনার মা আমার …

২০০৩ এর জানুয়ারী মাসের ঘটনা। প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে আসবার সময় মালয়শিয়ার কুয়ালালামপুরে সারাদিনের ট্র্যানজিট ছিল। সাথের মুরুব্বি ভাইয়েরা বললো, চলো ট্যাক্সি ভাড়া করে শহরটা দেখি। আমি বললুম, তথাস্তু। ট্যাক্সি নেয়া হলো, আমি সামনে বসলাম। ট্যাক্সির ড্রাইভারের সাথে কুশল বিনিময়ের পর জানতে চাইলাম, তোমরা ধন্যবাদ দিতে হলে কী বলো? আমার ইচ্ছে ছিল, শহর দেখা শেষ হলে, ড্রাইভার ভাইকে তার নিজের ভাষায় ধন্যবাদ দিয়ে চমকে দিব (তখন ভাবিনি, নিজেই চমকে যাব)।

: আমরা বলি “তেরি মাকাছে”

তেরি মাকাছে? আচ্ছা, লাইনটা মনে রাখতে হবে, কোন ভাবেই যেন ভুলে না যাই। পরিচিত কোন লাইনের সাথে মিলিয়ে নিলে যে কোন জিনিসই আমার মনে রাখতে সহজ হয়। তাই “তেরি মাকাছে”-র শব্দ বিশ্লেষন করতে বসলাম।
হিন্দিতে “তেরি” মানে তো তোর, “মা” মানে মা বা মাতা, আর কাছে মানে তো কাছেই। ব্যাস, হয়ে গেল। “তেরি মাকাছে” হলো “তোর মা কাছে”, এটা মনে রাখলেই হলো।

যাই হোক, সারাদিন ঘুরে যখন ট্যাক্সির ড্রাইভার আমাদের নামিয়ে দিচ্ছিল, তখন হঠাৎ করেই তাকে ধন্যবাদ দেবার লাইনটা ভুলে গেলাম! ইশ্… কী যেন ছিল হিন্দির মতন লাইনটা? মনে পড়েছে… “তোর মা কাছে” এটার হিন্দিই হলো মালয়শিয়ার ধন্যবাদ।

আমি তখন মুখে একটা ধন্যবাদসূচক হাসি ঝুলিয়ে ড্রাইভারের দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম-

“তেরি মা মেরি পাস”!

বলা মাত্রই সাথের বড় ভাই আমাকে একটানে আড়ালে নিয়ে গেল। “ওই মিয়া, এইটা কী কইলা? ওর মা তোমার কাছে, মানে কী? বিদেশে আইসা মাইর খাওয়াবা না-কি?”

ততক্ষনে বুঝে গিয়েছি কী বলেছি আমি! ভাগ্য ভালো, ড্রাইভার আমার কথাটা ঠিক মত বুঝতে পারে নাই হাসি

২. রাতের বেলা সময় চেয়েছিল যে মেয়েটি

অস্ট্রেলীয়দের কথা শুনলে বোঝা যায় ইংরেজী ভাষার আঞ্চলিক বিবর্তন কত ভয়াবহ হতে পারে। সাধারন ইংরেজী শব্দ-বাক্য-উচ্চারনের এমন সব আঞ্চলিক পরিবর্তন এরা করেছে যে খোদ ইংরেজদেরও ইংরেজী অভিধান লাগে অস্ট্রেলীয়দের ভাষা বুঝতে।

“গিডে মাইট” যে “Good Day Mate” এটা বুঝতেও আমার সময় লেগেছে।

যাই হোক, আসল গল্পে আসি। একরাতে ইউনির হলে এক পুরোন বড়ভাইর রুমে বসে বাঙালী ৫/৬ জন আড্ডা দিচ্ছি। তখন অনেক রাত, কিন্তু বাঙালী অভ্যেস, আড্ডা না দিলে বদহজম হয়! তাই নিয়ম করে চলে ‘আজাইরা প্যাচাল’।
এমন সময় হঠাৎ হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকলো এই সেমিস্টারে নতুন আসা রফিক (নামটা বদলে দিলাম মানহানি মামলার ভয়ে)
হাপাচ্ছে আর ঘামছে দরদর করে। বোঝা গেল সাংঘাতিক কিছু একটা ঘটেছে। আমাদের ঔৎসুক যখন চরমে, তখন রফিক একটু দম নিয়ে যা বললো, তা ওর নিজের ভাষায় মোটামুটি এরকম-

“আমি লাস্ট বাসের জন্য বসেছিলাম সিটির বাসস্ট্যান্ডে। ভাবলাম এত রাতে হেটে না এসে বাসেই আসি। এই রাতে আর কেউ ছিল না ওইখানে। এমন সময় কোত্থেকে যেন একটা ফিরিঙ্গী মেয়ে হাজির। আমি ভাবলাম, সেও বোধহয় বাসের জন্যই এসেছে। কিন্তু হঠাৎ দেখি সে আমার দিকে আসছে। আপনারা তো জানেন আমি এই গরমকালে স্বল্পবসনা মেয়েদের দিকে বেশি তাকাই না। তাই আমি নিচের দিকে তাকিয়ে রইলাম। এমন সময় ঘটলো ঘটনা। মেয়েটা আমার একদম কাছে এসে আস্তে করে বললো “তোমার কাছে কী একটু সময় আছে?” এই এত রাতে ফিরিঙ্গী একটা মেয়ে কোনো বদ উদ্দেশ্য ছাড়া পরপুরুষের সাথে সময় কাটাতে চায় বলেন? এই কুপ্রস্তাব শুনেই আমি ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ বলে দিয়েছি এক দৌড়। আচ্ছা, আমার চেহারা দেখলে কী মনে হয় আমি ওইসব করি? আমার দেশে বউ-বাচ্চা আছে… ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ… ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ”

রফিকের কাহীনি শুনে রুমের অনেকের চেহারা দেখেই মনে হলো, তারা ভাবছে, ইশ, কেন যে আমি ছিলাম না বাসস্ট্যান্ডে এই গাধাটার বদলে… এমন একটা চান্স!
রুমের এক কোনে বসে এতক্ষন চুপচাপ শুনে যাচ্ছিলেন আজকের আড্ডার হোস্ট সেলিম ভাই। তিনি এখানে আছেন বেশ কিছুদিন। একটু কাশি দিয়ে তিনি বললেন-

: তোমারে ঠিক কী বলছে মেয়েটা, আবার বলো।

: বললাম না? আমার সাথে সময় কাটাতে চাইছে!

: ইংরেজীতে বলে নাই?

: হ! বলছে do you have time?

একথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে উঠলাম। ওই মেয়ে আসলে সময় কাটাতে চায়নি, সময় জানতে চেয়েছে। Do you have time বলে অসিরা আসলে জানতে চায়- আপনার কাছে কী ঘড়ি আছে?! বুঝেন অবস্থা!

০৩. নামে কী-বা আসে যায়

ক্যানবেরাতে আসার পর প্রথম কয়েক মাস ইউনির একটা হলে থাকার সুবাদে আমার কিছু বিদেশি বন্ধু জুটলো। এরপর যখন আমার ‘পরিবার’ চলে এলো, তখন হল ছেড়ে দিয়ে একটা বাসা নিলাম। নতুন বাসা নেয়া আর স্ত্রী আসা উপলক্ষ্য একদিন সব বন্ধুদের দাওয়াত করলাম বাসায়। একে একে যখন সবাই চলে এলো, আমি সব বন্ধুদের পরিচিত করিয়ে দিতে লাগলাম আমার স্ত্রীর সাথে-

: এ হচ্ছে শীগে (ইংরেজী উচ্চারন She Gay!), ও জাপান থেকে এসেছে। ডান দিকে এর নাম বাথওয়েল (bath well) এসেছে আফ্রিকা থেকে। মাঝে বসে আছে রিচার্ড…
ব্যাটা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো “আমাকে ডিক নামে ডেকো”।
কী মুশকীল! কেন যে এরা ছেলেদের “ইয়ে” আর রিচার্ড নামের লোক উভয়কেই ডিক বলে!

যাই হোক, পরিচয় পর্ব চলতে থাকলো।

: আর একদম ডান দিকে যে মেয়েটা স্কার্ফ মাথায় দিয়ে বসে আছে, ও এসেছে ইন্দোনেশিয়া থেকে। আমি সুকৌশলে ওর নামটা এড়িয়ে গেলাম।

কিন্তু সে তখন এসে আমার স্ত্রীকে আলিঙ্গন করে বললো, “আমাকে সবাই নুনু বলে ডাকে, তুমিও তাই ডেকো”।

মনে মনে বললাম “হায়রে কপাল! এক দেশের বুলি, আরেক দেশের গালি!”


মন্তব্য

ফকির লালন এর ছবি

ব্যাঙ্ককে ট্যাক্সিওয়ালা রে কইলাম, হোটেল এম্বাসেডরে যাবো, soi ( থাই ভাষায় গলি/লেন) eleven এ। ব্যাটায় বোঝেনা। বললাম, আমি চিনি, চলো। গিয়ে হোটেলে নামার পর ব্যাটা আমাকে গালি দিতে লাগলো। বলে, এত ঢং এর কি দরকার ছিলো soi
ওয়ান-টি-ওয়ান বললেই তো হতো। বোঝেন ঠ্যালা, 11 - কেনো thrity one, fifty one এর মতো নয়, তার আমি কি জানি?

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

আপনি তবু ভাগ্যবান, ব্যাঙ্ককে ইংরেজী বলা ট্যাক্সি ড্রাইভার পেয়েছেন! আজব এক দেশ শুধু ইশারা আর 'ইয়ে' দিয়ে ট্যুরিজম চালিয়ে গেল!
-----------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

অতিথি লেখক এর ছবি

খিকয...

“আমাকে সবাই নুনু বলে ডাকে, তুমিও তাই ডেকো”।

হেহেহেহে।

---নীল ভূত।

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

এই চকলেট কোম্পানীর নাম দেখেন
http://www.nunuchocolates.com/
ঢাকায় অবশ্য এই নামে একটা বেবী লোশন আমদানী হয় এখন। কেম্নেকী!
---------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

নিঘাত তিথি এর ছবি

ব্যাপক মজা পেলাম, সবগুলোতেই। তবে "তেরি মা মেরি পাস"টা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ, নিজের কাছে নিজে কেমন ধরা খেলেন বলুন?
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

ড্রাইভার বেটা হিন্দি জানলে বুঝতাম ধরা কত প্রকার ও কী কী হাসি
-----------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বিদেশের কথা না হয় বাদই দিলাম
সিলেটে কিন্তু আমরা হুগা মাছ আর চ্যাং মাছ খাই
(অন্য বাংলায় অনুবাদ কইরেন নিজ দায়িত্বে)

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

হুম... বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে একবার আঞ্চলিক অফিসগুলোর জন্য সাইনবোর্ড বানানো হয়েছিলো, তখন বিশেষ একটি এলাকার নাম লেখা সাইনবোর্ড নিয়ে ব্যপক বিব্রতকর পরিস্থিতি হয়েছিল... এলাকার নাম দুই অক্ষরের, কিন্তু বলা যাবে না... হাসি

--------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

হিমু এর ছবি

সুদূর পঞ্চগড়েও বিসাকে-র কার্যক্রম বিস্তৃত ছিলো জেনে পুলকিত হলাম।

আমার এক বন্ধুর আত্মীয় ঐ এলাকার বাসিন্দা। একবার তিনি বাসে চড়ে যাবেন দেশের বাড়ি। বাস ছাড়বে শ্যামলী থেকে। তিনি টিকেট অফিসের পাশে দাঁড়িয়ে বিড়ি পান করছেন। এমন সময় এক বন্ধু এসে রাস্তার ওপর থেকে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, আরে অমুক ভাই, আপনি এখানে, তা কই যান?

তিনি বিব্রত হয়ে গলা চড়িয়ে বললেন, এই তো ভাই, দেশের বাড়ি ...।

বন্ধু রাস্তার ওপাশ থেকেই হর্ষোৎফুল্ল হাঁক ছেড়ে বললেন, তা আপনার দেশের বাড়িটা যেন কই?

বন্ধুর আত্মীয় একটু মুশকিলেই পড়লেন। তিনি হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকলেন লোকটিকে, মতলব ছিলো কাছে এলে গলা নামিয়ে বলবেন, তাঁর দেশের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার সেই নামবলতেমানা থানাতে।

তার আগেই প্রখর স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন সেই লোক চিলচিৎকার করে উঠলো, ওহহো, মনে পড়সে, মনে পড়সে ... ××!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

তাসনীম [অতিথি] এর ছবি

ভাই, ওই নামে একটা ফোন কোম্পানি আছে ইউরোপে, এখনও বাংলাদেশে service আসেনি...কিন্তু ওদের logo ওয়ালা একটা usb modem কিনেছিলাম ঢাকাতে, দোকানদার অনায়াসে "D" "দ" উচ্চারণ করলো, জানালো দাম কম হলেও "..." ভালো জিনিস।

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

হাহাহাহা... সাধু সাধু...

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পঞ্চগড়ের ওই এলাকার লোকজন এখন দ এর বদলা ডি দিয়ে উচ্চারণ করে নিজেদের এলাকর নাম

ঠিক যেমনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কুত্তাপাড়ার লোকজন বলে কুইট্টাপাড়া

দুর্দান্ত এর ছবি

সরাইলের কুকুরগুলির অবদান তো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।

হিমু এর ছবি

এনারা ঐতিহাসিকভাবে সরলচিত্ত। শাক দিয়ে মলাঢেলা ঢাকা যায়, ওনারা শাক দিয়ে বোয়াল মাছ ঢাকতে চেষ্টা করছেন।

এক্টা জোক মনে পড়ে গেলো।

এক লোক গেছে এফিডাভিট করতে। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, আপনার নাম কী?

সে উত্তর দিলো, রহিম বোকাচোদা।

প্রশ্নকর্তা তব্দা খেয়ে বললেন, বলেন কী? অবশ্যই এফিডাভিট করা দরকার। তা পাল্টে কী রাখতে চান?

উত্তর এলো, সালমান বোকাচোদা।

××বাসী দ এ হাত না দিয়ে ব এ হাত দিলে আখেরে লাভ হতো। গোদা, কিংবা লোদা ... যাই হোক ... বেটার দ্যান ××



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

তেরি মা মেরি পাস

আমাকে ডিক নামে ডেকো

আমাকে সবাই নুনু বলে ডাকে, তুমিও তাই ডেকো

দেঁতো হাসি

স্পার্টাকাস

তানবীরা এর ছবি

হাহাহাহাহা। মজার হয়েছে।

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সাফি এর ছবি

হাহাহা কি মজার কাহিনী। ভারতের নেতা ছিলনা শিবসেনার, বাল ঠেকারে? সেই অবস্থা আর কি।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

১৯৯০ ভারতে এক মন্ত্রী আছিলেন না চিদাম্বারাম নামে? উচ্চারন করতে না পেরে আমার এক দোস্ত সেটাকে চুদাম্ভারাম ডাকতো। মাইরটাও সেরকমই খাইছিল ধরা খাবার পরে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দময়ন্তী এর ছবি

ছিলেন কি! দুজনেই এখনও আছেন তো৷ পি চিদাম্বরম এখন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ আদর করে অনেকে 'চিদু' বলে ডাকে৷ হাসি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

নৈষাদ এর ছবি

মজা লাগল। তেরি মাকাছে কথাটা পরিচিত লাগছে কেন জানি। কোন হিন্দী সিনেমায় এই কথাটা কি কোন কারনে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল??

সাইফ তাহসিন এর ছবি

খুব মজা পেলাম। আরো চাই ;)।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তাসনীম [অতিথি] এর ছবি

Teletubbis নামে একটা বাচ্চাদের শো হয় টিভিতে, সেখানে একটা vacuum cleaner আছে যার নাম নুনু, একবার এক দাওয়াতে host এর বাচ্চা জানালো আম্মু তাকে একটা নুনু কিনে দিয়েছে, আব্বুর মত তারও একটা নুনু (vacuum cleaner) আছে। বিব্রত মহিলা আমাদেরকে তখন ব্যাপারটা explain করলেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা হাসতে হাসতে গাল ব্যথা !! তবে মালেয় শব্দ টি "ত্রিমাকাছি" হবে শুদ্ধ উচ্চারণ। আমার মালেয় সম্পর্কে কিছুটা জানা আছে, কাজের জন্য কিছু দিন মালেশিয়া থাকতে হয়ে ছিল। মজার পোস্ট চোখ টিপি

দিশা___

দ্রোহী এর ছবি

হা হা হা... দারুণ লেখা।

২০০৪ সালের কথা। আমরা একটা প্রজেক্টের ফিল্ডওয়ার্কের কাজে উত্তর বঙ্গে গেছি। আমাদের স্যার হচ্ছেন প্রজেক্ট লিডার। আমরা প্রতিরাতে পরের দিনের ওয়ার্কপ্ল্যান ঠিক করতাম।

একরাতে খাবার পর আমরা বসলাম পরের দিনের প্ল্যান করার জন্য। আমাদের প্রজেক্ট লিডার বললেন, "আগামীকাল আমরা বোদা দিয়ে ঢুকবো!"

ভ্রম এর ছবি

হাহাহা অনেক মজার লেখা!

ভুতুম এর ছবি

জট্টিল মজা পাইলাম!

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

প্রবাসিনী এর ছবি

আমার এক দক্ষিণ আফ্রিকার বন্ধুর নামও ছিল নুনু!
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গুল্লি গুল্লি গুল্লি

_________________________________________

সেরিওজা

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

ভারতের পশ্বিমে বিখ্যাত একটি পর্যটন শহর আছে না যেখানে প্রায়ই ক্রিকেট খেলা হয়? দৈনিক ভোরের কাগজ অনেক বছর আগে খেলার পাতায় ওই শহরের একটা টেস্ট ম্যাচ নিয়ে শিরোনাম করেছিল এরকম-

"গো...য় টানটান উত্তেজনা"

মৃদুলের তো মনে থাকার কথা হাসি

---------------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

হিমু এর ছবি
সাফি এর ছবি

সুদানির পোলা আর টিপের গল্পই বা কি দোষ করল?

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

আমি বাকরুদ্ধ দেঁতো হাসি
---------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

বিনোত [অতিথি] এর ছবি

আমি যতদূর জানি তা তেরেমাকাসিহ্ (Teremakasih), আর প্রতুওরে বলে সামা-সামা। আমার এক বান্ধবীর নাম ছিল নুনু, এখন এক কলিগের মেয়ের নাম ও নুনু। আর মজার ব্যাপার, আমার মধ্যনাম থাই ভাষায় অনুবাদ করলে ছেলেদের ঐটা। এবার বুঝেন ঠ্যালা......হাসি :ঢ়

তানভীর এর ছবি

মজারু!

এক সামারে কোরিয়া থেকে কিছু এক্সচেইঞ্জ স্টুডেন্ট আসলো। ক্লাসে তাদের নাম-ধাম জিগাইতেছি। একজন নাম কইল 'কাকা'। নাম শুনে আম্রিকান পোলাপাইনগুলা দেখি হিহি কইরা হাসে। হাসে ক্যান এটা জিগাইতেও পারি না; আমার তো নাম ভালোই লাগসে- ব্রাজিলের ফুটবলারের নামে নাম, আর আমরাও দেশে চাচাদের অনেকে কাকাই বলি। পরে একজনরে ঘটনা কইলাম। সে দাঁত বাইর কইরা কইলো, ও তুমি জানো না, এই দেশে 'কাকা' মানে তো 'গু'! ইয়ে, মানে...

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

এক্সচেইঞ্জ স্টুডেন্ট এর কথা আর বলেন না ভাই, মনে নেই সয়ং শান্তিনিকেতন এইটা নিয়ে কী বিপদে ছিল!

(কাহিনী তো জানেনই ... ওখানে সবাই সবাইকে 'দা' ডাকে...মানে রবিদা, অমুকদা, তমুক দা.... খালি দুই চৈনিক এক্সচেইঞ্জ স্টুডেন্টকেই সবাই নাম ধরে ডাকে... এইটা নিয়ে Cho আর Achoh নামক ওই এক্সচেইঞ্জ স্টুডেন্টদের কী দু:খই না ছিল!)

------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

এক্সচেইঞ্জ স্টুডেন্ট এর কথা আর বলেন না ভাই, মনে নেই সয়ং শান্তিনিকেতন এইটা নিয়ে কী বিপদে ছিল!

(কাহিনী তো জানেনই ... ওখানে সবাই সবাইকে 'দা' ডাকে...মানে রবিদা, অমুকদা, তমুক দা.... খালি দুই চৈনিক এক্সচেইঞ্জ স্টুডেন্টকে ছাড়া... এইটা নিয়ে Cho আর Achoh নামক ওই এক্সচেইঞ্জ স্টুডেন্টদের কী দু:খই না ছিল!)

হাসবেন না... এটা দুই ছাত্রের দু:খের কথা, হাসির কথা না মন খারাপ

------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

দময়ন্তী এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

দক্ষিণের একটি বেশ প্রচলিত পদবী হল 'নিজলিঙ্গাপ্পা'৷ দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

হিমু এর ছবি

ভারতের এক বিখ্যাত হকি খেলোয়াড়ের নাম ধনরাজ পিল্লাই। বাংলাদেশের পত্রিকায় কিছুতেই তার প্রথম নামটা লেখা হয় না। লেখে শুধু পিল্লাই। হকি খেলা দেখতে বসলে আর পিল্লাই খুঁজে পাওয়া যায় না, কারণ ভারতীয় ধারাভাষ্যকার ধনরাজ ধনরাজ করে কান পঁচিয়ে ফ্যালেন।

আমাদের এক জীর্ণশীর্ণ ছোটোখাটো বন্ধু ছিলো, তাকে আমরা রসিকতা করে ধনরাজ পেল্লায় ডাকতাম, খুব চটতো! হকিস্টিক আলগাতে পারলে সে আমাদের পিটিয়ে গুড়া গুড়া করে ফেলতো।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পড়ে খুব মজা পেলাম।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

গল্পটা সত্য হলেও হতে পারে। তেমন লোকের কাছ থেকেই শোনা।

তখন মির্জা গোলাম হাফিজ আইন মন্ত্রী। এলাকার মন্ত্রী হিসেবে তিনি উপজেলায় উপজেলায় ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বসাচ্ছেন। ঢাকা থেকে ফোনে তিনি কথা বলেন ঐ উপজেলার অফিসারের সাথে। ফোন অবশ্য প্রথমে একজন রিসিপশনিস্টই ধরে।
তো বোদা উপজেলার উদ্বোধন যেদিন হবে। সেদিন ঢাকা থেকে ফোন করে পি.এ লাইনে পেলেন বোদা উপজেলার রিসিপশনিস্টকে। তো কথা হলো এরকম:

: হ্যালো, বোদা, হ্যালো বোদা। শোনা যাচ্ছে?
:শোনা যাচ্ছে। তবে খুবই আস্তে আস্তে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

মাহবুব লীলেন এর ছবি

একং আংরেজ ধারাভাষ্যকার একবার বাংলাদেশি খেলোয়াড় bulbul এর uকে উ উচ্চারণ না করে আ উচ্চারণ করছিল না?

ভণ্ড_মানব এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আমরা স্কুলে ক্লাস সিক্স সেভেনে যে ইংলিশ ফর টুডে পড়াইতো ওখানে প্রায় গ্রামের নামই দেখা যাইতো 'সোনাপুর'। আমরা বিটলা কয়টা মুখ টিইপা টিইপা হাসতাম খালি, ম্যাডাম জিগাইতেন, 'তোমার বাডি কি সোনাপুর?' দেঁতো হাসি
যাই হোক লেখা মজারু হইছে। ২ আর ৩ বেশি ভাল্লাগলো। অবশ্যই আপনার ধন-এ-পাতা প্রাপ্য। পাতা দিয়ে মুড়িয়ে দিলাম যান। চোখ টিপি
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

নাগর_শরীফ [অতিথি] এর ছবি

আজকাল "ফোন" শব্দটার ব্যবহার কতটুকু তা সবাই জানেন।

আমাদের সিলেটে বাইরের ডিষ্টিকের অনেক লোকজন থাকেন, তো উনারা ফোন উচ্চারণ করেন ফ এর সাথে ু দিয়ে! যা আমাদের সিলেটে বো... বুঝায়।

একজন আরেকজনকে বলে ..ন দিস। আবার কল নাগেলে বলে ওর ...নে তোরে ভাই ঢুকতেসেনা!আরো কত কি!
ঝামেলায় আছে সিলেটবাসী।

তারানা_শব্দ এর ছবি

হিহিহিহি!!! লেখা পড়ে অনেক হিহিহিহি করলাম!!! দারুন!

অন্যদের কমেন্ট এর ঘটনাগুলোও মজার

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।