রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর কাদম্বরী ------ ঘটনার অন্তরালে ৩
কাদম্বরীর মৃত্যুর পর তার আশেপাশের সমসাময়িক ঘটনার টুকরো গুলো জোড়া দিলে একটা সামগ্রিক ছবি তৈরী করা হয়তো সম্ভব হবে। হয়তো কোন একটি মনোপীড়া থেকে নয়, সম্মিলিত কয়েকটি মানসিক ধাক্কা তার পক্ষে সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তাই মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা কষ্টের ঝরনাগুলো হঠাৎ আঘাতে নিজেকে হারিয়ে দুকূল প্লাবিত করে চলে গেলো। জ়্যোতিরিন্দ্র বেশ খাম খেয়ালী মানুষ ছিলেন। কিছুটা সংসার উদাসীনও ছিলেন। নতুন নতুন নাটক, গান লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন, নিজের যা ভালো লাগতো তাকেই প্রাধান্য দিতেন। তারউপর সত্যেন্দ্রনাথ - জ্ঞানদানন্দিনী তখন কোলকাতায় ফিরে এসেছেন। তাদের সাহচর্য, তাদের ছেলেমেয়েদের সাহচর্য তাকে কিছুটা স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে সরিয়েও এনেছিল। জ্ঞানদানন্দিনীর উগ্র আধুনিক চলাফেরার প্রতি জ়্যোতিরিন্দ্রের মোহ জন্মেছিল। তিনি অনেকটা সময়ই সেই বাড়িতে পরে থাকতেন। রবীন্দ্রনাথের ভাতিজি ইন্দিরা কাদম্বরীর মৃত্যু সম্পর্কে লিখেছেন, “জ্যোতিকাকামশাই প্রায়ই বাড়ি ফিরতেন না। তার প্রধান আড্ডা ছিল বিজিতলাওয়ে আমাদের বাড়ি। আমার মা জ্ঞানদানন্দিনীর সঙ্গে ওর খুব ভাব ছিল”। এরই মধ্যে একদিন অভিমানীনি কাকীমা তাকে বলেছিলেন তাড়াতাড়ি ফিরতে। গানে গানে আড্ডায় আড্ডায় সেদিন এত দেরী হয়ে গেলো যে কাকাবাবুর আর বাড়িই ফেরা হলো না। প্রবল অভিমানে কাকীমা ধ্বংসের পথ বেছে নিলেন।
আবার রবীন্দ্রনাথের ছোটবোন বর্নকুমারীকে প্রশ্ন করে অমল হোম শুনেছিলেন, তখনকার দিনের বিখ্যাত অভিনেত্রী মতান্তরে নটী বিনোদিনীর সাথে জ়্যোতিরিন্দ্রের ভীষন অন্তরংগতা জন্মেছিলো। জ়্যোতিরিন্দ্রের কোটের পকেট থেকে কাদম্বরী বিনোদিনীর কয়েকটি চিঠি পান, যেগুলো তাদের মধ্যের অন্তরংগতার স্বাক্ষরই বহন করে। সেই চিঠিগুলো পেয়ে কাদম্বরী সংসারে নিস্পৃহ সময় কাটান বেশ কিছুদিন এবং তার পর পরই আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে তিনি লিখে গিয়েছিলেন, এই চিঠি গুলোই তার মৃত্যুর কারন, মহর্ষির আদেশে সেই চিঠিগুলো ও সাথে কাদম্বরীর লেখা আত্মহত্যার স্বীকারোক্তিটি নষ্ট করে ফেলা হয়। কাজী আবদুল ওদুদ লিখেছেন যে, তিনি ঠাকুরবাড়ির একজন বিশ্বস্ত ব্যাক্তির কাছে শুনেছেন, যে মহিলার সাথে জ়্যোতিরিন্দ্রের অন্তরংগতা জন্মেছিল তিনি অভিনেত্রী নন, কিন্তু তার কারনে আগেও একবার কাদম্বরী আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করেছিল। তবে তৎকালীন রুচি ও রীতির পরিপ্রেক্ষিতে জ়্যোতিরিন্দ্রের কোন থিয়েটারের অভিনেত্রী কিংবা নটীর সান্নিধ্যে আসাও বিরাট কিছু ব্যাপার নয়।
নিঃসন্তান কাদম্বরীর মধ্যে একটি সন্তানের জন্য তীব্র আকাংঙা ছিল। তিনি শিশুদেরকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন। জানকীনাথ ও স্বনর্কুমারীর ছোটমেয়ে ঊর্মিলাকে নিজের কাছে রেখে সন্তান স্নেহে মানুষ করছিলেন তিনি। তার কাছেই ঊর্মিলা বড় হচ্ছিল তার মেয়ে হয়ে। একটু বড় হয়ে স্কুলে যাওয়া শুরু করার দুমাসের মধ্যেই তেতলার সিড়ি থেকে একা নামতে গিয়ে ঊর্মিলা পড়ে যায় এবং মারা যায়। এই ঘটনাটি কাদম্বরীর কোমল মনে যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছিল। তারপরেও সংসারের কাজকর্ম, স্বামী সেবা, সংগীত, সাহিত্য চর্চা ইত্যাদি দিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে, ভুলে থাকতে চাইলেও শেষ রক্ষা তিনি করতে পারেন নি। সে সময়ই সত্যেন্দ্রনাথ ও জ্ঞানদানন্দিনীর কোলকাতার বাসায় , রবীন্দ্রনাথ ও জ়্যোতিরিন্দ্র তাদের বেশীরভাগ সময় কাটাতেন। এরি মধ্যে আবার রবীন্দ্রনাথ বিয়ে করাতে কাদম্বরীর নিঃসংগতা প্রচন্ড বৃদ্ধি পায় যা থেকে তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন ও আত্মহত্যার পথটিকেই বেছে নেন।
বাড়িতে কাপড় নিতে আসত বিশ্বেশ্বরী তাতিনী বা বিশু তাতিনী। সেই বিশুকে দিয়েই লুকিয়ে আফিম এনে, খেয়ে তিনি মনের জ্বালা জুড়ান। কাদম্বরীর মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় কোন অনুমানের চেয়ে, পারিপ্বার্শিকতার বিচারে বর্নকুমারী বর্নিত কিংবা ইন্দিরার লেখা ঘটনাগুলোই বড় বেশী বাস্তব। কিশোর রবীন্দ্রনাথ জানতেন তার নতুন বৌঠানের সেই গোপন মনোকষ্টের কথা। তার “তারকার আত্মহত্যা”তে তিনি লিখেছেন,
“যদি কেহ শুধাইত, আমি জানি কী যে সে কহিত
যতদিন বেচে ছিল, আমি জানি কী তারে দহিত”
সমসাময়িক অনেক কবিই কাদম্বরীর অকাল মৃত্যুকে নিয়ে জ়্যোতিরিন্দ্রের উপর যথেষ্ট বিরক্ত ছিলেন। তাদের অনেকেই সে সময় জ়্যোতিরিন্দ্রকে ব্যংগ করে অনেক কবিতা লিখেছিলেন। তাদের কেউ কেউ কোন রাখ ঢাক ছাড়াই স্ত্রীকে অবহেলার জন্য জ়্যোতিরিন্দ্রের সমালোচনা করেছিলেন। কাদম্বরীর কাছ থেকে আসন উপহার পাওয়া কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী জ়্যোতিরিন্দ্রের পরনারী আসক্তি নিয়ে শালীনতার আড়াল না রেখেই লিখেছিলেন,
“পুরুষ কিম্ভুতমতি চেনে না তোমায়, মন প্রান যৌবন
কি দিয়া পাইবে মন, পশুর মতন এরা নিতুই নতুন চায়।“
সেসব কবিতা, রচনা, সমসাময়িক ব্যাক্তিদের সাক্ষ্য, আলোচনা ইত্যাদি থেকে ধারনা করা যায় কাদম্বরীর মৃত্যুর সাথে রবীন্দ্রনাথের বিয়েকে জড়িয়ে যে অনুচিত কল্পনা করা হয় তার আসলে কোন ভিত্তি নেই।
প্রথম পর্ব http://www.sachalayatan.com/tanbira/16440
দ্বিতীয় পর্ব http://www.sachalayatan.com/tanbira/16665
(চলবে)
০৭.০৭.০৮
মন্তব্য
Tanbira Apu:
Again good one-today I got a different conception about this sucide.
Keep it up, thanks for a good write up.
Thk u jee. I'm happy to see tht u visit often now this website :-}
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অনেক কিছু জানলাম । চমত্কার পোস্ট ।
অফটপিকে ...
আপা আপনি ঠিক মত পৌছেছেন?
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
হাহাহাহা, না পৌছলে পোষ্ট দিচ্ছি কিভাবে? তোমাদের আডডা কালকে কেমন হলো? আশাকরি আড্ডার ফলাফল নিয়ে পোষ্ট পাবো। খুব ভালো লাগলো তোমার সাথে দেখা হয়ে।
ভালো থেকো।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দাড়ি গজাইছে নাকি? প্রথম প্রথম চুলকাবে দেন ঠিক হয়ে যাবে
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
প্রিয় সচলা,
আবারো আপনার পাকা হাতের লেখনী পাইলাম। বিশেষত যেই যুগে কপাট সব বন্ধ হইতেছে, সেই যুগে মন ও মননের খোঁজ লওয়া আলোচনার আস্বাদন দুরূহ। এইখানে আপনি তাহা সাধিয়াছেন। আপনার লেখনীর শান্ত কলকল স্বর, স্রোতস্বিনীর মতো দূরগামী হোক এই বাসনা জানাইলাম।
প্রীতি লইবেন।
ইতি,
অচলাস্তানের এক সচল
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
প্রিয় অচলাস্তানের এক সচল,
আপনার প্রীতি গ্রহন করিয়া ধন্য হইলাম। বিপদের দিনে শক্ত হয়ে থাকতে হবে, সবাই এক সাথে, সেই চেষ্টা আপনার সাথে আমিও করে যাচ্ছি।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ভুল সবই ভুল....
আমি জানতাম রবিঠাকুরের বিয়েই কাদম্বিনীর মৃত্যুর এক এবং একমাত্র কারণ। দ্বিতীয় কোন কারন কোনদিন খুঁজতে যাই নি।
আপনার লেখার যে রেফারেন্স দেখলাম তাতে মনে হল আপনিই ঠিক।
এই পর্বের জন্য সিরিজটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
আজ পড়লাম। তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।
-----------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
অচলাস্তান লইয়া আর কি কহিব, এইখানে এখন পুরুষরা বাধিত আর নারীরা বিদিত, এইখানে এখন সুপারমলের স্বাধীনতা, আর ময়দানের হাওয়া লোপাট।
''আর যাহা আছে তাহা প্রকাশের নয়
সখী! বহে যাহা মর্ম-মাঝে রক্তময়
বাহিরে তা কেমনে দেখাব! ''
দেখাইতে পারিনাকো, তাই সংবাদপত্র সেবন করি।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
এবারের পর্বটাও অসাধারন হয়েছে!
-----------------------
সচল আছি, থাকবো সচল!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কি ক্যাচালে যে পড়লাম। একবার মন্তব্য কইরা কিলিক করি কয় validation error। তারপর যখন আবার মন্তব্য করি দেখি দুইটা মন্তব্য খাড়া হইয়া গেছে।
----------------------------------
সচল আছি, থাকবো সচল!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আপনার ক্যাচাল ঘ্যাচাং করে দিলাম।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
রবীন্দ্রনাথ যেন কে?
হযরত রবীন্দ্রনাথ জমিদার বাড়ীর একজন কবি ছিলেন ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
চেনা চেনা লাগছে
আরে
মনে পড়ছে
উনিতো আমগো ফুলতলার জামাই বাবু
নুরুজ্জামান মানিক
**********************************A life unexamined is not worthliving.-Socrates
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
হায় হায় এই কথাটাই তো ভাবা হয় নাই। তানবীরারে ডাকা হোক।
...............................................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সবাই মিলে কি আমাকে পচানোর চেষ্টা হচ্ছে নাকি
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নবীন তাই প্রতিবারই ভুল করি এবার্ও তাই। কি দরকার ছিল স্ক্রলবার টেনে নিচে এসে 'মনের অজ্ঞ'(মন্তব্য)'কে জানিয়ে দিলেই হতো।
কি আর জানাব, কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে, পেয়েছি অনেক কিছু। মুখ বন্ধ রাখলাম দ্বার খুললে বলল।
মুক্তি'র স্বাদ পেতে চাই স্বরচিত কবিতায় নয় বান্ধব উন্মত্তায়।
লেখার তৃতীয় কিস্তি দেখে বেশ ভালো লাগল, ভালো লাগাকে সাথে করে পড়লাম, জানলাম আর সিক্ত হলাম অজ্ঞতা মক্তির প্রয়াসে। অগানিতিক আশায় থাকলাম চতুর্থ 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর কাদম্বরী ------ ঘটনার অন্তরালে'র।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
ভাল লাগলো
ভাল লাগছে সিরিজটা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
রাফি, অভি, দীপু আর ইশ্তিয়াককে ধন্যবাদ।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
পড়তে খুব ভাল লাগছে । মিসিং লিংক গুলো বোধ হয় পাওযা যাচ্ছে।
তানবীরা আপু, এই লেখাটা কি আপনার/ আপনার অনুমতিক্রমে প্রকাশিত হয়েছে ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ঐ লিঙ্ক ফলো করে গিয়ে দেখি তানবীরার আরো লেখা এবং আগের পর্বগুলোও আছে! তানবীরা, আপনি কি জানেন এটা?
জানি বলব, না জানি না বলব ঠিক বুঝতে পারছি না। আমার লেখা রীতিমতো অভীক প্রকাশ করে। তিনি মাঝে মাঝে অন্যকোথাও প্রকাশ করে থাকেন হয়তো। আমি এটা খুব দোষের কিছু ভাবি না। কারো ভালো লাগলে লেখা প্রকাশ করতেই পারেন, তাতে বরং আমার মতো লেখিয়েদের সম্মানই জানানো হয়।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
কতো অজানা রে !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই .........
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তানবীরা,
লেখাটা ভালো লাগছে । অনেক সময় জানা বিষয় ও নতুন করে পড়তে ভালো লাগে শুধু মাত্র লেখার গুণে । তুমি এই তিন নাম্বার সিরিজে যেসব তথ্য উল্লেখ করেছ, তা অবশ্য জানা ছিল । বোধ হয় সুনিলের ‘প্রথম আলো’ তেই পড়েছি (নাকি অন্য কোথাও?) ঠিক মনে নেই । রবীন্দ্রনাথ এবং কাদম্বরীদেবীর মধ্যে কী ধরণের সম্পর্ক ছিল তা যদিও গবেষণার বিষয় – নানা মুনির নানা মত থাকবেই । শুধু তারা দুজনেই জানতেন তাদের আসল সম্পর্ক কি ছিল । অথবা, জানতেন কিনা তাতেও সন্দেহ ! অনেক সময় যারা সম্পর্ক জড়ায় তারা নিজেরাও জানেনা তাদের সম্পর্ক ধরণটা কি, বা কেমন । আমার ব্যক্তিগত ধারণা অর্থাৎ যতটুকু এ পর্যন্ত বিভিন্ন লিখা পড়ে বুঝতে পেরেছি, ‘প্রেম’ থাক বা না থাক (প্রেমের সংগা কি জানিনা ) একটা ‘মোহ’ ছিল । যা তোমার লেখা থেকেও আমার মনে হয়েছে । হতে পারে আমি ভূল । রবীন্দ্রনাথ সমবয়সী বৌদির কাছে পেয়েছেন নিরন্তর প্রেরণা , আর কাদম্বরী পেয়েছেন কিশোর রবীন্দ্রনাথের অকুন্ঠ মনযোগ ! ‘স্বামী’ র মনযোগ আকর্ষণ থেকে বঞ্চিত নারী, কাদম্বিনীর জন্য রবীন্দ্রনাথকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হওয়া দিনগুলো নিয়ে মেতে থাকা - হয়ত মিথ্যা ছলনা করেছেন নিজের সাথেই নিজে ! কি জানি ! জোত্যিরীন্দ্রনাথ এর জামার পকেটে কোন এক অভিনেত্রীর ছবি পাওয়া , সেজে গুজে স্বামীর জন্য পথ চেয়ে বসে থাকা এক অন্তঃপুরবাসীনি নারী যতই ঠাকুর-বাড়ির জল হাওয়া গায়ে মেখে আধুনিক হওয়ার কসরত করুক না কেন , তার ভিতরের রক্তক্ষরণ ঠেকানোর উপকরণ গুলো একে একে হাত ছাড়া হয়ে যাওয়াতে – শেষ পর্যন্ত হয়ত তাকে আত্মহননের পথ-ই বেচে নিতে হয়েছিল ! রবীন্দ্রনাথের সাথে তার যে ধরণের সম্পর্ক থাকুক না কেন, শুধু এই কারণেই তিনি আত্মহতায় করেছেন – তা কখনো মনে হয়নি । অনেকগুলো কারণ এক সাথে যুক্ত হয়েছিল বলেই আমার ব্যক্তিগত ধারণা ।
ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য ।
নন্দিনী
নন্দিনী আপু,
সুচিন্তিত মতামত সব সময়ই আমন্ত্রিত। এই লেখাটা কারো কোন অফেন্স বা ডিফেন্সের জন্য লেখা হচ্ছে না।
রবীন্দ্রনাথ আর কাদম্বরীর মধ্যে কি ছিল সেটা তারাই বলতে পারবেন, কিংবা তারাও জানতেন কি না সন্দেহ। কিন্তু আমার কথা হলো তোমার শেষের কথা টুকু। জ্যোতির অবহেলা বা হেয়ালীর জন্যই তিনি অভিমানে চলে গেলেন। স্বামী সাহিত্য চর্চা করছেন কিংবা কারো সাথে লটর পটর করছেন আর এদিকে নিঃসন্তান বউটি বাড়িতে একা।
আর দোষ হলো পরকীয়ার। সত্যি কথা বলতে কি এই কারনটার জন্যই আমি এ সিরিজটা লিখলাম। মেয়েরা বেচে থেকে শুধু নির্যাতনের শিকার হয় না, মরে গিয়েও মিথ্যে কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে বেড়ায়।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
bangla likhbo ki kore?
ইউনিজয় লেআউটে লিখতে চাইলে CTRL + ALT + U, আর ফোনেটিকে লিখতে চাইলে CTRL + ALT + P । রোমান হরফে ফেরত আসতে চাইলে ESC চাপ দেবেন। লেখার টেক্সট বক্সের ওপরও দেখুন একটা কম্বোবক্স আছে, সেখান থেকেও বেছে নেয়া যায়।
হাঁটুপানির জলদস্যু
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নতুন মন্তব্য করুন