বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আর্ন্তজাতিক পত্রিকায় ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে এপ্রিল ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত সময়ে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবর এবং স্বাক্ষরিত বিভিন্ন চুক্তিপত্র উদ্ধৃত করে মূল ঘটনাপ্রবাহটি তুলে ধরা হয়েছে। লেখাটি তথ্যভিত্তক রাখার জন্য মন্তব্য বা সম্পাদকীয় কলাম যথাসম্ভব পরিহার করে মুলত: খবরাখবরই উদ্ধৃত করা হলো। উল্লিখিত অধিকাংশ খবরই যদিও দেশি-বিদেশি একাধিক পত্রিকাতে ছাপা হয়েছিল, তবু ঘটনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এখানে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর খবরই বেশি উদ্ধৃত করা হয়েছে।
যুদ্ধবন্দী স্থানান্তর
একাত্তরে পাকিস্তানের পরাজয় যখন নিশ্চিত হওয়া শুরু হয়, তখন থেকেই মুক্তিবাহিনী ও গনহত্যার শিকার সাধারন বাঙালীর ক্ষোভ থেকে রক্ষা পাওয়ার বিষয়টি পাকিস্তানী সৈন্যদের কাছে মুখ্য হয়ে ওঠে। যুদ্ধে ভারতের সক্রিয় অংশগ্রহন পরাজিত পাকিস্তানীদের জন্য শাপে বর হয়ে দেখা দেয়। ভারত যেহেতু আর্ন্তজাতিক জেনেভা কনভেনশনের সদস্য এবং যুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনকারী, সেহেতু পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দী রক্ষা করার ব্যপারে ভারত আর্ন্তজাতিক ভাবে দায়বদ্ধ।
১৯৭১ সালের ১৫ই ডিসেম্বর লে. জেনারেল এএকে নিয়াজীর যুদ্ধবিরতীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ জামসেদজি মানেকশ পরের দিনই নিয়াজীকে আত্নসমর্পণ করার যে চরমপত্র দেন, তাতে পাকিস্তানের সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। [১] এরপর ১৬ই ডিসেম্বর নিয়াজী যৌথবাহিনীর নিকট যে আত্নসমর্পন পত্র স্বাক্ষর করেন, তাতে উল্লেখ করা হয় “আত্নসমর্পনকারী সৈন্যদের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী মর্যাদা ও সম্মান প্রদান করা হবে এবং আত্নসমর্পনকারী সকল পাকিস্তানী সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে”। [২]
খুলনায় প্রায় আট হাজার পাকিস্তানী সৈন্যের আত্নসমর্পণ তদারককারী ভারতীয় মেজর জেনারেল দিলবর সিং এক সাক্ষাৎকারে জানান যে যুদ্ধ পরবর্তী সপ্তাহগুলিতে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার এবং পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দীদের ভারতের বিভিন্ন শিবিরে স্থানান্তর করাই ছিল তাদের অন্যতম দ্বায়িত্ব। তিনি আরো বলেন, “যেহেতু স্থানীয় সহযোগীরা (যেমন- রাজাকার) জেনেভা কনভেনশনের অন্তর্ভুক্ত নয়, এরা বাংলাদেশ সরকারের দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়বে”। [৩]
যুদ্ধাপরাধের বিচার
বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একেএম কামরুজ্জামান ২৪শে ডিসেম্বর ১৯৭১ ঘোষণা করেন যে বাংলাদেশ ইতমধ্যে ৩০ জন শীর্ষস্থানীয় পাকিস্তানী সরকারী কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে এবং গনহত্যায় সহযোগিতার জন্য অচিরেই তাদের বিচার হবে। এর দু’দিন পরই ২৬শে ডিসেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে একাত্তরের গনহত্যার শিকার সাতজন বাংলাদেশী কর্মকর্তার পরিবার ভারতের কাছে আবেদন জানান যেন ভারত দোষী পাকিস্তানীদের বিচারে বাংলাদেশকে সহায়তা করে। জবাবে ভারতীয় কুটনীতিক দূর্গা প্রসাদ ধর কিছুটা অনিচ্ছার সাথে শুধু জানান যে “ভারত যুদ্ধবন্দীদের বিষয়ে আর্ন্তজাতিক আইনে তার কী কর্তব্য তা পরীক্ষা করে দেখছে”। [৪]
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কারামুক্তির পর দেশে ফিরেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেন। ২৯শে মার্চ ১৯৭২ নিয়াজী এবং রাও ফরমান আলী-সহ ১১০০ পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীর বিচারের সরকারী পরিকল্পনা ঘোষনা করা হয়। [৫] সরকার দুইস্তর বিশিষ্ট একটি বিচার পরিকল্পনা পেশ করে যেখানে কিছু শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীর বিচারে দেশি-বিদেশি জুরি নিয়োগ; এবং অন্যদের জন্য শুধু দেশীয় জুরি নিয়োগের সীদ্ধান্ত হয়। [৬]
আর্ন্তজাতিক চাপ এড়াতে এসময় ভারত শুধু সেইসব পাকিস্তানী সৈন্যদের হস্তান্তর করতে রাজী হয় যাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে ‘প্রাইমা ফেসিই কেস’ (prima facie case) হাজির করতে পারবে। [৭] এরপর বাংলাদেশ সরকারের সংগৃহীত প্রমানের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের ১৪ই জুন ভারত সরকার নিয়াজীসহ প্রাথমিকভাবে ১৫০ জন যুদ্ধবন্দীকে বিচারের জন্য বাংলাদেশের নিকট হস্তান্তরে সম্মত হয়। [৮]
ইন্দীরা গান্ধী ও জুলফিকার আলী ভুট্টর সিমলা চুক্তি স্বাক্ষরের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ১৯শে জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পুনরায় এই বিচারের কথা স্মরন করিয়ে দেন। ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের ওয়েব সাইটে সিমলার সম্পূর্ণ চুক্তিপত্রটি সংরক্ষিত থাকলেও, এই সিমলা চুক্তিতেই যুদ্ধাপরাধীর বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে বলে অনেকেই ভুল করে থাকেন। [৯] মুলত কাশ্মীর সীমান্তসহ দ্বিপাক্ষিক কিছু বিষয়েই ২রা জুলাই ১৯৭২ সালে ভারত-পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্বাক্ষর করে, যেখানে যুদ্ধাপরাধী বা বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন বিষয়ই উল্লেখ করা হয়নি। [১০]
পাকিস্তানে বাঙালী নির্যাতন ও জিম্মি
যুদ্ধের সময় যে ৪ লক্ষ বাঙালী পাকিস্তানে আটকা পড়ে, পাকিস্তান সরকার তাদেরকে জিম্মি করে বাংলাদেশের বিচার বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করে। প্রায় ১৬ হাজার বাঙালী সরকারী কর্মকর্তা যারা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে আটকা পড়ে এবং পরবর্তীতে চাকুরিচ্যুত হয়, তাদের পাকিস্তান ত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। অনেক কর্মকর্তাকে ক্যাম্পে আটক করে রাখার কারনে বাংলাদেশ তখন আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদও জানায়। [১১]
এসময় পাকিস্তান সরকার পলায়নপর বাঙালীদের ধরিয়ে দেবার জন্য মাথাপিছু এক হাজার রুপি পুরষ্কার ঘোষনা করে। [১২] এধরনের ঘোষনার কারনে অনেক পাকিস্তানীই তখন পালানোর মিথ্যে অভিযোগ তুলে প্রতিবেশী বাঙালীদের ধরিয়ে দেয়া শুরু করে। আন্তর্জাতিক রেসকিউ কমিটি (আইসিআর)-এর তৎকালীন একটি প্রতিবেদনে পাকিস্তানে জিম্মি বাঙালীদের দুর্বিষহ অবস্থা ফুটে উঠে। রিপোর্টে বলা হয়, শুধু “পাকিস্তান ত্যাগ করতে পারে এই অভিযোগে বাঙালীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে” এবং “হাজার হাজার বাঙালী বিনা বিচারে জেলে আটক আছে”। আন্তর্জাতিক ভাবে প্রচারিত এই রিপোর্টে আরো বলা হয়-
“হয়রানি এবং বৈষম্যমূলক আচরন নিত্যদিনের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বাঙালীদের উপরের শ্রেণীতে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি, যাদের এখন “নিগার” বা নিচুজাত হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। কিন্তু যারা ইতমধ্যেই বৈষম্যের চুড়ান্ত সীমায় অবস্থার করছে, ঐ সব সাধারনের উপরে যতটুকু অতিরিক্ত বৈষম্য করা হচ্ছে, তার প্রভাবও অনেক বেশি”। [১৩]
[চলবে] পর্ব ২ :: পর্ব ৩ :: পর্ব ৪
তথ্যসূত্র:
১. “Text of Indian Message”, দি নিউ ইয়র্ক টাইমস, ১৬/১২/১৯৭১, পৃ- ১৬
২. Reuters, (১৯৭১), “The Surrender Document” দি নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত, ১৭/১২/১৯৭১, পৃ- ১
৩. “Bengalis Hunt Down Biharis, Who Aided Foe”, দি নিউ ইয়র্ক টাইমস, ২২/১২/১৯৭১, পৃ- ১৪
৪. “India Weighs Bengali Plea To Try Pakistani Officials”, দি নিউ ইয়র্ক টাইমস, ২৭/১২/১৯৭১, পৃ- ১
৫. “Bangladesh Will Try 1,100 Pakistanis”, দি নিউ ইয়র্ক টাইমস, ৩০/০৩/১৯৭২, পৃ- ৩
৬. প্রাগুক্ত
৭. “India opens way for Dacca trials”. দি নিউ ইয়র্ক টাইমস, ১৮/০৩/১৯৭২, পৃ- ১
৮. “India to Deliver 150 P.O.W.'s To Bangladesh to Face Trial”, দি নিউ ইয়র্ক টাইমস, ১৫/০৬/১৯৭২, পৃ- ১১
৯. দেখুন এসংক্রান্ত প্রথম আলো খবর এখানে: http://prothom-alo.com/detail/news/53366
১০. পূর্ণাঙ্গ চুক্তিপত্রটি দেখুন http://mea.gov.in/jk/sim-ag.htm
১১. “Pakistan Denies Charge”, দি নিউ ইয়র্ক টাইমস, ১৭/০৪/১৯৭২, পৃ- ৬
১২. “Official Reports 2,000 Bengalis Held in Pakistani Jails”, দি নিউ ইয়র্ক টাইমস, ১৩/১২/১৯৭২, পৃ- ৩
১৩. প্রাগুক্ত
১৪. “Wave of Bengalis fleeing Pakistan”, দি নিউ ইয়র্ক টাইমস, ১২/১১/১৯৭২, পৃ- ১০
মন্তব্য
অনেক দিন পরে লিখলেন, ওয়েলকাম ব্যাক। এই বিষয়ে জানার আগ্রহ আমার অনেকদিনের। ঢাকা থেকে একটা বইও এনেছিলাম এর উপরে।
আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করব বাকি পর্বগুলোর জন্য।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ। আমার নিজেরও জানা ছিল না অনেক কিছু। সবখানে স্ববিরোধী বক্তব্য/বিবৃতি দেখেই এই প্রয়াস।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
পরবর্তী পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি..........
নবীন পাঠক
shahriarsajib@gmail.com
অসাধারণ কাজ সাঈদ ভাই, পরের পর্বের অপেক্ষা বেশি দীর্ঘ হবে না আশা করি
সত্যি বলতে, বাকী দুই পর্বও তৈরী আছে। এক সাথে দিলে অনেক বড় পোস্ট হয়ে যায়, তাই তিন পর্ব।
সম্ভবত ২৪ ঘন্টার পার্থক্য দরকার একাধিক পোস্টের জন্য। তবে এর বেশি দেরি হবে না কথা দিচ্ছি
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
বিষয়টা নিয়ে কিছু কনফিউশন আমারো ছিল
মনে হচ্ছে এবার পরিষ্কার হয়ে যাবে
দারুণ। বাকি পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
কৌস্তুভ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুণ!
পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
|| শব্দালাপ ||
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
-
এই পাকিস্তানীদের সহায়তাকারীদের অবশ্যই বিচারের সামনে দাঁড় করাতে হবে। এদের পক্ষে যারা মানবতার ধোঁয়া তুলে ন্যায়বাক্য বর্ষণ করতে আসবেন, তাদের জন্য কেবলই ঘৃণা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই সিরিজের সব পর্বের লিঙ্কই ফেসবুকে ব্যাপকভাবে শেয়ার করি সবাই, আসুন।
অসাধারণ! পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভালো লাগলো। পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায়।
আপনার লেখা পড়ে একটা জিনিস মাথায় আসলো। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যেসব বাঙালি পাকিস্তানে ছিল তাদের যেসময়ের অবস্থা নিয়ে কি লেখা কোন বই কি আছে? কারণ বিষয়টা এতদিন চিন্তাতেও আসেনি যে ওখানে যারা আটকে ছিল তাদের কি হয়েছিল।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
কথাটি একদম ঠিক। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তিন দেশে আটক সাধারন জনগনের কথা যত বার এসেছে, প্রতি বারই শুধু ভারতে আটক পাকিস্তানী সৈন্য আর বাংলাদেশে থাকা (আটক নয়) বিহারীদের কথাই আলোচিত হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানে আমাদের যারা আটক ছিল, তাদের কথা খুব কমই বলা হয়।
এর অন্যতম কারন হলো, লে.জে. হু মু রাষ্ট্রপতির মতন লোক যিনি ২৫ শে মার্চের পর অন্যদের মতন যুদ্ধে যোগ না দিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সামরিক ঘাটিতে নিজে গিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন। তাকে পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি যুদ্ধে যোগ না দিয়ে রংপুরে বসেছিলেন। পরবর্তীতে তাকে বাঙালী অফিসার বিধায় পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এসব সুযোগ-সন্ধানী লোক যারা পশ্চিম পাকিস্তানে আটক ছিল, তাদের জন্য অনেকেই আটক অন্যান্য বাঙালীর কথা বলতেও কুণ্ঠিত বোধ করেন। অথচ কয়েক লক্ষ বাঙালী যারা কর্মসূত্রে ওখানে থাকতেন, তাদের অধিকাংশেরই প্রচেষ্টা ছিল দেশে আসার। আমরা ভুলে যাই, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান এদেরই একজন!
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
শেয়ার দিলাম।
----------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আমার জানামতে মতিউর ভারতে উড়ে যাচ্ছিলেন বিমান ছিনতাই করে। এবং, সীমান্তে বিমান বিধ্বস্ত হয়।
---মহাস্থবির---
জ্বী, তিনি পাকিস্তানের করাচী থেকে বিমান নিয়ে যুদ্ধে যোগদানের জন্য রওনা হয়েছিলেন।
সেসময় কর্মসূত্রে পাকিস্তানে যারা ছিলেন, তাদের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অনেক কথাই বলা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রশাসনিক ইতিহাসেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়। লেখার ফোকাস যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য এ বিষয়ে এখানে বেশি কিছু বলিনি। তবে, পাকিস্তানে কর্মরতদের সবাইকে এক কাতারে ফেলা ঠিক না এটাই বলতে চাইছি। এখানে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ছিলেন যিনি বিমান নিয়ে পাকিস্তান ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন, শত শত বাঙালী আফগান সীমান্তদিয়েও পালিয়েছেন... অনেকেই আবার বন্দী ছিলেন কারাগারে। বাকীরা ফিরতে না পারা পর্যন্ত খুবই কষ্টে সময় পার করেছেন। ইতিহাসে তাদের কথা বেশি বলা হয়নি।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করে আছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে এই বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য।
এই প্রবন্ধ খুব দরকারি ছিল। ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন