মাহবুব লীলেন’র ‘তৃণতুচ্ছ উনকল্প’: গল্পদের ঊর্ধ্বে যে অগল্প
১।
বেশ কয়েক মাস পরে একটি বই পড়লাম আমি - ব্যস্ততার অজুহাতে কুঁড়ে পাঠক - পড়লাম মানে কি, প’ড়ে একেবারে শেষও ক’রে ফেললাম! এই কারণেও, এবং বইটির ধরনের কারণেও সে বইটি নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি, মানে লিখতে যাচ্ছি। যদিও কিছুদিন আগে ক্যামেলিয়া আপুও এ বইটি এবং আরো কিছু পূর্বাপর অনুরণন নিয়ে লিখেছিলেন, তবু আমি আবার সাহস করছি বড়মুখ ক’রে। লীলেন ভাই কিংবা তার বা আমাদের এই উনকল্প মহাগল্পের সঙ্গে আমার কোনো জড়িতির দাবি, দায় বা সুযোগে নয়, বরং বলা যায় সে জড়িতি সত্ত্বেও লিখছি, কারণ ভালোই ইচ্ছে করছে লিখতে। বিচারমূলক পুস্তক পর্যালোচনা তো নয়, এগুলো আসোলে (লীলেন ভাইয়ের মতো ক’রে লিখলাম) তো সহব্লগারের পাঠানুভূতিই। তাই, লীলেন ভাইয়ের অনুমতি না নিয়েই এটুকু স্পর্ধা করছি সরল বিশ্বাসে।
গ্রন্থ: তৃণতুচ্ছ উনকল্প
লেখক: মাহবুব লীলেন
প্রচ্ছদের আলোকচিত্রী: জুবায়ের আলী খান লোদী
প্রচ্ছদশিল্পী: নজরুল ইসলাম
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০০৯
প্রকাশক: শুদ্ধস্বর
২।
সম্ভ্রমাদায়ী এই ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার পরিচয়ে ঈশ্বরের কোনো ইশারার উপস্থিতি তো দূরের কথা, ঈশ্বর প্রকারের কারো এমনি উপস্থিতিই আমি জানি না, মানি না। তবে, কোথায় যেন কীভাবে যেন এটা হওয়ারই ছিল বেশ শক্তপোক্তভাবে। জানি না কে, কেন, কোথায় এই যোগাযোগের একটা মহান দায়িত্ব নিয়ে বসেছিল গোপন নেপথ্যে! বিলিভ ইট অর নট, চার-চারবার পরিচয় হয়েছে তার সাথে আমার। টেস্ট ক্রিকেটের পূর্বাভাসহীন চার-চারটে পৃথক ইনিংসের মতোই, উত্তরোত্তর টানটান! কারণ সত্যিই একটা ভাঁজখোলা ক্রমপর্যায় চলছিলো আমাদের এই পরিচয়ে, ভাইসে ভার্সা-টা না ঘটলেও অন্তত আমার দিক থেকে লীলেন ভাইয়ের পরিচয় প্রতিভাস উন্মোচনের ক্ষেত্রে। প্রথমবার সেই ২০০১-এর শেষদিকে ঢাকার একটা থিয়েটার গ্রুপে, যখন অর্বাচীনত্বের নিষ্পাত্তা ভারাক্রান্ত আমার চোখে আমার ছয় মাসের মেয়াদমধ্যে যথেষ্ট অসংশ্লিষ্ট একজন দূরবর্তী ভাবাক্রান্ত ব্যক্তিই মনে হয়েছে তাকে। বছর-কয়েক পর দ্বিতীয়বার হ’লো ‘আজিজ’র উপরে একটি হঠাত্ ফিল্ম সোসাইটি-তে, যেই সন্ধ্যায় আমি সেটার এক সভায় হঠাত্ নতুন সভ্যপ্রয়াসী, আর তিনি দেরিতে এসে প্রায় সভাশেষে সাক্ষাতের সৌজন্যে যোগ দেয়া অন্যতম সভ্য। দ্বিতীয় জন্মের এই সাক্ষাতের পরিচয়পর্বে অবশ্য স্মরণ-নিউরনে আমার বিনয়ী গুঁতো খেয়ে তিনি আমার চেহারা মনে ক’রে আনতে পেরেছিলেন সেই নাটক-কালের গহ্বর থেকে। তৃতীয় ধাপটি তার নাটক-সিনেমা-শিক্ষা-সুবাদের বন্ধুচক্রের মাধ্যমে, তার কোনো উপচক্রে আমিও প’ড়ে ছিলাম ব’লে। দেরিতে হ’লেও নিয়মিত এপাড়া ওপাড়ায় দেখাটেখা হ’লে এক-আধটু হাই-হেলো এই পর্বেই যা একটু হয়েছে আমার আর লীলেন ভাইয়ের। এবং সেই উপচক্রের বদান্যতায় তার লেখাশৈলীর বিস্তার আর গভীরতার সঙ্গেও আমার এক-আধটু পরিচয় শুরু হয়েছে আসোলে ওই পর্বেই। ভদ্রলোকের মাথায় কিডনি আছে!- সেই বোঝাবুঝি হয়ে যাওয়ায় আমার ছোট্ট মাথা থেকে হঠাত্ নেমে গ্যালো উনার আপাত ভাব-ভারের বোঝাটাও। কারণ, আমি তখন যথাবিহিত শ্রদ্ধাপূর্বক এই সিদ্ধান্তে আসতে পারলাম যে তার এই ভারটা শোম্যানশিপ নয়, এটা একাধারে জনপ্রিয় এবং ওয়েল-ডিজার্ভড একটা ওজন। তারপর, ২০০৮-এর শেষদিকে এসে হঠাত্ যখন ওকেশনাল ব্লগার হয়ে যাচ্ছি আমি, তখন ভিতরে ঢুকেই যে কয়টা ব্যক্তিকে দেখতে পেলাম সম্মানিত সমাসীন, তাদের মধ্যেও কর্মগুণে যথেষ্ট উজ্জ্বল ব্যক্তিটির নাম মাহবুব লীলেন। চতুর্থ মোকাবেলার সেই বেলাতেও শুধু নাম দেখে তিনি আমাকে চিনতে পারেননি। পরে আমার ছবিছাড়া বর্ণনায় আবার ঠাহর করানো গিয়েছিল অবশ্য, যদিও আমার মতো একটা চুনোপুটিরও আফ্রিকান মাগুরের মতো খানখান বিপজ্জনক এমন বাহারী ত্রিপদ নাম হ’তে পারে কি না- তাতে তার অবিশ্বাস ছিল যথেষ্ট!
৩।
‘নিমনাখারা’ দিয়ে মাহবুবলীলেন-পাঠের সেই শুরুতেই কম-পড়া-জানা আমি দেখলাম- বই আর লেখকের বিষয়ে বইয়ের মোড়কে যে দু’টো ফ্ল্যাপ থাকে ড্রয়িং আর ডাইনিং রুমের অভ্যর্থনাপ্রতিম, সেই দু’জায়গা থেকেই দুর্ধর্ষ অ্যাবস্ট্রাক্ট (অ্যাবসার্ড নয় মোটেই) কাব্য শুরু হয়ে যায় গদ্যপদ্যের এই উভচারী ব্যক্তিটির। ফ্ল্যাপ-ও বুঝি এমন অনিন্দ্য সুন্দর হ'তে পারে কোনো বইয়ের! আমার সেই মুগ্ধতায় আর এখন পর্যন্তও তেমন কোনো ছেদ দেখিনি আমি। আমার জন্য ঠিক এই সময়ে এটাও সহজ আর সৌভাগ্যজনক একটা ব্যাপার, যে- যাদের কাছে আমার এই কথাগুলো পৌঁছুচ্ছে ব্লগের প্রশস্ততায়, তাদের সকলেরও মোটামুটি জানাই আছে মহামতি মাহবুব লীলেনের সকল মহিমা। এমনকি, সেই ভ্রূণপর্ব থেকে শুরু ক’রে ‘তৃণতুচ্ছ উনকল্প’র রবি-খরিফ-শস্যপর্বও আপনাদের সবারই জানা। এক কথার একটি সত্যকে নিয়ে অনুসন্ধান-অনুশীলনের অভিনব আর বিরল অভিপ্রায়ে সচলায়তনে দু’সময়ে দু’টি বিশাল টপিকের মাধ্যমে হয়েছে গল্প বা অগল্পের বা গল্পোর্ধ্ব এই চাষাবাদ। আমিই বরং বেশি দেরিতে এবং কম ছুঁতে পেরেছিলাম এই অভিনব মহাআখ্যানকে। “বিলাপ থেকে যায় বিলাপের স্তরেই / গল্পটা হয়ে উঠে গল্প না হবার প্রমাণ”- লেখকের এই শানদার ডিসক্লেইমার বা আততায়ী উপশিরোণাম ইতিমধ্যেই দেখে থাকবেন আপনারা, যারা পড়েছেন এই গ্রন্থরূপ। যারা পড়েছেন, তারা নিজেরাই এ-ও দেখে নিয়েছেন নিশ্চয়ই- ‘গল্প’ না হয়েও এই গল্প অন্য আরো কতোকিছু হয়ে উঠেছে কতো দিকে কতো মাপে! আউট-অব-দ্য-বক্স ক্রিয়েটিভ মানুষের অভিনব আইডিয়ায় আর দুর্দান্ত স্মার্ট গ্রন্থণশৈলীতে, কালের কালের মুখের মনের ছায়ায় ছায়ায় এখানে মিলেছে মুক্তিযুদ্ধের ভীষণ ধারাবাহিক সুদীর্ঘ সুগভীর সচেতন পাঠ-চর্চা আর গভীরতর অন্তরচর্যা, বস্তুনিষ্ঠ আর ভাবসত্য অতো অতো দলিল, দেশ আর মানুষের প্রতি দেশের মানুষের পরম সহমর্মিতা- অর্থাৎ প্রশ্নের ঊর্ধ্বের হিউম্যান এমপ্যাথি, দেশোর্ধ্ব মানবতা, মানবিকতা, স্বার্থের ঊর্ধ্বে নামের ঊর্ধ্বে আরো কীসের কীসের যেন দায়বদ্ধতা, এমন বিরল একটা অনুশীলনে এতগুলো মানুষের নিজ নিজ বোধবুদ্ধির দাখিল আর আন্তরিক পরিশীলন, আর কী না!
৪।
ও মাইও মাইও গো। মাইয়া লোকরে অত অত্যাচার ...
বীরাঙ্গনা বিষয়টিকে অনেকের মতো আমিও জেনেছি বিভিন্ন পর্যায়ে, ধাপে ধাপে একটু একটু ক’রে। শব্দগত ব্যুত্পত্তিক অর্থটার থেকে বেশ অনেক পরে যখন সত্যিকারের নামগত অর্থটা জানতে পেরেছিলাম, সেটা কীরকম নাড়িয়ে দিয়েছিল ভেতরটাকে, তা আজ অতোকাল পরেও ব্যাখ্যা করা কঠিন হবে বুঝতে পারি। আমাদের ‘লজ্জা’-রক্ষণ-শীল সমাজের কারণেই হোক, আর বাস্তবতার কাঠিন্য ভুলে সহজে নির্বিকার নির্লজ্জ সুখী হওয়ার প্রবৃত্তির জন্যই হোক- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনারা গুটিকয় লোকের ভাবনায় এবং আরো অল্প কিছু লেখায় ছবিতে ছাড়া তেমন একটা জায়গা আসোলে পাননি কোথাও। মাহবুব লীলেন-ও তার উত্সর্গপত্রে লিখতে মিস করেননি - “নাম না জানা অগুনতি বীরাঙ্গনা / যারা না পেয়েছেন সম্মান / না পেয়েছেন জীবন”। শরীরে মনে মাথায় কী ভীষণ পৌনঃপুনিক পীড়ন, বিড়ম্বনা আর বিব্রতি নিয়ে বেঁচেছেন মরেছেন বাঁচছেন কতো বীরাঙ্গনা! জানি না- কতো কিছু তাঁদের রুদ্রনম্র ঐশ্বর্যমূর্তির চরণে দিলে পরে সেই ঋণ শোধ হ’তে পারতো কোনোদিন কিংবা আদৌ তা হ’তে পারতো কি না! ‘তৃণতুচ্ছ উনকল্প’ গ্রন্থে সচল-টপিক-এর বাইরে থেকে যুক্ত একটি নব-উন্মোচনে যখন জানি কোনো এক নন্দিতাকে যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত হানাদার-রাজাকারদের সেবা দেয়ার পরে যুদ্ধশেষে আরো বহুদিন যুদ্ধফেরত মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও সেই একই সেবা দিতে হয়েছিল, তখন বিব্রতির সাথে কী বিষম এক লজ্জাও যেন অ্যাতোটুকু সংবেদী সমস্ত পুরুষের (যদিও এ প্রজাতির পুরুষেরা সংখ্যায় একদমই লঘু) কাঁধেই চ’লে আসে। সে লজ্জা রাখার জায়গা কোথায় পাবো? না, পাবো না। উপায়হীন অন্ধ উপত্যকায় যাদের নিরীহ শরীরগুলোর উপরে-নিচে-মধ্যে চললো আধিপত্যবাদ আর স্বাধিকার-স্বাধীনতার পাঞ্জা খেলা, তাদের স্বাধীন হওয়া হ’লো কই?! হ’লো না তো!! হায়!!!
৫।
লিখনকৌশলে লীলেন ভাইয়ের ক্ষমতার তুলনায় এখানে হয়তো কমই ক্যারিশমা দেখেছি আমরা, হয়তো পরিকল্পিত বস্তুনিষ্ঠ কন্টেন্ট-এর যে কনফাইনমেন্ট ছিল সেটারই অনিবার্যতায়। তারপরও ইন্ডিপেন্ডেন্টলি এই বিষয়বস্তুর এই বিন্যাস অবশ্যই যেকারো জন্যই চমকপ্রদ হবে। যে প্রথম পড়ছে পুরো বিষয়টাই - একটা গল্পের জন্য শব্দ বাক্য কল্পনা চেয়ে চেয়ে বেড়ানো থেকে শুরু ক’রে - সে এর অভিনবত্বে এবং গতিবিধি-ভঙ্গিমায় জায়গায় জায়গায় নতুন ক’রে সংশ্লিষ্ট হওয়ার তাগাদা আর স্বাদ পাবে নিঃসন্দেহে। আমাদের জন্য যেটা চমক, সেটা বেশি এই টপিক থেকে গ্রন্থে রূপান্তরের কিছু সূক্ষ্ম কৌশলে। আমি হ’লে কী করতাম জানি না, তবে লীলেন ভাই যেভাবে এই ট্র্যান্সফর্মেশন রি-ফর্মেশনের কাজগুলো করেছেন সূক্ষ বিচক্ষণতায়, তা সত্যিই মজাদার। টপিক পোস্ট করা থেকে চিঠির মাধ্যমে ডাক পাঠানো, পড়া থেকে গল্পকল্পালোচনায় মুখোমুখি উপস্থিত হওয়া, কমেন্ট করা থেকে সামনাসামনি কথা বলা, এমনকি লিখে চ’লে যাওয়া বা লগ-আউট করা থেকে গল্পাংশের কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে ব্যর্থতার বয়ান ক’রে নাতিদূরের টিলাটির দিকে চ’লে যাওয়ার এই যে চমত্কার বদলগুলো - যা টপিক থেকে বই পর্যন্ত ওই যুথবদ্ধতার ইন্টারঅ্যাকটিভিটি’র চিত্রক্ষেপগুলোকে অনেক বেশি সচল দৃশ্যমান বোধগম্য জীবন্ত আর অর্থবহ করে - অবশ্যই ফর্মে দিয়েছে নতুন মাত্রা, নতুন স্বাদ, আর যথেষ্ট অ্যালিয়েনেশন নিয়েও এক জাদুকরী নতুন ইনভল্ভমেন্ট! জানা জিনিসগুলোও অজানা ভাঁজগুলো খুলে খুলে আবিষ্কারের মজাটা পাওয়া গ্যাছে সেজন্যেই। লীলেন ভাইয়ের পরিচিত স্নেহধন্য আমার আর এক বন্ধু এ বইটি পড়ার পর যখন আলাপ হচ্ছিল - আমিই তাকে এ বইয়ের সন্ধান জানিয়েছিলাম ব’লে, আর বইয়ে আমার নামটিও নিদেন উচ্চারিত ব’লেও - তখন আমি ব্লগের ইন্টারঅ্যাকশনের পন্থাটি ব’লে বুঝাচ্ছিলাম বইয়ে রূপান্তরকালে লেখক কীভাবে জিনিসগুলোকে চাক্ষুস অংশগ্রহণের রূপ দিয়েছেন, আর দেখেও বুঝতে পারছিলাম যে এই জানাটিও সেই বন্ধুর পাঠ-পর্যালোচনাকে যথেষ্টই আমোদ দিচ্ছিল। তবে কী- আর একটা কাজ বোধ হয় করা যেতো ব্লগের বাইরের পাঠকদের সুবিধার্থে - যথার্থ প্রপার নাউন ছাড়া ব্লগারদের যে অন্য নিক-গুলো আছে বইয়ে অবিকল, সেগুলোতে অন্তত সিঙ্গেল ইনভার্শন কমা দিলে বোধ হয় সবার কাছে আরো একটু পরিষ্কার হ'তো ব্যাপারটি। সুবিধার জায়গাটি হ’লো- চরিত্র কথা বলতে শুরু করলেই না-বোঝার ধাক্কা না খেয়ে সেটাকে চরিত্র হিসেবে সেন্স এবং বিলিভ ক'রে নিতে পারাটা। শুধু-ধাক্কায় আপত্তি থাকতে পারে না, তবে না-বোঝার ভ্রুকুঞ্চন থেকে গেলে একটু দূরবর্তী হয়ে যাওয়া হয় বুঝি-বা! হ্যাঁ, এটা একদম জরুরি না, এটা না করায় মহা কোনোকিছুই অশুদ্ধও হয়ে যায়নি। হ’তেই পারে- এ ব্যাপারটি লীলেন ভাই বেখেয়ালের স্লিপে মিস-ও করেননি, সচেতনেই এভাবে রেখেছেন। যাক।
৬।
ভালোর তো আর শেষ নেই। কারো জন্যই নেই। লীলেন ভাইয়ের সাথে এ বিষয়ে কথা না ব’লেও নিশ্চিত ব’লে দিতে পারি আমি - তার ভিতরে বিস্তর অতৃপ্তি থেকে গ্যাছে বইয়ের নানাকিছু নিয়ে, যেই অতৃপ্তি কমবেশি থাকবেই। না থাকা সম্ভব যেমন না, কাম্যও না। তৃপ্ত হ’লে শিল্পী না কি মৃত হন! আমরাও জানি- এটি ভালোর যেমন সীমা নয়, লীলেন ভাইয়েরও সর্বোচ্চ সীমা নয়। আর, এটিও বোধ হয় একটা বড় বিষয়, যে- ফর্ম, অ্যাপ্রোচ আর সাহিত্যমানের চেয়ে এই রেসপন্সিবল/প্রপাগান্ডিস্ট/যা-ই-বলি-না-কেন পুস্তকটির বরং অন্যবিধ গুরুত্ব আছে বিষয়, বক্তব্য আর উদ্দেশ্যে। এই অনুশীলন বলেছে অনেক কিছু, বলতে পারেনি আরো অনেক কিছু, আর পাঠকমাত্রকে ভাবাবে আরো অনেক অনেক বেশি কিছু।
৭।
বইটির নামটি কঠিন হয়েছে। বিজ্ঞাপনের ভাষায় যেটাকে আমরা বলি “মাউথেবল না”। বলতে ভুল করবে অনেকেই। মনে রাখার পক্ষেও কঠিন। তবে, আমার হঠাত্ এটাও মনে হ’লো- বইটি যাকে যতোটুকু স্পর্শ করবে যেভাবে, সেই অনুসারে কেউ কেউ হয়তো নিজে নিজে এমনিতেই একটা নাম দিয়ে নিতে পারেন এটার। আমার কাছে যেমন লেখকের উচ্চাশা আর হতাশার পাশাপাশি বিনয়টাও বোধগম্য হ’লেও এ গল্প বা অগল্পকে কোনো অর্থেই ‘তুচ্ছ’ আ ‘উন’ ঠাহর হয়নি। অন্যেরাও বলবেন হয়তো এ বইয়ের বিষয়ে আরো, প্রতিক্রিয়া বা অনুভূতি। আমাকে কোনো ভুল-বলা বা কিছু বলতে-না-পারার জন্য গালি দিতে চাইলে তা-ও তো বলবেনই। একই অঙ্গে বহুরূপী আরেক নাক্ষত্রিক প্রতিভা নজরুল ভাইয়ের করা এই বইয়ের অনবদ্য প্রচ্ছদটার কথাও এক বাক্যে স্মরণ ক’রে যাচ্ছি আবারও এখানে, যদিও আগে অন্য টপিকান্তরে তাকেও দু-দু’বার বলেছি সেই মুগ্ধতার কথা। লেখকের অ্যাকনোলেজমেন্ট-এর বাইরে আমি এই বিষয়োত্থাপনের অবকাশে অভিবাদনও জানাতে চাই মাহবুব লীলেন’র সাথে আরো যারা এই গল্পোর্ধ্ব অগল্পে ইট-সিমেন্ট-বালু-শ্রম-ঘাম দিয়েছেন সেই সহ-ব্লগারদেরকে। অভিনন্দন, প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল ভাইকেও।
মন্তব্য
সম্পাদনা-অক্ষম সংশোধনী:
* প্যারা ৭, লাইন ৫: 'তুচ্ছ'র পরের শব্দটি 'আ' নয়, হবে 'বা'।
** প্যারা ৭, লাইন ৯: 'টপিকান্তরে' শব্দটির আগে 'অন্য' শব্দটি হবে না। এটি বাদ।
দুঃখিত।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
একটা প্রশ্ন করি বরং, রিভিউ সম্পর্কে রিভিউ লেখা কি জায়েজ?
ল্যাখেন না রিভিউয়ের একটা রিভিউ, প্লিজ।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ফান করসিলাম বস। আসলে প্রথম দুই প্যারাতে হালকা চোখ বুলাইসিলাম তো তখন, তাই বলতে ইচ্ছা করতেসিল যে লেখাটা "বাংলা"য় লেখা যাইত না?
আমার ভাষাজ্ঞান খুব একটা ভাল না।
আর, আমার বাংলাজ্ঞান খারাপ, তাই তো বাংলায় লেখা তেমন একটা হয়ে ওঠে না।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
খুবই মজার একটা কথা বলসেন
তখনো আমি ব্লগের বাসিন্দা না। মনে পড়ে, আপনিই একবার কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন সুলেখক, কবি মাহবুব লীলেনের কথা। যদিও তার নামটা জানতাম। কিন্তু পড়া হয়ে উঠেনি কখনো। আপনার কথার সুত্রে পরে নিমনাখারা পড়া। পড়ে ভালো লাগাটা তো লীলেন্দাকে জানিয়েও দিয়েছি একদিন। ‘তৃণতুচ্ছ উনকল্প’ বইটি প্রকাশমাত্রই কিনে লেখকের অটোগ্রাফসহ জমিয়ে রেখেছি মজা করে পড়বো বলে। এখনো পড়া হয়ে উঠেনি। তবে হবে নিশ্চয়ই। তখন না হয় জানানো যাবে পাঠ-প্রতিক্রিয়া। তবে সাইফুল ভাইয়ের রিভিউ পড়ে কিছু পয়েন্ট তো নোট করেই নিলাম। পড়ার সময় মিলিয়ে দেখবো তা।
রিভিউটা যথারীতি সাইফুলীয় হয়েছে!
খাইছে! মিলায়া দেইখ্যা পরে মিল না পাইলে, আমারে আবার গাইল দিবা না কি পান্থ? রিভউরে 'সাইফুলীয়' বইল্যা একটা গাইল তো অলরেডি দিয়াই দিলা!
ধন্যবাদ।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
০১
০২
অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, আপনি যার বই নিয়ে এতো ফাটাফাটি একটা রিভিউ লিখে ফেললেন, তিনি সম্ভবত এইটা পড়বেনই না !
কিছুদিন আগে এক আড্ডায় লীলেন ভাই বলেছেন, উনি যেসব লেখা পড়েন না, তার মধ্যে রিভিউ আর সমালোচনা সাহিত্য সবার আগে
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমার মনে হয় উনি পড়বেন। কারণ আজ "অন্তস্থ পৃথিবী" বইয়ের রিভিউতে লীলেনদার মন্তব্য দেখলাম একটা (যেটা দেখে মনে হলো রিভিউটা উনি পড়েছেন)
০১
অনেক ধন্যবাদ সবজান্তা।
০২
অত্যন্ত সুখের সাথে জানাচ্ছি, আপনার এই কমেন্ট প'ড়ে আর একটু স্ক্রল ক'রেই দেখলাম মহামতি লীলেন ভাই এইটা পড়ে গেছেন। আমার রিভিউ যাতে উনি পড়েন, সেইটার লেইগ্যাই তো আমি উনার বই দিয়াই শুরু করলাম!
ওই প্রতিক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া পড়তে অবশ্য ভয় লাগতেছে। কী জানি ওইখানেও অনেক গাইল খাইছি কি না!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
স্যরি, (রিভিউ না পড়ে) আগের মন্তব্য করেই বাইরে যেতে হয়েছিল, তাই এত দেরিতে আবার মন্তব্য করা।
বইটা এখনও পড়া হয়নি। রিভিউটা পড়লাম। দারুন লাগল। বইটা পড়া হলে রিভিউটা আরেকবার পড়ে নিজের অনুভূতির সাথে মিলিয়ে দেখব। সচলদের আরো যেসব বই পড়বেন, সেগুলো সম্পর্কেও রিভিউ লিখে ফেলেন সাইফুল ভাই। সব বই আমি এখনও পড়ে শেষ করে উঠতে পারিনি। এ পর্যন্ত শিমুল ভাই, নজু ভাইয়েরটা পড়া শেষ করে, এখন অমিত ভাইয়েরটায় আছি। কাল-পরশুর ছুটিতে আশা করি এক টানে অনেকগুলো বই পড়ে ফেলতে পারব।
নিয়মিত লিখুন
আর দেরি! আমি তো আবার এলাম আরো দেরিতে, এই অশনিবারে!
অনেক ধন্যবাদ অ.প্র., সবকিছুর জন্যই। আপনার স্মিত উত্সাহ সত্যিই সুখী করে।
আমার তো এই মেলায় কেনা বইগুলো প'ড়ে শেষ করতে মনে হয় আরেক বইমেলা চলে আসবে! যে পরিমাণে আইল্স্যা হইতেছি দিনদিন! ইদানিং তো ছুটিগুলারেও ফুটবলের মতো লাত্থি দিয়ে দিয়ে নষ্ট করি। আমার দ্বারা আসোলে কিছুই হবে না রে ভাইডি!
আপনার লেখাও পড়ি না মেলাদিন। লেখেন। হুম। বই নিয়েও স্টিল কিছু লেখেন না হয় এই সিজন-টায়!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কী যে বলেন। কাজ তো থাকবেই, ব্যস্ততাও থাকবে। এর মধ্যেও সময় বের করে নিতে হবে। চেষ্টা করলেই পারবেন মনে হয়।
মেলাদিন আর কই! এই তো কয়দিন আগেই দুইটা রিভিউ-জাতীয় লেখা দিলাম। একটা বই, আরেকটাও "বই" (সিনেমা)। দেখি, হয়ত লিখব আবার কিছু খুব তাড়াতাড়িই। ধন্যবাদ সাইফুল ভাই। ভাল থাকবেন।
হ্যাঁ, চেষ্টা করলে কিছু তো পারা যায়। তবে কি- আমি সবসময় চেষ্টাটাও ঠিকমতো করতে পারি না। সেজন্যে মাঝে মাঝে ব্যস্ততার চেয়েও বেশি দায়ী হয়ে যায় আমার শীতনিদ্রাতুর টাইপ। চান্স পাইলেই ঘুমায়া যাই।
আপনিও ভালো থাকেন। কথা হবে।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
তাইলে চেষ্টা করার চেষ্টা কইরেন
হুম। তা-ই করি।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
অত প্রশংসায় তো শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার উপায়
মন্তব্য কী করব খুঁজে পাচ্ছি না
০২
প্রথম খসড়ায় নিকের মানুষগুলোকে আলাদা আলাদা চরিত্র হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলাম
পরে দেখলাম এই জীবন্ত চরিত্রগুলোর অনেকের সাথেই আমার পরিচয় নেই
যাদের সাথে আছে তাদের সাথেও সামনা সামনি মাত্র দুয়েকবার দেখা হয়েছে
তাদের সম্পর্কে যা জানি তার সবই ব্লগের লেখা আর কমেন্ট থেকে
ফলে চরিত্র সাজাতে গেলে পুরোটাই আমাকে ভরসা করতে হচ্ছে কল্পনার
এতে নিকধারীদের সাথে চরিত্রে বৈশিষ্ট্যগুলো নাও মিলতে পারে
আবার মিললেও লেখক নিজে তা পছন্দ নাও করতে পারেন
ফলে সরাসরি নিক উল্লেখ করে তার কমেন্ট দিযেই তাকে সাজালাম
এতে কারো কারোটা আলাদাভাবে দাঁড়িয়েছে। কারোটা থেকে গেছে ঝাপসা
০৩
গল্পের চরিত্র হিসেবে নিক ব্যবহার করারয় ব্লগের বিষয়ে অজানা লোকজন ধাক্কা খাবে এবং কোথাও কোথাও গুলিয়েও যাবে আমি জানি
একটা খসড়ায় নিকের সাথে প্রত্যেকের মূল নামটাও ছিল
পরে দেখলাম যারা এখানে কমেন্ট করেছেন তারা নিক হিসেবেই কমেন্ট করেছেন
মূল নামে নয়
এবং আমি কাউকেই জিজ্ঞেসও করিনি যে মূল নাম দেয়া যাবে কি না
ফলে কমেন্টগুলোর মালিক নাম নয় নিক
তাই সরাসরি নিকগুলোই ব্যবহার করেছি। এমনকি দুজন ব্লগারের নিকে বানান ভুল আছে। সেই ভুল বানানই রেখেছি তাদের নিকের
শুধু স্নিগ্ধা নিককে আমি স্নিগ্ধা আলি করেছি তার অনুমতি ছাড়াই
কারণ বারবার মনে হচ্ছিল স্নিগ্ধা নিকে তিনি যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো শুধু স্নিগ্ধা নামের সাথে কেমন বাড়ি খায়
শুধু স্নিগ্ধা বললে কেমন একটা বাচ্চা বাচ্চা মেয়ে মনে হয়
তাই আগাগোড়া স্নিগ্ধার কথাগুলো স্নিগ্ধা আলির কথা বানিয়ে দিয়েছি
(এটা করেছি কারণ আমি জানি তিনি আমার সাথে ঝগড়া করে খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না)
০৪
বইয়ের নামটা আমারও পছন্দ হয়নি একেবারে
কিন্তু আর কিছু খুঁজে পাইনি তাড়াহুড়ার সময়
০৫
বইটা নিয়ে আমার কনফিউশন আছে প্রচণ্ড
সবগুলো চরিত্র জীবন্ত
সবগুলো সংলাপ তথ্য এবং সবগুলো সত্য ঘটনাকে শুধু একটা কাল্পনিক পটভূমিতে বসিয়ে আদৌ গল্প হিসেবে জিনিসটা কতটুকু দাঁড়িয়েছে আমি এখনও জানি না
এর দুর্বলতাগুলো আমার জানা দরকার
জীবন্ত চরিত্র নিয়ে আরো দুটো প্লট আমি নাড়াচাড়া করছি গল্প বানাবার জন্য
হয়তো সেখানে কাজে লাগবে
০৬
সাইফুলের ত্রিফলা নাম দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম
এরকম একটা হালকা পাতলা ছেলের অত ভারী নাম হয় কী করে
আর এখন তার ভাষা দেখে আমি রীতিমতো ভড়কে গেছি
মনে হচ্ছে মাওলানা আকরম খাঁ দের সমসাময়িক কোনো ড. সাইফুল আকবর খাঁ লিখেছেন এই আলোচনা
০৭
এইবার আস্তে আস্তে জিগাই
খাঁ সাহেব কি বাংলা সাহিত্যের ছাত্র?
(অত কঠিন বাংলায় তো অন্য বিষয়ের কেউ কথা বলে না)
যদি হয়ও, তাতে আপনার অসুবিধাটা কী???? বলি, আপনাকে কে দিব্যি দিসে আমার পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সটাকে যথাযথভাবে তুলে ধরতে? বাকিদের নিক ঠিক রইলো, আর আমার সুন্দর নিকটাকে আমার মতো বৃদ্ধা বানানো হলো! কেনু, কেনু, কেনু?????
আর, আপনার কিভাবে এই খোকা বয়সেই ভীমরতি ধরসে জানিনা, কিন্তু ঝগড়া করে আমি আপনার সাথে পারবো না??!! হায়, হায়, হায় !!!!!
বইয়ের কাটতি বাড়ানোর জন্য কিছু বির্তক রাখতেই হয়
এইটা হইল সেইটা
আপনি যত বলবেন লীলেন আমার বয়স বাড়াইয়া দিছে
পাবলিকে তত বই কিনব কেমনে বয়স বাড়াইছে দেখার জন্য
কিন্তু 'আমার' বয়সটা নিয়েই বা আপনার পড়তে হলো কেনু, কেনু, কেনু? নিজের বয়স বাড়ান না গিয়ে? অথবা চাইলে কমাতেও পারেন নিজের কিছু কিছু জিনিষ - যেমন, আপনার পাকা চুলের সংখ্যা, অথবা পাওনাদারদের সংখ্যা, অথবা ছ্যাকাদাত্রীদের সংখ্যা .........
@ লীলেন ভাই-
(০১)
শ্বাস বন্ধ মনে হয় গোঁফের কারণে হৈছে বস! অতো কোনো প্রশংসা তো করি নাই!
আর, মন্তব্য তো বেশ বড়সড়ই করলেন। আমি সত্যিই ভাবি নাই, যে এমন একটা পোলাপান্তি আবঝাব-চেষ্টায় আপনার এতগুলা শব্দ আমি আর্ন করতে পারবো। থ্যাংকস। এখন মনে হৈতেছে আমি এট্টু হৈলেও সফল।
০২ এবং ০৩
জ্বি বস, এই ব্যাপারটা আমি বুঝে নিয়েছিলাম সব বিবেচনায়। ফাইনালি আপনার ডিসিশন-ও বেশ ঠিক আছে। আমি সবকিছুর পরেও যেটা বলেছিলাম- একটা সিঙ্গেল ইনভার্শন দিলে ব্যাপারটাকে নিক নিক মনে হয় বলে ওইভাবেই মেনে নেয়া সহজ হয়। নাইলে, খুব ধাক্কা লেগে যাবে ব্লগের বাইরে একটা পাঠকের, যে- s-s আবার কী! সংসারে এক সন্ন্যাসী আস্ত একটা ফ্রেজ হয়ে যখন বাক্যের সাবজেক্ট হয়ে যায়, তখন বাক্যের স্ট্রাকচার-টাই একটু ভড়কে দেয় প্রথমবার, whereas, ইনভার্শন সহ 's-s' কিংবা 'সংসারে এক সন্ন্যাসী' লিখলে বুঝে নেয়া যায় আর একটু সহজে, যে- এটা কোনো নিক কিংবা অন্তত একই ব্যক্তিকে বুঝাতে ব্যবহৃত কোনো কোড বা ফ্রেজ।
০৪
না, পাঠক অ্যাট লিস্ট অপছন্দ হয়তো করছে না নামটাকে। তবে, ওই যে, আমার বাংলার মতোই একটু ভয়ের জিনিস হিসেবে দেখতে পারে, অবশ্য সেই ভয় থেকেও তো সম্ভ্রমও আসে।
০৫
আমার মনে হয়েছে- "গল্প হিসেবে দাঁড়ানো"র চেয়েও এইখানে উদ্দেশ্য এবং বিন্যাসগতভাবে গল্পকল্প নাড়াচাড়া-টাই এখানে বড়। কারণ, গল্পটা কিন্তু গল্প না দাঁড়ানো নিয়েই। তো, খুব স্ট্যান্ডার্ড বা দেখা ধরনের গোছানো গল্পের গঠনে এটা হয়তো ভালোই লাগতো না। মানে, ভুল প্যাকেজিং হতো সেক্ষেত্রে।
সামনের জন্যও অল দ্য বেস্ট, বস।
০৬
আমি সম্মানিত বোধ করবো, না কি অনেক বেশি সাবধান হয়ে যাবো- বুঝতে পারছি না।
০৭
না বস, আমি আইন-সাহিত্যের [ ] ছাত্র (ছিলাম)!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ, তাও যে আপ্নে একবার আইস্যা একটু উঁকি দিয়া একটু পাড়া দিয়া গ্যালেন এই উঠানে, তাতে অনেক সম্মানিত হৈছি বস।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
বইটা পড়ার জন্য এখনও অপেক্ষা করছি। লন্ডনে যদি কেউ নিয়ে আসেন একটু আওয়াজ দিয়েন। না পড়ে মন্তব্য করতে পারছি না। তবে মহামতি লীলেন ভাই যে বইয়ে মূল কাহিনীতে আমার আইডিয়া সংযোজন করেছেন সেইটা ভেবেই পুলকিত বোধ করছি। বাকী বিষয়গুলো কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছে সেটা জানার ইচ্ছে আছে।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
পুরো বইটা সচলায়তনে দেবার প্লান আছে প্লান আছে প্রথম থেকেই
তবে এই বিশাল বই কনভার্ট করার পরে ভাঙন ঠেকাতে যে খাটনি খাটতে হবে সচলে দেবার জন্য তার ভয়ে একটু দেরি করছি
দিয়ে দেবো এর মধ্যেই
এমন সত্য জানলে দুর্বহ হয়ে ওঠা কষ্ট লাঘব করে হুমায়ুন আজাদের উপলব্ধি: "একবার মুক্তিযোদ্ধা মানেই সারা জীবন মুক্তিযোদ্ধা নয়..."
কথাটির সত্যতা আমরা দেখেছি অজস্রবার।
আপনার শব্দচয়ন আমার খুব পছন্দ। কিন্তু কথা হইলো, ক্যাম্নে ল্যাখেনেমন্কঠিন্বাংলায়!
‘তৃণতুচ্ছ উনকল্প’ আমার কাছে আসিতেছে আরও কিছু বইয়ের সাথে। অপেক্ষায় আছি।
পুনশ্চ. ড্যাশ ব্যবহারে আপনার অনির্দিষ্টতা লক্ষ্য করলাম এই লেখায়। আপনি আগে সব সময় শব্দের অব্যবহিত পরেই স্পেস ছাড়াই ড্যাশ বসাতেন (উদাহরণ: "হ’তেই পারে- এ ব্যাপারটি লীলেন ভাই...")। আমি অবশ্য এই রীতির পক্ষপাতী নই।
বর্তমান লেখায় কিন্তু ভিন্ন নমুনাও দেখা গেল একাধিকবার (উদাহরণ: "ব্লগের বাইরের পাঠকদের সুবিধার্থে - যথার্থ প্রপার নাউন ছাড়া ব্লগারদের...")।
এই প্রসঙ্গে একবার আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল সচলে। তার পর থেকেই কি আপনি কনফিউজড?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
জ্বি বস। আমাদের দেশে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র'র সংগ্রামী শিল্পীও এই পরজনমে জামাত-মিত্র জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি করেন। কিছু বলার নাই আর। তবে, কষ্ট লাঘব কি হয় এমন স্বতঃসিদ্ধ আর্টিকুলেশনে, না কি আরও বাড়ে?!
আপ্নে 'ক্যাম্নেল্যাখেনেমন্কঠিন্বাংলায়' ধরনের শব্দ য্যাম্নে লেখেন, আমিও অম্নেই চেষ্টা চালায়া যাই। কমপ্লিমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ড্যাশ এইখানে হয় না। ড্যাশ দিলে বক্স আসে। হাইফেন-কেই ড্যাশ হিসেবে কাজে লাগাইতে হয় বইলা ওই অবস্থায় আমার মাথা হয়তো একটু ঘুইরা যায়। না বস, আমি এইখানকার কোনো পোস্ট দেখি নাই এই বিষয়ে। আমি যেইটা করি অন প্রিন্সিপল, সেইটা হৈলো- এই যে এখন যা লিখছি, সেটা ড্যাশের অরিজিনাল ব্যবহার, এই ক্ষেত্রে পাংকচুয়েশন মার্কের বেসিক রুল অনুযায়ী আগে স্পেস না দিয়ে পরে স্পেস দিই। আর, অন্য আরেকটা যে ক্ষেত্র আছে, সেটা হ'লো- ওই যে, যেমন কি না বাক্যের দু'টো কনটিনিউয়িং পার্টের মধ্যে একটা ব্র্যাকেট-ছাড়া প্যারেনথেসিস ঢুকে যায় (যেই প্যারেনথেসিস-টা বাদ দিয়েও আগের পরের অংশগুলো মিলে বাক্যের পূর্ণ গঠন হয়ে যায়, শুধু আরও একটু ক্লেয়ার করার জন্য মাঝখানে ওই ব্যাখ্যাটা ব'সে যায় বিক্রিয়াহীন), সেক্ষেত্রে প্যারেনথেসিস-টা'র আগে পরে যে ড্যাশ দিই, সেই ড্যাশেরও আগে পরে দুই জায়গায়ই স্পেস দিই। আমার কাছে এটাই বেশি সুবিধাজনক এবং যৌক্তিক মনে হয়। আর, এর বাইরে যা অনির্দিষ্টতা দেখবেন, মানে এই নিয়ম আমি যখন যেখানে ফলো করিনি, সেটা অবশ্যই বেখেয়ালে মিস ক'রে যাওয়া। মানে, টাইপো বা প্রুফ মিসটেক।
অনেক ধন্যবাদ, সবকিছুর জন্য।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ড্যাশের পূর্ববর্তী স্পেস নিয়ে কনফিউশন আমার এখনও কাটলো না। এইমাত্র অনেকগুলো ইংরেজি বই ঘেঁটে দেখলাম, প্রায় সব ক্ষেত্রেই ড্যাশের উভয় পাশে স্পেস দেয়া হয়েছে। আর বাকিগুলো একেবারেই স্পেসহীন (উদাহরণ: "There was no need to ask where the fire was–it was rolling up...")। তবে ড্যাশের আগে স্পেস নেই, কিন্তু পরে আছে, এমন নমুনা পেলাম না একটাও। রুশ এবং ইউক্রেনীয় ভাষায় ঢালাওভাবে স্পেস ব্যবহার করা হয় ড্যাশের দু'পাশেই। বাংলা ভাষায় কি ভিন্ন রীতি মেনে চলা হয়? আমার জানা নেই
এ বিষয়ে একটি সচিত্র মন্তব্য করেছিলাম আহমেদুর রশীদের পোস্টে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সত্ সত্য বলতে, আমার ঠিক জানা নাই বস। আমার কাছে ওইটা (আমি যেটা বলেছিলাম আগের মন্তব্যে) ফিলে ফিলে লজিক্যাল [ ] মনে হয়, আমি তা-ই করি। মার্জনা করবেন- এটা ঔদ্ধত্য নয়, বড়জোর ফাঁকিবাজি বলতে পারেন।
আপনার ওই সচিত্র প্রতিবেদন দেখে আসলাম এই মাত্র। আরো পেঁচিয়ে গেলাম যদিও, মনে হয় ওটাই ঠিক। বাংলা-টা নিয়ে স্টাডি আমার যথেষ্ট হয় নাই বোঝা যাচ্ছে, তবে কখনও পেলে আপনার সাথে শেয়ার করবো সবার আগে। আর একটা কথা, হয়তো জানেন- আনিস ভাই কিন্তু এইগুলা অনেক পার্টিকুলার ডিটেইলস-সহ জানেন।
থ্যাংকস, সিন্সিয়ারলি।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আরে, মাফ-টাফ চাওয়ার কী হইলো!
আমরা তো স্রেফ আলোচনা করতেসি একটা ব্যাপার নিয়া। যা নিয়া আমি নিজেই কনফিউজড! আপনে এমনে কথা কইলে তো কথা কওয়াই বিপদ, মনে হইতেসে!
আনিস ভাইয়ের সাথে ঠিক এই ব্যাপারেই কথা হইসিল একবার। উদাহরণগুলা দেইখা সে কনভিন্সড হইসে বইলা আমারে বলসে।
বিশেষ কিছু জানতে পারলে জানাইতে ভুলবেন না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আরে না বস। সমস্যা তো নাই। আমি কিন্তু কোনো রিজেন্টমেন্ট বা রিলাক্ট্যান্স দেখাইতে চাই নাই। ভুল বুইঝেন না আবার। সব ঠিকাছে।
অবশ্যই।
ভালো থাকবেন।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
খাইসে............. ডরাইসি.............
এমন রিভিউ আমি আমার জীবনে পড়ি নাই আর....
আপনারে গুরু বলা ছাড়া আর উপায় নাই, সাইফুল ভাই
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ডর তো আমিই খাইলাম বেশি! অ্যাম্নে বলে মানুষ লজ্জা দেয় মানুষরে!
অনেক ধন্যবাদ কীর্তিনাশা।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
একে আমি রিভিউ না বলে পাঠ প্রতিক্রিয়া বলতে চাই। পাঠ প্রতিক্রিয়া অনেক বেশী অনুভুতিময় ও অন্তরঙ্গ। ধন্যবাদ সাইফুল।
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
জ্বি বস, আমিও রিভিউ না ব'লে পাঠানুভূতিই বলেছি।
আপনাকেই বরং অনেক ধন্যবাদ টুটল ভাই, এসে প'ড়ে গ্যাছেন এবং এমন সুন্দর ইনস্পায়ারিং মন্তব্যও ক'রে গ্যাছেন ব'লে।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এই রিভিউ-র সাথে বাংলা অনুবাদ-সহ দিলে আমার মতো সহজ-সরল পাঠকের এট্টু সুবিধা হইতো, ভাইজান।
কমেন্টসহ, নিকশুদ্ধো গল্পে ঢোকানো হবে, লেখকের এহেন ঘোষনা শোনার পর থেকে আমি হাজার বার ভাবার চেষ্টা করেছি, সেটা কিভাবে সম্ভব হবে। কল্পনাতেই আসেনি। কাজেই বইটা হাতে আসার পর আর দেরী করিনি।
বিষয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। স্টাইলটা দুর্দান্ত লেগেছে। এবং অভিনব।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কিন্তু, আমি বোধ হয় তাইলে বাংলা জানি না, অনুবাদ ক্যাম্নে করবো বুঝতেসি না। স্যরি।
অনেক ধন্যবাদ আপু, কষ্ট সহ্য ক'রে এটা প'ড়ে যাওয়ার জন্য।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ধন্যবাদ গৃহীত হলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
তাইলে ম্যাডাম, এইবার বিল-টা দ্যান।
মানে, পেমেন্ট কই?
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
পাঠপ্রতিক্রিয়াটা অসাধারণ লিখেছেন সাইফুল ভাই।
বইটা পড়তে ইচ্ছে করছে। লীলেন ভাই সচলে দিয়ে দিলে অবশ্যই পড়ব।
----------------------------------------
--------------------------------------------------------
এই নিঃশর্ত কমপ্লিমেন্টের জন্য আপনাকে অনেক সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ।
আর, সচলে না দিলে পড়বেন না?
ভালো থাকবেন।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
অনেক আগেই পড়েছি। আত্মস্থ করতে খানিক সময় লাগলো। রিভিউ অবশ্যই ভালো হয়েছে। মনে হচ্ছে বই না পড়লেও চলবে। তবে বাক্য বিন্যাস আরেকটু সরল হলে আমার মতো ফাঁকিবাজ পাঠকদের খানিকটা সুবিধা হতো। ধন্যবাদ।
মূর্তালা রামাত
ধন্যবাদ তোমাকেই, এই যে মুখরক্ষা করার জন্য কমেন্ট ক'রে গ্যাছো, মিয়া ফাঁকিবাজ।
তবে, বইটা প'ড়ে দেখো, এইখানে ফাঁকিবাজি কইরো না ব'লে-কয়ে।
সরল ক্যম্নে করবো বলো? নিজে যে আমি জটিল, যৌগিক, যোগরুঢ়!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
দুর্দান্ত পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য সাইফুল ভাইকে
সমালোচনাও যে সৃষ্টিশীল text তার প্রমান পাওয়া গেল এই রচনায় ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপনার কমেন্ট কমপ্লিমেন্ট পেয়ে আমারও দুর্দান্ত লাগলো মানিক ভাই।
মাথা পেতে নিলাম আপনার উত্তম জাঝা'র উন্নত বোঝা!
অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকেন।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন