এই নতুন চিড়িয়াখানায় বদলি হয়ে আসার পর থেকে বদরুল হুসেনের মন খুব খারাপ। “ এ কোথায় এসে পড়লাম রে বাবা!” বদরুল মনে মনে প্রায়ই এই কথা ভাবে। এই একমাস আগেও বদরুল দেশের সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানার জু-কিপার ছিল। বদরুল নিজে হাতে চিড়িয়াখানাটা গড়ে তুলেছিল তিলে তিলে। কত ত্যাগ তিতিক্ষা কত পরিশ্রম সে দিয়েছিল ওইখানে। কত নতুন নতুন সব প্রাণী সে সংগ্রহ করেছিল গত পনের বছর ধরে! ডাকটিকিট জমানোর মত করে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পরিবেশের নানারকম জীবজন্তু সে কালেক্ট করেছিল ধীরে ধীরে। তার বিনিময়ে কি মিলল? মিলল এই বাজে ও বিশ্রী চিড়িয়াখানায় বদলি!
প্রথম দিন চিড়িয়াখানাটা ঘুরেই বদরুলের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। এটা কি চিড়িয়াখানা না পশুপাখির ডিটেনশন ক্যাম্প! দুটো সিংহ আছে এখানে। বদরুল ওর সারা জীবনে এমন হাড় জিরজিরে সিংহ দেখেনি। একটা বাঘ আছে, শুকিয়ে একবারে এমন চিমসে হয়ে গেছে যে বাঘ বলে চেনাই দায়। ময়ূর যেগুলো আছে পাখার অভাবে তাদের পেখম মেলতে দেখাই কষ্টকল্পনা। আর প্রত্যেকটা প্রাণীই ভুগছে নানারকম অসুখে! সবচে বড় ব্যাপার হল খুব সহজলভ্য কিন্তু খুব প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয় কয়েকটা প্রাণীই নেই। একটা চিড়িয়াখানায় হাতি থাকবে না এ কেমন কথা! এমন কি বদরুলের নিজের খুব প্রিয় সদাচঞ্চল বানর গুলোও কেমন যেন ঝিম ধরে থাকে সবসময়।
তবে বদরুল খুব অবাক হল একটা জিনিস দেখে। চিড়িয়াখানার এক কোণে বেশ একটা উন্মুক্ত যায়গায় কয়েকটা লোমশ ছাগল জাতীয় পশু রাখা আছে। প্রথম দেখায় বদরুল চিনতে পারেনি। পরে কাছে গিয়ে দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেল বদরুল। ওগুলো মার্খোর!! পাকিস্তানের জাতীয় পশু!
বদরুলের মনে পড়ল কয়েক বছর আগে পাকিস্তান সরকার মিত্রতার নিদর্শন হিসেবে দিয়েছিল ওগুলো। বদরুল ইচ্ছে করে ওগুলো নেয়নি তার আগের চিড়িয়াখানায়। পরে বদরুল জেনেছিল ওর মত আরো অনেকগুলা চিড়িয়াখানা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এতো বছর পর বদরুল ভুলেই গিয়েছিল এইগুলোর কথা।
বদরুল অবাক হয়ে দেখল ছাগলগুলি চিড়িয়াখানার অন্যসব প্রাণী থেকে অনেক হৃষ্টপুষ্ট। প্রত্যেকটার মেদবহুল শরীর তেলে চক চক করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল আগের জু-কিপারের খুব প্রিয় প্রাণী ছিল এইগুলো। এদের জন্যে নাকি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দাবার বরাদ্দ থাকত। প্রাক্তন জু-কিপার নিজে হাতে এদেরকে অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়ে আসা ছোলার ভুষি খাওয়াতেন।
আগের জু-কিপার এখনো আছেন চিড়িয়াখানার লাগোয়া কোয়ার্টারে। উনি আগামী সপ্তাহে চলে যাবেন এখান থেকে। বদরুলের খুব ইচ্ছে হল এর সাথে একটু দেখা করবার জন্যে!
২।
সকালে মর্নিং ওয়াক শেষে যখন বদরুল বাসায় ফিরছিল কাকতালীয় ভাবে সেই প্রাক্তন জু-কিপারের সাথে দেখা হয়ে গেল। উনি শেষবারের মত চিড়িয়াখানাটা ঘুরে দেখতে এসেছেন। ভদ্রলোকের নূরানী চেহারা! মুখে ছাগলের মত একগাছি দাড়ি। শরীরের তুলনায় তার মাথাটা অনেক ছোট।
পরিচয়ের পর জানা গেল ওনার নাম মাওলানা আহমেদ আল মুজাহিদ। মুজাহিদ সাহেব খুব হাসি খুশি মানুষ। প্রথম দেখাতেই একেবারে প্রবল বিক্রমে সালাম দিয়ে, কোলাকুলি টুলি করে একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা করে ফেললেন।
হাসতে হাসতেই বললেন-“ আরে বদরুল মিয়া আপনি তো বিখ্যাত লোক। জু-কিপিং এর জগতে আপনি তো বহুত মশহুর লোক!”
বদরুল কিছু বলল না। শুধু মৃদু হাসল।
“চলুন, আপনাকে চিড়িয়াখানাটা ঘুরিয়ে দেখাই”- মুজাহিদ সাহেব বিগলিত ভাবে প্রস্তাব দিলেন। বদরুল না করলো না।
মুজাহিদ সাহেব এক এক করে সব দেখালেন বদরুলকে। হাড় জিরজিরে সিংহ, কোন মতে দাঁড়িয়ে থাকা টিংটিঙে জিরাফ, ঘা, দগদগে ক্ষত ওয়ালা জেব্রা, পুচ্ছ বিহীন ময়ূর এবং আরো অনেক কিছু।
বদরুল বেশ অবাক হয়ে দেখল বাঘের খাঁচাটা কেমন যেন অগ্রাহ্য করে পার হয়ে যেতে চাইছিলেন মুজাহিদ! বদরুল ডেকে ওনাকে থামাতে উনি শুধু হ্যা হ্যা করে হাসলেন শুধু।
বললেন-“ বহুত খতরনাক আর বজ্জাত চিড়িয়া এইটা, দুই দুই বার খাঁচা ছেড়ে পালিয়েছিল। আর আমার বহুত পেয়ারের একটা আরবী দুম্বা খেয়ে ফেলেছিল”- কেমন যেন হিংস্র ভঙ্গিতে কথাটা বললেন মাওলানা মুজাহিদ।
বদরুল বাঘের খাঁচার আরেকটু কাছে এগিয়ে গেল। অনিচ্ছা সত্ত্বেও মুজাহিদও বদরুলের পেছন পেছন এগিয়ে গেলেন।
বদরুল খেয়াল করল দুর্বল অনাহারী বাঘটা মুজাহিদকে দেখেই কেমন সচকিত হয়ে উঠল। গা এলিয়ে শুয়ে থাকা দুবলা পাতলা বাঘটা কেমন যেন তীক্ষ্ণ জ্বলজ্বলে চোখে তাকিয়ে রইল মুজাহিদের দিকে।
মুজাহিদ বদরুলের কাঁধে হাত রেখে বলল-“ আরে ইয়ার, এইখান থেকে চলুন তো, আমার সবচেয়ে পেয়ারের চিড়িয়াটাই তো দেখলেন না”।
বদরুল আর আপত্তি না করে মুজাহিদের পিছন পিছন এগিয়ে গেল।
বদরুল আর মুজাহিদ সেই উন্মুক্ত জায়গাটাতে এসে পড়ল, যেখানে মার্খোর ছাগলগুলি রাখা আছে।
মার্খোর গুলিকে দেখেই মুজাহিদ সাহেবের কুতকুতে চোখগুলো কেমন যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠল। উনি একেবারে হা হা করে এগিয়ে গেলেন-“ আরে আমার পেয়ারে সাকিনা, আরে বেটা রুস্তম, আমার কাছে আয় সোনারা, আমার কাছে আয়”। ছাগল গুলিও বাধ্য শিশুর মত মুজাহিদের কাছে এসে একজন তার পা চাটতে লাগলো আর আরেক জন তার পাঞ্জাবির খুট ধরে চিবাতে লাগলো। মুজাহিদ কেমন আপ্লুত হয়ে ছাগল দুটিকে জড়িয়ে ধরলেন। চুমুও খেলেন ওদের মুখে, গণ্ডদেশে। মুজাহিদের মুখে মার্খোর এর লোম ঢুকে গেল। তবে এতে তার কোন বিকার নেই।
মুজাহিদের চোখে পানি এসে গেছে, খেয়াল করল বদরুল।
কাঁদতে কাঁদতেই মুজাহিদ বললেন-“ বুঝলেন বদরুল সাহেব মনটা খুব খারাপ লাগছে। আমার খুব পেয়ারের চিড়িয়া এই দুইটা। ভাবতেই খারাপ লাগছে এই পবিত্র জীব দুটিকে ফেলে যেতে হচ্ছে। সেই পাকিস্তান থেকে আমার বন্ধু আসগর এদেরকে পাঠিয়েছিল। আহারে সোনারা আমার!”
“দেখুন কেমন সুন্দর দেখতে, শিঙের বাহার দেখেছেন! আহা! এমনি তে তো আর পাকিস্তান মুলুকের জাতীয় পশু হয়নি!” নিজের মনেই বলতে থাকে কেঁদে কেঁদে দাড়ি ভিজিয়ে ফেলা মুজাহিদ।
বদরুল কিছু বলল না। বদরুলের মন বিবমিষায় ভরে গেছে।
৩।
“আহা ভাবীর হাতের ছাগলের গোস্ত, এতো একেবারে বেহেশতের খানা মনে হচ্ছে!” চাকুম চকুম করে আঙুল চাটতে চাটতে বলল মুজাহিদ। বদরুলের বাসায় দাওয়াত খেতে এসেছে মুজাহিদ।
“আরেকটু দেই মুজাহিদ ভাই?” বদরুল বেশ আন্তরিক ভাবে সাধল মুজাহিদকে। মুজাহিদ না করলো না।
“আপনিও নিন না, বদরুল ভাই”- মুজাহিদ দেখল বদরুল ছাগলের মাংস নিচ্ছে না।
“আরে না না, মুজাহিদ ভাই, ছাগলের মাংসে আমার ডাক্তারের নিষেধ আছে”- বদরুল হেসে বলল।
“আপনি বুঝলেন না কি জিনিস আপনি মিস করছেন”- মুজাহিদ মুখ ভর্তি খাবার নিয়ে বলল।
বদরুল কিছু বলল না, তবে তার ঠোঁটের কোণায় মৃদু হাসি!
প্রচুর খানা পিনা শেষে বদরুল বলল “চলুন মুজাহিদ ভাই, আপনাকে একটা দারুণ জিনিস দেখাই!”
মুজাহিদ বলল-“কি জিনিস ভাই?”।
“আরে চলুনই না, গেলেই দেখতে পাবেন”।
বদরুল মুজাহিদকে নিয়ে চিড়িয়াখানার ভেতর ঢুকে গেল। হাঁটতে হাঁটতে ওরা বাঘের খাঁচার সামনে এসে থামল।
মুজাহিদ কিছু বুঝে উঠতে পারছিলনা।
“কেয়া বদু ভাইয়া, এই খানে নিয়ে আসলেন কেন?” মুজাহিদ প্রশ্ন করল।
“ খাঁচার ভেতর ভালো করে খেয়াল করে দেখুন তো, মুজাহিদ ভাই”
মুজাহিদ তাকিয়ে দেখল বাঘের খাঁচাটা একটা পার্টিশন দিয়ে দুই ভাগে ভাগ করা। একভাগে সেই মার্খোর গুলোর একটা। আর আরেক ভাগে বাঘ।
মুজাহিদ ভয় পেয়ে গেল-“ এসবের মানে কি, রুস্তম এখানে কেন?”
বদরুল কিছু বলল না। শুধু খাঁচার বাইরে একটা লিভার টান দিল। আর মাঝখানের পার্টিশন উঠে গেল আস্তে আস্তে।
“একি করছেন, একি করছেন” ছাগলের মত চিৎকার করে উঠল মুজাহিদ।
ক্ষুধার্ত বাঘটা জ্বলজ্বলে চোখে তাকিয়ে আছে ছাগলটার দিকে।
ছাগলটা কেবল ম্যা ম্যা শব্দ করে বাইরে ছুটে পালাবার চেষ্টা করছে। বাঘটা আর সময় দিলনা। এক লাফে ছাগলটার উপর লাফিয়ে পড়ল অনাহারী বাঘটা।
বাঘের থাবার একটা আঘাতেই মার্খোর এর মাথা চূর্ণ হয়ে গেল ডিমের খোসার মত।
মাওলানা মুজাহিদ এই দৃশ্য দেখে শুধু বললেন-“ ইয়া মাবুদ”
তারপরই বিকট গোঁ গোঁ শব্দ করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন কাটা গাছের মত।
বদরুলের মুখে কেমন যেন একটা অদ্ভুত হাসি খেলা করে গেল।
তারপর সে চিৎ হয়ে পড়ে থাকা মুজাহিদের পাছায় গায়ের সর্বশক্তিতে একটা লাথি দিয়ে বলল-“ শালা, মার্খোর”।
মন্তব্য
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
এই ধরনের বিশেষন প্রয়োগ কি অত্যাবশ্যক?
সংকেত আকারে একটি গল্প বলতে চেয়েছেন সত্যি; কিন্তু কারুকাজ অতটা সংহত হয়নি যে, খুব বেশী আবেদন সৃষ্টি করতে পারে।
তবে ভাই, লেখা চলুক।
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
কিছু মনে করবেন না, গল্প ভালো লাগেনি। কারণ, না এটি বাস্তবোচিত হয়েছে, না এটা রূপকাশ্রয়ী হয়েছে। একজন জু-কিপার তার চিড়িয়াখানার কোন প্রাণীকে পছন্দ করুন বা না করুন সেটাকে বাঘ দিয়ে খাওয়াবেন না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার ব্যর্থতা ।
ভালো কিছু লেখার চেষ্টায় থাকব।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
বোঝা যাচ্ছিল ঘটনার পরিণতি। তবু ভালো লেগেছে। আরো লিখুন।
____________________________
এই আবর্জনা লিখে আমার নিজেরই খুব লজ্জা লাগছে। এইটা নীড়পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া যায়না ? গল্প লেখার ভূত কেন যে মাথায় চাপলো
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
এত লজ্জা পাবার কিছু নেই, সব লেখাই যে খুব ভাল হতেই হবে এমন তো নয়।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ কবি ভাই। অনেক অনেক শুভকামনা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
গল্প লেখার ভূত কেন, পেত্নীও চাপুক - এই কামনা করছি। সচলায়তন আমাদের জায়গা - ভালো হোক আর মন্দ (একটা নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ডের উপরে অবশ্যই, নইলে মডুরাম আটকে দেবে) সব লেখাই দেবেন। ভালো হলে যেমন প্রশংসা করবো, খারাপ হলে তেমনি সমালোচনা করবো। আখেরে লাভ কিন্তু হবে আপনারই - লেখা আরো পরিশীলিত হয়ে উঠবে। আর আমাদের লাভ হবে আমাদের - আমরা ভবিষ্যতে আপনার ভালো ভালো লেখা পড়তে পারবো।
আর লজ্জা পাচ্ছেন কেন, এটা কি কোন প্রতিযোগিতার আসর? আর ভালো গল্প লিখিয়েরা কি তাদের মান থেকে নেমে যায়না কখনো কখনো? লিখুন, লিখুন, লিখতে থাকুন প্রাণ খুলে - লজ্জা পাবার কি আছে? আমরা আমরাই তো!
____________________________
যাক, কিছুটা সাহস পাওয়া গেল। অদ্যাবধি গল্পের জন্ম-মৃত্যু -সবই হয়েছে মস্তিষ্কের নিউরনে।
শুভেচ্ছা
আপনাদের আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে
অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রোফেসর
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
লজ্জার কিছু নেই, তাহসিন রেজা। আর আপনি আবর্জনাও লেখেননি, গল্পটির সমস্যা হচ্ছে, এটি খুবই প্রেডিক্টিবল ছিল, খুব বেশী আরোপিত মনে হয়েছে।
আর দেখুন, আপনি লজ্জা পাচ্ছেন, অথচ অনেকে সত্যি সত্যি আবর্জনা লিখেও কিন্তু লজ্জা পায় না; আমাদের জাতীয় দৈনিকগুলোর সাহিত্য পাতায় যেসব গল্প আমরা দেখি, সেগুলোর সব কয়টাই কি মানোত্তীর্ণ হয়? অনেক গল্পই থাকে, যা হয়ত সচলে ছাপাই হত না।
আপনার অঢেল সম্ভাবনা আছে, শুধু যে কোন ভাবনাকে জোর করে গল্পের ভিতর পুরে না দিলেই হবে, ভাইয়া। গল্পের স্বাভাবিক গতিকে ধরে রাখলেই হবে।
ভাল থাকুন, আর অসাধারণ সব গল্প লিখতে থাকুন, ভাইয়া!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
দীনহিন, আপনাকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
প্রথম কথা আপনার নামে ৫৭ ধারা প্রয়োগের সম্ভবানা দেখা দিয়েছে । আপনিও চিড়িয়াখানার সাথে রাজনীতি মিশিয়েছেন?
গল্পের রুপক ব্যবহার নিয়ে অনেকেই বলেছেন, তার উপর ষষ্ঠ পান্ডব দা আসল কথা বলে দিয়েছেন। ভালো-একটু কম ভালো হবেই। লেখকের সব সৃষ্টি সম মানের হয় না। লেখতে থাকুক, আশা করি পরেরগুলো ভালো হবে।
মাসুদ সজীব
অনেক অনেক ধন্যবাদ মাসুদ ভাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসলে অন্য কয়েকটা ব্যাপারে একটু ঝামেলায় ছিলাম বলে কিছুটা দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। আপনাদের প্রেরণাসূচক মন্তব্য আমাকে খুব শান্তি দিল। আমার অন্তর থেকে আপনাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
সচলায়তনের এই আন্তরিক পরিবেশটাই আমার সবচে ভালো লাগে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
নতুন মন্তব্য করুন