মাটির গর্তে বুক পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকা ছোট্ট পাপী মেয়েটি ব্যাকুল হয়ে চিৎকার করে চলছিল “আমি আর বলবো না… আমি আর বলবো না… আমাকে মাফ করে দাও … আমি আর বলবো না…”
সমাজকে নিষ্কলুষ আর পাপমুক্ত রাখতে বদ্ধপরিকর ধর্মপতিদের হাত থেকে তখন অবিরাম ছুটে আসছে পাথর… ছোট পাথর, বড় পাথর, গোল পাথর, এবড়ো-থেবড়ো পাথর… পাথরগুলো ছুটে যাচ্ছে মেয়েটার চোখ-মুখ-মাথা লক্ষ্য করে। একটা-দুটো বেয়াড়া পাথর অবশ্য টার্গেট মিস করছে, তাতে ছোট্ট পাপী মেয়েটির মরণক্ষণ সামান্য দীর্ঘায়িত হচ্ছে মাত্র। কিন্তু কষ্ট হচ্ছে ধর্মরক্ষকদের। তাদেরকে আবার নিচু হয়ে নতুন পাথর তুলে মেয়েটার মুখ নিশানা করে সবেগে ছুড়ে মারতে হচ্ছে! কী যন্ত্রনা! মাত্র তের বছরের একটা মেয়ের মরতে এতো সময় লাগবে কেন?
আলজাজিরার খবর অনুযায়ী সোমালিয়াবাসি মেয়েটার নাম আয়েশা। পুরো নাম আয়েশা ইব্রাহীম দুহুলো। ধরেই নেয়া যায় মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া মেয়েটির নাম রাখা হয়েছিল আল্লাহর নবীর প্রিয়তম স্ত্রী আয়েশা (রা) এর নাম অনুসরণে। একদিন এই সোমালিয়াবাসি আয়েশা হেটে হেটে যাচ্ছিল মোগাদিসু নামক স্থানে তার দাদী বা নানীর বাসায় । পথিমধ্যে তিনজন লোক তাকে জোরপূর্বক …
ওই ঘটনায় মেয়েটি স্বর্বস্ব: হারিয়েছিল এটা বলা ভুল হবে। কারন ওই ঘটনায় মেয়েটি জীবনাটাতো আর হারায়নি। মেয়েটি আসলে স্বর্বস্ব: হারিয়েছে যখন সে এই ঘটনার নালিশ জানাতে গিয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে।
কর্তৃপক্ষেরই বা আর কী দোষ? তারা তো আইনের হাতে বন্দী।
মেয়েটা যেহেতু নিজেই স্বীকার করেছে, তার মানে এই অন্যায় কাজটা অবশ্যই ঘটেছে। এখন দায়ী ব্যক্তিকে বের করে শাস্তি দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কিন্তু দায়ীটা কে? ঐ লোকগুলোই দায়ী না-কী মেয়েটিই আসলে ঐ লোক তিনটাকে প্রলুব্ধ করেছিল?
শরিয়া আইনে এটা বের করার সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে, কাজেই এটা প্রমান করা কোন সমস্যাই হলো না যে মেয়েটিই আসলে দায়ী। তো কী আর করা? সমাজকে পাপমুক্ত রাখতে শেষ পযর্ন্ত কিসমায়ু শহরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসম্মুখে পাথর ছুড়ে মেরেই ফেলতে হলো মেয়েটিকে!
শরিয়া আইন:
মেয়েটা যেহেতু ইতোমধ্যেই মরে বেচে গিয়েছে, আসুন আমরা দ্রুত শুধু একবার জেনে নেই ঠিক কীভাবে তার দুশ্চরিত্র উৎঘাটন করা হয়েছিল। এরপর আপনাদের আরেকটি গল্প বলবো। কথা দিচ্ছি পরের গল্পটা মিলনাত্নক হবে, এমন বিয়োগান্তক নয়।
ইসলামে অবৈধ সম্পর্কের বিচার আর পাথর ছুড়ে মৃত্যুদন্ড নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। কোরানের কোন আয়াতে পাথর ছুড়ে মৃত্যুদন্ডের কোন বিধান নেই, যদিও অনেকেই দাবী করে থাকেন যে কোরানে পাথর ছুড়ে মৃত্যুদন্ডের উপর হারিয়ে যাওয়া অথবা বাতিলকৃত একটি আয়াত বা সুরা ছিল। মূলত: সহি বুখারী আর সহি মুসলিমের কিছু হাদিস থেকেই এই বিতর্কের উদ্ভব। ইচ্ছে হলে এই লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন।
কিন্তু পাথর, রশি, বিদ্যুৎ না-কি ইঞ্জেকশন কোনটা কী কারনে মৃত্যুদন্ডের জন্য ভালো এই বিতর্ক এখানে জরুরী নয় (আমার ভালোও লাগে না)।
আমাদের জানা প্রয়োজন কিভাবে শরিয়া আইন আয়েশাকে দুশ্চরিত্রা প্রমান করলো।
শরিয়া আইনে অবৈধ শারীরক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ প্রমাণের উপায় বলে দেয়া আছে। পাকিস্তানে ইসলামী আইন সমন্বিতকরণের জন্য ১৯৭৯ সনে যে অধ্যাদেশ জারী করা হয়েছিল তাতে শরিয়া আইনের এই ধারাটি উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে-
“Proof of zina liable to hadd shall be in one of the following forms, namely:-(a) the accused makes before a Court of competent jurisdiction a confession of the commission of the offence; or
(b) at least four Muslim adult male witnesses... give evidence as eye-witnesses of the act of penetration necessary to the offence:
Provided that, if the accused is a non-Muslim, the eye-witnesses may be non-Muslims.”
(Article 8 of The Offence of Zina (Enforcement Of Hudood) Ordinance, 1979, Ordinance No. VII of 1979)
ধারা ৮(ক) অনুযায়ী আয়েশা স্বীকার করেছে যে তার সাথে অন্য তিনজন ব্যক্তির অবৈধ এবং জোরপূর্বক সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু ধারা (খ) অনুযায়ী আয়েশা চারজন পুরুষ প্রত্যক্ষদর্শী উপস্থিত করতে পারেনি যারা প্রমান করবে যে এটা তার অমতে ঘটেছে এবং দায়ী আসলে ঐ তিন ধর্ষক।
তাহলে কী প্রমান হলো? আশেয়ার অবৈধ সম্পর্ক হয়েছে (স্বীকৃত), কিন্তু অন্য কেউ দায়ী নয় (যেহেতু অপ্রমাণিত)।
অতএব আয়েশা নিজেই দায়ী। জেনা-র শাস্তি পাথর ছুড়ে মৃত্যুদন্ড!
আরেকটি গল্প
ষষ্ঠ হিজরীতে নবী (সা) মুরায়সী যুদ্ধে যাবার সময় স্ত্রী আয়েশা (রা)-কে সাথে নেন। যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে এক স্থানে সবাই বিশ্রাম নিচ্ছিল। এমন সময় আয়েশা (রা) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে একটু দুরে কোথাও গিয়ে তার গলার প্রিয় হারটি হারিয়ে ফেলেন। উল্লেখ আছে, তিনি আগেও একবার এই হারটি হারিয়েছিলেন এবং নবী তখন লোক দিয়ে তা খুজে বের করার ব্যবস্থা করেছিলেন। কাজেই এইবার হারটি হারিয়ে আয়েশা আর নবীকে বিরক্ত করতে চাইলেন না। তিনি নিজেই সময় নিয়ে তা খুজতে লাগলেন। কিন্তু অবশেষে যখন তিনি কাফেলার কাছে ফিরে এলেন, তখন দেখলেন তাকে রেখেই সবাই চলে গিয়েছে!
আয়েশা ভ্রমন করতেন চাদর ঘেরা একটি আসনে, যা উটের পিঠে উঠিয়ে বহন করা হতো। যেহেতু তিনি স্বল্পবয়স্কা এবং ক্ষীণকায় ছিলেন, চাদর ঘেরা আসনে তার অনুপস্থিতি সম্ভবত: বাহকেরা টেরই পাননি। যাই হোক, ভগ্ন মনে আয়েশা ঐখানেই বসে রইলেন, যদি টের পেয়ে নবী তাকে উদ্ধারে আসেন এই আশায়। একসময় ওখানেই তিনি ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।
এদিকে যুদ্ধ থেকে ফেরার সময় সাফওয়ান নামক এক সাহাবীকে নবীর কাফেলার পেছনে পেছনে আসার দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। যদি যুদ্ধ ফেরত কাফেলা পথিমধ্যে কিছু ফেলে যায়, তা কুড়িয়ে আনার জন্য। এই সাফওয়ানই ফেরার পথে দেখতে পান আয়েশা একা পথের ধারে ঘুমিয়ে আছেন। তখন তিনি নিজের উটের পিঠে করে আয়েশাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
কিন্তু রাতের বেলা কাফেলা ছেড়ে আয়েশার বর্হিগমন এবং পরবর্তীতে সাফওয়ানের সাথে তার একা ফিরে আসা মদীনায় যথেষ্ট কানাঘুষার জন্ম দেয়। নবীর অনেক অনুসারীও এই গুজবে অংশ নেন। এটা নিয়ে নবী ও আয়েশা ব্যপক অস্বস্তি ও দূর্ভাবনায় পরে যান। ঠিক এমন সময় কোরআনের সূরা আন-নুর এর চতুর্থ আয়াত নাযিল হয়, যার অনুবাদ এরকম-
“এবং যারা সতী রমনীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে না [তাদের অভিযোগকে সমর্থন করার জন্য], তাদের আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং এরপর থেকে কখনও তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না। কারণ এরূপ ব্যক্তিরা দুষ্ট এবং সীমালংঘনকারী” (কোরআন ২৪:৪)
এরপর গুজব প্রচারকারীদের যথোপযুক্ত শাস্তি দেয়া হলো। শুধু তাই না, এই আয়াত অনুসারে এমন ব্যবস্থা করা হলো যেন প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য ব্যতীত নারীদের প্রতি কেউ আর অপবাদ দিতে না পারে।
ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! অনেক অনেক বছর পর এই আয়াতটিই একটি শরিয়া আইন তৈরীর ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হবে! আর যাকে অপবাদ দিয়ে হত্যার জন্য এই শরিয়া আইন ব্যবহার করা হবে, তার নামও হবে আয়েশা। সম্ভবত দুজনের বয়সও প্রায় কাছাকাছি।
শেষ কথা:
এই আয়াত নিয়ে মাওলানা আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলীর তাফসীর অনুসরনে অধ্যাপিকা হোসনে আরা খান লিখেছেন-
“সাধারণ যে কোনও ঘটনায় বা ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এমন কি খুনের ব্যাপারে প্রমাণের জন্য দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যদানকে যথেষ্ট ধরা হয়।… মিথ্যা সাক্ষী চারজন সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সে কারণেই চার জন সাক্ষীর উল্লেখ করা হয়েছে। … অসহায় স্বাধ্বী মহিলাদের মিথ্যা কলঙ্ক থেকে রক্ষা করার এ এক যুগান্তকারী দলিল”।
কোরানের ব্যাখ্যা দেবার মতন জ্ঞান আমার নেই। কিন্তু যে আয়াত সুনির্দিষ্টভাবে মেয়েদেরকে নিয়ে কুৎসা রটনাকারীদের বিরুদ্ধে নাযিল করা হলো, সেটা কিভাবে শরিয়ার অপব্যাখ্যার মাধ্যমে একটা মেয়ের উপরেই তার ধর্ষিত হবার চাক্ষুষ প্রমাণ দাখিলের দায় চাপিয়ে দিল, এটা আমার মাথায় ঢুকে না!
শেষ সময়ে ওই অত্তটুকুন মেয়েটার ছোট্ট মনে কী ভাবনা ছিল তা ভাবতে গেলে আমার গা শিউরে উঠে। মাঝে মাঝে দু:স্বপ্ন দেখে জেগে উঠি। মনে হয় দূর থেকে আমি শুনতে পাচ্ছি ছোট্ট একটি মেয়ের আকুতি-
:আমি আর বলবো না… আমি আর বলবো না… আমাকে মাফ করে দাও … আমি আর বলবো না…
মন্তব্য
ঠিকাছে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হ'
কিন্তু আমরা- মানুষরাই- খালি ঠিক নাই।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমি এই চারজন সাক্ষীর বিষয়টা জানতাম, কিন্তু এত বিশদভাবে জানতাম না। ধন্যবাদ কিছু ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য। অবাক হলাম জেনে যে এই নিয়মটা করা হয়েছিল মেয়েদের অপবাদ থেকে বাঁচানোর জন্য! আর কাঠমোল্লা ধর্মব্যবসায়ীরা এখন এইটাকে ব্যবহার করছে মেয়েদের কে আরও বেশী ফাঁদে ফেলার জন্য!! হতবাক হয়ে গেলাম। যাই হোক সোমালিয়া তো আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্থ লেজেগোবড়ে টাইপ দেশ আর পাকিস্তানের কথা নাই বা বললাম, কিন্তু আমাদের বাংলাদেশেও মাঝেমাঝে এইধরনের ভন্ডামী হয় ভেবে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। আমরাও কি তাহলে সোমালিয়া বা পাকিস্তানের মত?!?!
এইসব "আমরা হব তালেবান, বাংলা হবে আফগান"-দের খুউব খেয়াল করে...
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এসব ভণ্ডদের কারণেই ধর্ম নিয়ে এত বিশৃংখলা।
একেবারে "জাতের নামে বজ্জাতি সব" অবস্থা!
-----------------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
........................
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ আপনার এরকম চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী লেখার জন্য। খুব ভাল লাগল।
তার্কিক
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাঈদ ভাই এত সুন্দর করে ব্যাখ্যা করার জন্যে পুরো ব্যাপারটা। ধর্মকে দোষ দেই আমরা অথচ যারা ধর্মকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেন তারা থেকে যান পর্দার আড়ালেই, আজকে সে আড়াল কিছুটা হলেও উম্মোচন হল।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আড়াল উম্মোচন যাতে না হয় সেজন্য কায়দা করে কিছু ডিগ্রী নেবার ব্যবস্থা করা আছে ... এই যেমন অর্থ না বুঝেই পুরা ধর্মগ্রন্থ মুখস্ত করার একটা ডিগ্রী চালু আছে বাংলাদেশে।
কোরান পুরো মুখস্ত, কিন্তু অর্থই জানে না! এই সব হুজুরদের কাছে আসলে "অর্থই অনর্থের মূল"
------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
তা না হলে কি জোকার নায়েকের মত ভন্ডের অনুসারী থাকত?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পুরুষের চার-বিবাহ নিয়ে এই নায়েক ভদ্রলোকের একটা মজারু যুক্তি আছে-- "কোন দেশে না-কি পুরুষের জনসংখ্যা মেয়েদের চেয়ে কম, তাই এই ব্যবস্থা।"
তাহলে কোন দেশে পুরুষের জনসংখ্যা মেয়েদের চেয়ে বেশি হলে মেয়েরা কি চারটা বিয়ে করতে পারবে?
সময় পেলে একদিন এই চার-বিবাহ নিয়ে লিখবো... কিভাবে পাকচক্রে "মূলত: হারাম " একটা জিনিসকে জোরকরে সুন্নাহ বানানো হলো।
ধর্মান্ধ সমাজে মানবাধিকার রক্ষার জন্যই এইসব আলোচনা দরকার।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
- ফতে মোল্লার করা একটা ভিডিও দেখেছিলাম ইউটিউবে। সেখানে তিনি বিভিন্ন নামকরা ওলামাদের কিতাব, নানা হাদিসের উদ্ধৃতি থেকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন শরীয়া আইনের নামে যা চলছে, যা চলমান তা পুরোটাই ইসলামের বিকৃতি বই আর কিছু নয়।
একটা মেয়ে ধর্ষিত হলো তিনজনের দ্বারা। এখন সেখানে 'চারজন পুরুষ' সাক্ষী সে যোগাড় করবে কোত্থেকে? সে কি আগে থেকে চারজন পুরুষকে অমুক জায়গায় ফিট করে রাখবে, যে "ভাই তোমরা সাক্ষী দিবা, আমি অমুক জায়গায় অতোটা সময় ধর্ষিত হবো!"
ভাবতেই অবাক লাগে কিছু অকাল কুষ্মাণ্ড, অপদার্থের কাঁধে পড়েছে ধর্ম রক্ষার অধিকার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ব্লগ জগতে নতুন বইলা বোধ হয় এই ফতে সাহেবকে চিনতে পারতেছিনা। লিঙ্কটা পাওয়া যাবে? ফতে মোল্লা কে সেইটা জানলে হয়ত আপনাকে কষ্ট দিতে হইতনা।
fatemolla বা ফতেমোল্লা বা হাসান মাহমুদ লিখে গুগল মারেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ; নামটা ভুলে গেসিলাম। তার লেখা আগেই পড়েছিলাম। কিন্তু ধুগোর মন্তব্য পড়ে মনে করতে পারছিলাম না।
কুত্তার বাচ্চারা...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি একটা জিনিস বুঝিনা, যে আইনে অপরাধীকে পাওয়া যায় নাই অথচ ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে চরম মুল্য দিতে হয় সেটা কেমন করে ইসলামী আইন হয়?
সাইদ ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।
হয় হয়... দশচক্রে যেমন ভগবান ভূত হয়... তেমনি ক্ষমতান্ধদের হাতে ধর্ম অধর্ম হয়!
---------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
অনেক ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানলাম, আপনার লেখাটি থেকে।
আমার মনে হয়, আমাদের স্ব স্ব ধর্ম গ্রন্থগুলো আরেকটু ভালোভাবে জানা উচিৎ। তাহলে এই সব ভন্ডামির একটা উচিৎ জবাব দেয়া যাবে।
--- নীল ভূত।
ধন্যবাদ। আমি বিশ্বাস করি পবিত্র কোরানে যা বলা হয়েছে তা সবই স্ত্য এবং সঠিক। কিন্তু ব্যক্ষা দেবার সময় সাধারণ মানুষ ভুল করে, ইচ্ছাক্রিত অথবা অনিচ্ছাক্রিতভাবে। শারীয়া আইনের নামে যেটা চালানো হয়, সেটার শাণে নযুলটা বলে আপনি অনেক উপকার করলেন। এখন যদি এদেশি (আমেরিকা) কেউ আমাকে এই ব্যপারটাতে মন্তব্য করে, আমি অন্তত এটার উত্তরটা দিতে পারব।
...... লাবন্য ......
স্ত্য কী?
ব্যক্ষা, ইচ্ছাক্রিত/অনিচ্ছাক্রিত কী?
মাথা চক্কর দিতাছে ....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আমি কি কোথাও কিছু ভুল বল্লাম? নাকি কোথাও টাইপো/বানান ভুল আছে?
ধরে নেই বানানে সমস্যা। আমি নতুন অভ্র ব্যবহারকারী। আমার ল্যাপটপে আমি য'ফলা ঠিকমত দেখতে পারিনা। (windows 7).
যাই হোক, আমি এভাবে লিখেছি-
ব্যক্ষা - bykkha
স্ত্য় - sty
ইচ্ছাক্রিত - icchakrito..
....লাবন্য...
ধন্যবাদ সাঈদ আহমেদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনাকে চেনা চেনা লাগছে! লেখা খুব ভাল লাগল। চমৎকার বিশ্লেষন। নেচার এ প্রকাশিত একটা আর্টিকেলে একটা মতামত পড়েছিলাম। বিশেষ করে ইজতিহাদের রাস্তা বন্ধ করে ফেলাটাকে সেখানে ইসলামের বর্তমান যুগে ইসলামের করুন দশার কারন বলে ব্যখ্যা করা হয়েছে। ব্যপারটা ভাল বুঝিনা যদিও, তবে আপনার এই পোস্টটা পড়ে এই মতামতের পক্ষে একটা ভাল উদাহরন পেলাম। লিখতে থাকুন। দেখা হবে।
--------------------
এই পোস্টের প্রেক্ষিতে প্রাসংগিক মনে করে নেচারে প্রকাশিত মন্তব্য নিবন্ধটার রেফারেন্স দিচ্ছি।
Sardar, Ziauddin (2007) "Beyond the Troubled Relationship", Nature 448, 131-133 (12 July)
ধন্যবাদ তথ্যের জন্য। ন্যাচার-এ গিয়ে ভূমিকাটুকু দেখে ডাউনলোড করে ফেললাম।
কারো লাগলে (ন্যাচার-এ এক্সেস না থাকলে) মেজেস দিতে পারেন।
ইসলাম সম্পর্কে যাদের আগ্রহ আছে তাদের জন্য highly recommended। সম্ভবত তানভীর ভাই প্রথম এই আর্টিকেলটার কথা বলেছিলেন। আর্টিকেলের বক্তব্য আমার বেশ মনে ধরেছে। বিশেষ করে ইজতিহাদ বন্ধ করে দেয়ার ব্যপারে যে প্রচলিত মত সেটার সমালোচনা করার ক্ষেত্রে লেখকের যুক্তি বেশ জোরালো। ইসলামের প্রথম দিকে একটা সংস্কৃতি আর সমাজ ব্যবস্থায় যে এর রীতিনীতিগুলো তৈরি হয়েছিল সেটা আজকালকের ইসলামের প্রচারকেরা অনেক ক্ষেত্রেই মনে রাখেন না। মূলনীতির দিকে খেয়াল না করে অনেক রীতি নীতিকে কেবল আক্ষরিক অর্থে অনুকরন করার কথা বলা হয়। আমার ব্যক্তিগত ধারনা এখানে ব্যখ্যায় কোথাও একটা গলদ আছে। বিশেষ করে মূলনীতির ভিত্তিতে যদি ইজতিহাদ ব্যবহার করে আইন প্রনয়ন হত হয়ত সেগুলোর গ্রহনযোগ্যতা/কার্যকারিতা বেশি হত। আক্ষরিক অর্থে অনুকরন মানে সুন্নত হবে না কি মূল নীতি অনুসরনের রীতি মানতে হবে সেটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়।
ধন্য়বাদ রাগীব।
কিন্তু আমি বানান ভুল হলেও বুঝতে পারছিনা। য'ফলা আমি কারো লিখাতেই পরতে পারি না। এটা কি আমি কোনোভাবে ঠিক করতে পারব?
.....লাবন্য়......
ধন্যবাদ -- পোষ্ট আর ব্যাখাটার জন্য ।
চারজন সাক্ষীর ব্যাপারটা মনে হয় যাতে কেউ কারো উপর ভুল অপবাদ দিয়ে বিচার না করা হয় এই কারনে করা হয়েছে ।
অথচ কি ভয়ংকর ভাবে এটা ব্যবহার করা হচ্ছে ।
ভুল লোকের হাতে জ্ঞান অস্ত্র ধর্ম -- যেকোন কিছুই বিপদজনক ।
এই অংশটা পড়ে পুরাই বেকুব হয়ে গেলাম ।
মানুষের বুদ্ধিমত্তার সীমা থাকতে পারে - মানুষের মূর্খামীর আসলেই কোন সীমা নেই -- চিরন্তন সত্য ।
-- ইমতিয়াজ মির্জা ।
অভাবী মানুষের ধর্মের প্যাঁচঘোঁচ নিয়ে মাথা ব্যথা বেশী।
আবার অভাব কেটে গেলেও কিছু নিয়ে মাথা ঘামাতে হলে সেটাও হয় একই বিষয়।
আমার কাছে মনে হয়, ধর্মের প্যাঁচঘোঁচ আসলে রাজনীতির মতই, ক্ষমতা লাভের অথবা নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণের হাতিয়ার।
সমস্যা একটাই- রাজনীতিতে বিতর্ক চলে, ধর্মে বিতর্ক নিরুৎসাহিত।
আমাকে এক মোল্লা বলেছিল - আগে ঠিক করো ঈমান চাও না প্রমাণ চাও? একটা আস্তিকের পথ, আরেকটা নাস্তিকের!
মোল্লার মূর্খতা দেখে আমি মুগ্ধ! ইসলামের ধারা (শিয়া-সুন্নি) বা মাহজাব (হানাফী-শাফিই-মালিকি-হানবালি) সবি এসেছে বিতর্ক আর প্রমাণের হাত ধরে... ঈমান নয় (কারন ঈমান সবার তো একি থাকার কথা... তাহলে এই বিভাজন কেন?)
---------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
|
সিডনীর এক হুজুর ধর্ষন নিয়ে কিন্তু ঠিক এই কথাটাই বলেছিল, তখন অবুঝ লোকে তাকে নিন্দা করেছে। তার বক্তব্য ছিল--
"আপনি যদি এক থাল মাংশ উন্মুক্ত রেখে দেন আর বিড়াল এসে যদি তা খেয়ে ফেলে, তাহলে দোষ কার? উন্মুক্ত মাংশের না-কি বিড়ালের? সমস্যাটা বিড়ালের।"
--------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
মন্তব্য দেওয়ার পর মনে হচ্ছিল আমাদের এইসব বক্তব্যে শালারা আরও লাই পাবে, তাই মুছে দিয়েছিলাম। কিছু মনে করবেন না।
হাহাহা....
এখন দেখা যাচ্ছে এরা আগে থেকেই লাই পেয়ে আছে
-----------
চর্যাপদ
সুরা নিসার দুইটি আয়াতের দিকে তাকানো যেতে পারে -
মেয়েরা ব্যভিচার করলেঃ
১৫. তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচার করে তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে তোমরা চারজন সাক্ষী নেবে। যদি তারা সাক্ষ্য দেয়, তবে তাদেরকে ঘরে আটক করবে, জে-পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয় বা আল্লাহ্ তাদের জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা করেন।
ছেলেদের জন্য অপরাধ করলেও তওবার ব্যবস্থা আছেঃ
১৬. আর তোমাদের পুরুষদের মধ্যে যে-দুজন এ করবে তাদেরকে শাস্তি দেবে। তবে যদি তারা তওবা করে ও শুদ্ধ হয় তবে তাদেরকে রেহাই দেবে। আল্লাহ্ তো ক্ষমা করেন, দয়া করেন।
হাহা পুরুষ হওয়া সিরাম মজা...
বলা হয়ে থাকে, নিসা-র এই আয়াতের সংশোধন হচ্ছে সুরা নূর এর আয়াত ২ যা নারী-পুরুষের জন্য একই স্বাস্তি নির্ধারন করেছে। শুধু তাই না, দুই ব্যভিচারি আসলে বিয়েও করতে পারে একে অপরকে --
কিন্তু ধর্ষনকে ব্যভিচার বলে চালিয়ে দিলে বিপদ!! ধরুন চার জন মিলে কাউকে ধর্ষন করে তার পর ব্যভিচার এর স্বাক্ষ্য দিল... তখন?
---------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
রায়হান, আমি যতদূর জানি এই আয়াতদু'টিতে সমকামিতার কথা বলা হয়েছে । আপনার দেয়া বাংলা অনুবাদটি তাই ভিন্ন রকম লাগছিল। Yusuf Ali-এর ট্রানসলেশন দেখলাম।
15. If any of your women are guilty of lewdness, Take the evidence of four (Reliable) witnesses from amongst you against them; and if they testify, confine them to houses until death do claim them, or Allah ordain for them some (other) way.
16. If two men among you are guilty of lewdness, punish them both. If they repent and amend, Leave them alone; for Allah is Oft-returning, Most Merciful.
ইংরেজী পড়ে মনে হচ্ছে শাস্তি দেবার পর যদি তারা (পুরুষদু'জন) অনুতপ্ত হয় আর নিজেদের পথ পরিবর্তন করে তাহলে তাদেরকে আর না ঘাটতে। আরো দেখুন পুরুষকে শাস্তি দেবার জন্য চারজন সাক্ষী লাগবে না যেখানে মহিলার জন্য চারজন সাক্ষীর কথা বলা আছে যা কিনা খুবই কঠিন ব্যাপার।
পুরুষ-নারীর adultery নিয়ে সরাসরি আরো আয়াত আছে। যাই হোক আমার মনে হয় না এখানে কোরানের তফসির করার দরকার আছে। মোদ্দাকথা, দুপক্ষের শাস্তিই সমান এবং চার নির্ভরযোগ্য সাক্ষী-নির্ভর (যা কিনা অসম্ভব) । যতদূর জানি, এই চার সাক্ষীর "very act of adultery" প্রত্যক্ষ করতে হবে । দু'জনকে একটা ঘরে একত্রে ঢুকতে দেখলে, এমনকি অসংলগ্ন অবস্থায় দেখলেও চলবে না । নবীর (সঃ) জীবদ্দশায় যারা শাস্তি পেয়েছেন তারা সবাই নিজেরা এসে শাস্তি চেয়েছেন। সবক্ষেত্রেই উনি সবাইকে কথা ঘুরাবার সুযোগ দিয়েছেন, বা চলে যাবার সুযোগ দিয়েছেন, বা কথা শুনতে চাননি। আর কোন ক্ষেত্রেই adultery-র পার্টনারের কথা জিজ্ঞাসা করা হয়নি। নারীদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান হিসাবে চার নির্ভরযোগ্য সাক্ষী অভাবে অভিযোগকারীকেই বরং শাস্তি দেবার কথা বলা হয়েছে , যা কিনা সাঈদ উল্লেখ করেছে।
যাই হোক, নবীর (সঃ) কাছে রেপ কেস নিয়ে এক মহিলা এসেছিলেন (সূত্রঃ বুখারী) । তিনি (মহিলা) প্রথমে ভুল করে অন্য একজনকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিতও করেছিলেন । অবশেষে প্রকৃত ধর্ষক ধরা দিলে তাকে শাস্তি দেয়া হয় আর মহিলাকে নবী (সঃ) কিছু শান্তনার কথা বলেন। শাস্তির প্রশ্নই উঠে না, কারন এটিতো adultery নয়। আমি এর পর বুঝি না রেপ কেস আর adultery-কে কিভাবে কোন যুক্তিতে গুলানো যেতে পারে।
যারা শরিয়া আইন, ইজতেহাদ নিয়ে পড়তে/জানতে আগ্রহী তারা Tariq Ramadan পড়তে পারেন । (রিয়াজ উদ্দীন, রাগিব, প্রকৃতিপ্রেমিকের এবং অন্যান্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।) Tariq Ramadan এখন অক্সফোর্ডে এবং সেখান থেকে কিছু অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ বই লিখেছেন। তার ২০০৮-এর বই "Radical Reform: Islamic Ethics and Liberation" Oxford University Press থেকে যেখানে ইজতেহাদ নিয়ে অনেক কিছু বলা হয়েছে। তাছাড়া তার ওয়েবসাইটও দেখুন:
http://www.tariqramadan.com/spip.php?lang=en
সাঈদ, এই কষ্টকর ঘটনার পরও সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ । মনে পড়ছে কোথাও পড়েছিলাম পাকিস্তানের রেপ ল' খুব কড়া (মুক্তার মাই-এর কেসের সুবাদে)। আপনি যেটা উল্লেখ করেছেন তা Article 8 of The Offence of Zina অর্থাত্ adultery-এর উপরে। আমার মনে হয় না এটা রেপ কেস কভার করে। রেপ কেসের রুলটা কি কোথাও পাওয়া যাবে কি?
সব কিছু বাদ দিয়ে আমি শুধু ক্ষমা শব্দটার কথা বলছি। আয়াতটি সমকামীতা নিয়ে নিয়ে হলেও গুরুত্ব কমে বলে আমার মনে হয়না।
যাই হোক জ্ঞানী ব্যাখ্যায় গেলে ইসলাম অনেক ভালো ধর্ম, তবে সমস্যাটা হলো এই জ্ঞানী ব্যাখ্যার থোরাই কেয়ার করেন আমাদের মৌলানারা। আর ইসলাম ধর্ম আসলেই ভালো এইটা আমাদের বুঝ দিয়ে কী হবে বলুন? আয়েশাদের চিৎকার তো আপনারা থামাতে পারছেন না।
ধর্মকে জাস্টিফাই না করে কীভাবে আয়েশাকে ধর্মদেবতাদের বলি থেকে বাঁচানো যায় সেটা নিয়েই আমাদের ভাবা উচিত।
ভালো থাকুন।
রায়হান,
আপনার সাথে একমত। এবং এই বাচানোর একাধিক পথ থাকতে হবে। স্বাভাবিক সচেতনতা, রাষ্টীয় আইন, মৌলবাদ প্রতিরোধ সবই চালিয়ে যেতে হবে।
একই সাথে ধর্মভীরু জাতিকে ধর্মদেবতারা যেন শোষণ করতে না পারে, সেজন্যই তাদের অপব্যাখ্যাগুলো ধরিয়ে দেয়া প্রয়োজন। বিষয়টা ধর্মকে জাস্টিফাই করার নয়, বরং যারা ধর্ম দিয়ে তাদের অপকর্ম জাস্টিফাই করে, তাদেরকে প্রতিহত করার।
---------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
"যাই হোক জ্ঞানী ব্যাখ্যায় গেলে ইসলাম অনেক ভালো ধর্ম, তবে সমস্যাটা হলো এই জ্ঞানী ব্যাখ্যার থোরাই কেয়ার করেন আমাদের মৌলানারা। "
রায়হান, জানি রে ভাই জানি। তবে সুখের বিষয় হল কথাটা পুরোপুরি ঠিকও না । প্রশ্ন হল আপনি কার সাথে কথা বলছেন, কোন লেভেলের "মৌলনার" সাথে এবং কি দৃষ্টিকোণ থেকে। তারিক রমাদানের হুদুদ-এর মোরাটোরিয়ামের প্রস্তাবনার কথাই ধরুন। মুসলিম বিশ্বের বড় বড় অনেক ক্লাসিকাল স্কলারই উনার কথার সাথে সহমত পোষণ করেছেন, যদিও অনেকে হয়তোবা সাহসী হবেননা সামনে এগিয়ে এসে বলার, কিন্তু সবকিছুর শুরুইতো এভাবে। রমাদানের কথায় তারা কর্ণপাত করেছেন কারণ, রমাদান ধর্মের আলোকেই তার কথাগুলো বলছেন এবং তার সততা নিয়ে কারও মনে প্রশ্ন হয়নি (বলছি, যদিও সাউদি আরবে তাকে একটা ডকুমেন্টারি করতে দেবার জন্য ঢুকতে দেয়া হয়নি)।
মূলপ্রসংগ ঘুরেফিরে ইজতেহাদে ফিরে আসে, যা কিনা ইসলামের ভিতরকার প্রক্রিয়া।
এই জায়গায় আপনার বক্তব্য ঠিক বুঝতে পারলাম না। এখানে উদ্দেশ্য কি এটা যে আগে থেকেই সতর্ক থাকলাম যে কোন ভাবেই ধর্মকে জাস্টিফাই করা যাবে না, বা কেউ করলেও সেটা ভুল হবে? এখানে সমস্যা একা আয়েশার নয়। যেই সমাজব্যবস্থায় এই ঘটনা হচ্ছে তার একটা ইতিহাস আছে; ভাল-খারাপ নিরুপনের একটা প্রক্রিয়া আছে যেটা হয়ত আমাদের চিন্তা ভাবনার ধারা থেকে একেবারেই আলাদা। খড়্গ হস্ত হবার আগে হয়ত সেই প্রক্রিয়াটির জটিলতাকে স্বিকৃতি দেবার দরকার আছে। এখানে ইজতিহাদের কথা আসছে হয়ত এই দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে যে তারা যেই ভাবে তাদের সিদ্ধান্তে পৌছেছে সেটা এই ইজতিহাদ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবং উদ্ভুত সমস্যার একটা উৎস্য হচ্ছে ভুল ব্যখ্যার মধ্যে। এই ঘটনা যদি বাংলাদেশে ঘটত তাহলে আমরা বলতে পারতাম দেশের আইনের মাধ্যমে আমরা আয়েশাকে বাঁচাতে পারি। তাৎক্ষনিক সমাধান হিসাবে সেটা গ্রহনযোগ্য কিন্তু এটা আমার মতে টেকসই নয়। টেকশই সমাধানের জন্য চিন্তাভাবনার বিকল্প ফ্রেমওয়ার্কের স্বিকৃতি এবং এর মধ্যেও তর্ক আর প্রশ্ন তোলার সুযোগ রাখা দরকার পরে। তা না হলে কাউকে হয়ত দোররা মারা থেকে আজকে আইন দিয়ে ঠেকান হল আজকে কিনতু কালকে সে বোম নিয়ে হাজির হয়ে যাবে।
ধর্মের জাস্টিফিকেশন খোঁজা না খোঁজা ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যপার। কিন্তু যেটা আমার মতে লক্ষ্য করা দরকার সেটা হচ্ছে ধর্ম বিশ্বাস করা বা না করার মধ্যে যে ডাইকটমি সমাজে এই দু'টার স্পেসই থাকা জরুরী। যারা ধর্মে বিশ্বাস করেন তাদের জন্য সেটা একটা গরজ এটাও লক্ষ্য রাখা জরুরী। কিন্তু উপরে আয়েশার ঘটনা যখন দেখছি তখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে যে এটাকে কেবল আমরা মতের পার্থক্যের একটা নমুনা ধরে ছেড়ে দিতে পারি না। সেই বিবেচনায় আমার মতে ইজতিহাদের দরজা দিয়ে ঢোকাটা একটা টেকসই উপায়। সাইদ ভাইকে তাই আমি এই পোস্টের জন্য সাধুবাদ জানাতে চাই। আর আমার মতে এটা ধর্মকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা হিসাবে না দেখে বরং অন্ধত্বপ্রসুত সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধানের উপায় হিসাবে দেখা উচিত।
রিয়াজ, সাঈদ ও সবাই,
এ বিষয়ে ঘাটতে গিয়ে পাকিস্তানের MUSLIM WOMEN LAWYERS FOR HUMAN RIGHTS -এর এই আর্টিকেলটা পেলাম
http://www.karamah.org/docs/Zina_article_Final.pdf
যেখানে ইসলামের চার স্কুল বা মাঝহাবেই যে রেপ আর এডাল্টেরিকে আলাদা ধরা হয়েছে তা দেখানো হয়েছে বিশদে। উপমহাদেশ হানাফি মাঝহাবের অনুসারী । এই আর্টিকেলট অনুযায়ী হানাফি মাঝহাবে এ দুটো গুলানোর এবং অভিযোগকারী নারীকে শাস্তি দেবার কোনই অবকাশ নেই (অন্য মাঝহাবেও নয়)। তারা পাকিস্তানের এই ল'-এর ভূতুড়ে উত্স কী তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাড়াতাড়ি পড়তে হলে পৃষ্ঠা সাত-এর মাঝামাঝি থেকে পড়ুন।
তাই এই বিষয়ের জন্য অন্তত নতুন ইজতোহাদের দরকার নেই বলেই মনে হচ্ছে। তারপরও ইজতোহাদ অনেক বিষয়ে দরকার এবং গত দু'শ বছরের পরিবর্তিত বিশ্বপ্রেক্ষাপটের আলোকে, ইজতোহাদের দরজা খোলা প্রয়োজন বলে ইসলামী চিন্তাবিদগণ বরাবরই মত প্রকাশ করে আসছেন । ঘোষণা দিয়ে না হলেও প্রয়োজনের তাগিদে তা খুলছেও। একটি বড় উদাহরণ হিসেবে পশ্চিমা বিশ্বে ইসলামিক ফাইনান্সের কথা বলা যেতে পারে ।
রানা,
ধন্যবাদ লিংকটার জন্য। আগে দেখা হয়নি।
পাকিস্তানের আইন বিশেষ করে তুলে ধরার একটা উদ্দেশ্য ছিল আমার। বাংলাদেশকে যারা "পেয়ারা (না)পাকস্তান" বা আফঘান বানাতে চায়, তারা কিন্তু পাকিস্তানেরই অনুসারী।
এদেরি একজন তো ইতোমধ্যে বলেই ফেলেছেন যে, "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইসলামের জন্য ক্ষতিকর"! যুদ্ধাপরাধী আর ইসলামকে যারা গুলিয়ে ফেলেন, তারাই যে ইসলামের জন্য ক্ষতিকর সেটা তাদের জানা দরকার।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
গোলমালটা মনে হচ্ছে বেনিফিট অব ডাউট দেয়া না দেয়া নিয়ে। একজন নিরপরধিকে শাস্তি দেয়া যে একজন অপরাধিকে ছেড়ে দেবার চেয়ে বেশি ভয়াবহ এটাই তাদের বিবেচনায় আসছেনা! পাকিস্তানের অবস্থা এই এমনটা ভাবি নাই। এই ভাবে চলতে থাকলে তো তাদেরকে তারা নিজেরাই শেষ করবে। দেওবন্দিদের চিন্তাও কি এই রকম? এখানে অবশ্য আরেকটা বিষয় দেখার আছে, সেটা হল শরিয়া আইনের কতটা তাদের সিভিল আইনের মধ্যে নেয়া হয়েছে। সবাই কি এই আইনের আওতায় পরে নাকি এটা কেবল ধর্মীয় আলোচনার আসরেই সীমাবদ্ধ? কারন বাংলাদেশের অবস্থা যেটা বুঝি মুফতিরা যদি বলেন চুরির শাস্তির হিসাবে এখন থেকে হাত কাটতে হবে সেটা গ্রহন যোগ্য হবে না কারন দেশে এর জন্য বিকল্প আইন রয়েছে। আর দেশের নাগরিক হবার শর্ত হচ্ছে দেশের আইনের অনুগামী হওয়া। এটা অলিখিত চুক্তি। ধর্মীয় নিয়মের মধ্যে থাকতে চাইলেও কেউ এটা এড়িয়ে চলতে পারেনা। একারনেই বাংলাদেশে একজন মুফতি চাইলেই কাউকে ফাসির আদেশ দিতে পারবে না, কেননা ইসলামি কাঠামোতেও কেবল কাজীই এরকম নির্দেশ দেবার উপযুক্ত। সেখানেই ফতোয়াবাজির রাস্তা বন্ধ। অর্থাৎ মুফতি সাহেবের অবস্থান নর্মেটিভ। তিনি কেবল বলতে পারেন কোনটা ধর্মের নির্দেশনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আর কোনটি নয়। অবশ্যই যদি তাকে জিজ্ঞেস করে। কিন্তু তিনি সেটার আলোকে কোন শাস্তি বা পুরষ্কার দিতে পারবেন না। পাকিস্তানের অবস্থা এমন হল কি করে? দেশের বাইরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেত প্রচুর পাকিস্তানিদের দেখি। ঠিক মিলছে না! খুব প্রিমিটিভ মনে হচ্ছে!
পাকিস্তানের অবস্থা আসলে একটু আদিম-ই। শরীয়া আইনটাও ওদের মূল আইনি কাঠামোর অন্তর্ভূক্ত।
তবে বিশেষ করে আফগান সীমান্তের কাছে অবস্থা আরো ভয়াবহ যা পুরোপুরি ফতোয়া নির্ভর। এর মধ্যে তো সওয়াত ভ্যালী নামক ব্যপক অঞ্চল তো জঙ্গীদের দখলেই থাকে। সেখানে মেয়েদের স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া সহ অনেক কিছুই ঘটেছে এই বছর!
বাংলাদেশকে নিয়ে ভয় অন্য স্থানে। একটা দেশের অবস্থা বোঝা যায় আত্নঘাতি লোকের সহজলভ্যতার উপর। যে দেশে ফিলিস্তিন বা শ্রীলংকার মতন সংকট না থাকা স্বত্বেও আত্নঘাতি লোকের অভাব হয়না জেএমবি-র, সেখানে বুঝতে হবে কোন একটা সমস্যা আছে। এটা "সুখে থাকলে ভূতে কিলায় রোগ" না-কি অন্যকিছু তা দেখা দরকার। আর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ফতোয়াবাজির খবর না হয় বাদই দিলাম।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
আমি রিয়াজ-এর সাথে একমত।
যেদেশে ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের চেয়ে কওমি মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা বেশি, সেদেশে আয়েশাদের বাঁচানোর জন্য আপনাকে "তাদের ভাষায়" কথা বলতে হবে। তাদের যুক্তিতে যে সমস্যা আছে এটা ধরিয়ে দিতে হবে। বাংলাভাইয়ের স্যুইসাইড মিশন যে কোরানসিদ্ধ নয়, এটা তাদের বোঝাতে হবে... তা না হলে দেখবেন "এক বাংলাভাই লোকান্তরে... হাজার বাংলাভাই ঘরে ঘরে"...
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
রানা,
পাকিস্তানের শরীয়া আইনে ২০০৬ সন পর্যন্ত ব্যভীচার (Zina) ও ধর্ষণ (Zina Bil-Jabr) এর প্রমাণের ধরন ও শাস্তি একি ছিল।
২০০৬ এ Protection of Women (Criminal Laws Amendment) Act, 2006 (Act VI of 2006) এর মাধ্যমে ধর্ষণ সংক্রান্ত এই অংশগুলি তুলে দেয়া হয়। তবে পাকিস্তানের অধিকাংশ মোল্লারাই তখন এর বিরোধিতা করেছে এবং বাস্তবে পুরাতন আইন প্রয়োগ চালু রেখেছে।
এর ফলে সব ধর্ষনকেই ব্যভীচার বলে চালিয়ে দিয়ে মেয়েদেরকেই শাস্তি দেয়া হয়েছে।
----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
ধন্যবাদ রানা। তারিক রামাদানে কথা জানতাম না। আরো কৌতুহল পেলাম এটা জেনে যে সে ইখোয়ানুল মুসলিমিনের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্নার নাতি। তার ব্যপারে ব্যপক কৌতুহল বোধ করছি। সময় পেলে এই লোকের লেখা পড়ব। তাছাড়া নেচারের আর্টিকেলের লেখক জিয়াউদ্দীন সর্দারের প্রওফাইল দেখেও বেশ কৌতুহল তৈরি হয়েছে।
আমিও আর বলবো না
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
শরীয়া আইন নিয়ে প্রচুর বিতর্ক আছে, অভিযোগ আছে। তার মধ্যে নারীর বিরূদ্ধে এর ব্যবহারটা সবচেয়ে ভয়ংকর।
কাঠমোল্লাদের অন্যকোন জ্ঞানের কথা বাদই দিলাম খোদ ধর্মজ্ঞানই এত সীমাবদ্ধ যে তারা মুখস্তের বাইরে কিছু শিখতে নারাজ। পাল্টা কিছু বলতে গেলে মনোভাবটা এইরকম দেখায় -"আমি যা শিখছি ওইটাই চুড়ান্ত, তুই কি আল্লার চাইতে বেশী বুঝস?"
ওই কাঠমোল্লাদের আধুনিক সংস্করনই সারা বিশ্বে ইসলামকে ভয়ংকর ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যস্ত।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
......
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
......
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
"..............."
?????
-----------
চর্যাপদ
ধর্মই সকল অধর্মের মূল!
যেই দেশে প্রায় ১৬ কোটিই ধর্মভীরু লোক... সেই দেশের মানুষকে সচেতন করার জন্য ধর্মব্যাখ্যা ছাড়া অন্যপথ নেয়া কঠিন...
বুঝি সবি... কিন্তু অনেক কথাই বলা যায় না...
(আপনি মেলবোর্ণে? বাহ...)
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
আপনার কথাটিই রিচার্ড ডকিন্স একটু ভিন্নভাবে বলেছিলেন - দ্য রুট অফ অল ইভল
চমৎকার লিখেছেন। ধন্যবাদ
লিখেছেন দারুন।
এসব ফতোয়াবাজদের উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
প্রতিটি ধর্মে পুরোহিত শ্রেণীর উদ্ভব হয়েছে ক্ষমতার লিপ্সা থেকে এবং তাদের রচিত ঐশী বাণীগুলি অধিকার ও ক্ষমতার বিষমীকরণের মাধ্যমে নিজ স্বার্থ রক্ষাতেই ব্যবহৃত হয়েছে।
তবে শিক্ষা ও বিজ্ঞানের প্রসারের সাথে তাদের আধিপত্য হ্রাস পাচ্ছে এবং বিশ্ব ক্রমশ একটি মানবাধিকার ভিত্তিক সর্বজনীন 'ধর্মের' দিকে এগুচ্ছে। মুসলমান সমাজ যেসব জায়গাতে শিক্ষায় যত পশ্চাদপদ, সেখানে তাদের সামাজিক অগ্রগতি ততটুকু বিঘ্নিত ও বিলম্বিত হবে।
মর্মবিদারী এই জাতীয় ঘটনার সময়েও কিছু লোকের কাছে ধর্মরক্ষার ব্যাপারটিই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। মানুষের কষ্ট, বেদনা তাদের স্পর্শ করে না। করলেও ধর্মের মহিমার কাছে সব তুচ্ছ হয়ে পড়ে। হায় রে ধর্ম!
ঠিক এদের কারণেই ইসলাম আজ এক ষন্ডা মার্কা উগ্র ধর্ম। এদের কারনেই লোকজন ইসলামের আইন ও বিধানকে বাস্তবতা বিবর্জিত আধুনিকতাহীন প্রাহৈতিহাসিক নিয়ম বলে কটু মন্তব্য করে। আমরা বেশিরভাগ লোকই আসলে ধর্মকে হুজুরদের একটি পথ হিসেবে দেখি, নিজেদের জানার ব্যাপারে উদসীন থাকি আর তাই এসকল কাঠমোল্লা হারামীর বাচ্চাগুলা বেড়ে ডাইনোসরের আকার নিয়েছে। এই অজ্ঞানতার কারনেই আমরা অনেকে না বুঝে নাস্তিক হয়ে বসে আছি আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে ঐসব মতলববাজ বেজন্মা গুলো।
আপনার এই লেখাটিতে লক্ষ-কোটি তারা দাগাতে পারলে ভালো লাগতো। সামনে ভাল কিছু লেখা পাবার আশায় রইলাম।
==============================================
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আমি ঈশ্বর হইলে এমন ব্যবস্থা করতাম যেন আমার ধর্মকে কেউ বিকৃত করে ব্যবহার না করতে পারে (ঈশ্বরদের নিশ্চয়ই সেই যোগ্যতা থাকে)। অবশ্য আমাকে অনেকেই বলছে ঈশ্বর আমার চাইতে বেশি বুঝে...সে যা করছে, ভাল বুঝেই করছে...।
আইচ্ছা, আমারে অবুঝ না বানাইলে ঈশ্বরের সমস্যা কি হইতো! সে কেন চায় আমি অবুঝ থাকি!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার ধারণা উনি রাগের চোটে হাতপা চাবাইতেসেন। কারণ এখন আর কাউকে বুঝ দেয়ার কোনো উপায় নাই। নতুন পুরুষ পাঠানোর উপায় নাই, নতুন লিখিত ইনস্ট্রাকশন পাঠানোর উপায় নাই, পুরানো ল্যাংবোট কোন স্বর্গদূতকে পাঠিয়ে বুঝিয়েসুঝিয়ে বলা, কিসুই করার উপায় নাই।এটা অনেকটা পোস্ট দেয়ার পর কমেন্টস প্রিভিলেজ হারানোর মতো।
এই মন্তব্যে জাঝা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঘুরে ফিরে আমরা আবার সেই একই জায়গায়। ভালো লাগলো এমন বিষয় তুলে আনার জন্য।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সাঈদ ভাই,
আপনার একাত্তরের ছবিগুলোর একটা কি ফেসবুকে ব্যবহার করতে পারি? আপনার লেখার লিন্ক ছবির বর্ণনায় থাকবে।
নির্দ্বিধায়
--------------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
অনেক ধন্যবাদ
লেখাটা জ্ঞানগর্ভ এবং সুন্দর। ভালো লাগলো। মন্তব্যগুলো লেখাটিকে আরো প্রাণবন্ত করেছে।
অনেকে মন্তব্যে গালিগালাজ দিয়েছেন, যা কাম্য নয়। আমি একজন বাজে মানুষের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি, সেক্ষেত্রে আমিও যদি বাজে হয়ে যাই, তাহলে সেটা সমিচীন হয় না।
* Windows 7-এ বিজয়, অভ্র খানিকটা সমস্যা করে...খানিকটা কী, বেশ ভালো সমস্যা করে।
ইসলাম বিষয়ে আমি খুব নগন্য জানি। তবে যুক্তিনির্ভরভাবে জানার চেষ্টা করি। আমি তাবলিগ জামাত বিষয়ে একটা লেখা লিখেছি আমার ব্লগে। এব্যাপারে জ্ঞানীদের জ্ঞানগর্ভ মতামত (ক্বোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসের প্রত্যক্ষ দলিলসহ) চাইবো। লেখাটির ঠিকানা হলো:
http://soothtruth.blogspot.com/2010/01/inside-tablig-jamat-b.html
সবাইকে ধন্যবাদ। ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর মনোনীত পথ দেখান, এটাই কামনা।
মঈনুল ভাই, আপনার লিংটিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডের কারনে পড়তে অসুবিধা হয়।
সদস্যনাম: শিবলী মেহেদী
খুব কষ্ট পেলাম এই আয়শায়। সত্যিই, না জানি কা ভাবছিলো এই আয়শা।
সদস্যনাম: শিবলী মেহেদী
তারপরেও দেখি জাকির নায়েকের লেকচার শুনে এখনকার ছেলেরা দাবি করে মেয়েরা শালিন হলেই ইভ টিজিং বন্ধ হয়ে যাবে। কোথা থেকে যে এই উদ্ভট যুক্তির আমদানি হল কে জানে। সেই শালীনতার সংজ্ঞা কে দিবে। ১টি বোরখা পরা মেয়েকে যে অশালিনতার দোহাই দিয়ে টিজ করা হবে না, তার কি গ্যারান্টি আছে? এভাবে জোকারের লেকচার শুনে ইভ টিজারদের মত জঘন্য ছেলেদের জন্য যখন সাফাই গায়, তখন সত্যি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই
নতুন মন্তব্য করুন