কনক্লুশেন
আমাদের এখানে উইকএন্ডে উইকএন্ডে পার্টি লেগেই থাকে। পার্টি বললে অবশ্য খুব সম্মানজনক ভাষা বলা হয়, পার্টি না বলে একে সপ্তাহান্তের গ্যাজানী বলাই বোধ হয় সঠিক। প্রত্যেক সপ্তাহের আড্ডাই ঠিক করা হয় আর নয়, নেক্সট উইকএন্ডগুলোতে ঘরের কাজ করতে হবে, অনেক কিছু জমে গেছে। তারপর শনিবার সকাল এলেই আবার সেই ফোন কি করছো, তোমরা আসছো না আমরা আসবো। সেই আবার খাড়া - বড়ি - থোড়, থোড় - বড়ি - খাড়া। তো পার্টিতে খানার সাথে পিনাও বহুত হয়, পিনার মধ্যে বহুত রকম ভেরিফিকেশন থাকে অবশ্য। কারো রাশিয়া ট্যুর পড়ল, ওইদিকে গ্রুপে মেল পড়ল, গুগলে সার্চ হলো, কোন ভদকা আনা হবে, খাওয়া হবে, সেই ভদকার জীবনী কি দেখো, বংশ পরিচয় খোজ, বংশে কে কি করলো সেই বুঝে সিলেক্ট করো। মেক্সিকো তো টিকিলা, গ্রীস হলো উযো। পিনা জমে গেলে জীবনের গভীর গভীর দর্শন নিয়ে আলোচনা জমে উঠে। স্বাভাবিক অবস্থায় যে আলোচনাগুলো কখনই আসে না, স্বর্গীয় সুরা পেটে গেলেই সেইগুলো ভুরভুর করে আসতে থাকে। তো একবার আলোচনা জমে উঠলো “ভদ্রলোক” কাকে বলে, এর সংজ্ঞা নিয়ে। অনেকক্ষন ধরে গুরু গম্ভীর আলোচনা হওয়ার পর সবাই অমিতের কথায় আপাতত স্থায়ী হলো, “যতক্ষন ধরা না পড়ি, ততক্ষন ভদ্রলোক”।
আমি কি রকম ভদ্রলোক ???
অফিস আওয়ারে প্রাইভেট ইন্টারনেট ব্যবহার নিষেধ, হরদম করে যাচ্ছি আমরা অনেকেই। অফিসের ফোন ব্যাক্তিগত কাজের জন্য নয়, কাছে পিঠেতো বটেই, বাংলাদেশেও চালাই অন অফিস একাউন্ট। প্লেনের টিকেটে বিশ কেজি (শোভন শ্রেনী’র) জন্য পরিস্কার টাইপ করা থাকা সত্বেও পচিশ কেজিতো ভরিই। হাতেও সাতের জায়গায় দশ করি। কিংবা কাউকে হয়তো বলেছি কাল তোকে ফোন করবো, সন্ধ্যায় কারো সাথে স্কাইপেতে গ্যাজাচ্ছি কিংবা কোন একটা ফ্লিম দেখছি, কিংবা সচল পড়ছি, আলসেমী করে ফোন না করে, তারপরে হয়তো বেমালুম বলে দিলাম, কাল অফিসে এত্তো খাটুনী ছিলরে, ভীষন মাথা ধরে ছিল, বাড়ী এসে খেয়েই শুয়ে পড়েছি, প্লীজ রাগ করিস না, কিংবা ইতং - বিতং, এক্কেবারে সময় পাইনি। হয়তো কারো বাড়ী দাওয়াত খাওয়ার কথা, সেই বাড়ী যেয়ে খাওয়ার মেনু দেখে কিংবা রান্নার অবস্থা দেখে বেমালুম বলে দিচ্ছি আমার এই মাছে এ্যালার্জী আছে, কিংবা শরীরটা দুপুরের পর থেকে এমন লাগছে, খেলেই বমি হয়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি, এই অসততার আর্বতে চলছে প্রতিদিনের জীবন। অসততার চর্চা বাইরে শুরু হলেও আস্তে আস্তে ঘরেও ঢুকে।
কিন্তু নিউটনের থার্ড ল’তো আছে, যা করবো তাই ভরবো। সুতরাং একাত্তরের রাজাকার সমস্যার মতো, এই অসততার সমস্যা চল্লিশগুন হয়ে আবার বুমেরাং হয়ে আমার মাথায়ই ফিরে আসে।
আমি সারাদিন অনেক চা খাই। দুধ চিনি ছাড়া কড়া লিকারের চা। শীতের সময় নিজেকে এইভাবে সজাগ রাখি। নইলে কখন কোথায় ঘুমিয়ে মরে থাকবো কে জানে। আমার ছোট্ট দুই বছরের মেয়ে সারাক্ষন দেখত মা কি খায়। আধো আধো বোল তখন মুখে সবে ফুটতে শুরু করেছে। তার নিজের ছোট মগটা নিয়ে মায়ের পেছনে পেছনে ঘুরে আর বলে, “আম্মি, আমাকে তা দাও, আম্মি আমিও তা খাবো।“ আমার মগ থেকে দেই একটু গরম চা ঢেলে, সে ঠান্ডা করে চুক চুক করে এই কড়া লিকার খায়। আর বিমলানন্দ ভোগ করে মায়ের মতো পরম জিনিসটা তিনিও খাচ্ছেন। তো তার ক’মাস বাদে আমরা বাৎসরিক ছুটিতে বাংলাদেশে বেড়াতে গেলে সন্ধ্যায় চা খাওয়া হচ্ছে। আমার কন্যা যথারীতি তার চায়ের কাপ নিয়ে হাজির তবে এবার আর আমার কাছে নয়। এইটুকু প্রানও বুঝে কোথায় গেলে কার কাছে কি চাইতে হবে। আমার ভাইয়ের বউকে গিয়ে মগ বাড়িয়ে দিয়ে বললো, “বউমা, তা দাও”। বাংলাদেশে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে, চিনি দিয়ে বানানো আঠা আঠা মিষ্টি চা’তে এক চুমুক দিয়েই দৌড়ে মায়ের কাছে চলে এলো, তার বিস্ময়মাখা বড় চোখকে আরো গোল গোল করে বলল, ‘আম্মি, তা এতো মিষ্টি, আম্মি তা এতো মিষ্টি”। আর কি সারাদিন চা খাওয়া হয় বাসায় গুষ্টি শুদ্ধু আর উনি জ্বীব দিয়ে টকাস টকাস শব্দ করে হেটে হেটে তা খেয়ে বেড়ান, জীবনে এমন ভালো কিছু খাননি এমন মুখের ভাব করে।
আমি কোক এডিকটেকড। যাই মিস করতে পারি কিন্তু কোক না। মেয়েও সারাক্ষন বাড়িতে টল মল পায়ে হেটে বেড়ায় আর সার্চ লাইটের মতো চোখ দিয়ে কে কি করে দেখে রাখে। আর যেটা সে বুঝতে পারে, তাকে লুকিয়ে করা হচ্ছে, সেটাই তার বেশী চাই। সারাক্ষন স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য মাতামাতির কারনে বাচ্চা মেয়েকে কোক দিতে মন সরে না। যা ক্ষতি হয় আমার হোক, সেই চিরন্তন মাতৃ চিন্তা, আমার সন্তান যেনো থাকে দুধে ভাতে। মেয়ে কাদলে মেয়ের বাবা খুবই বিরক্ত হন কিন্তু আমি কি করবো? কোকের বোতলের ছিপি খোলার শব্দ হলেই তিনি কান্না জুড়ে দেন। আর সেই ম্যারাথন কান্না কোকে চুমুক না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ হয় না। অবশেষে ফন্দী বের করলাম, কোকের পচাত্তর সিসি’র একটা বোতল কিনে তারমধ্যে র’টি ভরে রেখে দেই। বাচ্চাদের কোক নাম দিয়েছি সেটার। উনার সামনে সেটা খুলে উনাকে দেই। উনিও খেয়ে তৃপ্তি আমিও মা হিসেবে উনার স্বাস্থ্য নিয়ে আনন্দিত। বাংলাদেশে সেইবারই আমার মা ডাইনীং টেবিলে কোক খাচ্ছেন, উনি কাছে যেয়ে দাড়ালেন, “দিদু আমায় কোক, দাও।“ আমি পেছন থেকে চোখ - হাত ইশারা করতে করতেই মা বুঝে উঠতে না পেরে তার গ্লাসটা ওর মুখের সামনে বাড়িয়ে ফেললেন, সব এতো দ্রুত গতিতে হলো যে আমি আর বাধা দিয়ে উঠতে পারলাম না, উনি গ্লাসে চুমুক দিয়েই সেই অপার বিস্ময় আর আনন্দমাখা দ্বিগবিজয়ী হাসি, “আম্মি, বাংলাদেশের কোক কি মজা, বাংলাদেশের কোক কি ম জ জ জাআআআ”। তার আনন্দ দেখে চোখে পানি আসার মতো অবস্থা।
(চলবে)
মন্তব্য
- হায়রে, বাচ্চা পুলাপানরেও বেক্কল বানায় মাইনষে। ইট্টু কুক খাইতে দিলে কী হয়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কোমল পানীয় খেলে বাচচারা কোমল তৈরী হয়, সে জন্য ডাক্তার না করে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
- চেন্তার কথা দেখি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমারো সেম টু সেম, আপনেরটা মেয়ে, আর আমারটা ছেলে, এই যা পার্থক্য। একটু কুক পেলেই সে বর্তে যায়।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
হুমম।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অসাধারণ হচ্ছে....চলুক। কমন পড়ছে নিজের সাথে অনেক কিছু, তবে আমি মনে হয় এতটা গুছিয়ে লিখতে পারতাম না। উপস্থাপনাও প্রানবন্ত হচ্ছে। একটানে পড়লাম।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
- বস, আপ্নেরও পুলা আছে নাকি?
এতোদিন তো জানতাম নিকাহ্-ই করেন নাই। তাইলে এই রোযা রমযানের দিনে এগুলা কী কন আমার মতো কোমলমতি লোকজনের সামনে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে না, সে কপাল আর হৈল কৈ ....
আমার ভাগ্নিটার কথা মনে পড়ছিলো। নাম সাফোয়ানা। ওই পাড়ায় থাকতে আমার প্রোফাইলে আগে ওর ছবিটা লাগানো থাকতো।
সব সময় খালি নিজের পুলাপান লইয়্যাই ভাবেন...গাছে কাঁঠাল গোফে তেল....!!!
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ভাবছি মেয়ের কীর্তিগুলো লিখে রাখি। আমি রই না রই কীর্তিগুলো থাক। মেয়ের ছেলে মেয়েরা জানতে পারবে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ইসসস আপু আপনার পিচ্চিটা এত্ত কিউট হাসতে হাসতে পরে গেলাম। বেচারাকে এত ধোকা দিচ্ছেন, মায়া লাগছে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আসল কীর্তিগুলো লিখি, তাহলে বুঝবা যতো বেচারা লাগে বাচচাদের আসলে উনারা ততো বেচারা না। এটাতো ওয়ার্মিং আপ।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এমনেই বৃষ্টি বাদলার দিন... মেঘলা আকাশ... তার উপরে পোস্ট শুরুই করছেন কি কি সব দিয়া। এইটা ঠিক না... কোক নিয়া লেখবেন তো কোক নিয়াই লেখতেন... শুরুতে এইসবের কি দরকার ছিলো? আজকে একটা জুম্মাবার...
আর লেখলেন তো লেখলেন মেয়ের একটা ছবি দিতেন... কোকের বিজ্ঞাপনসহ।
আমার এবং আমার সন্তানের মা'র কোকপ্রীতি নাই। একসময় খুব ছিলো অবশ্য। কিন্তু এখন যেদিকে প্রীতি সেদিকে মেয়ে যদি এখন থেকেই ঝোঁকে তাইলে তো বিপদ।
শোনেন তাইলে একটা গপ কই...
ভারতীয় এক বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিত সেন। তার দুই ছেলে দোল আর বুনো... দোল বড় হয়ে গেছে, এখন বুঝি ক্লাশ সেভেনে পড়ে... আমরা তাদের বাড়িতে গেলে দোলই পানীয় পরিবেশন করে... ভালো পারে। কিন্তু বুনো? এখনো সে কথাই বলতে পারে না।
তারা থাকে নিচের তলায়... উপর তলার এক ভাড়াটের বয়ানে শোনেন কাহিনী-
'একদিন আমি বাড়ি ফিরে উপরে উঠতে গিয়ে দেখি অমিতদার জানালার পর্দা খোলা... তাকিয়ে দেখি ঘরের ভেতরে একটা ভদকার বোতল নিয়ে অমিতদা আর বুনো কাড়াকাড়ি করছে... অমিতদা বলছে আমাকে দে... বুনো বলছে দে দে...'
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
'একদিন আমি বাড়ি ফিরে উপরে উঠতে গিয়ে দেখি অমিতদার জানালার পর্দা খোলা... তাকিয়ে দেখি ঘরের ভেতরে একটা ভদকার বোতল নিয়ে অমিতদা আর বুনো কাড়াকাড়ি করছে... অমিতদা বলছে আমাকে দে... বুনো বলছে দে দে...'
এইটা দারুন হয়েছে নজু ভাই। আমার মেয়ে অনেক সময় গ্লাসের দিকে সন্দেহ জনক দৃষ্টিতে তাকাইয়া জিনগায়, এইটা কি কোক না রেড ওয়াইন????
জ্বালায় বাচি না।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
বাচ্চাদের সাথে দুই নম্বরী করতে নাই।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বাচচাদের সাথে বড়দের দুনম্বরী করতে নেই, কিন্তু বাচচারা বড়দের সাথে ক' নম্বরী পর্যন্ত যেতে পারে ???
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সুন্দর লেখা।
ভদ্রলোকের ব্যাখ্যাটা একেবারে সত্যি।
ইউরোপের বাচ্চাগুলো ফিজি ড্রিংক খেয়ে খেয়ে
শরীর আর দাঁতের যা অবস্থা করে।
পিচ্চুটাকে একদম কোক দেবেন না।
একটু রেড ওয়াইন দিয়ে দেখতে পারেন
!!!!!!!!!!!!!!!!!! (ইমোটিকনের অল্টারনেট)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
একবার এক ঘরোয়া পার্টিতে সবাই রেড ওয়াইন খাইতেছি। এক মেয়ে ওয়াইন খাবে না... এসব সে খায় না। কিন্তু সবার সামনে বলতেও চাচ্ছে না। সামাজিকতা...
সে নিলো ঠিকই কিন্তু একটু পরে এদিক ওদিক দেখে টেখে আমার কাছে এসে বললো দোস্ত... আমি তো এইসব খাই না... তুই খা... আমি খায়া ফেললাম।
তার ছিলো একটা পিচ্চি মেয়ে... খুবই সুইট... সে কিন্তু দিব্যি তার ভাগেরটুক খায়া গ্লাস পাতছে আরেক পেগের জন্য।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
না দেখলে কি আর জিজ্ঞেস করে, কোক না রেড ওয়াইন ??? হাহাহাহ
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মদ, (অ)ভদ্রতা, চা আর কোক দিয়ে এই কিস্তি পার পেয়ে গেলেন।
চমৎকার লাগল।
"আম্মি, তা এতো মিষ্টি"
- বড়ই মজা পেলাম।
আমার মেয়েকে আমরা কোক দিতাম না। আমাকে কোক খেতে দেখলে ছোট জিজ্ঞেস করত আব্বু কি খাচ্ছ? আমি বলতাম ওষুধ। "ও"। কিন্তু কতদিন মিথ্যা বলে ঠেকিয়ে রাখা যায়? একদিন কোন এক বাসায় গিয়ে কোকের স্বাদ পেয়ে গেল। তারপর একদিন সুযোগ বুঝে বলল: "আব্বু আমার শরীরটা খারাপ লাগছে মনে হয়। ওই অষুধটা দাও।"
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
আমাদের ঢাকার বাসা অনেক ধরনের মেহমান দ্বারা পূর্ন থাকে বলে, আমরা নিজেদের মধ্যে সাংকেতিক ভাষায় কথা বলি। হুইস্কি হলো কাশির ঔষধ।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
দারুন লাগল তানবীরা'পু। তবে মেয়েকে আর ঠকায়েন না!
পরের পর্বে আপনার মেয়ের আরো কাহিনী চাই
__________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
আমিও তো প্রায় শিশুই। অল্প কিছুদিন আগেই আপনার মেয়ের বয়েস পার করে এসেছি।
তাই আপনার মেয়েকে ধোঁকা দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ( প্রয়োজনে আইপি সহ ব্যান )
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি এখানে গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি, জনগন ষড়যন্ত্রকারীদের কালো হাত গুড়িয়ে দিবে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আহা, এই মায়াময় লেখাটি আগে পড়িনি কেনো?...
---
তানবীরা আপু,
খুব ভালো হতো যদি সেই আধো বোলের শিশুটির দু-একটি ছবি লেখায় যোগ করে দিতেন।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
I sent a Kudos long time back-for this write up but don't know why it wasn't published. Nice written on "Buri's kando" please try to write more on her.
নতুন মন্তব্য করুন