এবার ছুটিতে বাড়ি গিয়ে ধুলো লাগা সব বইপত্তর ঝেড়ে ঝুড়ে রাখছিলাম। আমার ছোটবেলার পুরনো বইয়ের আলমারি থেকে শুধু পুরনো বই নয় হাবিজাবি নানারকম জিনিস বের হচ্ছিল। আমার পেপার কাটিং জমানোর খাতা, স্টিকার জমানোর খাতা, সবুজ রঙের ভাঙা ইয়ো ইয়ো, কলেজের বায়োলজি ডিসেকশন বক্স আরো কত কি!
একটু উপরের দিকের তাক থেকে একটা বই পাড়তে গিয়ে ঝুপ করে ঝরে পড়ল কালো রঙের একটা মোটাসোটা খাতা। আমি অবাক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে রইলাম খাতাটার দিকে। আমি ভেবেছিলাম ওটা হারিয়ে গেছে অনেক আগেই! তিলতিল করে জমানো সাদা, কালো, লাল, নীল, বেগুনী নানা রঙের স্বপ্নের ধনাগার ওই কালো খাতাটি। আমার ডাকটিকিটের খাতা! মেঝে থেকে তুলে নিয়ে পরম মমতায় হাত বুলোলাম ওটার উপরে।
ছোট বেলায় আমার নেশা ছিল ডাকটিকেট। কবে কিভাবে এই নেশায় পড়েছিলাম আজকে আর খেয়াল নেই । স্মৃতিশক্তি আমার বশ মানেনি কোনদিন ! তবু এইটুকু মনে আছে আমার একজন খুব প্রিয় মানুষ বলেছিলেন “ ডাকটিকিট জমানো হল শখের রাজা”।
বুনো হাঁসের পালকের পিছনে ছোটার মত করে কতদিন পাগলের মত ছুটেছি ডাকটিকিটের পিছনে। জাপানের টিকিট দেবার নাম করে নিপ্পনের টিকিট দেয়ায় মারামারি করেছি বন্ধুর সাথে । চুরি করেছি নির্লজ্জের মত। ডাকপিয়নকে দিয়েছি জীবনের প্রথম ঘুষ, এক কাপ চা।
পাশের বাড়ির বুড়ো বুড়ি অপেক্ষা করতেন কবে আসবে তাদের ছেলের চিঠি। আমিও অপেক্ষা করতাম কবে আসবে সেই চিঠি! সেই বৃদ্ধ দম্পতি তাদের ছেলেকে লিখেছিলেন আমার কথা। পরেরবার আমি পেয়েছিলাম ফিনল্যান্ডের অপূর্ব সব ছবিতে ভর্তি পোস্টকার্ড আর ডাকটিকিট।
পাশের বাড়ির এক বড় ভাইয়ের ছিল ঈর্ষা উদ্রেককারী ডাকটিকিটের সংগ্রহ। সারাদিন তাঁর পিছনে ছোঁচার মত লেগে থাকতাম যদি তাঁর কাছ থেকে দুয়েকটা এক্সট্রা ডাকটিকিট পাওয়া যায়! সেই বড় ভাইয়ের কান্না দেখেছিলাম তাঁর ডাকটিকিটের অ্যালবাম তাঁর মা কেজি দরে পুরাতন কাগজওয়ালার কাছে বেচে দেয়ায়। এতো কষ্ট হয়েছিল আমার! পরের দিন আমার সেরা কয়েকটি সংগ্রহ তাঁকে দিতে গিয়েছিলাম। উনি নেননি। বরং উনার কাছে বাকি যে ডাকটিকিট গুলো ছিল আমাকে দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন জানি সেদিন আমার একটুও আনন্দ হয়নি!
আহারে সেই সবুজ রঙের গামের বোতল! কত যত্ন নিয়ে খাতায় লাগাতাম, অ্যালবামে পুরে রাখতাম আমার সাত রাজার ধন, আমার স্বপ্নময় ডাকটিকিট গুলো।
কত অদ্ভুত সব নামের দেশের হদিশ পেয়েছিলাম! মোজাম্বিক, সিচেলিস, সাও টোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপি, ইরিত্রিয়া, জিবুতি, কেপ ভার্দে, লিচেন্সটাইন আরও কত কি! চাদের ডাকটিকিট হাতে পাবার পর থেকে শুধু ভাবতাম এই চাদ কোন চাঁদ!
বন্ধুদের সাথে ডাকটিকিট অদল বদল করতাম এক্কেবারে ব্রিটিশ বেনিয়াদের মত কুটিল বুদ্ধি নিয়ে। একবার খবরের কাগজ থেকে কেটে রাখা ডাকটিকিটের ছবি সুন্দর করে আলপিন দিয়ে বর্ডার ফুটো করে চালিয়ে দিয়েছিলাম আসল বলে। একবার কেনিয়ার নকল স্ট্যাম্প গছিয়ে পেয়ে গেছিলাম সোভিয়েত ইউনিয়নের দারুণ ডাকটিকিট। আমিও যে ঠকিনি তা না। একবার তো সোয়াজিল্যান্ডের রাজার ছবির পেপার কাটিং আমাকে গছিয়ে দিয়েছিল এক মর্কট।
আজকাল আর কেউ বুঝবে না সে স্বপ্নময় কাগজের টুকরো গুলোর কথা। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, টিভি, সেলফোনের জামানায় কোথায় যে হারিয়ে গেল ওগুলো! বন্ধু লন্ডন থেকে ফোন করে –“ দোস্ত, আগামী মাসে আইতাছি”। বন্ধুকে বলি, “একটা চিঠি লিখবি আমাকে, দারুণ কিছু ডাকটিকিট সহ ?” বন্ধু আমার কথা হেসে উড়িয়ে দ্যায় । বলে-“ তোর যতসব পাগলামি!”।
খুব চিঠি পেতে ইচ্ছে করে আজকাল। অনেক দূরের কোন দেশের চিঠি। উপরে থাকবে নাম না জানা পাহাড় অথবা নদীর ছবি, চুলে বেণী করা কোন বালিকার ছবি, অদ্ভুত কোন জন্তুর ছবি, বনের ছবি, পাখির ছবি। খুব চিঠি পেতে ইচ্ছে করে আজকাল। কেউ লিখবে না জানি, তবু পেতে ইচ্ছে করে।
মন্তব্য
ভারি মায়াময় লেখা!
নামটা 'হলদে পাখির পালক' দিলেও পারতেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
"হলদে পাখির পালক" তো শুনতে আরো ভালো লাগছে।
পঠনে কৃতজ্ঞতা তিথী আপু।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
এই বইটার নামে আর কী :
হলদে পাখির পালক
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহা! লীলা মজুমদার। ছোটদের জন্য এমন করে আর কেউ লেখেনি
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
খুব প্রিয় স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন, আমার আছে কয়েন এ্যালবাম। আমার ভাইয়ের ছিল ডাকটিকেট। কি দারুণ সেই সব সংগ্রহের গল্প। বন্ধুর সাথে বদলাবদলি, এখন সব দেরাজবন্দি স্মৃতি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনাকে করা মন্তব্য নিচে গেল কি করে!!!!!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
আপনার ডাকটিকিট আকুতি। আর আমার চিঠির। সেই সব দিন আর ফিরে আসবে না। এভাবে গল্প হয়ে রয়ে যাবে।
এ্যানি মাসুদ
অনেক ধন্যবাদ এ্যানি মাসুদ।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
হ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
দেরাজবন্দি স্মৃতিগুলি এমন করেই মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে যায়।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
একটু ভালো কাগজে ছাপানো ম্যাগাজিন যদি কখনো কোন ডাকটিকিটের ছবি পাওয়া যেতো তাহলে সেটা সাবধানে কেটে আলপিন দিয়ে ফুটো করে ডাকটিকিট হিসেবে অন্য সংগ্রাহকের কাছে চালিয়ে দেয়াটা পুরাতন প্রস্তর যুগ থেকে চলে আসছে।
বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) ফান্ড কালেকশনের জন্য ডাকটিকিটের মতো দেখতে কিছু কুপন বাজারে ছেড়েছিল। বেখেয়াল সংগ্রাহকদের কাছে সেগুলোকেও 'নাটাব' নামের দেশের স্ট্যাম্প বলে চালিয়ে দেয়া হতো।
মঙ্গোলিয়া, ওমান, আজমান ইত্যাদি দেশের যেসব বড় বড়, খুব সুন্দর ছবিওয়ালা, তিনকোনা/বর্গাকার/বরফি ইত্যাদি ডাকটিকিট বইয়ের দোকানগুলোতে কিনতে পাওয়া যেতো সেগুলো আসলে স্থানীয়ভাবে ছাপানো। অসাধু ব্যবসায়ীরা এভাবে আমাদের টিফিন না খেয়ে বা বাস/রিক্শায় না চড়ে জমানো টাকাগুলো হাতিয়ে নিয়েছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
"নাটাব" নামের দেশ
মঙ্গোলিয়া, ওমান, আজমান ইত্যাদি দেশের ওই তিনকোণা ডাকটিকিট তো আমারো অনেকগুলা ছিল। অইগুলা নকল!!!!!!!!!!!!!!!!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
লিবিয়ার ডাক টিকিটগুলা ছিল ছ' ইঞ্চি লম্বা। লিবিয়া থেকে চাচাতো বোন চিঠি লিখত, সেই সূত্রে ওগুলো পেতাম।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এ যুগে এসে তো ঘটাঘট সীল মেরে নয়ত স্টিকার লাগিয়ে দেয় ডাক মাশুলটা। স্ট্যাম্প এর ব্যবহার কমেই গেছে। তবু আমি চেষ্টা করি চিঠি পাঠালে স্ট্যাম্প দেবার। এই আমেরিকা স্ট্যাম্প ব্যাপারটাও বাণিজ্যিক করে ফেলেছে। নিজের খোমার ছবি দিয়েও যে কেউ যেমন খুশি স্ট্যাম্প বানিয়ে ফেলতে পারে, সঙে QR code প্রিন্ট করে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কদিন আগে ডাকটিকিট নিয়ে লেখা একটা বই হাতে পেলাম। "A Certain Look at Philately"। লেখক লুই ইউজেনিও ফেরেইরা(Luis Eugénio Ferreira)। ফিলাটেলির ইতিহাস, বর্তমান আর সামনের দিনগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন লেখক। ভাষা খুব আকর্ষণীয় না হলেও খুব তথ্যবহুল একটা বই। শেষের চ্যাপ্টার টা পড়ে একটু মন খারাপই হল।আর সবার মত ইনিও ফিলাটেলির শেষ দেখতে পাচ্ছেন। পরামর্শ দিচ্ছেন কালেক্ট করা স্ট্যাম্প নিয়ে বরং ভার্চুয়াল আর্কাইভ করতে। লেখকের ভাষায় " ফিলাটেলি এখন এর পুর্বের অবস্থার ছায়া মাত্র"।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
হুমম, খ্রাপ কয় নাই। ডিজিটাল আর্কাইভিঙের বুদ্ধিটা ভাল লাগল। এক কাজ করেন না, সময় পেলে বইটার একটা রিভিউ করেন। আমরা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
লেখা যেতে পারে
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই নিয়ে একবার একটা কেলেঙ্কারী হয়েছিল। সেটা নিয়ে সচলে রাগিবের পোস্টও আছে - একুশের চেতনা নিয়ে মিথ্যাচার।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বদমাইশটার তো কোন শাস্তি হল না
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
হ্যাঁ দেখেছিলাম। তারপর একই বুদ্ধি কপি করে আন্তর্জাতিক উৎসবে ফান্ড রেইজিং এর জন্য নিজেরা কিছু স্ট্যাম্প বানিয়ে বিক্রি করেছিলাম। তবে ঐ গলাবাজিটা করিনি, কেবল প্রবাসী বাঙালিদের সগর্বে দেশি স্ট্যাম্প ব্যবহারের সুবিধা করে দেয়াটাই ছিল সার্ভিস।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
বড়ই আনন্দ-উত্তেজনা আর শেষে বিষাদের দিন-এর স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। সেই সাথে আমার নিজের ভিতরের নির্লিপ্ত মানুষটার মুখোমুখিও দাঁড় করালেন। যেদিন নিশ্চিত বুঝে গিয়েছিলাম আমার সংগ্রহ আর বিশেষ বাড়বে না, ক্রমাগত বিষণ্ণ হতে থাকা আমার আগ্রহ একেবারে চলে গিয়েছিল। কাকে যে দিয়ে দিয়েছিলাম সংগ্রহটা সেটাও মনে রাখিনি।
লেখা ভালো লেগেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমি এখনও আমার কালেকশনটা কাউকে দিইনি। কিছু কিছু জিনিস আছে কাউকে দিতে ইচ্ছে করে না। যেমন আমার ছোটবেলার প্রিয় বইগুলি। এইবার বাড়ি গিয়ে দেখি আমার বইগুলি নিয়ে আমার এক পিচ্চি কাজিন তাঁর নিজের ঘর ভর্তি করে ফেলেছে। ওর ঘরে গিয়ে দেখি কি যে মনোযোগ দিয়ে ইউক্রেনের রুপকথা পড়ছে!! আর মাঝে মাঝে মুচকি মুচকি হাসছে। দেখে খুব নস্টালজিক হয়ে গেলাম। ওকে ডেকে আরো অনেক গুলি বই দিয়ে দিলাম। ডাকটিকিটের অ্যালবামটাও ওকে দিয়ে দিলাম।
স্মৃতি গুলো ধরে রাখতে চাইলেও রাখা যায়না
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
আহারে! মনটাকে মেদুর করে দিলেন ভাই!
"খুব চিঠি পেতে ইচ্ছে করে আজকাল। কেউ লিখবে না জানি, তবু পেতে ইচ্ছে করে।" - মহাদেব সাহার কবিতা মনে পড়িয়ে দিলেন!!
____________________________
অনেকদিন পর প্রফেসর সাহেব
লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
ডাক টিকিট জমাতো ভালো ছেলেরা। আমি লাস্ট বেঞ্চ ওসবে নেই। আব্বার অফিস থেকে টিকিট নিয়ে দেবার জন্য ওরা মাঝে মাঝে আইসক্রিম, চানাচুর খাওয়াতো।
এখনতো অনেক দেশেই আর টিকিট হয় না। মেশিনে বারকোড লাগিয়ে দেয়।
লেখাটা পড়ে মায়ামায়া লাগলো।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমিও খাইয়েছি কতজনকে
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
নতুন মন্তব্য করুন