বিকেল হলে ছাদের ওপাশটায় ভাড়াটিয়াদের ছেলেপুলে ও তাদের বন্ধুরা ঘুড়ি ওড়ায় অর্থাৎ ঘুড়ি নিয়ে খেলে। মাগরিবের আজান পর্যন্ত চলে তাদের ঘুড়ি নিয়ে কাড়াকাড়ি। কারও কারও মুখ দেখে অনুমান করা যায় যে, বিকালটা তার ভাল কাটে নাই, নিশ্চয়ই ঘুড়ি কাটা পরেছে; অবশ্য এরকম-ই হয় বেশিরভাগ দিনে। কানে সংগীতের যন্ত্র ভরে চুপচাপ বা একটু-আধটু এদিক-ওদিক করে সারাটা বিকেল হয়তো এইসব দেখে কেটে যায...
অনেকদিন আগের কথা, কোন এক দৈনিক পত্রিকার সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্রের পাঠক কলামে কোন এক মহোদয় ব্যক্তি "চোরে-চোরে মাসতুত ভাই" এর ইংরেজী অনুবাদ করেন, "থিফ থিফ আর কাজিন", কাথাটা মনে রাখার মতই ছিল। আজ অনেকদিন পর কারও কারও জীবনের সাথে এর কিছু মিল খুঁজে পেলাম। লিখতে বসে অনেক ঘটনাই হয়তো চলে আসবে যার কোন মানে হয় না, কিংবা যার অনেক মানে হয়। শুরুতেই বলে নেয়া ভাল, আমার লেখায় অনেকগুলো অসঙ্গতির আ...
ছেলেবেলার একটা দিনের কথা মনে হলেই চোখের সামনে অনেক কিছু ভেসে উঠে। একটা সময় ছিল যখন ঈদ মানে ছিল অন্যরকম কিছু একটা। সকালে ঘুম ভাঙ্গতো বাসার পাশের মসজিদ থেকে মোয়াজ্জেমের মাইকিং শুনে। অস্থির হয়ে ঘুম থেকে উঠতাম... চারপাশ দেখতাম। সবকিছুই কেমন যেন নতুন মনে হত। অন্যদিনের আকাশ থেকে সেদিনের আকাশটাকেও একটু অন্যরকম লাগতো। চারপাশ কেউ যেন একটু অন্যরকম করে সাজিয়ে দিয়ে যেত। ছোট-বড় সবাই মনের আ...
শত বৎসরের আকাঙ্ক্ষা মাঝে মাঝে পূর্ণতার স্বাদ পায়
যা কিছু প্রনয়প্রাপ্তি, সবকিছু কেমন যেন রঙ্গিন সাজে।
কিন্তু হাজার হলেও তা আর কৈশোরের পাল তোলে না।
একদিন, দুইদিন... এভাবে অনেক-সমষ্টি-দিন
অতঃপর ইচ্ছেরা বুড়ো হয়ে যায়
দরজায় কড়া নাড়ে এলাকার মিসকিন।
কেউ বলে মৌমাছি গুনগুন গান শোনায়
আমি বলি, “মৌ ছোট বেলায় বেশ কয়েকজন ওস্তাদের কাছে গান শিখতো।”
আমার জানালার কপাট খুললেই ওর জানালা, অনেক গান...
স্বপ্ন মানুষের জীবনে মাঝে মাঝেই দেখা দেয়। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা সেই স্বপ্নের হাতছানিতে অনেক দূর চলে যেতে চায়, চলে যেতে পারে; হয়তো বা দিগন্তের ধারে কিংবা এমন কোথাও যেখানে গেলে দূরত্ব ঠাহর করা যায় না। স্বপ্নবিলাসী সেইসব মানুষ আর তাদের নোনা কথন কোনদিন কারও মনে ঠাঁই পায় না, এমনকি তাদের কথা শোনারও কেউ আগ্রহ দেখায় না। গায়ের পাশে যে ছোট্ট নদ...
তোমার ওই নুপূর ভিজুক,
সমুদ্রের লোনা জলে।
কিংবা তা ভিজুক লোনা,
আমার এই অশ্রুজলে।
আমি এই জলের ঋণ আজ শোধ নেব না।।
পাড় ভাঙ্গা এক নদীর জলে,
কোনো এক সন্ধ্যাকালে,
স্মৃতিগুলো বোতল ভরে।
ছুঁড়ে আমি ফেলেছিলাম।
আমি আজ হারিয়া যাওয়া স্মৃতি আজ ফেরত চাই না।।
চাই না তোমায় আমার করে, বলো শুধু...
তুমি কি একটি বারও আমার কোনো ডাক শোন নি?
আমি তো রাত্রি হলে ঠিকই তোমার কান্না শুনি।।
মানুষের ভাঙ্গা হৃদয় এ...
আমি তখনও স্কুলে ভর্তি হইনি। কোন একদিন সকালবেলা আমরা কয়জন বাচ্চা-কাচ্চা বাসার সামনে টিলোস্প্রেস(পলানটুকটুক) খেলা খেলছিলাম। হঠাৎ দাদা বললো, “পাগলু, বেড়াতে যাবি নাকি?” আমি খেলা ভুলে দাদা ও ছোট চাচার সাথে রওনা দিলাম। উদ্দেশ্য ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ। ধানমন্ডি থেকে মোহাম্মদপুর, দূরত্বটা সামান্য-ই। কলেজ প্রাঙ্গনে এসে আমি হতভম্ভ এবং একই সাথে আনন্দিত। এতো বিশাল স্কুল ঢাকায় আছে, ...
লন্ঠনহীন এ রাত্তিরে কে যায় কোথায়?
চেনা পৃথিবী। তবু
স্তরে স্তরে জমে থাকা মেঘ বলছে সামনে বিপদ!
বিপদের আশঙ্কায়
আমার ছায়া থমকে দাঁড়ায় বিব্রত ভঙ্গিমায়।
বাড়ি ফেরার পথে দেখা হয় এক মাতালের সাথে
মাতাল, তবু নিশানা মেলাতে ভুল হয় না।
আমায় প্রশ্ন করে, “কি হে প্রেমিক! প্রেমিকার দেখা পেলে না বুঝি?”
আমি অবাক হই
কুয়াশাচ্ছন্ন এই ধরনীতে এমন সত্যের দেখা পাব ভাবি নি।
প্রিয়সীর সাথে আমার আর দেখা হয়...
‘ব্লগ’ জিনিসটার সাথে পরিচিত হই সে খুব একটা আগের কথা না। কয়েকটা সোসাল ইউটিলিটির সাথে পরিচয় ছিল, সে সূত্রেই এ সম্পর্কে জানা। পাশের বাসায় (ঢা.বি.)আইন বিভাগে পড়ুয়া এক ভাই নাকি নাওয়া-খাওয়া ভুলে সারাদিন ব্লগ লিখে, ব্লগে কমেন্টস্ দেয়। তারপর থেকে এ বিষয়ে আমার এক ধরনের অতি উৎসাহ দেখা দেয়। পরিচিত আরেক বড় ভাই পূর্বেই সচলায়তনসহ আরও কয়েকটি ব্লগ সাইট এর সাথে পাকাপাকিভাবে যুক্ত ছিল। একদা তার কা...
দশম শ্রেণীতে পড়াকালে-
বার্ষিক পরীক্ষায় রচনা আসে ‘একটি বর্ষণমুখর সন্ধ্যা’
শুরুটা যেমনই হোক, শেষের দিকের কোথাও হয়তো লিখেছিলাম
‘পাড় ভাঙ্গার জন্য ঢেউই দায়ী।’
কিন্তু না! শিক্ষকমশাই খুবই অসন্তুষ্ট
সোজা-সাপ্টা লাল অক্ষরে লিখে দিলেন ‘অপ্রাসঙ্গিক’।
কুড়ি নম্বরের মধ্যে পেলাম সাত!
আমি জানি, আমার চাওয়ায় সর্বদা রয়েছে জলের সম্মতি
সম্মতি না ছাঁই! মা বললেন, “কিরে! বাংলার পন্ডিত, কম নম্বর ...