চর্চাপদ ০৮

সাইফুল আকবর খান এর ছবি
লিখেছেন সাইফুল আকবর খান (তারিখ: শনি, ৩০/০১/২০১০ - ২:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


১.
কর্মের শুদ্ধ সঠিক মান নির্ণয় এমনিতেই দুস্কর, তাও আবার নিজ কর্মের বেলায় এই মূল্যায়নের চেষ্টা তো রীতিমতো তস্করের সাধনার মতোই নিচু কাজ! তবে, পরিমাণে আমার কর্ম মোটামুটি বহুদিকে বহু। তবু আমি ঠিক কর্মী নই। তারচে' বেশি বরং কর্মক্লান্ত। ঘর্মসিক্ত হয়ে গরমের চরমভাব থেকে পালাতে যাই, শীত খুঁজতে ধাই, কম্বলে মুখ গুঁজতে চাই। শীত জুটুক আর না জুটুক, আমি ঘুমন্ত! আমার মতো ঘনঘন শীতনিদ্রা বোধ করি খুব কম মানুষই চাষ করেছে নিজের মূল্যবান জীবনে। একমাত্র জীবনের কতো কতো 'সম্ভাবনা'কে যে আমি ঘুমের ঘোরে পায়ে নেড়ে ভেঙে দিয়ে 'সম্ভব না' ক'রে দিয়েছি, সেই হিসেবও পাইপাই করতে চাইলে তার জন্যই আসোলে আর একটা পৃথক জীবন চাই!
নেত্রকোণার এক বা একাধিক 'লম্বা কিস্সা'য় (পালাগানে) কুদ্দুস বয়াতির মুখে বহুবার বহুভাবে শোনা একটা চয়ন- "আঁইট্যা যাইতে ফাও চলে না, মনডা ক্যামন করে"! যাদের কাছে এটা হিব্রু'র কাছাকাছি দুর্বোধ্য লাগছে হঠাৎ, তাদের জন্য বলি- 'আঁইট্যা' হচ্ছে 'হেঁটে' (হেঁটে > হাঁইট্যা > আঁইট্যা), 'ফাও' হচ্ছে 'পা' (পা > পাও > ফাও), আর 'মনডা' তো 'মন-টা'। আর বাদ বাকি সব শব্দ আশা করি এর মধ্যে পরিষ্কার। তো, আমার দশাও আসোলে এই অকালবার্ধক্যের মধ্যে বহুবারই বারবারই বরাবরই "আঁইট্যা যাইতে ফাও চলে না, মনডা ক্যামন করে"!

২.
সচলায়তনের মতো প্রিয় আয়তনেও আমি যে আদৌ কতোটা সচল, সে তো মোটামুটি বয়সী সচলমাত্রেই জানেন। কর্মক্লান্তির সাথে সাথে আমার হতাশাবাদী ভ্রান্তির ঘেরাটোপটিও দেখে ফেলে থাকবেন কেউ কেউ। আজ যে না-পারার না-হওয়ার গল্প করতে বসলাম, সেগুলোর সবই শুধু কাজের বহুভাঁজের ক্লান্তি নয় বটে, মতে-পথে মিলতে বা মিলাতে না পেরে ছেড়ে-দেয়াও সেখানে কম নেই একেবারে! ঠিক সরব দ্বন্দ্ব তেমন না হ'লেও, আদর্শিক বা বৈশ্বাসিক মোহভঙ্গও ঘটেছে আমার খুব তাড়াতাড়িই।
প্রায় প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হয়েও দুই বছর জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ পর্যন্ত ক'রে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদীচী-ই ছাড়িনি শুধু, পরেও একটাতে ছয় মাস চা-পুরি এনে আর অন্য আরেকটাতে তিন বছর প্রায়-চণ্ডীপাঠ ক'রেও ছেড়েছি আরো দু'টো নাটকের দল।
শেষ দলে দলাধিকর্তার সাথে ব্যাপারটা আমার কাছে এমনই একটা নীরব স্নায়ূযুদ্ধে রূপ নিয়েছিল শেষভাগে, যে তাকে গুরু মেনে শ্রদ্ধা করা তো দূরের কথা, 'ভাইয়া' ডেকে তার অধীনে কাজ করাটাই আমার নিজের কাছে লজ্জাজনক ঠেঁকছিল। কাগজে কলমে পদত্যাগবার্তা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ফ্ল্যাট-মেট দপ্তর সম্পাদকের হাত দিয়ে। দলনেতা পত্রপাঠ প্রতিক্রিয়ায় প্রথমের 'বজ্রাহত' (পরে দপ্তর সম্পাদকের দেয়া ভাষ্যমতে) অভিব্যক্তি কিছুক্ষণের চেষ্টায় মুছে পরে সেই দূতকে নাকি বলেছিলেন- "ছেড়ে দেয়াটাই আসোলে সহজ, ধ'রে রাখাটা অনেক কঠিন"! আমি তার ছায়ারও নাগাল আর না মাড়িয়ে সেই অপমান-অপবাদই মেনে নিলাম। নিজেকে খুইয়ে ওরকম কিছু ধ'রে রাখাটা আসোলেই আমার পক্ষে ভীষণ কঠিন। তারচে' আমার সহজ স্বকীয় অহম্ই আমাকে শান্তি দিয়েছে, অন্তত নিজের বিবেকের কাছে ভালো রেখেছে।

৩.
বিবেকের নিন্দেমন্দ তবু আমাকেও শুনতে হয় অন্যত্র, যে কথা বলবো ব'লে আসছিলাম এদিকে, সেই অকর্মিতার জন্যই। সে কথাতেই আসছি। রাজনীতির বাস্তব চেহারা আগেই চেনা হয়েছিল। তাই দিন বদলের স্বপ্নগ্রস্ত থেকেও ছাত্ররাজনীতির টেবিলের ধারেকাছেও চা খেতেও যাইনি কখনও। 'উদীচী' নামক সার্বক্ষণিক 'সামাজিক আন্দোলন'টা ধ'রেও ছেড়ে দেয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল দু'টো ঘটনায় অনেক বেশি খেপে গিয়ে সাধারণ প্রতিবাদী ছাত্র হিসেবেই মিছিল-মিটিং-টিয়ারগ্যাসের মধ্যে গিয়েছিলাম। একটা শামসুন্নাহার হল-এ পুলিশের বর্বরতার সেই ২৩ জুলাইয়ের কালো রাতের ঘটনা, আর আরেকটা ছিল হুমায়ুন আজাদ স্যারের ওপর নৃশংস হামলা। কিন্তু, প্রায় একইভাবে, আন্দোলনের কয়েকদিনের মাথায় খুবই আপত্তিকর দৃশ্যে রাজনীতির সাথে দেখা হয়ে যাওয়ায় বুকের ভেতর উপায়হীন কান্না চেপে ঘরে ফিরেছি সেই দু'বারই। পাশের সহযোদ্ধাই যখন প্রত্যেকটা প্রতিপক্ষের গুপ্তচর, তখন যুদ্ধটাই বা করবো কোথায়!
আস্তে আস্তে পত্রিকা পড়াও ছেড়ে দিয়েছি, খালি দুঃখজনক আর ঘৃণ্য খবরাখবর প'ড়ে অসহায় নিরুপায় যন্ত্রণা নিয়েই মুখ বুজে ব'সে থাকতে হয় ব'লে। দিনদিন তবু হাওয়ায় চ'ড়ে বেড়ানো দুঃসংবাদ আর কুসংবাদগুলোর আস্ফালনে খালি বুঝতেই থাকলাম- এই দেশে নির্বাচনও হয় শ্রেফ এটা ঠিক করার জন্য, যে আগামী পাঁচ বছর টিভি-তে কার মুখের ভেংচি দেখতে হবে, টেন্ডারবাজি আর জলে স্থলে অন্তরীক্ষে সমস্ত দুর্নীতি করার পালাটা কাদের হবে, কোন্ দল এই পাঁচ বছরে অন্য দলের ছেলেদের মাথায় রেঞ্চ কিংবা ড্রিল মেশিন চালাবে, আর পুলিশই বা এই সময়টাতে কোন্ দলের 'ছাত্র'নেতাদেরকে সেই খেলাগুলো খেলার পরিবেশ নিশ্চিত ক'রে দেবে সব সময় পাশে পাশে থেকে! তো, আমার ভোট দেয়ারই বা কী দরকার! আমার জন্য কোনটা আটকাবে কোথায়!

৪.
দুশ্চরিত্র পথের চিন্তায় প'ড়ে থেকে প্রত্যেক দুপুরে একবার ক'রে লজ্জা-ঘৃণায় মরবো না ব'লে, চোখ বুজে ভ্রূ কুঁচকে কয়েকবার যান বদল ক'রে কোনোমতে পথ পেরিয়ে এসে ফ্লুরেসেন্ট অফিস-পাড়ায় ঢুকলাম সাত-পাঁচের প্যাঁচ-পয়জারের বাইরে নিরীহ নিপাট ছাপোষা হয়েই শ্রেফ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে বেঁচে থাকবো ব'লে। কিন্তু অফিসেও প্রতি কিউবিক্যালে প্রতিদিন কাজনীতির সঙ্গে আসে রাজনীতিও। সামনের চেয়ারে ব'সে খিলান দিয়ে দাঁত খুঁচাতে খুঁচাতে, কথাও ব'লে যায় বেঘোরে থুথু ছিটিয়ে।
মুক্তিই আসোলে আসলো না এখন পর্যন্ত। কাজের মধ্যে কাজ যেটা হয় এই কুকাজের দুষ্টু ঘোরে,-- এতকাল পরে এরকম একটা আয়তনে আবার কিছু তুমুল তুখোড় দামাল কর্মী দেখেও, সঙ্গদোষে শুভ'র টানে ভেসে গিয়ে আবার আশা আবার কর্মের দলে হাত উঠিয়েও একবার দু'বার বারবার, দিনের শেষে কিন্তু নিজেই নিজেকে এখনও খুঁজে পাই না সেই রোজকার কর্মীতালিকায়! রুটি-রুজির লোক হয়ে যাওয়া এই খরচ জীবনে বাণিজ্যশিল্পের বিশ্রী ব্যস্ততায়, বিষণ্ন বিপন্ন দৌড়ে বেড়াই শুধু। উইকিযুদ্ধের ডাকে উদ্বুদ্ধ হই, উত্তেজিতও হই। উইকিপিডিয়ায় নিবন্ধন করি, কোন্ জায়গায় কাজ করা যায় ভাবতে ভাবতে একটু হ'লেও সময় ক'রে ক'রে অল্পবিস্তর ঘুরিও কয়েকদিন। কিন্তু শেষমেশ আমার আর যুদ্ধে যাওয়া হয় না এবারও। "যার হয় তার হয়, আমার হয় না"। নিরন্তর কা.বি.খা. কর্মসূচিতে খাবি খাই, খাবিই খেতে থাকি; নিয়োগত্রাতা রাজার জীবন আরো তুঙ্গে উঠিয়ে দিতে "উঁচু ওই পাহাড়ে ধীরে ধীরে" উঠতে থাকি, প'ড়ে যাই, আবার উঠি, ... আর বিবেকের সেই পুরোনো আয়নামহলে যথারীতি "রয়েসয়ে কম্যুনিস্ট"ই হয়ে যাই আরো একবার! হয়তো ঠিকঠাক কর্মী নই ব'লেই পারি না।
কতো বড় কাজের লোকেরা আরো কতো কাজ ক'রে আবার এমন ভালো কাজও করে, বরাহ শিকার করে, ধর্ষিত ইতিহাসকে পুনর্বাসন করে। তবে, আমার কাজের দোহাই কি শুধুই আমার লজ্জাঢাকার নির্লজ্জ অজুহাত? আমিই শুধু পারি না? আমারই শুধু "আঁইট্যা যাইতে ফাও চলে না, মনডা ক্যামন করে"?! হায় কর্ম! হায় অ্যাকটিভিজম! ক'রেও শান্তি পাই না, না ক'রে তো আরো না!

৫.
পৌনঃপুনিক পচন আর সংক্রমণে মনেরই বুঝি গ্যাংগ্রিন হয়ে বসলো এতদিনে! তীব্র বিষযন্ত্রণা শুধু, শল্য অপসারণ ছাড়া বুঝি উত্তরণ মিলবে না আর!


[২৯ জানুয়ারি ২০১০ দিবাগত রাত ১২:২৫]


মন্তব্য

অনিকেত এর ছবি

আহা, অনেকদিন পর আমার প্রিয় কলামের প্রত্যাবর্তন।
তোমাকে মনে হয় আগেও বলেছি, এই কলামটায় আমার সবচেয়ে প্রিয় যে জিনিসটা---সেটা হল তোমার ঠাস ঠাস অনুপ্রাস ব্যবহার।
এ বারেও তার ব্যতিক্রম নেই।

শীত জুটুক আর না জুটুক, আমি ঘুমন্ত!

আমার দশাও আসোলে এই অকালবার্ধক্যের মধ্যে বহুবারই বারবারই বরাবরই "আঁইট্যা যাইতে ফাও চলে না, মনডা ক্যামন করে"!

সাত-পাঁচের প্যাঁচ-পয়জারের বাইরে নিরীহ নিপাট ছাপোষা

প্রতি কিউবিক্যালে প্রতিদিন কাজনীতির সঙ্গে আসে রাজনীতিও।

এমনি আর অনেক উদাহরণ ছড়িয়ে আছে ----
আমার খুব মজা লাগে পড়তে

একটা কথা ভায়া, শব্দটা 'চণ্ডিপাঠ'? নাকি 'চণ্ডীপাঠ'???

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অনিকেতদা'! দেঁতো হাসি
এটাও সত্যি- আপনি যখন এমন ধ'রে ধ'রে উদ্ধৃতি দিতে থাকেন, আমি লজ্জায় সম্পূর্ণ রঙিন হয়ে যাই! হাসি
আর কলাম বললে নিজেকে আ.গা.চৌ. লাগে! খাইছে

যাক, জ্বি দাদা, আপনি ঠিক ধরেছেন। চণ্ডীপাঠ-ই হবে শব্দটা। এখন দেখলাম। সবকিছুতে যেমন হ্রস্য-ই-প্রবণতা এসেছে কিছুদিন ধ'রে, তার ফাঁদে প'ড়ে গিয়েছিলাম।
অনেক ধন্যবাদ বস। এডিট ক'রে ঠিক ক'রে দিই তাহ'লে?
ভালো থাকেন।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সৈয়দ আফসার এর ছবি

ভালো লাগল।
ভালো থাকুন।

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন আপনিও।

আর, আপনার স্বাক্ষরের সীমানারেখাটা অনেক সুন্দর লাগলো, একটু দূরে দেখা পল্লীদিগন্তরেখার মতো। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ভাষা ভাবনা দুটোই অন্যরকম লাগলো ...


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আপনার প্রিসাইজ মন্তব্যও খুব সুন্দর লাগলো। ভালো থাকুন। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মৃত্তিকা এর ছবি

হুম।
আত্নসমালোচনার ভাষাটি ভালো লাগলো।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হুম।
ধন্যবাদ মৃত্তিকা। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

বাউলিয়ানা এর ছবি

আরে আপনার তো দেখি অভিজ্ঞতার ঝুলি অনেক বড়।
২. এর ভাবসম্প্রসারন করলেই তো আমরা একটা ছয় ফর্মার উপন্যাস পেতে পারি, কি বলেন? আপনার যদি অনুপ্রেরণার অভাব থাকে, তো সচলের পাঠকরা আছি কী করতে?
আপনার দেখা এক একটা চরিত্রকে নিয়ে ধারাবাহিক শুরু করে দিন। দেখবেন, দিন শেষে আপনার নিষ্কর্মা মনে হওয়া সময়গুলোকে কত সফল মনে হবে।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আপনার নিক-টা সুন্দর! এই নামে একটা ব্র্যান্ড ইভেন্ট করতে চাইছিলাম আমরা, বছন তিন আগে। পরে আর হয়নি সেটা। যাক।
না না, অনুপ্রেরণার অভাব নেই তেমন। কিন্তু কীসের জানি একটা ... থাক।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর সুপরামর্শের জন্য। হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

এরকম লেখার মন্তব্যে কি আর বলি,
কয়েকটি লাইন নিত্যদিনের প্রতিচ্ছবিই হয়ে উঠলো-

আস্তে আস্তে পত্রিকা পড়াও ছেড়ে দিয়েছি, খালি দুঃখজনক আর ঘৃণ্য খবরাখবর প'ড়ে অসহায় নিরুপায় যন্ত্রণা নিয়েই মুখ বুজে ব'সে থাকতে হয় ব'লে।

খাবিই খেতে থাকি; নিয়োগত্রাতা রাজার জীবন আরো তুঙ্গে উঠিয়ে দিতে "উঁচু ওই পাহাড়ে ধীরে ধীরে" উঠতে থাকি, প'ড়ে যাই, আবার উঠি, ..

মুক্তিই আসোলে আসলো না এখন পর্যন্ত। (দীর্ঘশ্বাসের কোন ইমো নাই মন খারাপ)

বর্ণনার ভাষা চমৎকার চলুক

--------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

মউ! অনেস্টলি, আপনার এমন মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যেও কী বলবো বুঝতে পারছি না আমি।
শুধুই নিরন্তর ধন্যবাদ। আর শুভকামনা।

দীর্ঘশ্বাসের কোনো ভাষাও যথেষ্ট দীর্ঘ বা গভীর না। সেই কারণেও আরো একটা দীর্ঘশ্বাস দিতে হয়, না? হাসি মন খারাপ

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

দুর্দান্ত এর ছবি

মারহাবা! তারা সবগুলোই দিলাম।
---
শুরুতে ভেবেছিলাম লেজ গুটিয়ে কেটে পড়ার নানান কায়দাকানুন শেখাচ্ছেন। তবে শেষমেষ বোঝা গেল যে সবক্ষেত্রে প্রস্থান=পলায়ন নয়।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আচ্ছা, তারাগুলো আগে গুনে দেখি তবে, সত্যি সত্যি কতোগুলো দিলেন! চোখ টিপি দেঁতো হাসি

অনেক অনেক ধন্যবাদ, দুর্দান্ত।
না ভাই, এত ছেড়ে এসেছি এতখানে, এই আয়তনটা যেন সত্যিই না ছাড়তে হয় কোনোদিন।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মার্সে, এইটা কি উপন্যাসের ফ্ল্যাপের জন্যে লেখা নাকি বদ্দা ?? এরাম কঠিন কথা থাকলে কিন্তু পর্বো না বলে দিচ্ছি খাইছে

... আপনেরাই যদি হতাশাবাদীর মতো কথা বলেন, তাইলে আমাদের কী হবে, বলেন ??

_________________________________________

সেরিওজা

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

না, এইটা ফ্ল্যাপ না। তবে, উপন্যাসের ফ্ল্যাপও মোটামুটি কঠিন ক'রেই লেখা (ব্র্যান্ড ইমেজ ব'লে একটা ব্যাপার আছে না? হঠাত্ ক'রে তো আর অন্যরকম কিছু ক'রে বসাটা ঠিক হ'তো না!), ভিতরেও কঠিন। কিন্তু, খবরদার, পড়তে কিন্তু হবেই! মুহুহোহাহাহাাাাাা! চোখ টিপি

অন্তত হতাশ লেখক পুনর্বাসন প্রকল্প হিসেবেই বইটা কেনা এবং পড়া তোমাদের ব্লগিত্র দায়িত্ব! দেঁতো হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কিছু লেখা পড়লে মনে হয়, ধুর এরকম তো আমিও পারি।
কিছু লেখা পড়লে মনে হয়, হায় কেন লিখি আমি ছাইপাশ...

আপনারটা দ্বিতীয়গোত্রের।

কেবল মুগ্ধতা রেখে গেলাম সাইফুল ভাই...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

তুমিও যে পাল্টা মুগ্ধ ক'রে গ্যালে ভাই!
কী জবাব দেবো বুঝতেই পারছি না।
অনেক ধন্যবাদ।
আমিও কিন্তু তোমার জীবাণুজীবনীর ভক্ত! হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

কর্মে র মাধ্যমে শান্তি বা মুক্তি মিলতে হইলে তা হতে হবে নিষ্কাম কর্ম। আরকেটা উপায় হচ্ছে ধ্যান। গভীর ধ্যানের মাধ্যমে কর্ম এড়িয়ে ডাইরেক্ট শান্তি-তে চলে যাওয়া যায়। তবে আমাদের মতো মানুষরে জন্য কর্ম-ই ভালো। তবে তা হতে হবে ফলের আশা বাদ দিয়ে, শুধু ধর্ম মনে করে । আর তোমার ধর্মে ব্যাপারটা খানিকটা আছে।

সাগর শহীদুল্লাহ।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

তাই?
তাহ'লে আমি শান্তি পাবো বলছো? হাসি

অনেক ধন্যবাদ, খুঁজে পেতে মন্তব্য ক'রে যাবার জন্য।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

লেখাটা অসাধারণ।

ছেড়ে দিতে দিতে একসময় দেখা যায় দাঁড়াবার আর
কোন জায়গা নেই। একলা চলার অভিমানটা দলের কেউ বুঝতেও
পারেনা...

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

চমত্কার ক'রে বললেন আপনিও।
অনেক ধন্যবাদ আনন্দী। ভালো লাগলো আপনার এমন স্পর্শী সংবেদী মন্তব্য পেয়ে।
ভালো থাকুন।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।