আর থার্সডে নাইট!
'বৃহস্পতিবার'! উচ্চারণ করতেই কেমন বড় বড়! বলছেই 'বৃহস্পতি'! তো, বড় তো হবেই, না? বিজ্ঞাপনের কাজের অফিসে বৃহস্পতিবার বিকাল-টা কখনই ছুটির ডাক না সেভাবে, কারণ পরের দুইদিন বন্ধ ব'লে বৃহস্পতিবারেই থাকে সর্বোচ্চ পজিটিভ-আউটপুট ('ইতিবাচক' আর 'ফলাফল' অর্থে না, প্রেসের স্ট্রিক্ট টার্মে 'পজিটিভ' আর 'আউটপুট'!) দেয়ার ভয়াবহ তাড়া! ক্লায়েন্ট মাত্রই চায় বৃহস্পতিবারে ক্রিয়েটিভ জিনিসের আইডিয়েশন বা ডিজাইন-লেআউট অ্যাপ্রুভ ক'রে দিয়েই রবিবারের ফাইন-মর্নিংয়ে লম্বা সহবাস-ঘুমের উঁচু হাইয়ের সাথে, হাইক্লাস চায়ের সাথে প্রডাকশন দেখবে আর মতামত োদাবে! মানে, শুক্র-শনির দিনগুলোয় যখন তারা সপরিবারে ফ্যান্টাসি কিংডমে হাট্টিমাটিমটিম করতে করতে সুখের ডিম পাড়বে, তখন তাদের রবিবারের ফাইন-মর্নিং আর গুড-ডে নিশ্চিত করতে আমাদের থাকতে হবে অ্যাডমেকারস আর প্রিন্টারসের সাথে কখনও সশরীরে কখনও অন্তত ফোনে লেগে- ঠেলাধাক্কায়, টানাপোড়েনে, আর তাগাদার পর তাগাদায়। আর এই শুক্র-শনিতে ক্লায়েন্টকে যেহেতু পাওয়া যাবে না বা যাতে শুক্র-শনিতে ক্লায়েন্টের আরামের মধ্যে বিরক্ত না করতে হয়- সেই কারণে, ক্লায়েন্ট সদয় হয়ে ঘাড়ের ওপর থাকতে থাকতে যা পারো অ্যাপ্রুভ করাও, তারপরে যদি পারো যতো পারো মুড়ি খাইও।
আমারও বৃহস্পতিবারেই বেশি খ্যাচখ্যাচ করতে হয়। ছোটলোকি আমি করতে পারি না অথবা পারতে করি না জুনিয়র ক্রিয়েটিভ, আর্টিস্ট-ডিজাইনার কিংবা ক্লায়েন্ট রিলেশনস এক্সিকিউটিভদের সাথে। আর, ক্লায়েন্ট তো চশমা-পরা ঈশ্বর খোদ! তবু, কাজের দঙ্গলে এক জিনিসেরও দশটা ক'রে কারেকশন, ফিডব্যাক, না-বোঝা, বুঝতে-না-চাওয়া, ভুদাইয়ি আর বোকাোদা বিটকালির ফেরে মাথা ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে যায়। মাস কয়েক আগে আমার এক ঘনিষ্ট ক্লায়েন্টপক্ষের হেড বোকাোদা-টা [গাটস-ওয়ালা গুটিকয়েক কাজের হেড অব মার্কেটিং-রে আমরা বলি 'হেডম মার্কেটিং', আর সংখ্যাগরিষ্ঠ বোকাোদা-গুলারে 'বোকাোদা'ই বলি।] আমার মতো নির্বিষ ভদ্রলোকরেও না কি (আমাদের আর্ট সুপারভাইজারের কাছে বলেছে সে।) খেতাব দিছে "বাংলাদেশের সবচে' ঘাউড়া ক্রিয়েটিভ"! আমি রাগ করি নাই। ক্লায়েন্টের ওপর রাগ করা ভালো না, আর বোকাোদা-দের ওপর রাগ করা তো আরো বোকাোদামি। তাই, আমি রাগ না কইরা বড়লোক গ্রুপ-বসের সম্মানজনক চাকরামি করি, ভাত-চা খাই, আর ক্লায়েন্ট প্লাস ইনসাইড-সহকর্মীদের সাথে প্রোঅ্যাকটিভ হইয়া যতোদূর সম্ভব সমুচিত ঘাউড়ামি ঘাড়-ত্যাড়ামি করি।
বৃহস্পতিবার তাই ছুটির শুক্র-শনির আগের (শেষ)বিকালের চাইতেও আমার কাছে আসোলে বেশি ক'রে মিন করে গত পাঁচটা দিনের কাজের ভোজ্য-ফল আর বর্জ্য-বাকলগুলার ফোলা-ভারি একটা বিরাট গার্বেজ, দেবী দশভূজা-রে দশমীর মতো পুরাপুরি না ভাসানো-চুবানো পর্যন্ত যেই নাকানিচুবানি থেকে এইসব কনগ্লোমারেট কর্পোরেট চাকরবান্দাদের মুক্তি নাই। হাফ-অফিস তো দূরে থাক, ছুটির আমেজে হালকামি তো হারাম নাফরমানি, নরমাল অফিস-শেষের টাইমেও বাইরান যায় না বৃহস্পতিবারে তেমন একটা। তার মধ্যে আবার আমরা কয়েকজন তো বসের শিষ্যত্ব নিয়া অ্যামনেই কাজ কম থাকলেও অফিসে বেশি থেকে অভ্যাস ক'রে অ্যাডভার্টাইজিং নামক মহান 'কলিং'য়ের ("ইট'স নো প্রফেশন, ইট'স আ কলিং"!) যোগ্য ফুলটাইমার হওয়ার সাধনায় আছিই, থাকবোও হয়তো আরো অন্তত বছরকয়েক।
আমার একটা ছোট্ট মিষ্টি বন্ধু আরো গ্যাদাকাল থেকে 'বৃহস্পতিবার'-কে 'বিস্পতিবার' বলে, নেত্রকোণার বালিশমিষ্টির চেয়েও অনেক মিষ্টি লাগে আমার কাছে ওইটা! এই বারটার রাতের বেলায় বরাবর সে আমারে 'হ্যাপি ফ্রাইডে' উইশও করে। বিস্পতিবারে আমার সবে-ধন আনন্দ আসোলে এইটুকুই হয়।
তবু রোজার এক বিস্পতি-বিকালে সংযম-মাসের কারণে ভেজালটাও একটু হইলেও কম যখন, তখন প্রায় সূর্য-নামে-পাটে টাইমে সিমনানন্দ হঠাত্ ফেসবুকের জানলায় টুক্কা মাইরা উঁকি মাইরা আমার ঝুঁকি বাড়ায়া যখন কয়- "শাহবাগ যাইবেন্নি?", তখন অভ্যাস-ব্যস্ততার বন্দিত্বের কারণেও হয়তো :- এর পরে O দিলে যে ইমোটাইকন-টা হয়, তার মতো ক'রে আমার মাথা কয়েকবার দশদিকে চক্কর খায় লিটারেলি! আমি তা-ও ভদ্রলোক হইয়া জিগাই- "ক্যান?"! সিমনানন্দ কয়- "আইজক্যা থার্সডে নাইট না?!" আমি না-লিখলেও মনে মনে একবার কই- "কয় কী মমিন্যা! এই থার্সডে নাইট জানি কী জিনিস! আগে কখনও কোথাও শুনছি শুনছি লাগে"! তবু, একটু শান্ত হইলাম, করণ সিমনানন্দ আরো কয়েকটা ছোট্ট ছোট্ট বোনাফাইডে বোমা ফাটায়ে যাচ্ছে আমার চোখের সামনে ওই জানলার কোনাটায়- "আপ্নেরে তো আড্ডায় ডাকলে কখনও পাই-ই-না!" ধরনের। আমি মনে মনে কই- ছেলে কথা তো সত্যই বলছে, সেই না-পাওয়ার কারণ যা-ই হোক না কেন। প্রতিভাধর এই বিরাট শাহেনশাহ আরো মাসখানেক আগেই একবার আমারে "মিডিয়াকম-এর সিইও" বইলা আখ্যা (মানে, আসোলে গাইল) দিছিলো- সেইটাও মনে পড়ে আমার। সিমনানন্দ আমারে জিজ্ঞাসাবাদ কইরা আমার সুবিধা বোঝে, হয়তো তলে তলে আমার ইচ্ছা করতেছে-টাও বোঝে বইলাই নিশ্চয়ই। রাইয়ান (রায়হান না, গফুরও না) আর সিমনানন্দ সিয়েঞ্জি করে যাবে ইফতারের পরপর, তারা আমারেও সেইটাতে উঠায়া নিতে পারবে- এইগুলা শুইন্যা আমি নিজের সাথে একটু চামবাজি করি আর একটু একটু ক'রে রাজি হই- "চলেন!"
.............................................
বিশ-কাপ চাড্ডা!
তবে জনাব, বিশজনে না মোটে। পাঁচজনে, দেড় ঘণ্টায়! হ। তয়, খালিই চা (ও নাহ্, ওই যে কইলাম- আড্ডা খাইছি সাথে, ভিজায়া ভিজায়া নরম কইরা)!
আমি প্রথমে ভাবছিলাম আমরা বুঝি চারুকলা-ছবিরহাট জাতীয় কোনো রেনেসাঁ-স্পটে যাইতেছি! কিন্তু না, পরে দেখলাম- আমাদের সিয়েঞ্জিটা পিজি-আধূনিক ডাইনে রেখে ঘুরলো, তারপর সোজা সেই ডাইনের লাইনেই আগাইতে থাকলো! হ, সুপার-রেনেসা-স্পট! আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা ১০০০।
আমরা তাইলে টুটুল ভাইয়ের বইখানায় আড্ডাবো?! কিন্তু, এ কী রে ভাই! টুটুল ভাই-ই তো আগে বাঙ্ক মাইরা বইসা আছেন! নাই, শুদ্ধ নাই, স্বর নাই, আমাদের টুটুল ভাই আজিজে নাই। ফোন দেয় সিমনানন্দ, কিন্তু সেই ফোন তো টুটুল ভাইয়ের ধরনের নিয়ম নাই! অফসেট সাদা রঙের কৃষ্ণবণিক-রেও ফোন দেয় রাইয়ান, সেও ব্যস্ত অন্য জায়গায় দরকারি আড্ডায়। সিমনানন্দ আরেকজন বিখ্যাত তরুণের বাসায় যাওয়ার ঘ্যানঘ্যানটা দ্বিতীয়বারের মতো তোলে, কিন্তু কোনো কারণে, বা অকারণেই হয়তো, ঠিক তখন আমরা তেমন ভালা পাই না ওই ইনডোরের প্রস্তাব।
মই খুঁজি গাছ থেকে নামতে, নিচতলায় গিয়া চা খাইগা আমরা নিচুতলার অশুদ্ধ মানুষগণ- এইডাই ঠিকাছে! নামতে নামতে সুরি (শেরশাহ সূরী বা সঞ্জয় সুরি না, আরেক বুয়েটি শব্দশিল্পী সু.রি.!) ফোন্দিলো সিমনানন্দরে। সে আসছে নিচে। নেমে দেখা হইলো তার সাথে, আমার সাথে সুহানের এইটাই প্রথম দেখা। আমি এমনি দেখলেও ধারণা করতে পারতাম, তার মধ্যে আবার যেহেতু জানতামই সে আসছে, সে-ই কারণে বুঝলাম পুরাই, কিন্তু আমারে তো সে চেনে না। আমিই আগ বাড়ায়া কথা বললাম তার সাথে। সে কয়- "আপনি?" আমি তো মহামতি লীলেন না, তাই আমি ঠিকঠাক আমার নাম বলি সংক্ষেপ কইরা- সাইফুলাক্বর্খান!
চারপাগলের মেলা যখন চায়ের কাছে যাইতে থাকে, তখনই স্বভাব-সুলভ অকারণ মুছুয়া হাসি নিয়ে এসে যোগ দেয় তারেক (মাসুদ না)। তারেক আসলে আমরা চার থেকে পাঁচ পাগল হই না কিন্তু, হয়ে যাই পাঁচপাণ্ডব! তারেকের মহাভারতসফর সম্পর্কে যে কিছু শোনেন নাই, তারে এই মুহূর্তে সেই মহাগল্প আমি বলতে পারবো না, মাফ করেন।
আমরা পাঁচপাণ্ডবে মহাভারতীয় চা খাই, গল্প করি, হাসি, কথায় কথায় টপিক পোস্টাই, একজনের কথায় আরেকজন অহরহ অন্যকথার বামহাতও ঢুকাই, আর চা খাই, আর গল্প করি, আর চা খাই। একটু পরপরই সিমনানন্দ মনে আনন্দ নিয়া টপিক-বিরতি দেয় কয়েক মুহূর্তের জন্য, শুধু "চা খাইবেন?" বাঁশিটা বাজায়া! মহাভারত, উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী, সচলসমাজ, ছফা, সুলতান, নাস্তিক, উচ্চমাধ্যমিক জুওলোজি বই, 'চন্দ্রা' নামক মিস-লিডিং হিজবুত-তাহ্রির মহিলা, রাইয়ানের ইয়াহু চ্যাট, তারেকের চিটাগং স্কুল-কলেজ, আমাদের অন্য চারজনের নটরডেম কলেজ, টেরেন্স পিনেরো, ঢাকা ইউনিভার্সিটি, বুয়েট, রশীদ হল, বৃত্তাল্পনা- কোত্থেকে যে কোন্ কথা, কতো কথা, কথকতা, ... ঘড়িতে যেন সময় আর বাজে না। সব ঘড়ি ভালো।
.............................................
পৌরাণিক মূলা!
হ্যাট্রিক ছিনতাইয়ের পরে আমি সিয়েঞ্জি-তে উঠি না পারতে, একা তো না-ই। মনে খালি কু-ডাক ডাকে! তবু, আড্ডা শেষ ক'রে সেই বেশ ভালো (এবং বেশি!) রাতে তারেক আর সুহান-রে বুক ভরা ঈর্ষা দিতে দিতে আমি রাইয়ান আর সিমন যখন একই লাইনে তিনজন বইল্যা অবিকল্প সিয়েঞ্জি-তে উঠলাম, প্রথম সময়টা আমার ভালোই যাইতেছিল, আড্ডার পাদটীকা থেকে নতুন আড্ডাও শুরু হয়ে গেছিল আবার যথারীতি, আর, সিয়েঞ্জি'র পুরা আসন দখল ক'রে যেহেতু তিনজন ছিলাম, আমার মাথায় কোনো কুচিন্তা আসে নাই। কিন্তু বনানীতে ঢুকে সিমন-রে এবং পরে ডিওএইচএস দিয়ে রাইয়ান-রেও নামায়া বাইরাইতে সিয়েঞ্জি যখন শ্যাঁওড়া'র আঁধার পার হয়, আমার বুকে তখন ত্যাওড়া তালে ঢিপঢিপ বাজে। তার মধ্যে আবার আমি বুদ্ধি ক'রে (এই বুদ্ধি গতবারও করছিলাম, কোনো কাজেই আসেনাই!) এক সাইডে বসছি ব'লে সিয়েঞ্জিওয়ালা আমারে কয়- “মাঝখানে বসেন”। আমি ভিতরে 'ধক' করি, আর শব্দ ক'রে কই- "না"। সে আমারে বোঝায় মাঝখানে ক্যান্ বসতে হইবো, তার গাড়ি ঠিকমতো চলতে পারবো, তাড়াতাড়ি চালাইলেও কান্নি খাইবো না, আর আমি তারে কই- ক্যান্ আমি মাঝখানে বসমু না। আমি চাই নাই তারে আপন ক'রে, কিন্তু সে আমারে ইয়ার-দোস্ত বানায়া ফেললো। পরিবারের, পাঁচবোনের আলাপ করে, খাজুইরা প্যানপ্যান যত্তোসব! আমার কী এইসবের মন আছে তখন?!
এমনকি রেলগেট পার হইয়া বড় সড়কে উইঠ্যা সে দেখি (শুনিও) সুরা-কালাম পড়া শুরু করছে! এই প্রথম খেয়াল করলাম- হালায় তো দুই-বিচিওয়ালা খেজুর একটা! তার থোতায় ছোট্ট দাড়ি আছে এক গোছা, এমনকি মাথায় একটা ভোতা টুপিও! হাইওয়ের হাওয়ায় সিয়েঞ্জির গতি যতো বাড়ে, তার চেয়েও দ্বিগুণ বাড়তে থাকে সুরা-কালামের গতি আর জোশ। আমি পুরা মামু হইয়া চিন্তা করি- আরেস্সালা, এইটা কি ছিনতাইকারীর চেয়েও বড় মামা না কি?! ইসলামী জঙ্গি গ্রুপের আত্নঘাতী কর্মী না তো আবার, যে একটু পরে সিয়েঞ্জির ভিতরে একটা বোমা ফুটায়া আমারে নিয়া সহমরণে যাবে! আমার বুকের ধুকধুক আসোলেই বাড়ে, ফাইজলামি না। এইরকম ঘটলেই ওইরকম ঘটবে, তেমন না। কিন্তু, ঘটে তো, যখন ঘটে তখন এইরকম কাছাকাছি কিছুই নিশ্চয়ই ঘটে। নিজেরে তবু বুঝাই- এই কাম করলে তো মামু আরো আগেই করতে পারতো, যখন সওয়ারি আমরা তিনজন ছিলাম, তাইলে তো তার আত্নঘাতের সাফল্য আরো বেশি হইতো! কী জানি! হইতেও তো পারে- কোনো কারণে আমারেই তার পছন্দ হইছে এই সহ-শাহাদতবরণের লেইগ্যা। মা-বাপের কথা ঠিকঠাক মনে হয় না। নাস্তিকের তো কোনো কাউন্টার-সুরা-কালামও নাই যে সেইগুলা পইড়া একটা বিকল্প ভরসা কামাবো!
অগত্যা আর কোনো কথাও না ব'লে, আর কোনোকিছু না ক'রে, শুধু চোখ-কান খোলা রেখেই অন্যকিছু ভাবতে থাকি, যাতে বিপদ না হইলে শুধু শুধু বিপদের শঙ্কায় আহত বেশি না হই! কিছুক্ষণের মধ্যে ঠিকই মামা আমারে নিয়া আমার আজমপুর পৌঁছায়া গ্যালো, আমার রোডেও উইঠ্যা গ্যালো নির্ঝঞ্ঝাট। কিন্তু, ওইদিকে আমি ভালো চিন্তা খুঁজতে গিয়া একটু আগের আড্ডাটার রিক্যাপ টানতেছিলাম বইল্যা হঠাত্ তড়াক কইরা মনে পইড়্যা গ্যালো নতুন টেনশন! আয় হায়, সিমন তো আমারে ফেসবুকের ওই দাওয়াতে দ্বীনের দাওয়াত দেয়নাই, চায়ের দাওয়াতও দেয়নাই, সে তো বলছিল আমারে মাশ্রুম খাওয়াবে! কই, আমারে তো কেউ মাশ্রুমভাজার কোনো নিশানাও সামনে ধইরা জিগাইলোও না কিছু! মাশ্রুম্ভাজা কি তাইলে শুধুই একটা পৌরাণিক মূলা-বিশেষ! হায়! ;-(
মন্তব্য
খাসা!
এর মানে কি খান সাহেব?!
অনেক ধন্যবাদ মূপাসা!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ভাইজানে পচায়া দিলো...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
না সুহান, তোমারে পচাইনাই। এইটার অন্য ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, তোমার অজানা।
শোনো তবে-
উত্তরায় একটা বিশাল (আমার প্রথম) সচলাড্ডায় লীলেন ভাই এক বিশেষ দুষ্টামি করছিলেন,আড্ডায় দেরিতে আসা অন্য অনেকের সাথে। সেইটা হইলো- সমানে এর ওর নাম উল্টাপাল্টা ক'রে বলা। যেমন রায়হানকে দেখায়া হয়তো পরিচয় করায়া দিচ্ছে- এটা পরিবর্তনশীল, স্পর্শকে দেখায়া হয়তো বলতেছে- এটা স্বপ্নাহত, আর আনিস ভাইকে দেখায়া- এইটা কনফুসিয়াস। সত্যিই, অচিত্র বহু সচলের পরিচয় নিয়া সেইদিন অন্য অনেকেই কিছু সময়ের জন্য হইলেও খুব কনফ্যুজড হইছিল।
সেইজন্য কইলাম, যে- আমি ইচ্ছা করলে উল্টাপাল্টা নাম ব'লে দুষ্টামিতে তোমারে অনেক কনফ্যুজ করতে পারতাম, যেইটা না কইরা আমি ভদ্রলুকের মতো ভালু কইরা বইলা দিছি আমার সত্য নাম।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আচ্ছা, আমার এমন একটা আশিভাগ সত্যবাদী ছবি দেয়া এইখানে, তারপরেও আমারে কেউ চিনে না কেনু? কেনু?? কেনু??? (থোতা চুলকানি)
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কারণ, ছবিতে আপনার খোচা -খোচা দাঁড়ি নাই ...
আর ছবিতে আপনার চশমা এবং হাতে ফ্যাশন ম্যাগাজিন নাই ! ! !
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ওহ্ রাইট! চশমাটা আসোলেই চেহারার একটা বড় ফ্যাক্টর।
আর, শেষ জিনিসটা অনেক ভালো বলছো।
স্পোর্টস ট্যাবলয়েডের ওই অ্যাড দেখছিলা, ওই যে- এক ভদ্রলোককে তার নিজের ছেলে আর বউ-ই বাড়িতে ঢুকে সোফায় বসা দেখেই ভীষণ ভয় পেয়ে চিত্কার ক'রে ওঠে, কারণ হঠাত্ অপরিচিত লাগে?! কেন না, তারে সবসময় মুখের সামনে ওই স্পোর্টস ট্যাবলয়েড ধরাই দেখা যায়। হঠাত্ সেইটা মুখ থেকে একটু নামাইছিল, আর তখনই ওই হরর ঘ'টে গ্যালো!
সুহান! দাড়ি'র ওপর চন্দ্রবিন্দু নাই, বরং খোঁচা-খোঁচা'য় আছে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপনাকে এত দূর ডেকে নিয়ে কেউ মাশ্রুম খাওয়াইল না বড়ই আফসোস
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নৈশী।
অনেস্টলি, নৈশী,আপনার এই উদ্ধৃতিতে আসোলে পয়েন্টটা কি- বুঝিনাই।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপনার লেখায় যতটুকু বুঝলাম এর আগেও বুঝেছি আপনার পার্সনালিটি নীতিগত ভাবে আপোষহীন। তাই কেউ যদি ঘাউরা ক্রিয়েটিভ বলে এটা একটা রেয়ার কম্লিমেন্টস।
এ্যানিওয়ে আপনার সাবলিল লেখা আমার ভাল লেগেছে।
নৈশী।
আচ্ছা।
আপনার কমপ্লিমেন্ট-ও অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এরা তাইলে প্রত্যেকদিন দাওয়াত দিয়া এইরম ঠগায়?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
না না, ঠগায় নাই তো। বাজে গল্প করতে করতে সিমন ভুলে গেছিল আর কি!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সুহান, তুমি আর কি পচলা! আমারে তো....
হুর্মিয়া! এইখানে পচানির কী আছে?! এইটা তো মজা ক'রে একটা রম্যরচানি দিলাম! তুমিও [ ] এত পচনশীল?! ঝানতাম না এইটাও! হায় রে মিস-লিডিং!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ব্র্যাকেটবন্দী হাসিটা আরো মিস-লিডিং কিন্তু
তোমার নাক তো সবকিছুর মধ্যেই মাছের গন্ধ খুঁইজা বেড়ায়!
আর, বন্দি-রে দীর্ঘ-ঈকার পরাইলে বন্দি'র কষ্ট আরো বাইড়া যায় কইলাম!
আর 'বন্দী'ও শব্দ আছে অভিধানে এখনও একটা, যেইটার মানে হৈলো- 'বন্দনাপাঠকারী'।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আমি দ্বিতীয় অর্থটা দেখি জায়গা মতই বসাইছি (না বুইঝাই)
তা আমার নাক একটু 'শার্প' বটেই
হ, এইটা মজা হৈছে!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সবাই লেখা সম্পর্কে কিছু না বইল্যা ঘটনার আবজাবে একটা ফুঁ দিয়া চইলা যাইতেছে!
এর মধ্যে এমনকি আপ্নেও একটা মিহি হাসি দিয়েই কাটলেন! দাউ ট্যু ব্রুটাস?! ;-(
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আবার!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
লেখা সম্পর্কে জানতে চান তো? সংক্ষেপে বলি, 'সাইফুলাক্বর্খানীয়'
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ওই মিয়ারা.....আমারে আগে না জানাইলে কেমনে কী? অন্তত এসএমএস করে দিলে হয়। দৌড়ের উপর থাকিরে ভাইডি। আপ্নেরা আসলে ইস্তারিতো খাইতে পারি।
জ্বি বস। নিশ্চয়ই।
ব্যাপার্না বস।
আমি আর কি ভাবছিলাম যে আড্ডা-আহ্বায়ক এইরকম পাবলিক রিলেশন করছে আগে। কিন্তু, পরে না বুঝলাম, যে- আসোলে কোনো আহ্বায়ক ছিল না, সবগুলাই পাগল আড্ডারু ছাড়া আর কিছুই না!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
পুরা চাহনামা লিখে নামিয়ে দিয়েছেন দেখি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
জ্বি স্যার, আপনাদের ধোঁয়ায়!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
রোজার দিনে এরকম আড্ডা নাজায়েজ বেশরিয়তি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মারিফতিতে নিষেধ নাই। এই জন্যই এই জলসার বেশির ভাগের চুল-দাড়ি লম্বা...
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
@ রানা মেহের,
দিন কই দেখলেন!
আর, আড্ডা তো এমনেই বেশরিয়তি, আমারে এইটা বইলা কী লাভ গো আফা?!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
গতকাল আমি গিয়া একা একা বইসা রইলাম! চিল্লাইয়া সবাইরে আড্ডায় ডাকলাম। কেউ আইলো না! আমার মাশ্রুম খাওয়া আর হইলো না!
..............................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
একা হৈলে তো সুবিধা! না চিল্লায়া নিজে খায়ালাইলেই পারতা। সহযোগী ছিল না তো কী? সহভাগীও তো ছিল না!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সাইফুল ভাই মাশ্রুম্ভাজাও খাওয়া হবে পেট পুরে, খালি একবার আসতে দেন দেশে।
ব্যাঙছত্র ভাজা থাকবে বেশুমার আপনার জন্য, আর যারা আপ্নারে আশা দিয়া নিয়াও মাশ্রুম খাওয়ায় নাই, সেই সব নাখান্দা বান্দাদের জন্য থাকবে কোলা ব্যাঙ ভাজা।
হ, বনানী থেকে মহাখালীতে দেখাইছিল মূলা, তাতেই ডস খায়া কাইত আছি, আর আপ্নে মূলা দেখাইতে লইছেন সেই হাজার মাইল দূর থেইক্যা! ;-(
[থ্যাংকস মামুন ভাই]
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আরে ভয় পেলেই মনে মনে গব্বর সিংকে ডাকবেন৷ দেখবেন ভয়টয় সব পালিয়ে গেছে৷
-----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ক্যায়া খুব কাহা রে তু নে বাসন্তী! না থুড়ি, দম'ন্তী!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন