ভাঙা আয়না অথবা আয়না ভাঙার গল্প

সাইফুল আকবর খান এর ছবি
লিখেছেন সাইফুল আকবর খান (তারিখ: বুধ, ০৩/১২/২০০৮ - ৩:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“দেখা হয় তবু, এমনই কপাল!
মনের আড়াল যায় না।
দু’জনার মাঝে কাচের দেয়াল-
ব্যবধান এক আয়না!”

বেশ ছোট্টটি থাকতে, মনের চোখ-কান ঠিকমতো ফুটে ওঠার আগেই এই গীতিকাব্যের দেখা পেয়েছিল রাজন, একটা টিভি নাটকে। মানে না বুঝলেও, মনে থেকে গিয়েছিল সেই শব্দ-দৃশ্য আর সময়ের ঘ্রাণ, এক বিরল গভীর ভালোলাগার আবেশসমেত। তবে, এই দেখাটা যে কেন হ’তেই হয়- রাজন তা জানে না! জানেনি আজ পর্যন্ত, তিরিশ বছরের বুড়ো ধূসর চোখে যেদিন যখন হয়েই সারলো নিজের সেই দেখা। যেদিকে আর একটিবারও ঘাড় ঘুরানোর চেয়ে বরং ঘাড় ভেঙে বিকলাঙ্গ হওয়া কিংবা ম’রে যাওয়া ভালো ছিল, সেদিকেও তাকাতে হয় হঠাৎ কোনো বাঁকে। তাকিয়ে ফেলতে হয়। তাকিয়ে ফেলে পরে বুঝতে হয়, যে তাকানো হয়ে গ্যালো। দেখা হ’লো, দেখা হয়েই গ্যালো!

দৃশ্যের কাছে যেতে হয় না এই দেখার জন্য। দৃশ্য বস্তু কিংবা বিষয়টিই এরকম ক্ষেত্রে উপযাচকের নির্মম উৎসাহ নিয়ে একেবারে সামনে এসে দাঁড়ায়। ঘাড় ধ’রে বলে- “অ্যাই ব্যাটা, এই যে নে, দ্যাখ্ আমাকে, দ্যাখ্, তাকা!” এমন একটা হঠাৎ আয়না এক জীবনের কয়টা মোড়ে মোড়ে নিজে থেকে সামনে এসে দাঁড়ায় উচক্কা এই দায়িত্ব নিয়ে! কয়বার এসে এসে নির্লজ্জের আস্ফালনে হাঁকে, হাঁকবে- “তাকা”!

আয়োজন ক’রে তাকাতেও হয় না, ঠিক যেমন চোখের পলকটি পড়তে না পড়তেই মনে একটা হার্ডব্রেক ক’ষে মুখসমেত ঘাড়টাকে একটু ঘুরিয়ে নিতেও আর কোনো ইশারাই বা একটু সময়ও লাগে না। এই ঊন-এক মুহূর্ত সময়ের মধ্যেই অ্যাতো কিছু কেন চোখে পড়ে! পৃথিবীতে অ্যাতো মানুষ, অ্যাতো দেখার বস্তু থাকতে কেন চোখের সামনে আবার চোরা চাউনি নিয়ে আসবে সেই চোখজোড়া, যা একদিন আচমকা ফিরে গিয়েছিল বহুদিনের আকুল গহন চেনাজানার চোখে মিথ্যের একটা আচানক মুখোশ পরিয়ে দিয়ে! বোকা বোবা লজ্জা গ্লানির এই ফ্ল্যাশব্যাক কোন্ মগড়া মরদ চেয়েছে তার নিজ জীবনে কখনও! এইসব নিস্ফল হাতড়াহাতড়ি প্রশ্নের উত্তর জানা-না-জানা এমনকি থাকা-না-থাকা নির্বিশেষে অথচ রাজনের দেখা হয়, দেখে ফ্যালা হয়, দেখে ফেলতে হয় নাহিনকে।

সময়ও এমন সময় পলক পড়ারও অপেক্ষাটি না ক’রে, পোড়খাওয়া ঘোড়ার মতো ছুট দেয় পিছনে, আলোর চেয়েও আরো যেন বাড়তি গতিতে! তাই ফেলে আসা হারিয়ে ফেলা অতীত সত্যগুলোর সাথে সাথে মধ্যে মধ্যে নিজেকেও দেখা যায় দেখতে হয় ওইখানগুলোয়, ওইক্ষণগুলোয়- বর্তমানের চেয়েও নিদারুণ মূর্তিমান!

দুই বছরের প্রেমটা যখন উবে গিয়েছিল দুই মিনিটের ধূলোধোঁয়ার সঙ্গে, তার পরেও চ’লে গ্যাছে নিদেন আরো চারটি বছর। না ব’লে চ’লে চ’লে যাওয়া এক একটি বছর মাস আর দিনের বাঁকে কতোকিছু খ’সে পড়লো মন-মগজের দেয়াল থেকে! কতো রূপের নতুন খোলস মুখে উঠলো চুপে চুপে! কতো শত ফেনিল ধারায় দুঃখ-সুখের ভানভনিতার সাগর বইলো মুখ-মুখোশের সি-স’র নিচে!

পায়ের নিচের পৃথিবীসুদ্ধ দু’জোড়া চোখ চমকে দেয়া কাঁপিয়ে তোলা এই না-হ’লেই-ভালো-ছিল দেখাটা যখন সামনে এসে প’ড়েই গ্যালো, সাক্ষাতের সেই পলকেই অনিচ্ছুক ওই সময়ভ্রমণ সেরে এসে ফিরতে ফিরতে, আরোপিত এক ফুট দূরত্ব মাঝে রেখে ছোঁয়া এড়িয়ে বাতাস বাঁচিয়ে পরষ্পরকে কাটিয়ে যখন রাজন-নাহিন উল্টো দু’টো ভিন্ন দিকে হাঁটতেই থাকে আবার, ছাড়িয়েই যেতে থাকে চার বছর পর আরো একবার, তখন আবার বর্তমানের এই এক মিনিট আগের চেয়েই মুহূর্মুহূ আরো বেশি মিথ্যে হ’তে থাকে ক্ষান্ত অতীতের ওই গোটা মন্তাজ। সত্য হয়ে হয়তো বা বাকি জীবনটাতেই ছাপ মেরে থাকবে মনে এই বিষম দেখার ছবিটিই।

সত্য থাকে নাহিনের সুদূর মুখ, পরশরীর, সেই শরীরে সংসার আর জন্মনিয়ন্ত্রণের সূক্ষ্ম ভার। সত্য থাকে তার জীবনগতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিয়ে পাশে হাঁটতে থাকা অন্য একটি সহবাসী স্থূল শরীর। আর কোনো ছবি যেন ছিল না কোথাও, কোনো কস্মিনেই!

[২৫ নভেম্বর ২০০৮, মহাখালী]


মন্তব্য

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মাঝে মাঝে আমারও তাই মনে হয়, হঠাৎ-ই যদি দেখা হয়ে যায়, খানিক ক্ষণের জন্য, মুহূর্তে হয়তো জেগে উঠবে পরস্পরের চোখের আয়নার পুরানো সব দিন, গোধূলিবেলার অপেক্ষার ভোর। ঠিক যেমন সেলুলয়েডের পর্দা জুড়ে ফ্ল্যাশব্যাকে থরে থরে জেগে উঠে দৃশ্যকাব্য। কিংবা নিজেই হাতড়ে ফিরবো হয়তো সেইসব দিন, খুঁনসুটির আলেখ্যগাঁথা ।
থাক আর মনে করতে চাই না। কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে। বেদনা জাগাতে ভালো না লাগতে পারে, তবে গল্প যে ভালো লেগেছে তা জানাতে কসুর করছি না।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ভালো বলেছো।
ধন্যবাদ পান্থ। হাসি
বেদনা জাগাতে হয় না, তাই বলছিলাম। বেদনা নিজে থেকেই জেগে জেগে ওঠে। হৃদয়ও খুঁড়তে হয় না। ওটা আপনা থেকেই খানখান গর্ত হয়ে থাকে কারও কারও বেলায়।

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নিদারুণ ব্যাপার। ঘটনার শেষে এসে একটা ভোঁতা কষ্ট অনুভূত হওয়ার কথা। এই কষ্টটাই মারাত্মক। রাজনের জন্য শুভকামনা। তাকে বুঝানো উচিৎ, এক নাহিন অন্যের ঘরে, লক্ষ নাহিন অপেক্ষা করে! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ভালো বলেছেন। রাজনকে পেলে ব'লে দেবো আপনার সুন্দর পরামর্শ্লোগান-টা। দেঁতো হাসি
ধন্যবাদ ধূসর গোধূলি। হাসি

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তানবীরা এর ছবি

এক নাহিন অন্যের ঘরে, লক্ষ নাহিন অপেক্ষা করে!

ও ধূগো তয় এই আশায় আছে চোখ টিপি চোখ টিপি
সুন্দর ভাষা। আমি হিংসে করলাম।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

শেষ কথাটা ধূগো-কে বললেন, না কি আবার আমাকে হঠাত্- বুঝি নাই! স্যরি। হাসি

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বাহ্, সুন্দর লিখেছেন সাইফুল ভাই। নাহিনের জন্য খারাপ লাগল, রাজনের মত 'একজন'-কে নিজের জীবনে সে পেল না বলে। আমার তো মনে হয়, আমাদের উচিত- যাকে ভালবাসি তাকে বিয়ে না করে, যে আমাকে ভালবাসে- তাকে বিয়ে করা হাসি

শুরুর গীতিকাব্যটা কার? ভাল লাগল।


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, ভাই অতন্দ্র প্রহরী। খারাপ লাগলেই কী আর হয়! এমন কতো নাহিন আর রাজন রয়েছে এখানে ওখানে!
হামদার্দী ঠিকই আছে ভাই। তবে, কেউ যদি যাকে ভালোবাসে তাকে বিয়ে না ক'রে যে তাকে ভালোবাসে তাকে বিয়ে করতে চায়, তাহ'লে কি আদৌ কারোই কাউকে বিয়ে করা হবে?একটু চিন্তা করে দেখুন তো! কারণ, যে আমাকে ভালোবাসে, সে-ও তো তবে আমাকে বিয়ে করবে না ওই হিসেবে। দেঁতো হাসি

গীতিকাব্যটি আসলে আমারও অজানা কারো লেখা। আমিই নিজে খুব ছোট্টবেলায় একটি টিভি-নাটকে দেখেছিলাম শুনেছিলাম (নাটকটিতে হুমায়ূন ফরিদি ছিলেন এটুকু খেয়াল আছে, আর মনে আছে যে এই গানটি হয় লঞ্চযাত্রায় এমন হঠাত্ দেখা হয়ে যাওয়ার পরের কিছু সময় ধ'রে ব্যাকগ্রাউন্ডে।), গানটির সুরও আমার খেয়াল আছে, তবে কার লেখা বা কার সুর করা সে জানা নেই।

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে ভাই, সবকিছুর ভেতর থেকে এভাবে এত প্যাঁচ বের করলে ক্যাম্নে কী! দেঁতো হাসি

আমি কী বুঝিয়েছি, সে-টা আমি যেমন জানি; তেমনি আপনিও যে ঠিকই বুঝতে পেরেছেন, সেটাও জানি; আর আমি যে জানি, এইটা আপনিও জানেন; আর আপনি যে সে-টা জানেন, সে-টা তো অবশ্যই জানেন! হো হো হো

যদি এখনো বিয়ে না করে থাকেন, তাহলে বিয়ের সময় এই থিওরীটা অ্যাপ্লাই করে দেখতে পারেন। আশা করি, ঠকবেন না চোখ টিপি

গীতিকাব্যের ব্যাপারে তাহলে নাটকবোদ্ধা কাউকে জিজ্ঞেস করতে হবে। নজরুল ভাই সাহায্য করতে পারবেন মনে হয়।


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হ্যাঁ, জানাজানির এই প্যাঁচাপেচিটাও আমি জানতাম। দেঁতো হাসি
বিয়ে সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। না, এখনও করিনি। দেখি, আদৌ এই পরামর্শ বাস্তবায়নের ক্ষেত্র-ক্ষণ আসে কি না জীবনে। হাসি
হ্যাঁ, নজু ভাই জেনে থাকতে পারেন।
ধন্যবাদ আবারও, অতন্দ্র প্রহরী। আচ্ছা, আপনি আরামের ঘুম টুম বাদ দিয়ে কী জিনিস প্রহরা দেন ব'লেন তো! হাসি

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি যে জানতেন, এটা আমি জানতাম; আর আমি যে জানতাম যে আপনি জানেন আমি জানতাম, সে-টা তো আপনি জানতেনই দেঁতো হাসি

আমি তো সচলায়তনের একমাত্র অথরাইজড পাহারাদার, জানেন না? চোখ টিপি
ঘুম বাদ দিয়ে আমি আসলে সচলায়তন পাহারা দেই হো হো হো [দিনের যেটুকু সময় সচলে কাটাই, কথাটা কিন্তু তাই একেবারে উড়িয়ে দেয়ার মত না! হা হা হা] তবে ঘুম আমার এতই কম হয় আর তা সত্ত্বেও যতটা স্বাভাবিকভাবে দিন কাটাতে পারি যে, সে-টা দেখে পরিচিতরা খুবই অবাক হয় হাসি

ভাল থাকুন সাইফুল ভাই। লিখুন হাত-পা খুলে...


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ভালো বলেছেন। হাসি
আমি আবার হাত-পা খোলার তেমন একটা সময়ই পাচ্ছি না। তাই লেখা কম হচ্ছে।
ধন্যবাদ আবারও। ভালো থাকুন।

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

পায়ের নিচের পৃথিবীসুদ্ধ দু’জোড়া চোখ চমকে দেয়া কাঁপিয়ে তোলা এই না-হ’লেই-ভালো-ছিল দেখাটা যখন সামনে এসে প’ড়েই গ্যালো, সাক্ষাতের সেই পলকেই অনিচ্ছুক ওই সময়ভ্রমণ সেরে এসে ফিরতে ফিরতে, আরোপিত এক ফুট দূরত্ব মাঝে রেখে ছোঁয়া এড়িয়ে বাতাস বাঁচিয়ে পরষ্পরকে কাটিয়ে যখন রাজন-নাহিন উল্টো দু’টো ভিন্ন দিকে হাঁটতেই থাকে আবার, ছাড়িয়েই যেতে থাকে চার বছর পর আরো একবার, তখন আবার বর্তমানের এই এক মিনিট আগের চেয়েই মুহূর্মুহূ আরো বেশি মিথ্যে হ’তে থাকে ক্ষান্ত অতীতের ওই গোটা মন্তাজ।

"এবং" এবং "অথবা" ব্যবহার না করে এতো বড়ো বাক্য কখনও লিখতে পেরেছি বা কোনদিন পারবো বলে মনে হয় না। পারেনও আপনি!

"ঊন-এক মুহূর্ত" শব্দবন্ধটি চমত্কার লাগলো।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আপনিও তো বললেন কী জবরদস্ত ক'রে! হাসি
মাথা পেতে নিলাম সন্ন্যাসীর নির্মোহ স্তুতি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, মনের একদম ভেতর থেকে। হাসি

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

দারুন লিখেছেন সাইফুল ভাই। চলুক

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অনেক অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ।
অনুপ্রাণিত আর প্রশ্রয়িত বোধ করছি আরো। হাসি

----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

এডিটেড/ডিলিটেড (ভুল জায়গায় লিখেছিলাম মন খারাপ)

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার লেখায় শব্দের খুব একটা দারুণ খেলা থাকে... প্রতিটা শব্দ খিয়াল করে পড়তে হয়। নইলে বিপদ... পড়ায় ফাকিঁ দেওয়া কঠিন।
তার ওপর এত দীর্ঘ দীর্ঘ বাক্য... আমার মতো চোখ বুলানি ব্লগপাঠক খুব ধরা খায়। আপনার লেখা ব্লগে পড়ে মন্তব্য করার জন্য যে সময় দরকার তা নাই আপাতত... জীবন নিয়া বেসামাল দৌড়ে আছি।

পড়ছি... কিন্তু মন্তব্য না করে ফাকিঁ দিলাম... পরে একসময় পড়ে নিবো... তারপর...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

যতোটুকু বললেন, তার জন্যই ধন্যবাদ জানেন বস।
আর, আশায় অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী মন্তব্যের।
দৌড় মোবারক। হাসি
ভালো থাকেন।

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

রানা মেহের এর ছবি

ভাষা চমতকার
তবু কেন যেন গল্পটা মনে হচ্ছে ঠিক দাঁড়ায়নি।
তবু ভাষার জন্য পড়তে ভালো লাগলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বিষয়টাই একটু ইম্পটেন্ট ব'লেই গল্পটাও ঠিক দাঁড়ালো না কি না কে জানে! হাসি
সুচিন্তিত মতামত আর প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ রানা মেহের। ভালো থাকেন।

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।