প্রতিরাতে আমিও হন্তারক!
বেঘোর এই ব্যাচেলর জীবনে যে প্রতিরাতে মশারির ভিতরে ঢুকেও ঘুমের আগে কারো সাথে কিংবা কোনোকিছুর পিছনে এমন গলদঘর্ম গতর খাটাতে হবে - সেটা আগে ভাবিনি কোনোদিন। রীতিমতো বিনা পারিশ্রমিকে কায়িক পরিশ্রম, তা-ও আবার নাইট শিফ্ট!
বাতাসের প্রধান উপাদানের তত্ত্বে একটা পরিবর্তন এখনও পদার্থবিদ্যায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তবে তার তথ্য এই এখনই আমার কাছেই পাবেন। সেটা হ’লো- ভৌতপ্রাকৃতিক বিবর্তনে বর্তমানে অন্তত বাংলাদেশে হ’লেও, কিংবা বাংলাদেশের মধ্যে নিদেনপক্ষে আমাদের মতো নিচুতলার মানুষের আবাসিক এলাকাগুলোতে, বাতাসের মূল উপাদান ৩টি হয়ে গ্যাছে- অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, আর মশা। হ্যাঁ, ঠিক এটাই লিখতে চেয়েছি আমি- সাধারণ বা পদার্থবিজ্ঞানের কোনো ক্লাস-পাঠ্যবইয়ের ভৌতিক মুদ্রণপ্রমাদ নয় এটা।
নিচুতলার মানুষ হয়েও আমার বসবাস অবশ্য একটা নিচুতলীয় বাসারই ছয়তলায়। বলা উচিত পাঁচতলার ছাদে! আমার একটা ছোট্ট মিষ্টি বন্ধুনি কিছুদিন আগে ফার্মগেট থেকে আমাদের রামপুরায় চ’লে এসেছে, এখন থেকে বোন-দুলাভাইয়ের সাথে থাকবে ব’লে। সে অসহায় সুরে নির্দোষ কৌতূহল জানিয়েছে আমার কাছে- “আচ্ছা, বলো কী কাণ্ড! আমাদের এই পাঁচতলা পর্যন্ত মশাগুলো উঠে আসে কেমন ক’রে! আমি নিজেও ভাবতে ভাবতে বৈজ্ঞানিক ভঙ্গিতে ওকে বলি- “আরে বোকা, মশার কি আর নিচের ডোবা-বিল থেকে উপরে উঠে আসতে হয়? পাঁচ-ছয়তলায় উঠতে ওদের কি আর সিঁড়ির দরকার হয়? বিশতলার ওপরও মশা থাকতে পারে। কারণ ছয়তলার মশার জন্ম আদতে ছয়তলায়ই হয়।” বলি, আর ফোনে ওর সাথে সেই জ্ঞানের কথা বলতে বলতেই নিজেই বোকাই হ’তে থাকি উত্তরোত্তর, তখনও আমারই হাতে-পায়ে পেটে-পিঠে সারাগায়ে মশকরা ক’রে ঘুরে বেড়ানো মশককুলের দুর্দমনীয় জনসংখ্যা আর সেই সংখ্যার অসহনীয় আস্ফালন দেখে!
নগরপিতা তো পিতার পবিত্র দায়িত্বে মশাদেরও জন্ম দিয়েই দিব্যি আছেন বহাল। তার সেই মশকসন্তানেরা আমার ঘুমের আরাম কিংবা ঘরের কাজকাম কীভাবে হারাম ক’রে চলেছে প্রতিনিয়ত, তাতে তো আর তার কিছু এসে যাবে না। দিন গড়াতে থাকে, আর কোনো প্রতিকার-পদক্ষেপ-হস্তক্ষেপ ছাড়াই ব্যক্তির সকল মৌলিক অধিকার স্বাধীন এবং সম্পূর্ণরূপে ভোগ ক’রে মশাদের সংখ্যা আর প্রতিপত্তি আরো বেড়েই যেতে থাকে। উত্তরোত্তর আরো ঐশ্বর্যময় আরো আশীর্বাদময় হয়ে ওঠে বন্ধু প্রকৃতি!
মশার কয়েল বা অ্যারোসল স্প্রে আদতে মশা মারতে কাজে লাগুক আর না-ই লাগুক, আমাকে কম আহত করেনি এযাবতের জীবনে! যেই বাসস্থানেই থাকি, যেই অবস্থায়ই থাকি, মশার পরিমাণ যতোদিন পর্যন্ত একটুও মেনে নিতে পারার মতো ছিল, মানে এভাবে ওরা বাতাসের উপাদান হয়ে ওঠার আগে পর্যন্ত এই নিরীহ প্রাণী আমি, কয়েল-অ্যারোসলের বিষবায়ুর চেয়ে বরং তুলনায়-কম-ক্ষতিকর জ্ঞান ক’রে সহ্য ক’রে গেছি মশার টুকটাক খামচি-কামড় আর গুনগুন জ্বালাতনকেই। আর, শোয়ার সময় সেই ছোট্টটি থেকেই বিছানায় মশারি খাটিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আমি খাঁটি আন্তরিকই ছিলাম। তার ওপর আবার কলেজামলে জুওলজি'র রসিক পণ্ডিত গাজী আজমল স্যার ‘তেলাপোকার খাদ্য’ পড়াতে গিয়ে শুরুতেই বলেছিলেন- “তেলাপোকা কী খায়, সেটা বলার চেয়ে অনেক সহজ আর সুবিধাজনক হয় এটা বলা, যে তেলাপোকা কী খায় না!” শুধু তাই না, তার পরপরই নিজের বাস্তব জীবনের একটা উদাহরণ বা অভিজ্ঞতা হিসেবে স্যার নিশ্চয়ই প্রতিবছরই ছাত্রদেরকে ব’লে যেতেন তাঁর ভিকারুন্নিসা আমলের এক ছাত্রীর একরাতে অতর্কিতে বিনাদোষে তেলাপোকার প্রাকৃতিক প্রতিভার অভিশাপে নিজের একপাটি ভুরু সমূলে হারানোর অপার ব্যথার কথা। তারপর থেকে কখনও সখনও মশার প্রাদুর্ভাব কম পেলেও অন্তত সর্বভূক প্রাণী তেলাপোকার ভোজ হয়ে যাওয়া থেকে জীবনের প্রায় প্রতিরাতেই মশারি খাটানোর কষ্টকর সক্রিয় প্রয়াসে আমি রক্ষা করেছি আমার শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ-উপাঙ্গকে। নিতান্ত গরম কিংবা জনসংখ্যার বাড়াবাড়িতে কদাচ কখনও মশারির নিচে ঘুমানো প্রায় অসম্ভব হ’লেই কেবল কয়েল কিংবা অ্যারোসলকে একটু ভদ্রভাবে সহ্য করেছি ঘুমের আর নিজের আর সহঘুমাদের খাতিরে।
কিন্তু, মশারি না হয় খাটালাম ঘুমের বেলায়! ঘরে একটু লেখালেখি, মুভি দেখাদেখি, রান্নাবান্না, খাওয়াখাওয়ি, প্রকৃতির ডাকে আওয়াজ দেয়াদেয়ির মতো এত এত কাজকর্মের সবই তো আর মশারির আশ্রয়ের ভিতরে করা সম্ভব না! কিন্তু বাসায় ঢুকলেই মশা, মশারি কিংবা অতি-বৈজ্ঞানিক বায়ুশূন্য কোনো ইশ-যদি-থাকতো চেম্বার ছাড়া আর যে কোনো অপশনই দেখি না! আর, মশার কয়েল আর অ্যারোসলের বিরুদ্ধেও প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধ’রে লড়তে লড়তে এই সময়ে মশকপ্রজাতি তো অনেকটাই ফিট হয়ে গিয়ে সারভাইভ ক’রে ফেলছেই বলা যায়। তাই ওইসব পুরোনো অস্ত্র জ্বালিয়ে বা ছিটিয়েও নিচুতলা-ছয়তলার ভেজাল হোমোসেপিয়ান্স আমি নিজেকেই সারভাইভ্যাল-উপযোগী ফিট হিসেবে দেখতে পাচ্ছি না আর। তাই, জীবনের শেষ চিকিত্সা হিসেবে চেষ্টা করার জন্য সেদিন কিনে ফেললাম মাত্রকিছুকাল আগে আবিষ্কৃত একটা মশামারোন্তি ইলেকট্রিক র্যাকেট!
অ্যান্ড ইয়া, [ বিজ্ঞাপন্য ভাষায় বলি- ], নাওঅ্যাডে’জ আই অ্যাম লিডিং আ ম্যাজিক্যালি বেটার লাইফ অ্যাট হোম!
‘মাল’টা যথার্থই এবং যথেষ্টই কাজের। পটপট স্যাটাস্যাট শব্দে মশা মরতে থাকে। অনেক সময় লেগে যায় শত্রুপক্ষে সংখ্যাধিক্যের জন্য। তবু, শেষ করা যায় অনেক সময় নিয়ে হ’লেও। মশারিটা খাটিয়েও ভিতরে নিয়ে একবার কোনাকাঞ্চিগুলানে এটা একবার ঘুরিয়ে আনলে মোটামুটি ঘণ্টাকয়েকের রাতঘুমটা আরাম হয়।
বেআরামের জায়গাটা হ’লো- মশা তো মেরে এসেছি সারাজীবনই কমবেশি, কিন্তু এবারের প্রক্রিয়াটা আমাকে আরামের ফাঁকফোঁকরে অন্যরকম একটা অস্বস্তিও দিচ্ছে খুব গভীর ক’রে! ইলেকট্রিক উপায়ের এই প্রাণীহত্যায় যে দৃশ্য আর শব্দ সৃষ্টি হয়, তার জন্য নিজেকে আগের চেয়ে অনেক বেশি অবিবেচক হৃদয়হীন নিষ্ঠুর লাগে। যেভাবে পোড়া গন্ধ ওঠে মশার ওই ছোট্ট শরীরগুলোর, যেভাবে সারি বেঁধে চোখের সামনে পড়তে থাকে মশাদের শব, এত হিংস্র নৃশংস লাগে নিজেকে! উত্তর পাই না নিজের এই দিকহীন বিদিশার। রাতের বেলায় ঘুম-প্রস্তুতির কাছাকাছি সময়ে ইদানিং আশপাশের অন্যান্য বাসা থেকেও ভেসে আসে এই অসম যুদ্ধ কিংবা গণহত্যার শব্দ। হত্যা করতে করতেই আজও কেমন আউলে আউলে যাই আমি, একদম সত্যি কথা, কসম! আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় কাজটার ঠিক এই রূপটার জন্যই হয়তো এই অনুভূতি বা উপলব্ধিটা এতদিনে এভাবে এরকম মাত্রায় হয়ে উঠলো, যে- আমিও খুনী, আমিও নিজের সুখশান্তির জন্য অন্যকে হত্যা করি! ছোট প্রাণীর বাস্তুসংস্থানীয় ভূমিকার (আমাদের কাছে যেটা মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ!) কারণে সেই বাস্তুসংস্থানের সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষ হিসেবে এই আমিও একজন সিরিয়াল কিলার!
প্রাণীহত্যা মহাপাপ! বুদ্ধিজম মনে আসে। আগের বিভিন্ন সময়ের এলোমেলো চিন্তাগুলো আবার ম্যালা ক’রে মনে ভাসে-
খাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত আমরা গরু-মুরগি-মাছ হত্যা করছি, পোশাকের জন্য কাপড়-সুতা উত্পাদনে ভেড়ার মৃত্যুর অপেক্ষাও আজকাল ব্যবসার হিসেবে পোষায় না, পায়ের নিচে ফেলে কিংবা হাতুড়ির আঘাতে হত্যা ক’রে পশম-চামড়া তোলা হয় ব'লে এই তো ক’দিন আগেই ভিডিও বিবরণ-প্রমাণ দেখলাম একটা! অতো দূরেই বা যাই কেন?! প্রাণী না খেয়ে যদি সবজিভোজীও হ’তে যাই, তাতেই বা কী! গাছেরও যে প্রাণ আছে! কতো নিগূঢ় তত্ত্ব আর কতো নিষ্ঠুর সত্য যে মাথার চারপাশে ভনভন করে মশার চেয়েও বহুগুণ বেশি তেজে! হায় রে বাস্তু! হায় রে সংস্থান! হায় রে শান্তি! হায় রে জীবন! হায় রে দুনিয়া! ...
শেষ হয় না। ক্লান্ত হই। ক্ষান্তি দিই।
অগত্যা অতএব প্রতিরাতে গণহত্যা ক'রে যাই, নইলে যে শ্রেয়তর জীবন আয়োজনে শান্তি আসবে না!
মন্তব্য
হা হা হা। বড়োই মজাদার লাগল আপনার মশকরা, থুক্কু, মশকময় দিনপঞ্জি। কল্পনা করার চেষ্টা করলাম, আপনি একটা র্যাকেট নিয়ে লাফায়া লাফায়া ভয়ংকর মুখে মশককুল ধ্বংস করে যাচ্ছেন

আপনি তো পাপিষ্ঠ। লক্ষ লক্ষ মশার রক্তে রঞ্জিত আপনার হাত। নির্বিচারে এই গণহত্যার কারণে আপনার বিচার হওয়া উচিত।
আপনি বস 'ফ্রুটেরিয়ান' হয়ে যান। এদের অনেকেই নাকি শুধুমাত্র গাছ থেকে খসে পড়া ফল খায়। কারণ এরা মনে করে, গাছের প্রাণ আছে, তাই গাছ থেকে ফল ছেঁড়া উচিত না। যেগুলো গাছ থেকে পড়ে যায়, সেগুলো 'মৃত', তাই সেগুলো খায় তারা।
আপনার জন্য অনেক সমবেদনা থাকল। সেদিন রাতে তো কিছুটা নমুনা দেখলাম (মানে, শুনলাম) আপনার মশা মারার। আশা করি অবস্থার উন্নতি হবে। ভাল থাইকেন।
না না, হাত লাগাই না তো! আপ্নে "সীতা কার বাপ" জিগাইলেন ক্যান্!


হুম, মৃত ফলই খাইতে হৈবো মনে হৈতেছে। নাইলে তো পেট ভইরা খাইয়াও আত্নগ্লানিতে শুকায়া মইরা যামু।
ধন্যবাদ।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
তাইলে কি আপনেই সীতার বাপ?
আপনে এমনেই যে শুকনা, এরচে আর কত শুকনা হবেন বলেন!

আমার মতো ভোটকা হইতেন, তাইলে না হয় আপনার শুকায়া মরার ভীতির কথাটা মানানসই হইত
এইখানেই তো কথা!
আপনে শুকাইলে সাইফুল হৈবেন, আর আমি যদি এই অবস্থা থেইক্যা আরো শুকাই, তাইলে তো ডায়রেক্ট মরহুম হৈয়া যামু!
সীতা?! ওইটা কে? কার ছেলে?!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এইটা পড়তে পড়তেই প্রায় পাচটা মশার কামড় খেলাম !
লেখা মজারু হইসে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হুম।

অনেক ধন্যবাদ স্পর্শ।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
মহাপ্লাবনের সময় নুহ সেই মশাদুটোকে কেন যে মেরে ফেলেননি!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
অসাধারণ সন্ন্যাসীদা, চরম...!!!!!!!
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
@শব্দশিল্পী, আপনার সিগনেচারের কবিতাটা হঠাৎ চোখে পড়ল; আমার খুব প্রিয়। অনুবাদ কি আপনার নিজের করা? আমি এর দু'টো অনুবাদ পড়েছিলাম। সুনীলেরটার চেয়েও দারুন লেগেছিলো বুদ্ধদেবের করা অনুবাদ--
আমি ভালোবাসি মেঘ ... চলিষ্ণু মেঘ... ঐ উঁচুতে ...ঐ উঁচুতে ...
আমি ভালোবাসি আশ্চর্য মেঘদল!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আসলেই ভাব্বার্বিষয়!
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
গ্রেট, সন্ন্যাসীদা'!
রাইটলি পয়েন্টেড আউট। সত্যিই গলদটা ছিল ওই জায়গায়। নোয়ার ভুলে এখন আমি খোয়া যাইতেছি।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আমাদের বাসায় মশা নাই আবার সাথে কারেন্ট ও নাই।
তেলাপোকা একটা নিঃসন্দেহে একটা অতি বদ প্রাণী। আমার মোবাইলের কয়েকটা বাটন খায়া ফেলছিলো তারা!!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আর, কী বিকট গন্ধ যে ছাড়ে! ইশ্, কলেজামলের ব্যবহারিকের জন্য তেলাপোকা-পাকড়াও দুর্দশার গল্পও মনে পইড়া গ্যালো! ধরতে গেলেই ওই গ্যাস ছাইড়া জীবন দুর্বিষহ কইরা ফালায়। এইটারেও নোয়ার নাওয়ে নেয়া ঠিক হয় নাই।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপনার কষ্টটা আমি বুঝি। বিশ্বাস করুন শুধু ঢাকা শহরেই নয় এই উড়ন্ত আপদ থেকে কোথাও মুক্তি নাই। না ডাঙ্গায়, না সাগরবক্ষে। তবে জেনে খুশি হবেন যে এর এক কৌতূহলউদ্রেককর প্রতিকার আছে ।
২০০০ সালের কথা - কাজ থেকে ট্রনিং এ গেছি সিঙ্গাপুরের - দুই সপ্তাহের জন্য। ট্রেনিং চলছে লোইয়াং এলাকার ভাসমান কিছু বার্জে। থাকার ব্যবস্থাও হয়েছে দুটো বার্জে। প্রথম সন্ধায় ডিনার শেষে দুদলে ভাগ হয়ে যে যার বার্জে। আমাদের দলটা সরাসরি ঘুমিয়ে না পড়ে বার্জের বারান্দায় ডেক চেয়ার টেনে বসে বিয়ার নিয়ে আড্ডাটা শুরু করতে যাব, তখনি বোঝা গেল সেখানে "বাতাসের মূল উপাদান ৩টি হয়ে গ্যাছে- অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, আর মশা"। সে এক একটা চড়াই পাখি সাইজের ডোরাকাটা জঙ্গুলে মশা। এই গালে কামড়ায়, এই হাতে। কানের কাছে পুন পুন পুন। সে এক আংশিক রঙীন আপদ। বার্জের সাউথ আফ্রিকান স্টাফের ভাষ্য, এটাই স্বাভাবিক। পরদিন দোকান থেকে মশা নিরোধক মলম এনে তাই মেখে রক্ষা।
পরের সপ্তায় আমার ঠাই হল অন্য বার্জে। সন্ধায় আমার বরাদ্দ ঘরে মালপত্র নামিয়ে রাখতে খেয়াল করলাম, গত কয়েকদিনে যে মশার পুন পুন শব্দে আমি অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি তা আর নেই। কি আশ্চর্য, অন্য বার্জ থেকে মাত্র কয়েক মিটার তফাতে, এই বার্জে কোন মশাই নেই। রহস্যভেদ করতে এখানের মালায়ান স্টাফকে প্রশ্ন করতে প্রথমে সে আমার দিকে কস্কি মমিন টাইপের একটা চাহনি দিল। তারপর একটা ঘাস লাগানো ফুলের টবের দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষন করে পাল্টা প্রশ্ন করল ; "তোমাদের দেশের সেরাই নাই" । থাই সুপে একধরনের ঘাস ব্যবহার করে দেখেছেন নিশ্চয়ই। লেমন গ্রাস, থাই পাতা ইত্যাদি নামে আমি যাকে চিনি, তাকেই তিনি বলছেন সেরাই। টবের মধ্যে বুক সমান সেই লেমন গ্রাসের ঝোপ। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম, সারা বার্জের রেলিং, করিডোর ইত্যাদির একটু পর পর সেই ঘাসের টব। আমার ঘরে এসে খেয়াল করে দেখি দুই কোনায় দুটি ঘাসের টব। তারপর তো ইন্টারনেট ঘেঁটে জানলাম যে লেমনগ্রাসের নির্যাষ সিট্রোনেলা তেলই আসলে মশক নিবারন মলম ইত্যাদির কার্যকরি উপাদান।
তারপর কি বাঙ্াল আর মলম কেনে?
ঢাকায় ফিরেই এই ঘাস যোগাড় করে বেশকিছু টবে লাগিয়েছিলাম এবং আসলেই এই ঘাসের দুই তিনটা টব ঘরে থাকলে মশার উপদ্রব শেষ না হলেও অনেকটা কমে গিয়েছিল। ঘাসের গোড়ার রসালো দিকটা ভেঙ্গে মুচড়ে তার রস হাতে গলায় মেখে দিব্বি ধানমন্ডি আট নম্বরে (আরেক মশকালয়) বসে আড্ডা মেরেছি, মশার উতপাত ছাড়াই। তবে ঘরের ভিতরে এই ঘাস কিছুদিনের মধ্যেই মরে আসে, তাই রোটেশানে রাখতে হয়।
বাঃ, এইটা তো জানা ছিলো না! লেমন গ্রাস কি দেশে নার্সারিতে পাওয়া যায়? বাংলা নাম কী এর?
ট্রপিকাল দেশের আরো অনেক সমস্যার সাথে মশাও রয়েছে। আর কি, ওপরওয়ালার দান ব'লে মেনে নেওয়া ছাড়া কী-ই বা করার আছে!
লেখা অসাধারণ রকমের ভালো, বক্তব্য তো বটেই, স্টাইলও খুব ভালো লাগলো। আরো লিখুন।
আর সন্নাসীর মন্তব্য শুনে চেয়ার থেকে পড়ে গেলাম। সত্যি, পেতাম নোয়াটাকে নাগালে, এমন ভুল করার ফল টের পাইয়ে ছাড়তাম!
@ মূলত পাঠক,
আপনার তৃতীয় প্যারাটা আমি আশা করতেছি আমাকে বলছেন!
আন্তরিক ধন্যবাদ সেইজন্য।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
দারুন জিনিস শিখলাম । ধন্যবাদ ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হুম। দুর্দান্ত ভালো জিনিসই জানাইলেন দুর্দান্ত!
অনেক ধন্যবাদ আপনার এই তথ্যসমৃদ্ধ কমেন্টের জন্য।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
মশা মারতে কামান ?
লেখা ভালো হয়েছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সেইরকমই অবস্থা!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সামান্য মশা মারা নিয়ে এতো দুর্দান্ত লেখা লিখে ফেললেন! এরেই কয় লেখা। আমি হলে তো লিখতাম এভাবে- 'কাল রাতে ঘুম হয় নি। মশা কামড়াচ্ছিলো। চড়থাপ্পড় দিয়ে কয়েকটা মারলামও। কিন্তু আর কতো? একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে সাইফুল আকবর খানের বাসায় ঘুমাতে চলে গেলাম।'
এই কয়টি লাইন লেখার পর আর কোনো কথা খুঁজে পেতাম না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কী যে বলেন গৌতমদা'! আপনি লিখলেও এইটা বরং আমার চেয়ে ভালো লিখতেন আরো। হুম।
তবু, অনেক ধন্যবাদ এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আর হ্যাঁ, পয়েন্ট অব ইনফর্মেশনে এইটাও ব'লে যাই আবার- মশা কিংবা মশা-মারা কোনোটাই সামান্য ব্যাপার্না কিন্তু। আমার বাসায় দুইদিন থাকলে আপনার অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স হৈয়া যাইবো বস।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ফাটাফাটি লেখা! মজার লেখক পাওয়া গেল একজন। গম্ভীর লেখার পাশাপাশি এরকম লেখা পাইলে মনটা হালকা হয়।
মশার জন্য কতোকিছু যে করছি আমরা। সেই কাহিণী বর্ণন করতে গেলে বিরাট জায়গা লাগবে। বাদ দিলাম। ভালো থাইকেন।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলো এমন মন্তব্যে।
আপনিও ভালো থাকেন।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
লেখা অতীব জটিল হইসে সাইফুল ভাই! ব্যাপক মজা পাইসি
তাইলে, আপ্নেরে জটিল আর ব্যাপক ধন্যবাদ।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হা হা হা
মজা পাইলাম।
তয় আমি মশা মারি না। অতি হৃদয়বতী বলে না। মশা মারতে আমার ঘেন্না লাগে। মশারির ভেতর ঢুকে পড়া মশা বেশি প্যানপ্যান করলে আমি সেটাকে বাইরে বের করে দেই।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার বাসায় আপনার দাওয়াত লন তাইলে! মশারির বাইরে মশার পরিমাণ দেখলে এই কথা কইতার্তেন্না।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
পোলাও না, কোরমা না, মশার কামড় খাওয়ানোর জন্য দাওয়াত !!
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এইডারে বুঝি দাওয়াত মনে হৈলো!
আমি তো ভয় দেখাইছি, যাতে আমার বাসায় না আসেন এই জীবনে!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপনে পারেনও বটে!
তাই না কি?!
ধন্যবাদ।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
.
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
- মশক কথন সেইরম হইছে বস। ওস্তাদ গাজী আজমলের গল্পটা আমাদেরকেও শুনতে হৈছে একই টপিকে। কিন্তু কথা হইলো আমার কিছু জানার আছিলো বস।
একেবারে প্রথমেই যেইটা লেখলেন। ব্যাচেলর হইয়া কারো পিছনে, মশারির পিছনে সময় ব্যয় করতে হয়... তাইলে কি বস অ-ব্যচেলর হইলে ঐ রকম সিচুয়েশন অবশ্যঘটিতব্য? মানে প্রতি রাতেই ঘুমানোর আগে মশারির ভিতরে ঢুকে, ইয়ে মানে কায়িক পরিশ্রম করা লাগবে, মানে মশক নিধন করা লাগবে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আচ্ছা, আপ্নে-আমি তাইলে এক গোয়াল থেইক্যা বাইরাইছি! আমার কলেজের আর কাউরে দেখলেই বা পাইলেই আমার আইজো সব দাঁত বারায়া আসে!
) অ-ব্যাচেলর জীবনে অন্য কাজে গতর খাটান লাগে, অন্য মানুষের সাথে।
কিন্তু ব্যাচেলর জীবনে সেটা করতে হয় মশার পিছনে।
যাক, একটা জিনিস হয়তো ঠিক বুঝাইতে পারি নাই। বাট, আমি দ্বিতীয় প্যারাটা একটু এভাবেই শুরু করতে চাইছিলাম (যেমন সিনেমার টাইটেলের আগে একটা খুন হয়, তারপরে টাইটেলের পরে থেইক্যা শুরু হয় অন্য সিন থেইক্যা একটু ঘুইরা টুইরা আসতে থাকা, যাতে একটু পরে বুঝন যায় যে ওই খুনটা কোন্টা!)। তবে, একটা জায়গায় হয়তো গ্যাপ রৈয়া গ্যাছে আমার। একটু ক্লিয়ার করার চেষ্টা করি তাইলে। আমি আসোলে কইতে চাইছিলাম, মানে বুঝাইতে চাইছিলাম যে ( দেইখেন আপ্নেই কিন্তু আমারে দিয়া খ্রাপ কথা কওয়াইতেছেন! আমার কোনো দোষ নাই!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
"দেইখেন আপ্নেই কিন্তু আমারে দিয়া খ্রাপ কথা কওয়াইতেছেন! আমার কোনো দোষ নাই!"
হ।
ইমানদার বান্দা দিয়া সচলায়তন ভরপুর হয়ে উঠতেছে...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ঈমান ছাড়া আছে কী বলেন! এইটাই তো কওমে ইনসানের সবচেয়ে বড় সম্পদ!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
মজার লেখার কারণে আপনার ডুব দেওয়া ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হলো
ব্যাপক ধন্যবাদ।
জ্বি ভাইজান, আপনার বদান্যতা! আপনার ক্ষমার দৃষ্টি আসোলেই অনেক সুন্দর।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
একটা কথা মাথায় এলো: মশার সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেন?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ফাডায়ালাইছেন সন্ন্যাসী বস!
আপ্নে যে কী জটিল জিনিস! ইশ!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন