কনক্লুশেন (সমাপ্ত)

তানবীরা এর ছবি
লিখেছেন তানবীরা (তারিখ: সোম, ২২/০৯/২০০৮ - ১২:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে, সেই দিনেরে নেবে তুমি এই দিনের কাছে”। এখন মেয়ে স্কুলে যায়, প্রায়ই টিফিন না খেয়ে বক্স নিয়ে আসে। আমি হাতের পাচ আঙ্গুল তুলে তার গালকে ম্যাপ বানানোর পর সে কাদতে কাদতে বলে, “কাল ঠিক খেয়ে নিবো, আম্মি প্রমিস আম্মি প্রমিস”। তারপরের কাল, আরোও কাল, অন্য কাল এইভাবেই যায়। আমিও গালে হাত বসিয়ে বসিয়ে নিজের বিবেকের ভার লাঘব করার চেষ্টা করি, হয়তো অন্যান্য মায়েদের মতো গৃহিনী হলে পড়ে, মেয়েকে আরো একটু যত্ন করতে পারতাম, দুপুরে স্কুলে যেয়ে টিফিন খাইয়ে আসতাম, কিংবা ধৈর্য্য আর একটু বেশী থাকতো। চাকুরী ঠেঙ্গিয়ে এর কিছুই হয় না, যদিও মেয়ের বাবা এতে দ্বিমত পোষন করেন, সেটা অবশ্য বড় কিছু না, খুব কম ব্যাপারেই আমরা একমত হতে পারি। মেয়েকে যদি জিজ্ঞেস করি টিফিন কেনো খাসনি? মেয়ে উত্তর দিবে, টিচারতো আমাকে বক্স খুলে দেয়নি। সব্বাইকে বক্স খুলে দিবে আর ওকে দিবে না??? সেই সন্দেহ থেকে আমি তখন পরীক্ষা করার জন্য বলি, টিচারতো দিল খুলে, তুইইতো খেলি না। উনার চোখ তখন ছোট ছোট হয়ে ট্যারা হয়ে যায়, তুমি কি দেখেছো? আমি বলি, হুমম, দেখলামতো। আরো বিস্ময় নিয়ে গলায় তখন ও বলে, কোথা থেকে দেখলে, কোথায় ছিলে তুমি? আমি বলি, সেই বৃত্তান্ত পরে, তুই আগে বল সবাই খেলো, তুই কেনো খেলি না? তখন জবাব দেয়, আমিতো তখন ভাবছিলাম আর সময় শেষ হয়ে গেলো, টীচার বললো আর খেতে হবে না। শুরু হয় আমার তান্ডব, আইনষ্টাইনগিরি দেখানোর জায়গা পাস না, ভাবছিলি তুই টিফিন না খেয়ে।

হঠাৎ দেখি কদিন ধরে, স্যান্ডউইচটা পুরো শেষ করে খালি বক্স আনছে। আমি ভাবলাম হয়তো বড় হচ্ছে, খিদে বেড়েছে, সবাই যেমন বলে, আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে, খাওয়ার ঝামেলা সেরে যাবে, দেখো আর কদিন। আমি ভাবলাম সেই সুদিন বুঝি এলো অবশেষে। আমি চিরন্তন মা রীতিতে টিফিনে একটুকরো পনির ষ্টিক যোগ করলাম, সেও শেষ করে আনে। খুশীতে কয়েক সপ্তাহ পর একটুকরো ছোট কেকও দিলাম সাথে। বক্স ফেরত আশে একদম ক্রিষ্টাল ক্লিয়ায়, সব শেষ। ভাবলাম এখন গরম পড়েছে, ড্রিঙ্কস্টাও একটু বাড়াতে হয়। তাই দুইশ মিলি’র বদলে তিনশ মিলি’র জুসটা দিলাম। কিন্তু উনার সেই কান্নাকাটি আর নেই, কেনো তুমি বেশী তিফিন দিয়ে দাও, আমিতো ছোত, আমারতো পেট ভরে যায়। সেদিন উনি ছবি আকছে আমি গল্প করছি, উনি আনমনা,
আমি বল্লাম হ্যারে, জুসটা সবটা খেলিইই?
উনি বললেন, নাতো।
তো বাকীটা কি করলি?
কেনো, বীনে ফেলে দিলাম। আমিতো হা। রহস্য পরিস্কার হতে শুরু হয়েছে।
আর কি কি ফেলিস বীনে?
বাকি সব।
সব কি কি?
এইতো কেকটা, স্যান্ডুইচটা। শুধু চীজ ষ্টিকটা খাই।
টীচার কোথায় থাকেন, তখন?
থাকে, কোথাও, আমিতো জানি না।

ধরে টেনে তুললাম এতো সাহস তোর। আমি সব কিনে কিনে আনি, আর তুই ফেলিস স্কুলে নিয়ে। তখন উনি কাদো কাদো, আমিতো ফেলতে চাইনি, তাহলে ফেলিস ক্যানো? আমার যে খেতে দেরী হয়, খেলতে পারি না। খেলার সময় চলে যায়, ফ্রেন্ডসরা অপেক্ষা করে। তাই জেডা বলেছে, খেতে হবে না, ফেলে দাও, মাতো অফিসে, জানবে না। ............।!!!!! তাইতো ভাবি, আগে যেদিন ঠিক ঠিক টিফিন খেয়ে নিতো, আমি ডে-কেয়ারে আনতে যাওয়া মাত্র বক্স খুলে দেখাত আর বলত, আজ আর তোমাকে কষট করে আমাকে মারতে হবে না আম্মি, আমি কিন্তু স অ অ অ ব খেয়ে নিয়েছি। আর আজকাল কোন শব্দ নেই টিফিন নিয়ে। ঘাড় গোজ করে রাখে।

স্কুলের মধ্যে বালির এক বেলাভূমি বানিয়ে রেখেছে, প্রি স্কুলের সব বাচ্চাগুলো গ্রীষ্ম নেই, বর্ষা নেই সূর্য থাকলেই, খেলার পিরিয়ডে সেই বালির মধ্যে পরে থাকবে। মাথায়, চুলে, নখে, জুতোতে শুধু বালি। গাড়িতে ওঠা মাত্র গাড়িটা গেলো আর বাড়িতে ঢোকা মাত্র গেলো বাড়িটা। আমার মতো শুচিবায়ুগ্রস্থ লোকের পক্ষে দিনের পর দিন এই যন্ত্রনা মুখ বুজে সহ্য করা মুসিবত। আমি পই পই বলে দিয়েছি, বালিতে নামবি না, অন্যদিকে খেলবি। সবাইতো বালিতে খেলে মেয়ের জবাব, সব্বাই খেলুক, তুমি খেলবে না, আমার চিৎকার। সেই ফিরবে এক গাদা বালিময় শরীর নিয়ে, যেই আমি জিজ্ঞেস করব বালিতে খেলেছিলি? অন্যদিকে মুখ করে বলবে, নাতো। আমি বলি, আমি জানি তুমি বালিতে নেমেছিলে। সাথে সাথে চোখের সাইজের আমূল পরিবর্তন এবং ট্যারিয়েও যায় কিছুটা। আবার সেই বিস্ময়মাখা প্রশ্ন, তুমি কি করে দেখলে? আমি বলি দেখেছি, ব্যাস। তুই না করা সত্বেও নামলি যে বালির মধ্যে। শুরু হলো গাই, গুই। আমিতো যেতে চাইনি, বলেছি আম্মি বকবে, কিন্তু রায়হানা জোর করে নিয়ে গেলো যে, বলল বাড়ি যেয়ে মাকে বলিস না, তাহলেই হবে। কাল আর যাবো না, প্রমিস আম্মি, প্রমিস। আমিও এড়েতো কম না, বলি, দাড়া, বাড়ি যেয়ে রায়হানাকে ফোন করছি, ওর এতো বড় সাহস, তুই না করলি তবুও ও তোকে জোর করে নিয়ে গেলো? হয়ে গেলো ঘাড় বাকা, না তুমি রায়হানাকে বকবে না, ও আমার ফ্রেন্ড, তুমি ওকে কিছুতেই বকবে না বলছি আম্মি।

দুধ খেতে দিয়েছি। উনি তা নিয়ে হেলছে, দুলছে, ফলশ্রুতিতে বাড়ি - কার্পেট - সোফা সব দুধে দুধায়িত এবং মাখামাখি। রোজকার এই কান্ড। আজকাল কান্ড ঘটিয়েই উনি টিস্যু নিয়ে তা মুছতে বসবেন, মা ডাইনী এসে যাওয়ার আগেই। হয়তো কোন কারনে সে সময়েই আমি ওখানটায় গেলাম, জামার যে জায়গায় দুধ পড়েছে, সে জায়াগাটা খপ করে হাত দিয়ে ধরে ফেললো। আমি জিজ্ঞেস করি, আবারো ফেললি দুধটা ? চোর চোর হাসি দিয়ে, তুমি দেখেছো?

এমনিতে অবশ্য মায়ের জ্ঞানে বুদ্ধিতে মেয়ে মোহিত। সব জেনে ফেলে কি করে সেই ভেবে উনি কূল পায় না। অফিসে বসে থেকে স্কুলের কীর্তি কিংবা রান্নাঘরে বসে থেকে লিভিং রুমের ঘটনা মা কি করে জেনে যান? আরতো রোজ দিনের ডাচ - ইংলিশ - বাংলার অত্যাচার আছেই। Regenboog কে ইংলিশে কি বলে মা ? Rainbow. বাংলায় কি বলে মা? রঙধনু। তারপর পেয়ারাকে ডাচে কি বলে মা আর ইংলিশে? প্রত্যেক শব্দকে তার তিন ভাষায় করভার্ট করা চাইই চাইই। যখন অনেক অনেক শব্দের মানে সত্যিই আজকাল আর জানি না তখন বিশ্বাস করে না। রেগে গিয়ে বলে, তুমিতো সব জানো কিন্তু বলছো না, দুষ্টু আম্মি তুমি, মিথ্যে কথা বলছো আমার সাথে!!! কি করে বুঝাই, তোমার ডাচ ভোকাবুলারী আজকাল আমার থেকে অনেক বেশী, আমি সত্যিই জানি না। আমি যেহেতু সব সময় বলি, দুষ্টুমী করলে এমনি শাস্তি আর মিথ্যে বললে ডবল শাস্তি। সুতরাং বোঝাপড়া সত্যিই জরুরী। তবে অনেক ব্যাপারে এখন আর নিজেই জড়াই না। আমি হয়তো আরামসে জীটিভিতে সারেগামাপা দেখছি, মেয়েকে একটা পাচশ পিসের পাজল দিলাম, বানাও। একটু পর পর আসবে, একটু দেখবে আম্মি? একটু হেল্প করবে? আমিও পরিস্কার, আমিতো পাজল জানি না, বাবাকে জিজ্ঞেস করো। কে যাবে তখন কন্সট্রাকটিভ ভাবতে? কিসের পায়ের সাথে কিসের মাথা লাগল কিংবা লাগল না? বাবা মেয়ে বিমলানন্দে একসাথে পাজল বানায়। মেয়ে অবশ্য আমাকে সান্ত্বনা দেয়, যেদিন আমি বাবার মতো বড় হবো, আমারো অনেক বুদ্ধি হবে, আমিও পাজল বানাতে পারব। আমি ভাবি ঠিক হ্যায়, দেখ ল্যাঙ্গে।

এই রকম যখন আমাদের দিন কাল যাচ্ছে তখন আমরা মা আর মেয়েতে লন্ডন বেড়াতে গেলাম। আমরা অনেকেই একসাথে সেদিন বেড়াতে বেরিয়েছি, ওয়েদার চলে যায়, চরম ভালো কিছু না হলেও তেমন মন্দ না। সারাদিন হাটাহাটি করে সন্ধ্যায় ক্লান্ত আমরা সব অপেক্ষা করছি ব্রিটিশ রেলওয়ের জন্য বাড়ি ফিরবো। গরমে, ক্লান্তিতে সবাই একটু কাতর আছি। ঠিক হলো কোক খাওয়া হোক ট্রেন আসতে আসতে, তৃষনাও মিটবে আবার একটু শক্তিও পাওয়া যাবে। পচাত্তর মিলির ডায়েট কোক একাই এক বোতল তিনি শক্ত করে ধরে আছেন আর খেয়ে যাচ্ছেন, ছাড়বেন না কিছুতেই এ সুবর্ন সুযোগ। কোক খেতে খেতেই মেয়ের পিপি পেয়ে গেলো। আমি ওকে টয়লেটে নিতে নিতে তূর্যকে হাতের ইশারায় দেখালাম কোকের বোতলটা সরিয়ে নিতে। তূর্য সেটা তার কাধের ব্যাগে চালান করে দিল। আমার মেয়ে পিপি শেষ করে প্ল্যাটফর্ম দিয়ে দৌড়ে নেচে নেচে যেয়ে দাড়ালো তূর্যের সামনে, আঙ্কেল আমার কোক দাও। সারাদিন আমাদের সাথে হাটাহাটি করে ক্লান্ত, আনমনে বসে কি যেনো ভাবতে থাকা তূর্য হঠাৎ এই পরিস্কার প্রশ্ন শুনে ঘাবড়ে গেলো। খুব তাড়াতাড়ি করে ওকে কনভিন্স করার জন্য গল্প বানিয়ে বলতে লাগলো। গল্পট অনেকটা এরকম, একটা ডাইনী এসে তূর্যের হাত থেকে খপ করে কোকটা কেড়ে নিল, তূর্য শত চেষ্টা করেও যে ওর কোকটা বাচাতে পারল না, ডাইনীর ইয়া বড় বড় নখ ছিল, গায়ে প্রচুর শক্তি ইত্যাদি ইত্যাদি। (ডাইনী আমার মেয়ের খুব পছন্দের একটা চরিত্র যাকে ডাচে heks বলে। কাউকে পছন্দ না হলেই আমার মেয়ে দেদারসে heks গালি হিসেবেও দেয় আড়ালে। আবার কোনদিন যদি রূপকথা বা spoke থেকে heks বেড়িয়ে সত্যি সামনে আসে তাহলে উনি তার সাথে কি কি করবে সেই পরিকল্পনাও করা আছে। তবে রাতে না ঘুমাতে চাইলে আমি যদি বলি heks কে ডাকছি উনি শুদ্ধ বাঙলায় আমাকে বলে দিবেন, heks সত্যি কিছু না, ওটা শুধু রূপকথা। ) তূর্য আপ্রান চেষ্টা করে কোক হারিয়ে যাওয়ার পক্ষে দশ মিনিট ধরে মোটামুটি একটি বিশ্বাসযোগ্য গল্প দাড় করালো । নানাধরনের ছোট ছোট প্রশ্ন করে আমার মেয়ে গল্পটা শুনছিল, যেমন ডাইনীটা বড় না ছোট, বাংলায় কথা বলল না ইংরেজীতে, কোন দিক থেকে এলো, তাতে মনে মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তূর্য ভাবলো, যাক বাচা গেছে। গল্পটা শুনে কিছুক্ষন চুপ করে থেকে আমার মেয়ে বেশ ঠান্ডা গলায় ধীর স্থিরভাবে তূর্যকে জিজ্ঞেস করলো, “তাহলে কি তুমি আমার কোকটা খেয়ে ফেলেছো? “

আমরা চারপাশের সবাইকে সচকিত করে দিয়ে জোরে জোরে সবাই হেসে উঠলাম।

তূর্য কিন্তু আসলেই বেশ কিছুটা কোক ওর বোতল থেকে খেয়ে নিয়েছিল।

আপাত দৃষ্টিতে এগুলোকে খুব সাধারন মনে হয়, কিন্তু অসততা অসততাই। আজকে ঘরের ব্যাপার গুলোকে সাধারন, কালকে রাজনীতিবিদরা চুরি করে থাকেন, সরকারী অফিসাররা ঘুষ খাবেন সবই সাধারন হয়ে যাবে। চোখ যেভাবে বা মন যেভাবে অভ্যস্ত হবে, দেখতে দেখতে ঘূর্নিপাকে সব একসময় সব অসততাকেও সাধারন মনে হতে থাকবে।

তানবীরা তালুকদার
০৫.০৮.০৮


মন্তব্য

সবজান্তা এর ছবি

দুর্দান্ত ! লেখাটা পড়ে মনটা ভালো হয়ে গেল।

আপনার মেয়েটা বেশ সুইট। আমার তরফ থেকে ওর জন্য এক-বাক্স আদর।


অলমিতি বিস্তারেণ

তানবীরা এর ছবি

আপনাকেও কন্যার তরফ থেকে আদরের বক্স।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পুতুল এর ছবি

কবে মেয়ে বড় হবে আর আপনার সব তেলেসমাতি বুঝবে!
অনেক অনেক আদর বেচারীকে।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তানবীরা এর ছবি

শিল্পাচল আসুক বুঝবেন, যতো বেচারী মনে লাগে, তিনারা ততো বেচারী না, নেটওয়ার্ক মন্দ না তাদের।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পুতুল এর ছবি

একটু চালাক-চতুর না হলে এই দুনিয়ায় চলবে কি করে!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভাবছিলাম অতিশীঘ্রম হল্যাণ্ডের পথে একটা ট্যুরের আয়োজন করা যায় কিনা। এখনতো মনে হচ্ছে যাওয়াটা সমিচীন হবে কিনা! যেভাবে গালে মানচিত্র অংকনের বর্ণনা দিলেন তাতে তো কইলজা শুকায়া কাঠ হয়ে গেছে সেই কোনকালে। মেহমানদের নিশ্চই আপনি ভূগোল শিখান না! নাকি আমার ধারণা ভুল? দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

কোলন থেকে এন্ডহোভেন আসতে তুমি আর হিমু ছয় মাস ধরে যেই জোরে শোরে ভাবতেছো, মাবুদে এলাহী। নাসার বিজ্ঞানীদের তোমাদের থেকে শেখা উচিত, ভাবিয়া করিও কাজ .........

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রেজওয়ান এর ছবি

আপনার চোখে আমার মেয়েকে যেন দেখলাম।

আমার হয়ে ওকে আদর করে দেবেন। অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনাদের সকলের প্রতি। হ্যাপি প্যারেন্টিং!!

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

তানবীরা এর ছবি

আমার চোখে কেনো ভাইয়া? আপনার মেয়ে কোথায় ???

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রেজওয়ান এর ছবি

আরে স্কুলে না খাওয়া, খাবার বিনে ফেলা, বালিতে খেলা সবই যে মিলে গেছে!

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

তানবীরা এর ছবি

মিলে না যেয়ে উপায় আছে ভাইয়া? বাইরের লাইফ এতো বেশী মনোটোনাস, সব একধরনের। কোন চাইল্ড সাইকোলজিষ্ট হয়তো এই পেটেন্ট দিয়ে গেছে, যতোদিন নতুন কোন পেটেন্ট না আসবে সব বাচচাদের বালিতে খেলিয়ে খেলিয়ে ছেড়ে দিবে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাহাহাহাহা গড়াগড়ি দিয়া হাসি দারুন মজা পেলাম, আপনার প্রিন্সেস খুবি কিউট, লান্চ না খাওয়ার কথা শুনে আমার ছোট ভাইটার কথা মনে পড়ছে, সেও এমন করত খাইছে ক্রাস্ট কেটে না দিলে সে স্যান্ডউইচ খেত না। আর বালুর কথা কি বলব। একবার মাথা ফাটানোর জন্য ওকে সবাই হসপিটালে নিয়ে গেলাম, মাথা ব্যান্ডেজ করার পর ওকে ওখানে থাকতে হবে দেখে নার্স ওর জুতা খোলার সাথে সাথে একগাদা বালি ঝুর ঝুর করে বেড ভরে গেল....
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

তানবীরা এর ছবি

মুমু যারা এসব যন্ত্রনা দিনের পর দিন ভোগ করে তারাই জানে, কি বল?
অফটপিক, তোমার ম্যাসেজ পেয়েছি কিন্তু নতুন ফেসবুকে ম্যাসেজ রিপ্লাই অপশন এখনও পাইনি।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ছোটখাট মিথ্যা বলে ছোটবেলায় মাকে যে কত ফাঁকি দিয়েছি, আপনার পিচ্চির টিফিন কাণ্ড দেখে সব মনে পড়ে গেল। পিচ্চিকে অনেক আদর দেবেন।

তানবীরা এর ছবি

তুমি আবার বড় হলে কবে? তুমিতো এখনও বাচচাই ঃ-}

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

স্বপ্নাহত এর ছবি

কেমন আদুরে আদুরে একটা ভাব পুরোটা লেখা জুড়ে। হাসি

আমার পিচ্চিটাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। কোনভাবে সম্ভব?
তাই বলে আবার হল্যান্ড এ যাইতে বইলেন না। মন খারাপ

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

তানবীরা এর ছবি

আপনে আমার বাসায় না আসলে, আপনার বাসার ঠিকানাটায় দেন আমি মেয়ে নিয়ে বেড়িয়ে আসি।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

মায় তিতা কোক দিয়া মাইয়ারে ঠকাইসে, তাই মাইয়াও ঠিফিন না খাইয়া মা'রে ঠকাইসে। ঢিলের বদলে পাটকেল।
হো হো হো
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

তানবীরা এর ছবি

পাটকেল যখন নিজে খাবেন ভাইয়া, তখন আমার কথা মনে পড়বে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

কেবল পাটকেল না, এর চাইতেও বড়! সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তো বললাম। আমার মনে হয় সন্তানরা বাবা-মাকে নির্বোধ মনে করে! হো হো হো
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার মেয়ে এখন যে কয়েকটা শব্দ বলতে শিখছে তার মধ্যে নাই, টা টা, এই যে, ওই যে, বাবা, মা... এইসব...

সে হাতের কাছে ছোটখাটো কিছু পাইলেই তা জানালা বা বারান্দার গ্রিলের ফাঁক দিয়া ফালায়া দিবে।
আর খাইতে তো চায়না কিছুই... হ্যাভি ডায়েটিং চলে তার... সেদিন তারে খাওয়ানোর বাটিটাই সে বারান্দা দিয়ে ফেলে দিলো... তারপর খুব হাসি হাসি মুখ করে বললো... নাই... নাই... নাই... টা টা...

আপনার মেয়ের জন্য শুভকামনা... আসলে বাচ্চারা দুষ্টু না হইলে নিরামিষের মতো লাগে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানবীরা এর ছবি

তারে খাওয়ানোর বাটিটাই সে বারান্দা দিয়ে ফেলে দিলো... তারপর খুব হাসি হাসি মুখ করে বললো... নাই... নাই... নাই... টা টা...

এখন থেকেই লজিক্যাল থিকিং শুরু হইছে মেয়ের, ফেলে দিয়ে টা টা ...... বাপের মতো জিনিয়াস হবে বুঝা যাচ্ছে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুর্দান্ত লেখা, আপু। তবে পড়ে কেমন যেন মিক্সড ফিলিংস হল। আপনার দুরবস্থা (মানে মনমত মেয়ের খাওয়ার ব্যাপারে খোঁজখবর না নিতে পারার) দেখে খারাপ লাগল, আবার পিচ্চির ('পিচ্চি' শুনে আবার মাইন্ড করবে না তো?হাহাহা) দুষ্টুমি, সরলতা দেখে খুব মজা লাগল। বড় হয়ে ও যখন এই লেখাগুলো পড়বে, তখন ওর নিজেরই অনেক ভাল লাগবে দেখবেন।
তবে আপনার মেয়েকে দেখতে আসলেই খুব ইচ্ছে করছে। দেশে বেড়াতে আসেন না! হাসি
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

বিপ্লব রহমান এর ছবি

অসাধারণ! @ তানবীরা আপু।
আপনার ক্ষুদে জিনিয়াসের ওপর এ রকম আরো লেখা চাই।

চলুক
---
একটি ছোট্ট অনুরোধ: খুব ভালো হয় যদি ছোট ছোট প্যারায় লেখেন, লেখায় দু-একটি ছবি যোগ করেন।

আর 'ফলশ্রুতি' কথাটার অর্থ হচ্ছে; শোনার ফলে। লেখায় বোধহয় আপনি 'এর ফলে' বা 'ফলে' কথাটি বলতে চেয়েছেন।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।