ঘুম ঘুম ঘ্ঘ্ঘ্ঘ্ঘ্ঘ্ঘ্

সাইফুল আকবর খান এর ছবি
লিখেছেন সাইফুল আকবর খান (তারিখ: সোম, ২৭/০৪/২০০৯ - ১:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘুম ঘুম ঘ্ঘ্ঘ্ঘ্ঘ্ঘ্ঘ্ (প্রহর এক)

ক.
কম-পড়াশোনার কম-দেখা জীবনে আমি সত্যিই সতভাবেই জানি না- “এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি?” লাইনটি কার! এই ব্লগ-ময়দানে এসে একজন ব্লগারের সিগনেচার হিসেবে এই লাইনটি দেখে কতো সময় যে মাথায় কতো কী কাজ করেছে, আর কতো ছবি যে ভেসে উঠেছে মনে- সব মনে ক’রে বলতেও পারবো না এক আয়োজনে! হ্যাঁ, সেই ব্লগারের এখানকার নিক ‘খেকশিয়াল’ (তার সত্যি মানুষ-নামটি পরে জানা হয়েছে তার সাথে সাক্ষাতে, তবু সে নাম এখানে না আনলেও চলে। সত্যিই, সারাজীবনে তার আরো অনেক নাম জানা হ’লেও তার সাথে আমার প্রাইমারি অ্যাসোসিয়েশন যে শব্দটির থাকবে, সেটি ‘খেকশিয়াল’, আর ভিজ্যুয়াল অ্যাসোসিয়েশন হিসেবেও তার সাথে সাথে চোখে ভাসবে, এখনও ভাসে সেই আধো আধো ছবিটিরই আদল, যা সেই সময়টাতে তার ছবি হিসেবে ছিল ব্লগে, যখন আমি পাড়া দিয়েছিলাম এ পাড়ায়।) আরো উল্লেখ্য, অনেকেরই সিগনেচারে দিনের আবহাওয়ার মতো ঘন-হালকা অনেক হারেই পরিবর্তন দেখেছি, নতুন নতুন সিগনেচারের সাথে ব্লগারের নাম বা নিক মিলিয়ে নিতে অভ্যস্তও হয়েছি, তবে খেকশিয়ালের স্বাক্ষর এখনও সেই ‘এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি?’ই আছে। না, আমি চাইওনি এই স্বাক্ষরের কোনো পরিবর্তন। আজ পর্যন্ত এখন পর্যন্ত যতোবারই খেকশিয়ালের যতো ব্লগে কিংবা অন্যদেরও যতো ব্লগের নিচে খেকশিয়ালের যতো কমেন্টের নিচে পিলার হিসেবে এ লাইনটি যতোবার দেখেছি, কিছু না কিছু একটা আরো জিনিস আমার চোখে বা মনে ভেসেছে, তা সে যতোই অসম্পূর্ণ আর আধো আধো ইমেজ হোক না কেন! হ্যাঁ, এই ‘এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি?’র মধ্যে একটা বাড়াবাড়ি জাদু তো ঠিক এই শব্দগুচ্ছটির জন্যই আছে, তবে তার মধ্যেও আদি আসল ঘোরটা একেবারেই ‘ঘুম’য়ের মধ্যে। এই ‘ঘুম’কে আমার একবার মনে হয়েছে নিদ্রা, একবার বিরাম, একবার পরাজয়, একবার মৃত্যু, একবার ছুটি, একবার বিদায়, একবার নীরবতা, একবার অভিমান, একবার আলিঙ্গন, একবার সবুজ পুকুরের অন্ধকার ডুবসাঁতার, একবার হতাশার নিমজ্জন, একবার বিরহ, এমনকি একবার সঙ্গম, ... আর কী-ই বা না?!

খ.
খেকশিয়ালকে নিয়ে তো না-ই এই লেখাটা, ‘এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি’র ঘোরস্রষ্টাকে নিয়েও না - জ্বি জনাব, আমার শিরোণাম শতভাগ ফোকাসড আর ডিরেক্টই আছে - লেখাটা শ্রেফ ঘুম নিয়ে, কিংবা ঘুমের নানা রূপ-অরূপ ঘোর-বেঘোর নিয়ে। না, ঘুমের শারীর-বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যবচ্ছেদ নয়, ঘুমের মনোবিজ্ঞানও নয়, এটা বড়জোর ঘুমের একটা ব্যক্তিমানসিক ঘোর!

গ.
গরিব ব্লগারের অর্বাচিনত্বে বরং দয়া দেখান, রাগ মোটেই দেখাবেন না! যে সহব্লগার এখন ঠোঁট উল্টে ভুরু কুচকে মন খিঁচে ভাবছেন- এই কথার জন্য আগে ওই এত বড় ভনিতা কেন!, তাকে বলি- প্রথম অনুচ্ছেদটা শুধু একটা নামেমাত্র ‘ভূমিকা’ না, ওই ব্যাপারটির সত্যি সত্যিই যথার্থই বড় ভূমিকা আছে বর্তমান লেখাটির সংঘটন আর সংগঠনের পিছনে।

ঘঘঘঘঘঘঘ.[ হাসি ]
ঘুম বা নিদ্রা শরীরের এমনই এক নিতান্ত-জৈবিক ক্রিয়া বা প্রক্রিয়া, যে এর সাথে আমাদের পরিচয়ের জন্য শ্রেণীকক্ষীয় কোনো আয়োজনের প্রয়োজন হয় না। ঠিক ক’রে ঘুমাতে পারার জন্য বই প’ড়েও শিখতে হয় না ঘুমের সঠিক প্রক্রিয়া। এমনকি তেমনও নয় যে একটা নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছুলে অভিজ্ঞ পূর্বসূরি হিসেবে মা-নানী বা বাপ-দাদাকে খেয়াল ক’রে আগ বাড়িয়ে এসে উত্তরপ্রজন্মকে দিতে হয় ঘুম বিষয়ক কোনো শলা কিংবা দীক্ষা। বিনা টিকিটেরই এক আনন্দ-ভ্রমণ এটি, বিনা দীক্ষায় সিদ্ধি, বিনা কারচুপিতেই মুক্তি।

ঙ.
(অ)ঙক ক’ষে ঘুমানোর মতো বিদ্বান কিংবা নির্বোধ কোনোটাই আমি নই! সেই অংকের আবার ফল যদি নামে ন্যূনতম ঘুমের ব্যবস্থাপত্র, তবে তো আরোই আমি নেই ওই পক্ষের ধারেকাছে! একেবারে আদিতে তত্ত্বটি কার, জানা নেই বা মনে নেই- হ’তেও পারে যার নাম বলছি তাঁরই! অধ্যাপক আব্দুল্লাহ্ আবু সাঈদের কথায় শুনেছিলাম (ভার্সিটি-মাঠে আমার সবচেয়ে প্রিয় আর সফল বিদ্যাকৃষক ড. মিজানুর রহমান প্রথমে প'ড়ে শুনিয়েছিলেন তুলনামূলক আইনের (কম্পারেটিভ ল) ক্লাসে! যত্দূর মনে পড়ে “নিষ্ফলা মাঠের কৃষক” থেকেই) - যে দিনে ছয় ঘণ্টা ঘুমায়, সেও জীবনের চার ভাগের এক ভাগ অপচয় করে। এই হিসেবটি সেখানে আগে-পরে আরো অনুপুঙ্খ টানাই ছিল, যার পুরোটা এখানে টেনে আনা মোটেই দরকার হবে না কথাটির মূলসুরটি বুঝবার জন্য। আমার সেই শিক্ষকও আমার দেখা সেই কয়েকটা মানুষের একজন, যাদেরকে যতোই দেখেছি যতোই বুঝেছি, আমি বরং ততোই কম বুঝেছি আর বেশি ক’রে অবাক হয়েছি এটা ভেবে- এই যে আইন-ইতিহাস-রাজনীতি-শিল্পকলার এত এত বই পড়া, এত মুভি এত শিল্পকর্ম দেখা, এত কাজও করতে থাকা এই এক জীবনের পুরোটা ঠেঁসে, ভদ্রলোক ঘুমান কতোক্ষণ বা আদৌ কখন! আমার কাছেই এই বিস্ময়টা বেশি, হয়তো এ কারণেই যে- হ্যাঁ, আমি একটু বেশিই ঘুমকাতুরে। আঁতেলেকচুয়ালি না একদমই, একেবারে নির্মল নির্জলা সত্য বলছি- এই তিরিশোর্ধ্ব জীবনে এত যে কম দেখা-শোনা-পড়া-জানা আমার, তার পিছনে অন্যতম বড় কারণ আমার ঘুমকাতুরে বিড়ালজীবন। একটু ফোম পেলেই ঘুম, আর ওম্ পেলে তো কথাই নেই!

চ.
চার্জ ছাড়া কোনো যন্ত্রই চলে না। মানবযন্ত্রও না। এরকম কোনো একটা ঝাড়াহাত অজুহাত আমার তো অন্তত লাগবেই। আমার তো মনে হয় (যেন আমার মনে হওয়ায় কতো কী এসে যায় এই ব্রহ্মাণ্ডের!)- ঘুম শরীরের চলার জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটা চার্জ! এই রিচার্জ ঠিকমতো না হ’লে পরের কাজ হবে কীভাবে!- এই চিন্তা থেকেই আমার বেশি ঘুমের জাস্টিফিকেশনের শুরু, কিন্তু ঘুমাতে ঘুমাতে যে পরের সেই কাজের বেলাটাই পুরো পার ক’রে ফেলি আমি, সেখানে অবশ্য সেই জাস্টিফিকেশনের শেষ মেলা দায়! মন খারাপ

ছ.
ছাত্রজীবনের দিকে পিছু তাকাই একটু। কলেজ-লাইফে (কিংবা বলা ভালো আমার ইন্টারমিডিয়েট জেল-লাইফে) মোটামুটি নিয়ম ক’রেই সপ্তাহে অন্তত দুইরাত আমার কাটতো একেবারেই ঘুমহীন। সেটার কারণ ছিল পশ্চাদ্দেশে আগুন নিয়ে সাপ্তাহিক দু’টো কুইজের প্রস্তুতি। তখন বাজারে নতুন আসা এক প্যাকেট বঙ্গজ বিস্কুটের সঙ্গে সারারাত জেগে সকালে রাজ্যের ঘুম চোখে ক’রে পরীক্ষার হল-এ ঢুকে লিখতে লিখতে প্রশ্ন দেখতে দেখতেই একটু পরপর চোখে সর্ষেফুলের চেয়েও গাঢ় হলুদ কোনো ফুল দেখতাম যেন! আর, সেই কুইজ কোনোমতে পার ক’রে গিয়ে যখন আবার শুরু করতে হ’তো দিনের ক্লাস, সারা সারা সারা দিইইইন, প্রতি ক্লাসের বেলের পর একবার ক’রে যে ভাব আসতো চোখে-দেহে-মনে, সেটার ভাষা পেয়েছি আরো বহুবছর পরে- “গাড়ি চলে না, চলে না, চলে না রে, গাড়ি চলে না।” পরেও অনেক সময়ে অনেক রকম চাপে প’ড়ে অনেক রাত জাগতে হয়েছে বৈকি। এক-দুই রাত ঘুমের অনিয়মের বর্তমান তো কোনোমতে সহ্য ক’রে ফেলতে পারি দাঁত-চোখ খিঁচে, কিন্তু তার পরে তৃতীয় দিন যে শরীর আর কোনো কিছুই শুনতে চায় না। পুরোপুরিই “ডায়নামা বিকল হইয়াছে, উপায়-বুদ্ধি মেলে না” মোডে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায়ই পাই না তখন। আর আজকাল তো সেডেন্টারি কর্পোরেট লাইফে একটুও যা ঢুকেছি, তার ঠেলাতেই শরীর দিনকেদিন যেভাবে আয়েশী হয়ে উঠছে, মহাশয়গিরি তার রীতিমতো চুলোয় যেতে বসেছে! দলগতভাবে হ’লেও আমাকে পাত্তা দিয়ে বা দিতে আরেকটি তত্ত্বও অবশ্য এসেছে অল্পচেনা প্রতিবেশী বিজ্ঞানের ঘরে।- আমরা যারা ‘ক্রিয়েটিভ’ [ ইশ্, নামের কী বাহারি ছিরি! চোখ টিপি ] চাকরি-বাকরি করি, মানে এই অ্যাডভার্টাইজিং-ক্রিয়েটিভদের মতো আরো যাদের কি না প্রফেশনালিই চিন্তা করাটাই মূল কাজ, সরাসরি মগজ বা মস্তিষ্কের খাটাখাটুনির জন্য সারাদিনে আমাদের শারীর-যান্ত্রিক শক্তিক্ষয় বা শ্রম যায় অনেক বেশি, তাই আমাদের মাথাও রাতে ঘুম চায় একটু বেশি বেশিই। হাসি

[ দ্বিতীয় প্রহরে সমাপ্য। আগে একটু, না চা খেয়ে না, ঘুমিয়ে আসি। চোখ টিপি ]


মন্তব্য

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

গেল শুক্রবারে, জিফরান ভাইয়ের বাবাকে নিয়ে মিটিং শেষে ছবির হাটের পেছন দিকটায় গপ্পো করতেছিলাম আমি ,লীলেন্দা আর প্রহরী। লীলেন্দা বলতেছিলেন তাঁর কুম্ভকর্ণের ঘুম নিয়ে। উনি নাকি টানা দুইদিন ঘুম দিতে পারেন। দিয়েছেনও নাকি কয়েকবার। একবার তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখলাম, ঘুমাতে সিলেট যাত্রা নিয়ে। ওইদিন মেযবাহ আযাদও ঘুম নিয়ে কি কি জানি কইলেন। এসি ১৬-তে দিয়ে কম্বর গায়ে দিয়ে তিনদিনের টানা ঘুম। শুধু প্রাকৃতিকক্রিয়ায় বিছানা ত্যাগ ছাড়া। আর এখন পড়তেছি আপনার ঘুম সাহিত্য। সবমিলিয়ে দেখছি ঘুম নিয়ে সবাই কেমন ব্যস্ত। হুমম! এখন ঘুম দেন তাইলে। পরে চার্জড হয়ে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ুন। ওইখানে আবার তো কথা দিয়েছেন, ক্রিয়েটিভ বিষয়ে একটু বাৎচিত করবেন। সেজন্য আগ্রহ নিয়া বসে রইলাম। হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

না রে ভাই, ক্রিয়েটিভ বিষয়ে আর তেমন কিছু বলবো না। নিজে(দে)র ঢোল এত পেটানো-টা লজ্জা না?! খাইছে
তবে, হ্যাঁ, লীলেন ভাই কিন্তু আমার বাকি লেখার স্কিমে অলরেডি আছেন। তাঁর কথা পাবাই পাবা। হাসি
দুপুরের ভাতঘুমঘুম অনেক ধন্যবাদ পান্থ। দেঁতো হাসি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দিনকাল চ্রম খ্রাপ। নিজেদেরে ঢোল নিজেদেরই পিটাইতে হয়। অন্যদের পিটাইতে দিলে হয় বেশি পিটিয়ে চিৎ করে শুইয়ে ফেলে দেয়, অথবা মিনমিনে সুরে বাজায়। তাই... দেঁতো হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হুম, পিটাপিটি জিনিসটা খ্রাপ! চোখ টিপি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

চলতে থাকুক।
আমিও যাই। কিন্তু ঘুমিয়ে এসে ২য় কিস্তি পাবো তো?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

পাবেন পাবেন। শান্তিতে সুখনিদ্রা যান।
শুভনিদ্রা!হাসি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ঘুম দিয়াই তো আসলাম।
কোথায় ২য় কিস্তি? এখনো আসে নাই? রেগে টং
কোথায় সাইফুল ভাই? রেগে টং

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

দ্যাহেন আপা, বিধির কী লীলা!- ঘুমপাচালি পাইরা কাইল রাইতেই ঘুমাইতে পারি নাই, আইজক্যা এমনিতেই চোখে হৈল্দ্যা ফুল দেখতেছি সারাদিন। তার মৈধ্যে অফিসের কামলামিও হাইপারটেনশনে। মাফ চাই আইজক্যার মতো। কাইল্ক্যা পাইবেন, ঈমানে কৈলাম।
ধৈন্যবাদ। হাসি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

ঘুম নিয়ে লিখতে গিয়ে এতোক্ষণ ধরে জেগে আছেন? চোখ টিপি
আর বস, একটা কারেকশন, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ হবে, সাঈদ না...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হুম। জেগে না থাকলে যে ঘুম নিয়েও লেখা যায় না! এইটাই তো লাইফের টেরিজিডি! চোখ টিপি

হ্যাঁ বস, এইবার মনে পড়ছে। নামের বানান ভুল লেখছি।
স্যরি। মন খারাপ
আর, ধন্যবাদ অনেক, এটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য। তবে, আরো বড় দুঃখের বিষয়- আমি তো এডিট করতে পারবো না লেখার মধ্যে। মন খারাপ

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

গৌতম এর ছবি

আমি অবশ্য একবার প্রায় একটানা ৪০ ঘণ্টা ঘুমিয়েছিলাম। শুক্রবারে যেটা হয়, রাত ১টা-২টায় ঘুমাতে যাই, ঘুম ভেঙে দেখি চারটা বাজে- রাত না, পরদিন বিকেল চারটা। তো গেলাম ঘুমাতে, পরের কিস্তি ঘুম থেকে উঠে পড়বো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

এইরকম লম্বা লম্বা ঘুমের ইতিহাস আমারও আছে- নিশ্চয়ই বুঝতেছেন আমার ঘুম-বিষয়ক ইন্টারেস্ট দেইখা। হাসি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

দরকারী?!
ব্বাহ্! কী টু-দ্য-পয়েন্ট কমপ্লি!

ধন্যবাদ। হাসি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

এরা কয় কী? আমি তো এই জীবনে ৯-১০ ঘণ্টার বেশি কখনো ঘুমাইতে পারি নাই...!
একবার টানা তিনদিন দুইরাত না ঘুমায়াও বিছানায় গেছি, তাও তো পারি নাই! এক পর্যায়ে উইঠা ফাঁকা মাথা নিয়া ঘুইরা বেড়াইছি...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

এলা আম্নে কয়েন কী?! অ্যাঁ
তাইলে তো মনু বালোই ঐলে!
আইয়েন, আম্নে মোগোরে হিংসা করেন, আর মোরা আম্নেরে হিংসা করি। খাইছে

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

১.
এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি!
রক্তফেনা-মাখা মুখে মড়কের ইঁদুরের মতো ঘাড় গুঁজি
আঁধার ঘুঁজির বুকে ঘুমায় এবার;
কোনোদিন জাগিবে না আর।
(আট বছর আগের একদিন- জীবনানন্দ দাশ)

তবে এটা ছাড়াও জীবু মিয়া ঘুম নিয়া দারুণ দারুণ বাক্য রচনা করে গেছে-

গঙ্গার তরঙ্গ কানে গায়, 'ঘুমা- ঘুমা'
(ডাকিয়া কহিল মোরে রাজার দুলাল)

অথবা

গভীর অন্ধকারের ঘুমের আস্বাদে আমার আত্মা লালিত;
আমাকে কেন জাগাতে চাও?
(অন্ধকার)

২.
আমি চাইলেও বেশি ঘুমাইতে পারি না টানা। ৫/৬ ঘন্টা পরে ঘুম ভেঙ্গে যায়। কামলামী করতে করতে না ঘুমানোটাই অভ্যাস হইছে মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আরে "আট বছর আগের একদিন" তো আমিও পড়ছিলাম আট-নয় বছর আগেই কোনোদিন! দেখছেন- এই লাইন আমার মনেই নাই! মন খারাপ
থ্যাংক্যু বস, মোটামুটি অর্ধেক জীবু-ঘুমু-সমগ্র এইখানে এমনে দিয়া দেওয়ার জন্য। হাসি
কামলামি তো আমিও করি। কিন্তু তা-ও ঘুম ভাঙ্গে না। সকালে প্রথম কতোক্ষণ অফিস করি স্বপ্নের মধ্যেই, তাই উঠবার আরো নামই থাকে না। হাসি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এইটা কোনো কথা হলো?
ঘুমাই আমি আর নিদ্রা সমগ্র লেখে সাইফুল ?
(যদিও নিদ্রাসমগ্র নামে কবি জাহানারা পারভীনের একটা কবিতার বই আছে এবং সেটা ঘুম বিষয়ক নয়)

০২
আমার জানামতে দেখামতে শোনা মতে ঘুমে আমার কাছাকাছি তো কেউ নেই-ই
তার সাথে ঘুমের স্বাধীনতা চাই আন্দোলনেও আমি ছাড়া আর কোনো সদস্যও নেই

০৩
নাহ
ঘুমটা কপিরাইট করতে হবে যাতে ননপ্রফেশনাল কোনো ঘুমারু ঘুমের মর্যাদা নষ্ট না করতে পারে

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বেয়াদবি নিয়েন না কর্তা! আগেও কইছি মন্তব্যের উত্তরান্তরে, যে এই লেখায় আপ্নে অরিজিনাল প্ল্যান থেকেই আছেনই। পরের পর্বেই আপ্নে ঘুমাইবেন।
তবে বস, এই যে, আমারো একটা আকর্ষণ আছে ঘুমের বিষয়ে, আর এই যে এই বিষয়ে এই থিসিস-টা যেহেতু লিইখ্যাই ফেলছি, আমারে আপ্নের ওই কপিরাইটের এট্টু ভাগ দেওন যায় না?! চোখ টিপি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমি বেশী ঘুমাতে পারি না মন খারাপ

আপনাদের ঘুম নিয়ে ফাজলামি দেখলে ...... রেগে টং

মাহবুব লীলেন এর ছবি

যাদের দিল যত বেশি পরিষ্কার তারা তত বেশি ঘুমাতে পারে
শিশুরাও পারে আমিও পারি

স্নিগ্ধা এর ছবি

শিশুরা যা পারে আপনিও যে তা পারবেন তাতে আর আশ্চর্য্য কী, জ্ঞানীলেন!!

আপনার শৈশব যে এখনও কাটেই নি, এটা তো আপনার সাথে পাঁচ মিনিট কথা বললেই ......... দেঁতো হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

তা-ও ভালো "পাঁচ মিনিট কথা বললেই" বলছেন স্নিগ্ধাপু'! ঘুম ঘুম পড়তে পড়তে আমি তো আরেট্টু ঐলেই ঐ জায়গায় অন্য কিছু পইড়া ফেলছিলাম! খাইছে

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আমার মতে, নিদ্রা বড়োই উপভোগ্য একটি ব্যাপার। তবে ঘুমের প্রয়োজন একবারেই না থাকলেও খুশি হতাম।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

এ-ও তো অমন আরেক জিনিস, যা টাকা দিয়ে কেনা যায় না!
কিন্তু কেনু কেনু কেনু! মন খারাপ

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তানবীরা এর ছবি

যাই ঘুম দিয়া আসি ........................।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আসেন। হাসি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পড়তে পারেন চাইলে: http://bn.wikisource.org/wiki/আট_বছর_আগে_একদিন

দুইটা গান দিতে চাইসিলাম। অর্ণবের আর সানী জুবায়েরের। ঘুম সংক্রান্ত। পরে দিবোনে। আপনার ঘুমকাব্য ভাল্লাগল।

কিন্তু আপনি যে অফিস-কামুক (স্বঘোষিত), তাতে এত ঘুমানোর সময় কখন পান, সেইটা আমার কাছে বিস্ময়। কারণ যখনই শুনি আপনার কথা, তখনই আপনি অফিসেই থাকেন। রাতে ঘুমানও খুব কম। তাইলে? দেঁতো হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হাউশ মিটায়া ঘুমাইতে পারলে কি আর ঘুমবন্ধু মাহবুব লীলেনের ডাকে ঘুমের স্বাধীনতা আন্দোলনে হাত উঁচায়া পিছ ধরি? ঘুমাইতে বেশি পারি না বইলাই তো ঘুমের প্রেম এই হারে টিইক্যা আছে।
আর, ওই যে আমার প্রিয় শীতঘুম তো আমি যেকোনো খানেই ঘুমাইতে পারি, অফিসেও।
দেঁতো হাসি

লিংকের জন্য ধন্যবাদ।
বহু আগের পড়া সেই কবিতা আবার প'ড়ে দেখলাম আপনার লিংক-পাঠানোর প্রতি সম্মান দেখায়া।
কয়েকটা লাইন ছাড়া পুরা কবিতাটা আমার কাছে সেইরকম ভালো আগেও লাগে নাই, অনেস্টলি অ্যান্ড মডেস্টলি।
অ্যান্ড, যদিও আমি কম প'ড়েই জাজ করি (ব্যক্তিগত ভালোলাগা-মন্দলাগার জাজমেন্ট এইটা, আর কোনো স্পর্ধা না), উইথ ডিউ রেসপেক্ট, হি ইজ নট অ্যামঙ মাই ফেভারিট পয়েটস।
তবু, থ্যাংকস, সিন্সিয়ারলি।
আপ্নেরে মিয়া ফোন দিছিলাম আপ্নের শরীর খারাপের খবর শুইনা, অবস্থা জানতে, আপ্নে ধরেন নাই।
এখন ভালো আছেন আশা করি।
ভালো লাগলো অনেকদিন পরে এইখানে আপ্নের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পায়া হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।