"মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জ্বরা-
অগ্নিস্নানে শূচি হোক ধরা।
রসেরো আবেশরাশি
শুষ্ক করি দাও আসি-
আনো আনো, আনো তব প্রলয়েরো শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক,
যাক যাক,
এসো এসো।।
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।"
[ _ রবিঠাকুর, (বলা বাহুল্য)। ]
নতুন মানে সংশয়,
নতুন মানে সম্ভাবনাও-
নতুন মানে বরাভয়।
একটা কেমন যেন সময়ের মধ্যে আছি আমরা! প্রতিদিন কী কী যেন হচ্ছে! কী কী যেন হচ্ছে না! আশা হয় নত...
প্রতিরাতে আমিও হন্তারক!
বেঘোর এই ব্যাচেলর জীবনে যে প্রতিরাতে মশারির ভিতরে ঢুকেও ঘুমের আগে কারো সাথে কিংবা কোনোকিছুর পিছনে এমন গলদঘর্ম গতর খাটাতে হবে - সেটা আগে ভাবিনি কোনোদিন। রীতিমতো বিনা পারিশ্রমিকে কায়িক পরিশ্রম, তা-ও আবার নাইট শিফ্ট!
বাতাসের প্রধান উপাদানের তত্ত্বে একটা পরিবর্তন এখনও পদার্থবিদ্যায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তবে তার তথ্য এই এখনই আমার কাছেই পাবেন। সেটা হ’লো- ভৌত...
মাহবুব লীলেন’র ‘তৃণতুচ্ছ উনকল্প’: গল্পদের ঊর্ধ্বে যে অগল্প
১।
বেশ কয়েক মাস পরে একটি বই পড়লাম আমি - ব্যস্ততার অজুহাতে কুঁড়ে পাঠক - পড়লাম মানে কি, প’ড়ে একেবারে শেষও ক’রে ফেললাম! এই কারণেও, এবং বইটির ধরনের কারণেও সে বইটি নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি, মানে লিখতে যাচ্ছি। যদিও কিছুদিন আগে ক্যামেলিয়া আপুও এ বইটি এবং আরো কিছু পূর্বাপর অনুরণন নিয়ে লিখেছিলেন, তবু আমি আবার সাহস করছি বড়মুখ ক’রে। ল...
শ্রীহট্টে দু'দিনের অন্যশ্রী - ২
[প্রতিশ্রুত ২য় পর্ব- পরিশ্রুত নয় মোটেই।
আরো একটা ডিসক্লেইমার এবার আগেই দিয়ে রাখি- এটা তথ্যসমৃদ্ধ ভ্রমণদলিল নয়, এটা সিলেটের পর্যটন-প্রবন্ধ নয়, এটা আমার একটা সিলেট-বেড়ানোর ব্যক্তিগত গল্পমাত্র, যেটা শ্রেফ ভাগ করছি ভাবাত্নীয় সচল-বন্ধুদের জন্য। অসম্পূর্ণতা বা ভুলত্রুটি সবাই ক্ষমা ক'রে নেবেন নিজ নিজ গুণে। বিষ হজমের জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, সকৃত...
শ্রীহট্টে দু’দিনের অন্যশ্রী
নিজের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে, সেই ১৯৯৯-এর শুরুতে গিয়েছিলাম প্রথমবারের মতো। তারপর আর একবার যেতে ছোট-পাল্লার মানুষ এই আমার লেগে গ্যালো প্রায় দশ বছর। ২০০৮-এর শেষদিকে, এই কিছুদিন আগেই হ’লো আমার এবারকার দু’দিনের সিলেট-ভ্রমণ, দ্বিতীয়বার। প্রথম সফরটিও ছিল দ্’দিনের জন্য, বিভাগীয় সহপাঠী-বন্ধু রাজেশের বড়বোনের সাতপাকে বাঁধাপড়া উপলক্ষে। আর এবার আবার আমার দশ ...
পতিত প্রতিবেশ!
তোমার সাথে থাকে জানি অন্য একটি লোক।
একটাই পরিচয় জানি আমি তার-
তোমার সে সুভাগা সহবাসী।
লাখ-কোটির হিসেব জানি না,
জানি- সে যে তুমি-পতি।
পৃথিবীর আর কোনো পরিচয়ে
জানো এসে যায় না কিচ্ছুটি।
যতোদূর ঠাহর হয়-
একই পাড়ায় সুদিন আর স্বপনদেরও বাড়ি।
ওরা দু’ভাই কিচ্ছু জানে না,
জানো না তুমি,
খোদ খোদা-নির্মিত সুখনগর আবাসিকের
কাক কিংবা পক্ষী,
কেউই তোমরা জানো না-
তোমার জন্য নিদেন ক...
আমার অচলায়তন!
আমি নাই!
আমার চিহ্ন চোখে পড়ে খুব কম সহ-ব্লগারের, তবু যে ক'জনই আমার অত্যাচার অনর্থাচার এক আধটু সহ্য করেন হজম করেন সদয় চোখে দেখে টেখে চেঁখে চুঁখে, তাদেরও দু'একজন হ'লেও খেয়াল ক'রে থাকবেন যে আমি নাই। যেমন, আর কেউ করুক না করুক, আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগভাই শা.মা. তার ব্লগীয় নিকের দিকে সুবিচার ক'রে জাগ্রত সতর্ক প্রহরায় অব্যর্থভাবে খেয়াল করতে পেরেছেন যে আমি অচল হয়ে গেছি। হ্...
বারেবার বারো!
বাসা থেকে বেরিয়ে বারোপ্রস্থ সিঁড়ি বেয়ে নেমে বারোটা খালি রিকশা দেখেও একটাকেও না জিজ্ঞেস ক'রে (যেহেতু ওরা কোথাও যায় না!) বারো মিনিট হেঁটে বাস কাউন্টারে পৌঁছে বারো টাকার টিকিট কেটে অফিসের বারোটা কাজের চিন্তা মাথায় (যেন!)বারো ঘণ্টা অপেক্ষার পর বারো'রই উল্টো সংখ্যা একুশে'র বাসে উঠে বারো রকম মানুষের বারোশ' রকম প্যাঁচালি শুনতে শুনতে বিরক্ত আর আরো বেশি বিক্...
পুরোনো ইতস্তত ("মন্দ-ভালো'র দোটানাতে জীবনটা বিকল")
দুঃখগুলো আদর পেয়ে বাঁদরামোতে বাড়ে,
আনন্দটা উঁকি দিতেই দূর ক'রে দ্যায় তেড়ে।
বিকল মন্দে জীবন দখল, ভালো থাকতে মানা।
তবুও কিছু নাছোড় ভালো করছে আনাগোনা!
[৯ এপ্রিল ২০০৭
অন্যপুর]
[সবাই নির্বাচন নিয়ে মশগুল, একই কারণে কেউ আবার চোখে দেখছে সর্ষেফুল! আর কিছু নিয়ে কেউ বলছে না কোথাও কিছু। তাই, একটু সৃষ্টিশীল একটা স্যাবোটাজ ক'রে সেই গম্ভীর পৃষ্ঠাটা একটু উল্টে দিলাম আজ। ছেলেমানুষি মাফ করবেন সবাই।]
বিন্দু থেকে বেশিই!
আমি পনেরো মিনিট হেঁটে যেখানটায় গিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম বাসের জন্য, সেখানেই এমন একটা চোরাগুপ্তা গলি গ’লে উপস্থিত হয়েছিলে তুমি, যে গলির উপ...