[সবাই নির্বাচন নিয়ে মশগুল, একই কারণে কেউ আবার চোখে দেখছে সর্ষেফুল! আর কিছু নিয়ে কেউ বলছে না কোথাও কিছু। তাই, একটু সৃষ্টিশীল একটা স্যাবোটাজ ক'রে সেই গম্ভীর পৃষ্ঠাটা একটু উল্টে দিলাম আজ। ছেলেমানুষি মাফ করবেন সবাই।]
বিন্দু থেকে বেশিই!
আমি পনেরো মিনিট হেঁটে যেখানটায় গিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম বাসের জন্য, সেখানেই এমন একটা চোরাগুপ্তা গলি গ’লে উপস্থিত হয়েছিলে তুমি, যে গলির উপস্থিতিই আগে কোনোদিন তাকিয়ে দেখা হয়নি আমার। রিকশা থেকে নেমে গুটিপায়ে একটু উঠে তুমি দাঁড়ালে বাস-কাউন্টারের পেছনটায়, যেমন ক’রে আমিও দাঁড়াতাম ইউনিভার্সিটির বাসের জন্য, সেই পাঁচ বছর আগে শেষ ক’রে আসা জীবনে। কেন যেন নিঃসংশয় ধারণা হয়ে গ্যালো সাথে সাথেই- ভার্সিটির বাসের জন্যই তোমার ওই ছোট্ট অপেক্ষা! এখন মনে হচ্ছে- তোমার এই হঠাত্-দেখায় মনের ভেতর একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছিলাম তবে, তাই এটাও তখন আমার মাথায় আসেনি একেবারেই, যে- ভার্সিটির বাসের জন্য হ’লে তোমার দাঁড়াতে হ’তো রাস্তার অন্য পাশটায়। তখনকার জন্য আমাকে বেশ অবাক ক’রেই, একটু বরং চোখ-চকচক খুশি ক’রে দিয়েই কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমার একই বাসের টিকিট কাটলে তুমি! হ্যাঁ মেয়ে, আমার হতচকিত মুগ্ধ চোখ তোমার ওপর একটু রোমান্টিক ডিটেক্টিভগিরি করছিল বটে।
তোমার গায়ের রং অনুজ্জ্বল ফর্সা, প্রথম দেখায় তোমাকে অবাক আপন বা কাছের ভাবতে ভয় করেনি আমার। ভরাট কিন্তু ধারালো সৌষ্ঠবের মধ্যেই পা ঢেকেছো খাকি সালোয়ারে, আর কালো জামার ওপর আবার রেখেছো খাকি ধারওয়ালা কালো ওড়না। পুলিশের পোশাকের ওই রঙটিই কালোর সঙ্গে মিশে কারো উজ্জ্বল খাকি গায়ে এমন দারুণ সুন্দর দেখাতে পারে- তেমনটি আমার দেখা তো নয়ই, ধারণা-কল্পনায়ও ছিল না। বাসের জন্য ওইটুকু অপেক্ষার মধ্যেই উঁকিঝুঁকিতে পড়তে চাইছিলাম তোমার পৃষ্ঠার আধো আধো অক্ষরগুলো, প’ড়ে যাচ্ছিলাম সব অর্থেই, অন্যের হাতের নিচ দিয়ে- এই ওই ফাঁক দিয়ে জুম-ইনের চেষ্টায় ছিল দূরের আমার আগ্রহ-বিপর্যস্ত চোখ দু’টো। রিকশা থেকে নামছিলে সময়ই তন্ময় হয়ে মুখ যা দেখেছিলাম একটু কাছে থেকে, তখনই অবশ্য মনে গেঁথে নিয়েছিলাম তোমার গালের জ্যামিতি, নাকের অহম্ আর চোখের গভীরতা।
ভেঁপু শোনার বহু আগে থেকেই দেখা যায় আমাদের নগরের এইসব বাসের মাস্তুল! কারণ সেদিকেই অধীর চেয়ে থাকে অফিস-তাড়ায় ব্যস্ত সবার সবগুলো চোখ। যাত্রীদের কিউ তেমন ছিলও না ঠিকঠাক, তার ওপর যা-ও ছিল তা-ও ভেঙেচুরে সবাই পটাপট উঠে যায় বাসে। ভাঙা দেখেও, নিজে কিছু না ভেঙে উঠলাম আমিও। ওঠার সময় সামনে-পিছনে তোমাকে পাই না কোথাও। আরো ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে নিচে-চাওয়া চোখের আড়দৃষ্টিতে অবশ্য ঠাহর করতে পারলাম- আমরা জনগণ যখন সামনের গেট দিয়ে বাসে উঠলাম, তখন সাধারণের ঝামেলা এড়িয়ে তুমি গ্যাছো পিছনের গেট ধ’রে। যাক, উঠলে তো! আরো কিছুক্ষণের জন্য হ’লেও তুমি আমার কিছুটা হ’লেও কাছাকাছি থাকবে তো!
খুব সকালে আর খুব কোনো ছুটির দিনে ছাড়া আমাদের স্টপেজ থেকে আমাদের এই বাসে সাধারণত সিট পাওয়া যায় না। সামনে থেকে পিছনে যাচ্ছিলাম আমি, পিছনদিক থেকে সামনে আসছিলে তুমিও। কিন্তু তোমার আমার মাঝখানে স্থির দাঁড়িয়ে গ্যাছে আমার অপরিচিত একজন আম-শত্রু। সেই লোককে আমি একবার এমনিতেও বললাম আমার দিকে আরো চেপে আসতে, আমাদের পরেও যারা উঠছে ওই কাউন্টারে এবং আরো পরে, তাদেরও উঠতে পারার মতো ক’রে যেন জায়গাটার সদ্ব্যবহার হয়। সেই তাগিদ একটু পর থেকে আরো বেশি ক’রে পাচ্ছিলাম ভিতরে, যখন বুঝতে পারলাম- ওই খবিসের আড়ালে কোনোমতে দাঁড়িয়ে থাকা তুমি মাঝখানে প’ড়ে ঠিক থাকতে পারছো না, হিমশিম খাচ্ছো সোজা দাঁড়াতে পারা নিয়েই। মনে মনে খিঁচড়ে ওই ব্যাটাকে আরো অন্তত দশবার বলেছি আমার দিকে আরেকটু চেপে তোমাকে একটু সুবিধা ক’রে দিতে। কিন্তু যে কি না মুখের কথায়ই একটুও নড়েনি, সে আর আমার অন্তর্যামী কী ক’রে হবে?
হঠাত্, আমি দেখলাম ঘোরের মধ্যে- ভারসাম্যের খাতিরে একবার ওই খবিসের হাতের নিচ দিয়েই তোমার হাত এগিয়ে এলো একটি সিটের হেলানের ওপরকার রডে, যেটায় কি না আমারও এক হাত! দেখলাম ঘোরতর ঘোরেই- গোটা গোটা পুরুষ্ট আঙুলগুলো তোমার কেমন মিষ্টি একটা পঞ্চদল ফুল তৈরি ক’রে আছে! দেখলাম- হাতে তোমার চুড়ি রয়েছে ডজন খানেক, তাতেও মেলানো আছে খাকি-কালোর একই সেই নেশা-ধরানো খেলা। আমার হাত একটু নামিয়ে আনি আমি, মূলত তোমার হাতের নিরাপদ জায়গা ক’রে দিতেই। তবু কিছুক্ষণ পরে রড পিছলে তোমার হাত এসে ঠেকলো আমার হাতে। হঠাত্ মনের মধ্যে চমকে গেলাম আরো। নরম হাতের অচেনা ছোঁয়ায় মনে মনে চিরায়ত ফাল্গুনী রচতে রচতেও, আমি তবু আরো একটু নামিয়ে আনলাম আমার হাত। কিছুক্ষণ পরে যখন আবার তোমার হাত লাগলো এসে আমার হাতে, আমার সত্যিই সরানোর আর জায়গা ছিল না নিচের দিকে। বুঝলাম কিছুক্ষণে, অবস্থা-বাধ্য এই স্পর্শ তোমাকে বিচলিত করছে না মোটেই। আমি বরং খুশিই হয়ে যাই তীব্র তীক্ষ্ন ছেলেমানুষিতে, তোমার ওই অবিচল ছোঁয়ায়। ছোঁয়ার এই পৃথিবীর কোনোকিছুতেই কিছু যাচ্ছে আসছে না আমাদের মাঝখানের যেই খবিসের, সেই খাম্বার জন্য তোমার মুখ দেখতে পাচ্ছি না আমি। ঘাড় ঘুরিয়েই তার ভাবলেশহীন বোকা মুখ পাশ কাটিয়ে একবার তবু দেখলাম আমি তোমার মুখ, লজ্জাতীত সরল উত্সাহ নিয়েই। অন্যদিকে তাকিয়ে যদিও, আড়চোখে সেই মুহূর্তে তুমিও যেন আমার চাওয়াটাই চাইছিলে ভিতরে ভিতরে। কতোই না বাঙ্ময় দেখলাম সেই চুপচাপ শান্ত মুখটিই! আমার চোখের সেই অভিভূত ভাষা তুমি একটু হ’লেও বুঝেছো নিশ্চয়ই। কথা হয় না তোমার সাথে। হওয়ার কথাও নয়।
আড়চোখের আড়দ্যাখা হ’লেও হ’লো আরেকটু পূর্ণাঙ্গ তোমাকে, যখন কি না পরের সবচেয়ে বড় স্টপেজটাতে নেমে গ্যালো অনেকেই, আর তুমি যে বসার জায়গা পাচ্ছো সে-বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে পরে আমিও বসছিলাম একটু সামনের অন্য সিট-এ। দাঁড়িয়ে টালমাটাল এতক্ষণের ধকলের পর ওড়না ঠিক করছিলে ব’সে। কেমন আত্নমগ্ন সেই চর্যা, তবু কতোটাই না দুলিয়ে দিল আরো একবার এই সুদূর আমার অভাবী মনটাকে! তার পরের স্টপেজেই নামার পালা আমার। নামলাম। তোমাকে আবার সারাজীবনের জন্য আমার থেকে সরিয়ে নিতে নিতে বাসও এগিয়ে যেতে থাকলো আবার। ফুটপাতে উঠতে উঠতে আমি তখনও দেখলাম- জানলার ধারে শান্ত বসা তোমার দৃষ্টি আমার দিকে না হ’লেও আমার দৃষ্টির দিকে অবশ্যই। নিজে না তাকিয়েও ঠিকই তুমি দেখছিলে আমি তাকাই কি না শেষবারটি, চাইছিলে আমি তাকাই।
মুগ্ধতাই দেখছিলে তুমি, মুগ্ধ হয়ে নয় নিশ্চয়ই। আমি তাকিয়েছিলাম কি না, তাতে তোমার তাই কিচ্ছুটি যায় আসে না জানি। আমারও বহুকাল এমন পাসিং-বাই-গন নারীগণের ব্যাপারে কিছুই যায় আসে না। বহুদিন পরেই আজ আবার নিজেই অবাক হ’লাম নিজের এই নির্বাক মুগ্ধতায়। কোন্ বাড়িতে থাকো তুমি- জানি না। তাতে কিচ্ছু যায় আসে না আমার। কেন না এই জীবনে আর কোনোদিন হয়তো সত্যিই দেখাই হবে না তোমার সঙ্গে। কার কাছে বা কোথায় যাচ্ছিলে- এসবেও কিচ্ছু যায় আসে না। কী করো তুমি, তোমার বয়স-ই বা কতো- তাতেই বা কী যায় আসে! তবে, এতক্ষণে বলা হয়নি হে অচেনা সুন্দর- আমার তবু অনেক কিছুই যায় আসে তোমার উজ্জ্বল খাকি নাকের ওই ছোট্ট কালো নাকফুলটায়!
[২৯ ডিসেম্বর ২০০৮
অন্যপুর]
মন্তব্য
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
একটানে পড়লাম, মুগ্ধতা।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
টেনে বেশ বড় ক'রে দিয়েছেন নজমুল ভাই।
ধন্যতা।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
লেখাটা দারুন! এরকম চোরাগোপ্তা হামলা আরো বেশী করে হউক
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ধন্যবাদ তারেক।
তবে, উইশ-টাকে পজিটিভলি নিতে পারছি না ভাই। এমনিতেই বহুত নাকাল আছি। আরো হামলা হ'তে থাকলে এই বয়সে একদম যে ছিলে যাবো সাষ্টাঙ্গে।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
পোলাপানের এইটাই সমস্যা
সময়কালে থাকে দিনকানা
আর সময় গেলে হয় হাহাকার সমিতির সভাপতি
এই তো বস, আপ্নে বুঝছেন।
সাধনের সময় গ্যালো ব'লেই তো এমন ভিমরতিসুখে আচ্ছন্ন হচ্ছি!
তবে বস, সভাপতি হওয়ার বেয়াদবিটা না করি বরং। আমার চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ভালো ভালো প্রার্থী তো রয়েছেন আরো, আমি বড়জোর সদস্য সচিব হতে পারি।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কতদিন যে আমার এমন হয়েছে! নিজেকেই দেখতে পেলাম যেন। দারুণ লিখেছ, সাইফুল।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
অনেক অনেক ধন্যবাদ আনিস ভাই।
কেমন হ'লো কেওক্রাডিংডং?! লেখা দেখবো নিশ্চয়ই এ নিয়ে?
ভালো থাকেন।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
খুব ভাল লাগল। একটানে পড়ে গেলাম।
একটানে খুব ধন্যবাদ অনিন্দিতা!
খুব ভালো থাকেন।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সুন্দর লিখছেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অনেক ধন্যবাদ রানা মেহের।
প্রাণিত বোধ করলাম আরো একটু।
ভালো থাকেন।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
চমৎকার!!!
চমত্ আমার!
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপনি তো, ভাই, বেজায় রোমান্টিক!
একটা রুশ গানের কথা মনে পড়লো:
আমি পেছন ফিরে তাকালাম দেখার জন্যে -
আমি পেছন ফিরে তাকিয়েছি কি না দেখার জন্যে তুমি পেছন ফিরে তাকিয়েছ কি না
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হা হা হা
প্রথম লাইনে গালি দিলেন কি না বুঝলাম না ভাই!
হ্যাঁ, রুশ গানের কথাটাও আসলেই মজার।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সন্ন্যাসী দা'।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হুমম! এতো দেখছি আমাদের চিরচেনা সাইফুল ভাই না; অন্য কেউ।
আহারে, পথে এক পলকের জন্য মন কাড়ে এমন কতজনই তো চোখে পড়ে, কিন্তু এ রকম করে লিখতে পারি কই।
আমারে তুমি কতো বছর ধ'রে চেনো মিয়া?!
তা-ও, একটু ব'লে যেয়ো তো, তোমার "চিরচেনা সাইফুল ভাই"টা কেমন?!
আর হ্যাঁ, তুমি কোত্থেকে এমন ক'রে লেখবা?! পারো কিছু? শেখো শেখো। কী সব 'কাউয়ার ছাউ বগার পাউ' ল্যাখো সারাদিন! ;)
[অনেক অনেক ধন্যবাদ :)]
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হ হ, হুদা তরাই নাকি! আমিউ লিখমু। রূপে অ্যাপোলো গুণে কাবিলরে দেইখ্যা কি মনে হইলো।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
পোলাটারে ধুগো রোগে ধরছে রে.......
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ক্যান্ কীর্তিনাশা ভাই? ওই মেয়েটা তো কারো শালী হিসেবে দেখি নাই আমি!
অবশ্য ধূগো রোগের পুরা সিম্পটম-বেত্তান্ত আমার জানা নাই। কী জানি! নতুন আসলাম তো এলাকায়।
যাক। পড়ার জন্য এবং যা-ই ব'লে গ্যাছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আরে সাইফুল ভাই আপনি তো জানেন না - ধুগো ভাইও এরম বাসের মধ্যে, রাস্তার ধারে সুন্দরীদের দেখে উদাস হয়। তারপর সচলে এসে চরম, গরম, দারুন সব লেখা পোস্ট করে। আপনিও তো তাই করলেন। এই জন্য বললাম ধুগো রোগ।
বুঝছেন এইবার??
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বড় যেই বোঝা বুঝি, সেইটা হইলো- সবাই নিশ্চয়ই এইভাবে তাকায় টাকায়, মুগ্ধতার নাকানি-চুবানিও খায় টায়, তবে খালি ধূগো, আনিস ভাই আর আমিই বোধ হয় এমন সততার সাথে সেইটা সবাইরে বলি, আর সবাই চামে বামে চেপে টেপে যায় আর কি!
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
জেমস ব্লান্ট এর You're beautiful গানটা মনে পড়লো..
...
You're beautiful. You're beautiful.
You're beautiful, it's true.
I saw your face in a crowded place,
And I don't know what to do,
'Cause I'll never be with you.
..
..
না শুনলে শুনতে পারেন এখান থেকে।
http://www.esnips.com/doc/0f4debfe-d17d-4669-a798-5ac21dd4ed78/Youre-Beautiful---James-Blunt
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সুন্দর গান।
অনেক ধন্যবাদ সৌরভ- পাঠ, মন্তব্য এবং গানের লিংক-সহ তথ্যের জন্য।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এই লেখাটা প্রথম যখন পড়ি, তখন মাত্র তিনটা কমেন্ট পড়েছিল। তারপর একটা মন্তব্য লিখলাম (চতুর্থ), মুছে দিলাম, বের হয়ে গেলাম। যে ঘোরের মধ্যে ছিলাম, সেটা কাটিয়ে উঠতে অনেকটা সময় নিয়ে নিলাম অবশ্য। এরপর বেশ অনেকবার পড়ে ফেলেছি। কী দুর্দান্ত লিখেছেন! যেন আপনার লেখায় নিজেকে দেখলাম। কতবার যে কত জায়গায় এরকম মুগ্ধ হয়েছি ক্ষণিকের দেখায়। খুব সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছেও একটা!
পড়ার এক পর্যায়ে সৌরভ ভাইয়ের উল্লেখ করা গানটার কথাও মনে হয়েছে। অসম্ভব পছন্দের একটা গান আমার।
ভাল থাকুন সাইফুল ভাই। নিয়মিত লিখুন।
চলেন গানটা আবার আমরা তিনজনে একসাথে গাই! সৌরভ, থ্যাংকস অ্যাগেইন।
আপনি তো আমাকে উল্টো অভিভূত করে দিলেন এমন মন্তব্য দিয়ে! অ্যাতো ভালো লিখেছি না কি আমি?!
আপনার সাম্প্রতিক ঘটনাটাও তাহ'লে শেয়ার করে ফ্যালেন দেখি আমাদের সাথে! আমরাও অনেক সুন্দর ক'রে কমেন্টাকমেন্টি-তে গলা মেলাবো দেখবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, অতন্দ্র প্রহরী। বকেয়া আদায়ে সকাল সকাল মনটা ভালো ক'রে দিলেন আমার!
[ নিয়ম আর সময়কেই আমার কাছে সবচে' খতরনাগ দুই শত্রু মনে হয় সারাজীবন। নিয়মিত লেখার সময় জোটে না ভাই, সত্যি। খালি নিজের বিষ হজম না করিয়ে সবার লেখা পড়তে চাই ব'লে পাঠ আর মন্তব্যেই প্রায় পুরো সময়টা চ'লে যায়- তা-ও এটাই তো সবসময় ঠিকমতো করতে পারি না (আর আপনি তো জানেনই আমার প্রিয় অফিস ছাড়া আমি খুব কম সময়ই থাকি আর বাসায় ব্রাউজিং করি না ( আর কতো?! )। থ্যাংকস আ লট ফর দি ইনস্পিরেশন অফ কোর্স! ]
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন